কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পরিচালক শান্তনু ঘোষ কোহিনুরের ইতিহাসের ব্যাপারে যে গবেষণা করেছেন, তা সত্যিই তারিফযোগ্য। অনেকেই কোহিনুরের ব্যাপারে বিশদে জানেন না। অজানা সেই তথ্যই দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু তা করতে গিয়ে একাধিক জায়গায় ছন্দপতন ঘটেছে। ছবি বড্ড বেশি ইতিহাস নির্ভর হয়ে পড়েছে। মোনা দত্তকে অর্থ এবং জ্ঞানের মধ্যে একটি বাক্স বাছার মধ্যে পড়াশোনার প্রতি গুরুত্বের যে বার্তা পরিচালক দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। গতানুগতিক ছকের বাইরে বেরিয়ে ভিন্নধর্মী চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী দত্ত। বরুণ চন্দও নিজের একশো শতাংশ দিয়েছেন। কিন্তু ছবির মূল আকর্ষণ ‘দুই ফেলুদার’ দ্বৈরথ। ছবিতে সৌমিত্রকে দেখা যাবে ফেলুদার বই পড়তে। মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার কথা শুনে দর্শকদের অজান্তেই চোখের সামনে চলে আসবে সোনার কেল্লার সেই ফেলুদা। তাঁর মুখে একাধিক সংলাপে স্মৃতিরোমন্থনে বাধ্য হবেন দর্শক। তবে অধিকাংশ দৃশ্যেই মোনা দত্তর অপ্রয়োজনীয় কাঁদোকাঁদো মুখ বেশ অসহ্যকর। শ্যুটিংয়ের স্থান নির্বাচন ঠিকঠাক হলেও দুর্বল চিত্রনাট্য এবং আবহ সঙ্গীতের অভাব পদে পদে বোধ হয়েছে। ইতিহাসের অত্যাধিক তথ্য সরবরাহে খেই হারিয়েছে ছবির গতি। যদিও ক্লাইম্যাক্সে সামান্য চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু ততক্ষণে ভরাডুবি হয়ে গিয়েছে। ডঃ সাত্যকি বসুর মুখে, ‘যেখানেই দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই’ সংলাপে ছাই উড়লেও লুকানো রতনের সন্ধান কিন্তু সত্যিই মেলেনি।
শৌণক সুর