ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
প্রাককথনে সুমন ও দেবশ্রীর সঙ্গীত জীবনযাত্রার নানা ঘটনা বলেন বর্ষীয়ান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী গৌতম মিত্র, সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায় ও প্রবুদ্ধ রাহা। শুরুতে সম্মেলক গানে সুমিলিত চর্চার ছাপ রাখেন রবিকিরণের শিল্পীরা।
মূলপর্বের প্রথমার্ধে পূজা, প্রকৃতি, প্রেম ও ভানুসিংহের পদাবলীর মতো পদের অসামান্য রূপ দেবশ্রীর কণ্ঠলাবণ্যে এক মোহময় পরিবেশে অবগাহন করায় শ্রোতাদের। গুরু সুচিত্রা মিত্রের গায়কীর নাটকীয় বলিষ্ঠতাকে অনুসরণ করে বরিষ ধরা মাঝে, এখনও তোর ভাঙে না,অন্তরে অন্তর্যামী, সুন্দরী রাধে নিবেদনের মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে দেন। বর্ষার গানের রচনায় কবির যে নিবিড়তা তার অসামান্য সৃষ্টির ঝাঁপি থেকে শ্রোতাদের শ্রবণসুখ পেতে বঞ্চিত করেননি। তাই ‘আমারে যদি জাগালে আজি নাথ’, ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে’তে বিভিন্ন মল্লারের সুরময় আবেশে শ্রোতারা মুগ্ধ।
অন্তিম পর্বে শ্রোতারা আবিষ্ট হন সুমনের মন্দ্রমধুর দরাজ কণ্ঠর দরদী নিবেদনে। সঙ্গে গানের সূত্র ও রচনার গল্প ছিল শ্রোতাদের বাড়তি পাওনা। অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে, অসীম ধন তো আছে, স্বামী তুমি এসো আজ, নিত্য নব সত্য তব, নাই বা এলে যদি সময় নাই, নিবেদনে শ্রোতারা আবিষ্ট হন নির্বাচন ও নিবেদনের নৈপুণ্যে। সমগ্র অনুষ্ঠানকে অসামান্য রবীন্দ্রগাথায় শ্রোতাদের টানটান উপস্থাপনায় মুন্সিয়ানা জন্য প্রশংসা প্রাপ্য সুদীপ্তা পাণ্ডের।