বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পরিচালক বললেন, ‘তিন বন্ধু মেঘা, তানি আর লিমা। তিনজন মিলে ঠিক করে পার্লার করবে। এবার ডাকাত কীভাবে হল আর সত্যিই তারা ডাকাত কিনা সেটা জানতে হলে একটু অপেক্ষা করতে হবে।’ মেঘা স্কুল শিক্ষিকা। শান্তশিষ্ট মেয়ে। চট করে ঝুট ঝামেলায় জড়াতে চায় না। তানি একটু রগচটা। আর লিমা খুব একটা চালাক নয়। সে বন্ধুদের সঙ্গ ছাড়ে না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে কী করছে কেন করছে তা বোঝে না। এই তিন বন্ধু মিলে একটা জায়গা কন্ট্রাক্ট করে ভাড়া নেয়। সাজিয়েগুছিয়ে পার্লারের ব্যবসা শুরু করে। পার্লারের নাম দেয় স্যালোঁ দে প্যারিস। বছরখানেক টগবগিয়ে সেই পার্লার চলার পরে হঠাৎ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাদের। কারণ অঞ্চলের এক ক্ষমতাবান বিজনেসম্যান সমর পোদ্দার ওদের পার্লার ছেড়ে দিতে বলে। তিন বন্ধু পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর প্রভাব এতটাই যে কোথাও সাহায্য মেলে না! তাই বলে এত কষ্ট করে গড়ে তোলা পার্লার সহজে ছাড়তে রাজি হয় না ওরা। তখন সমর পোদ্দার ওদের শর্ত দেয়— তিন সপ্তাহের মধ্যে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে অথবা পার্লার খালি করতে হবে। মাত্র একুশদিনের মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করা চাড্ডিখানি ব্যাপার নয়। অনেক চেষ্টা করেও সোজা পথে অতগুলো টাকা জোগাড় করতে পারে না ওরা। তাহলে উপায়? খুব সোজা— ডাকাতি। অতঃপর বেশ কতকগুলো জায়গায় তিনজন সফলভাবে ডাকাতি করে তিনজনে, আবার কতকগুলো জায়গায় পড়ে চরম বিপাকে! আর এই ডাকাতি করতে গিয়েই ওরা আবিষ্কার করে— এই প্রভাবশালী সমর পোদ্দার জুয়েলারির দোকানের আড়ালে আসলে হীরে স্মাগলিং-এর সঙ্গে জড়িত!’
তাহলে তিন তরুণী কি পার্লার ফিরে পাবে? তারা কি পারবে অসাধু ব্যবসায়ীর মুখোশ খুলে দিতে?
মেঘার চরিত্রে অভিনয় করছেন সন্দীপ্তা সেন, তানির চরিত্রে সায়নী ঘোষ, লিমার চরিত্রে মধুরিমা ঘোষ আর সমর পোদ্দারের চরিত্রে রয়েছেন দীপঙ্কর দে। সকলেই দুর্দান্ত অভিনেতা। এছাড়া বেশ কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সৌরভ দাস, ইন্দ্রাশিস রায়, অরিন্দোল বাগচী, লামার মতো শক্তিশালী অভিনেতারা। সিনেম্যাটোগ্রাফার প্রসেনজিৎ চৌধুরী। অভিজিৎ বললেন, ‘আশা করছি অ্যাকশন, কমেডি, আর ট্যুইস্টে মোড়া ক্রাইম জঁরের ওয়েব সিরিজ সকলের ভালো লাগবে।’