রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মিমির চক্রবর্তীর কাছে এই মুহূর্তে একটাই লক্ষ্য— আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন ছবিও। জীবনের নতুন মোড়ে নতুন ভূমিকায় তিনি বেশ স্বচ্ছন্দ্য, চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরদিন সন্ধ্যা। ছবির প্রযোজকের অফিসে গটগট করে ঢুকলেন। পাশ থেকে পরিচিতরা মজার ছলে বলে উঠলেন ‘দিদি আমাদের একটু দেখবেন।’ শুনে হেসে গড়িয়ে পড়লেন মিমি। সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে প্রতিবেদকের থেকে অনুমতি নিয়ে কথা বলতে গেলেন মহেন্দ্র সোনির সঙ্গে। ফিরে আসার পর লিকার চা সহযোগে শুরু হল আড্ডা।
‘মন জানে না’ যশের সঙ্গে মিমির হ্যাটট্রিক ছবি। দু’জনের বন্ধুত্ব কতটা গাঢ় হল? ‘দেখুন একটা মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করলে নিজের অজান্তেই একটা কমফোর্ট জোন তৈরি হয়ে যায়। যশের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও সেটাই হয়েছে। ও খুব ভালো কাজ করছে। চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছে’ বললেন মিমি। এই ছবিতে মিমির চরিত্র পরী। চরিত্রটা তাঁর অভিনীত অন্যান্য চরিত্রদের থেকে কতটা আলাদা? মিমির কথায় ‘একজন সাধারণ মেয়ে। পরে সে কীভাবে মাদকে আসক্ত হচ্ছে বা তারপর আমিরের (ছবিতে যশের চরিত্র) সঙ্গে কী হচ্ছে তা জানতে ছবি দেখতে হবে।’
ছবির পরিচালক শগুফতা রফিকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম? ‘বলিউডে একের পর এক সুপারহিট ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন শগুফতা। খুবই ভালো কাজ করেছেন।’ কিন্তু ভাষার সমস্যা? ‘দেখুন প্রথমবার বাংলায় কেউ এসে কাজ করছেন। আমাদের সেই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানানো উচিত। তাঁর কাছে আমরাও তো নতুন। ভাষার সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। ভবিষ্যতে কাজের সংখ্যা বাড়লে বিষয়টা আরও সহজ হয়ে যাবে।’ এই ছবির হাত ধরেই প্রথম প্লেব্যাক করলেন মিমি। ইতিমধ্যেই তাঁর গাওয়া ‘কেন যে তোকে’ গানের ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল। হঠাৎ গান গাইতে রাজি হলেন কেন? হাসতে হাসতে মিমির উত্তর, ‘এটা একেবারেই আকস্মিক ঘটনা। আসলে ইউনিট এবং প্রযোজক সংস্থার তরফে সকলেই চাইছিলেন যে আমি গানটা গাই। শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম গেয়ে ফেলেছি।’ ছবির প্রচার পর্ব প্রায় শেষ। মিমি যে এখন বলে বলে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অভিনন্দন দত্ত