পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
হাসি মুখ। সাক্ষাৎকার দিতে বসে মুখে টেনশনের লেশমাত্র নেই। ‘ছবি তৈরির সময় টেনশন ছিল। এখন জানি আর কিছু করার নেই। ছবির ভাগ্য এখন দর্শকের হাতে। তাই আর টেনশন হচ্ছে না’ বেশ কনফিডেন্ট লাগে বিদুলাকে। ‘শত্রু’ থেকে ‘প্রলয়’ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় রাজ চক্রবর্তীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তারপর পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর তৈরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দ্য প্রমিস’ এবং টিভির জন্য ‘লাভ লেটার’ ছবিটিও দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। রাজের থেকে ছবি পরিচালনার অফার পাওয়ার পর কী মনে হচ্ছিল? ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। লাভ স্টোরি শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যে ‘প্রেম আমার’-এর সিক্যুয়েল সেটা বিশ্বাস হয়নি।’ ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যে দ্বিধাবিভক্ত সেকথা বিদুলা জানেন। একদল সোহম-পায়েলের পক্ষে তো অন্যপক্ষ আদৃত-পূজার দলে। দেখুন ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের রকম বদলে যায়। দশ বছর পর আমরা সেটাই করতে চেয়েছি। স্বতন্ত্র গল্প। কিন্তু দর্শকদের বোঝার সুবিধার্থেই এই ধরনের নামকরণ।’ আর তুলনা? ‘আমি জানি, দুটো ছবির মধ্যে তুলনা হবেই। তাই কিছু জিনিস এক রাখা হয়েছে। আমি বলব দর্শক একটা স্বতন্ত্র ছবি হিসেবে প্রেক্ষাগৃহে আসুন, নিরাশ হবেন না।’
তবে বিদুলার যাত্রাপথ কিন্তু সহজ ছিল না। বাংলাদেশে সিলেটের জাফলংয়ে ছবির শ্যুটিংয়ের সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়। কাগজপত্র ঠিক না থাকার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা শ্যুটিং বন্ধ করে দেয়। অথচ ছবিতে বাংলাদেশেরই বেশকিছু কলাকুশলী কাজ করেছেন! ‘আমাদের কাগজপত্র ঠিকই ছিল। আসলে শ্যুটিং করতে দেবে না বলেই এটা করা হয়েছিল। খুব দুঃখ পেয়েছিলাম’ হতাশা স্পষ্ট পরিচালকের কথায়। শুধু তাই নয়, সমস্যা মেটাতে খোদ রাজ চক্রবর্তী বাংলাদেশে হাজির হলেও সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফিরেই শ্যুটিং সারতে হয় বাকি ইউনিটকে। তবে এত সমস্যা থাকলেও ছবির মুখ্য অভিনেতা আদৃত, পূজা, ও সৌরভের অভিনয় আর পরিশ্রমে মুগ্ধ বিদুলা। টিমের এই পরিশ্রম এখন বাংলার দর্শকের কতটা মন ভেজায়, দেখা যাক।
অভিনন্দন দত্ত