কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আটের দশকে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যালবার্ট পিন্টো...’-এর পরিচালক ছিলেন সইদ আখতার মির্জা। নাসিরুদ্দিন, শাবানা, স্মিতা, ওম পুরীদের দুর্দান্ত অভিনয় দেখতে সেই সময় প্রেক্ষাগৃহে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। কালজয়ী সেই ছবির রি-মেক করলেন পরিচালক সৌমিত্র রানাডে। ইতিমধ্যেই ভিন্নধর্মী ছবি ‘যযন্তরম মমন্তরম’-এ বলিউডে দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। এবার তাঁর হাত ধরেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘অ্যালবার্ট পিন্টো’র নয়া ভার্শন। পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনার দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
নতুন ছবিতে রয়েছেন মানব কল, নন্দিতা দাস, সৌরভ শুক্লার মতো শক্তিশালী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। আগের ছবির প্রেক্ষাপট ছিল আটের দশক। মাঝে ৩৯ বছর পর পেরিয়ে সময় অনেকখানি বদলে গিয়েছে। দেখা দিয়েছে একাধিক সমস্যা। ভিন্ন আঙ্গিকে দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যার দিকগুলিকেই এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, কৃষক আত্মহত্যা, গ্রামীণ সমস্যা, এবং মাওবাদী হামলার মতো বিষয়ও। ২০১৯ সালের নতুন অ্যালবার্ট পিন্টো লেগে পড়েছে সেই সব সমস্যার সমাধানে। ছবির ট্রেলার ইতিমধ্যেই ইউটিউবে নেটিজেনরা দেখে ফেলেছেন। ট্রেলারটির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আশাবাদী ছবির পরিচালক। ছবিতে গতি এবং রোমাঞ্চের মিলিজুলি রসায়ন সহজেই দর্শকদের মন কাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। ‘দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানতে মুখিয়ে রয়েছি’, বলছেন সৌমিত্র রানাডে। ‘তুমহারি সুলু’র সাফল্যের পর আত্মপ্রত্যয় বেড়েছে মানব কলের। ছবি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘অ্যালবার্ট পিন্টো দুর্দান্ত ছবি। নতুন আঙ্গিকে সেই ছবিকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’ নিজের চরিত্র সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত চরিত্রকে ফের পর্দায় ফুটিয়ে তোলা খুবই কঠিন কাজ। তবে দর্শকদের মন জয় করতে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। আশাকরি এই পরিশ্রম সার্থক হবে।’
অভিনেত্রী নন্দিতা দাস বলেন, ‘কিছু ছবির সঙ্গে নস্ট্যালজিয়া ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে। অ্যালবার্ট পিন্টো তেমনই ছবি। পরিচালকের অনুরোধে আবেগতাড়িত হয়েই এই ছবির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি।’