দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এই গল্প কোনও নির্দিষ্ট পাড়া বা রাজ্যের নয়। দেশের প্রায় সর্বত্র এক ছবি। তবে দিন বদলাচ্ছে। এখন আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অঙ্গুলিহেলনে ক্রীড়নক হয়ে বাঁচবে না মেয়েরা। বরং প্রতিবাদ করবে অন্যায়ের। উত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে মেয়েদের এই লড়াই নিয়ে স্টার ভারতে গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘এক থি রানি, এক থা রাবণ’।
গল্প শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি শহরে। সেখানকার বাসিন্দা রানি নামে একটি মেয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটি বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও চায় তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। অথচ বাড়ির বাইরে পা রাখলেই তাকে উত্যক্ত করে রিভাজ নামে স্থানীয় এক প্রবল ক্ষমতাশালী যুবক। প্রশ্ন হল, সাধারণ পরিবারের মেয়েটি কি পারবে দাপুটে এই যুবকের মোকাবিলা করতে? নাকি রিভাজের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে সে? অবশ্য এই উত্তর জানতে হলে ধারাবাহিকে চোখ রাখা ছাড়া গতি নেই।
ধারাবাহিকে রানির চরিত্রে অভিনয় করছেন মনুল চুড়ামা এবং রিভাজের চরিত্রে রয়েছেন রাম যশবর্ধন। ধারাবাহিকের জগতে দু’জনেই নতুন। তবে মনুল বেশকিছু বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। এই ধারবাহিকে সুযোগ পেয়েছেন অডিশন দিয়েই। রানির চরিত্রটি ঠিক কেমন? মনুলের উত্তর, ‘রানি শান্ত-শিষ্ট মেয়ে। কিন্তু কেউ ভব্যতার সীমা অতিক্রম করলে, সে প্রতিবাদ করবেই। রানির মা আর দাদি তাকে খুব সাপোর্ট করে। পড়াশোনা করার গুরত্ব বোঝায়। রানিও চায় পড়াশোনা করে অনেক বড় হতে।’
ধারাবাহিকের ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, একটি ছেলে রানিকে বিরক্ত করে যাচ্ছে। রানি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মনুল কি নিজের জীবনে কখনও এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন?
‘না, এমন ঘটনা আমার সঙ্গে কখনও ঘটেনি। তবে রানির চরিত্রটি ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিচালকের সঙ্গে অনেকগুলো ওয়ার্কশপ করেছি। প্রচুর ইউটিউবে ভিডিও দেখেছি বুন্দেলি শেখার জন্য। সেভাবেই জানলাম বুন্দেলিতে মেয়েকে বলে মডি’, বললেন মুম্বইয়ের মেয়ে মনুল।
সারা দেশেই মেয়েদের উপর অনাচার হয়ে চলেছে। উত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে মেয়েদের কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত? ‘কেউ উত্যক্ত করতে শুরু করলে প্রথমে পরিবারে বিষয়টি জানান। নিজে প্রতিবাদ করুন। তারপরেও না থামলে পুলিসে অভিযোগ করুন। কেউ না কেউ সাহায্য করবেই। তাই ভয় পেলে চলবে না। কারণ উত্যক্তকারীকে প্রথমেই না থামালে পরবর্তীকালে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে’, বক্তব্য অভিনেত্রীর।
অন্যদিকে গুরগাঁওয়ের ছেলে রাম যশবর্ধন জানালেন, সম্পূর্ণ ডার্ক শেডের চরিত্র রিভাজ। বাবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ছোটবেলা থেকেই ক্ষমতার খেলা দেখতে অভ্যস্ত রিভাজ। পুরোপুরি বিগড়ে যাওয়া এক যুবক। সে যাকে যা বলবে, তাকে তাই করতে হবে।
কেরিয়ারের শুরুতেই এমন খলচরিত্রে অভিনয় করছেন! পরে কাজ পেতে সমস্যা হবে না তো?
‘আমার মনে হয় না, রিভাজের চাইতে ভালো কোনও চরিত্র আমার পক্ষে পাওয়া সম্ভব ছিল! তাছাড়া টাইপকাস্টের জমানা চলে গিয়েছে। যদি রিভাজকে মানুষ ঘৃণা করতে শুরু করে তাহলে সেটা আমার কাছে পুরস্কার। বুঝতে হবে আমি সফল হয়েছি। এরপর কোনও পজিটিভ চরিত্র পেলে তখন আমার দায়িত্ব পড়ে যাবে সেই চরিত্রে ঠিকঠাক অভিনয় করার। সমস্ত কিছুই পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে’, উত্তর দিলেন আত্মবিশ্বাসী রাম।
অতএব সবকিছুই প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু ধারাবাহিক শুরু হওয়ার। প্রথাগত নায়ক-নায়িকা এবং প্রেমের গল্পের বাইরে বেরিয়ে ‘রানি’ আর ‘রাবণ’ সফল হতে পারে কি না এখন সেটাই দেখার!
মুম্বই থেকে ফিরে সুপ্রিয় নায়েক