কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
(হেসে) এই তো, দিব্যি আছি।
কী এমন করলেন বলুন তো যে জামাইদের বদলে যেতে হচ্ছে?
সেটা বললে তো ছবির মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে! প্রীতি সহজ সরল মেয়ে। বয়ফ্রেন্ড (হিরণ) আছে। এর বেশি বলা বারণ।
এই মুহূর্তে টলিউডে আপনি সেই গুটি কয়েক নায়িকাদের একজন যিনি বাণিজ্যিক এবং সমান্তরাল দুই ধরনের ছবিই করছেন।
আপনারা বললে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। আগামী মাসেই তো মুক্তি পাচ্ছে কমলদার (কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়)‘মুখোমুখি’। কয়েক বছর আগে একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মিমি, নুসরত কমার্শিয়াল ছবি করছে। পাওলি, রাইমা অন্য ধারার ছবি। তাহলে তোমার অবস্থান কোথায়?’ অবাক হয়েছিলাম। তাহলে কি কোনও একটা ঘরানায় নাম লেখাতেই হবে! এতদিন কাজ করার পর আমাকে টাইপকাস্ট করতে না পারাটাই তো আশীর্বাদ হওয়া উচিত।
এই ছবি এক অর্থে ‘জিও পাগলা’র টিম। ফ্লোরে নিশ্চয়ই রিইউনিয়নের পরিবেশ ছিল?
সে তো বটেই। সবার আগে বলতে হবে রবিজির (কিনাগি) কথা। এটাও কমেডি ছবি। আড্ডা হইহুল্লোড় তো হতোই। তাছাড়া একই টিমের কমফোর্ট জোন আখেরে ছবির জন্য লাভজনক।
ব্যাংককে ছবির আউটডোরে আপনার এবং কৌশানীর মধ্যে কার শপিং লিস্ট লম্বা ছিল?
বলতে পারেন ব্যাংকক-পাটায়ার প্রতিটা গলি আমার চেনা। অনায়াসে ট্যুরিস্ট গাইড হয়ে যেতে পারি (হাসি)। তিন-চার দিনের আউটডোর ছিল। তাই হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। তবুও দু’জনে যতটা পেরেছি কেনাকাটা সেরেছি।
পরপর মাল্টিস্টারার ছবি করছেন। টলিউডে গুঞ্জন, আপনার কাছে নাকি সোলো নায়িকার অফার কম আসছে।
কারা যে এগুলো রটায়! সমস্যা হলে তো করতামই না। নিজের উপস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে অভিনয়ে মন দেওয়া উচিত। সেটা করলে ভিড় থাকলেও দর্শক আপনাকে ঠিক চিনে নেবেন।
আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে এই নিরাপত্তাহীনতায় তো অনেক নায়িকাই আক্রান্ত। অথচ স্বীকার করেন না।
আমি নই, তাই স্পষ্ট কথা বললাম। দেখুন শুধুই পরিচালক বা প্রযোজক ছবির কথা ভাববেন কেন? স্বার্থপরের মতো নিজের কথা না ভেবে অভিনেতার উচিত ছবির ভালো চিন্তা করা।
আর ইন্ডাস্ট্রির ‘হেলদি কম্পিটিশন’?
স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সবসময়ই ভালো। আগেও ছিল, এখনও রয়েছে।
আজকে টলিউডে নায়িকাদের প্রথম সারিতে নিজের জায়গা ধরে রাখাটা কতটা কঠিন?
অভিনয় আমার প্যাশন বলেই কঠিন মনে হয় না। দেখুন, খুব কম মানুষের নেশা আর পেশা এক হয়। কলেজের প্রথম বছর থেকে অভিনয় করছি। ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমার অন্য কেরিয়ারের সুযোগ ছিল। আর কিছু হয়নি বলে অভিনয় করতে এলাম— আমার ব্যাপারটা কিন্তু সেটা নয়!
টলিউডে আপনার ভালো বন্ধু কারা?
সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ‘বন্ধু’ খুবই কম। আর আমি সেটা ভেবেচিন্তে করেছি। সবার সঙ্গেই আমার কাজের সম্পর্ক। পেশা আর ব্যক্তিগত জীবন আমি আলাদা রাখতেই পছন্দ করি।
কেরিয়ারের শুরুতে মুম্বইতে কাজ করেছেন। তারপর দূরত্বের কারণ কী?
মুম্বইতে তখন ধারাবাহিকে কাজ করছিলাম। এখন সেটা সম্ভব নয়। তাছাড়া ওখানে কাজ করতে হলে মুম্বইতে থাকতে হবে। সময় দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমার ফোকাস কলকাতা। এই তো, পরমব্রতর (চট্টোপাধ্যায়) পরিচালনায় ‘শরতে আজ’ ওয়েব সিরিজ করলাম। ভালো অফার এলে মুম্বইতে কাজ করতেই পারি।
আপনার লাভ লাইফ টলিউডে চর্চার বিষয়। আপনি কি এখন সিঙ্গল?
একদম। দেখতেই পাচ্ছেন এত বড় বাড়িতে একা বসে রয়েছি (হাসি)। তাছাড়া বিয়ে নিয়ে বাবা-মা কোনওরকম চাপ দেন না।
কমিটমেন্ট সম্পর্কে আপনার মত?
কমিটমেন্ট তো আর শুধুই প্রেম নয়। কাজ, পরিবার, বন্ধু প্রত্যেকের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকে। কমিটমেন্টে আমার ভয় নেই। আমার সঙ্গে কাউকে থাকতে হলে আমার ভালো-খারাপ দুটোকেই মেনে নিতে হবে। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই স্বাধীনতাটুকুকে সম্মান জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ডিফিকাল্ট হতে পারি কিন্তু অযৌক্তিক নই।
এখন টলিউড থেকে বলিউড...
(থামিয়ে দিয়ে) সবাই বিয়ে করছে তাই তো! এত ভিড়ের মধ্যে বিয়ে করতে চাই না। একটু জমি খালি হোক তারপর ভেবে দেখব (হাসি)।