কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আপনার এই দাড়ি সমেত লুকটা কিন্তু বেশ চর্চায়।
(হেসে) আসলে সবটাই চরিত্রের প্রয়োজনে। এই ছবির ট্রেলার ও গানের ভিডিও দেখে পরিচিতদের মনে হয়েছে যে তারা যশ নয়, বরং একজন চরিত্রকে দেখছেন।
পরিচালক শগুফতা রফিকের সঙ্গে প্রথমে আপনার ভূতের ছবি ‘সেভেন’ করার কথা ছিল। আবার ‘মন জানে না’র নাম প্রথমে ছিল ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’। পরে সেটাও বদলে যায়। এতগুলো পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়নি?
অনেকেই বিষয়টা গুলিয়ে ফেলছেন। ভূতের ছবিটা তখন সম্ভব হয়নি। শগুফতার কাছে ‘মন জানে না’র চিত্রনাট্য তৈরি ছিল। তাই এই ছবিটা আমরা আগে করলাম। আর ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছিল ওয়ার্কিং টাইটেল।
আচ্ছা চারটে ছবির পর টলিউডে কি নায়ক হিসেবে আপনি কাঙ্খিত জায়গা পেয়েছেন বলে মনে হয়?
এই নিয়ে আড়াই বছরে পাঁচটা ছবি করলাম। আমি কোনওদিন সন্তুষ্ট হতে পারি না। কারণ জানি যেদিন আমি আমার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হব সেদিনই আমার শেষ দিন। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমি পাঁচ নম্বর ছবি থেকেই আলাদা কিছু করার চেষ্টা করছি। রাতারাতি সাফল্যে বিশ্বাস করি না। ধীরে ধীরে এগতে চাই। ১০০ মিটার রেস নয়, আমি ম্যারাথনে বিশ্বাসী।
আপনার অন্যান্য চরিত্রের তুলনায় আমির কতটা আলাদা?
মুসলিম ট্যাক্সি চালক। মাটির মানুষ। পরিবারে কেউ নেই। নিজের ততটা যত্ন নেয় না। সেই একাকিত্ব থেকেই পরীর সঙ্গে ওর দেখা হয়। এরকম চরিত্র আমার ক্ষেত্রে নতুন।
আচ্ছা ছবি না চললে নিজেকে কীভাবে সান্ত্বনা দেন?
একটু তো কষ্ট হয়ই। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কল্যাণে আজকাল সেরিব্রিটিরা দর্শকদের সহজ টার্গেট। কারণ আমার মতে দর্শকের ভালোবাসা নিতে পারলে সমালোচনাটাও আমাদের মেনে নেওয়া উচিত। তবে আমি গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাস করি। পরের ছবিতে ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি।
আপনার এরকম সোজাসাপটা কথা আবার অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।
আমি এরকমই। আপনার মনের মতো উত্তর দিতে পারব না।
এত চাঁচাছোলা কথা বলার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও বিপদে পড়েননি?
দেখুন এই জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে আমার নামে বদনাম রটেছে— আমার নাকি প্রচণ্ড অ্যাটিটিউড! এসভিএফ নাকি সেটা মুখ বুজে মেনে নেয়! অথচ আমি জিজ্ঞাসা করলে কোনও উত্তর পাই না।
শগুফতার সবথেকে বড় প্লাস পয়েন্ট কী?
ওর গল্প বলার ধরন। ও আমাকে আর মিমিকে চিনত না। কিন্তু চরিত্র দুটোকে চিনত। আমি ওকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেছিলাম। মনে হচ্ছে তার ফল পেয়েছি।
শ্রীকান্ত মোহতা আপনার অভিভাবকের মতো। ওঁর অনুপস্থিতি আপনাকে কতটা ভাবাচ্ছে?
কোনও সমস্যায় পড়লেই ওঁর কাছে যেতাম। সেই অভিভাবক সরে যাওয়া মানে মাথার উপরের ছাতা সরে যাওয়া। আমাদের কাজের জন্য তাড়া দিতেন। সবসময় বলতেন ‘এত ছুটি নিলে হবে! ছবি করতে হবে তো।’ আর সেই মানুষটাই আজকে এমন একটা জায়গায় রয়েছেন যেখানে সময়ের কাঁটা ঘোরে না। তাই আরও বেশি খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করবেন।
আপনার দীর্ঘদিনের বন্ধু মিমি, নুসরতরা রাজনীতিতে এলেন...
এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দেখুন বাড়িতে বসে ‘দেশের কিছু হল না’ বলার থেকে তো নিজে রাজনীতির ময়দানে আসা ভালো। দেব, মিমি বা নুসরতের মতো ব্যক্তিত্বরা রাজনীতিতে এলে তো নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আরও বেশি আকর্ষিত হবে।
আর আপনাকে অফার করা হলে?
আপাতত অভিনয় নিয়েই খুশি আমি। এই মুহূর্তে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাই।