‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সেই মিষ্টি ছোট্ট মেয়ে অঞ্জলিকে নিশ্চয়ই মনে আছে? অঞ্জলি অর্থাৎ সানা সইদ কিন্তু আর ছোট নেই। যাকে বলে একেবারে ‘গ্রোন আপ লেডি’। ইতিমধ্যে একাধিক রিয়েলিটি শো ও ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে দেখা গিয়েছে সানাকে। আবারও একটি রিয়েলিটি শো-এ অংশ নিচ্ছেন তিনি। ‘কালারস’-এ শুরু হয়েছে রান্নাবান্না সংক্রান্ত একটি রিয়েলিটি শো ‘কিচেন চ্যাম্পিয়ন’। মজার বিষয়টি হল ওই শোয়ে বিচারকের ভূমিকায় রয়েছেন একদল কচিকাঁচা। রান্না করে ওই কিশোর-কিশোরীদের মন জয় করে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। সম্প্রতি সেই শোয়ের একটি পর্বের শ্যুটিং শেষ করলেন সানা। মুম্বই থেকে ফোনে বললেন,‘বাচ্চাদের জন্য চকোলেট সহযোগে ওটস ও মুসলি তৈরি করলাম আজ। ওটাই আমার রোজের খাবার।’ কিন্তু, বাচ্চাদের তো আবার টক-ঝাল-মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ। তিনি এমন একটি জিনিস তৈরি করলেন যা বরং বাচ্চাদের না-পসন্দ! আত্মবিশ্বাসী সানার জবাব,‘ওই কারণেই তো চকোলেট রেখেছি। বাচ্চাদের মন জয় করতে আমি জানি। আর তাছাড়া শো জিততে আমি মশলাদার রান্না করে তো আর ওদের ক্ষতি করতে পারি না।’ তবে তাঁর তৈরি ওটস-মুসলি খেয়ে বিচারকদের কী প্রতিক্রিয়া তা অবশ্য জানালেন না। অনুরোধ করলেন এপিসোডটি দেখার।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর পর টিনসেল টাউন থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন সানা। ফিরে এলেন বেশ কিছু বছর পর। তারপর থেকে পর পর রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নিচ্ছেন। এর পিছনে কী কারণ? তাঁর কথায়, ‘রিয়েলিটি শো থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আমি যে যে শোয়ে অংশ নিয়েছি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাশার থেকে বেশি শিক্ষা পেয়েছি।’ এবার এল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ প্রসঙ্গ। ছবির অঞ্জলির সেই সাদামাঠা ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ কিশোরীর সঙ্গে এখনকার গ্ল্যামারাস মেয়েটির কোনও সাদৃশ্য নেই। এ নিয়ে আক্ষেপ করে থাকেন দর্শকরা। সানা বললেন, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ারে যদি কোনও ডিগ্ল্যামারাস চরিত্র করতাম তাহলে দেখতেন অন্যরকম হতো। চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে বদলাতে তো হবেই।’
শুভম বসু