বড়, বুড়ো, যুব, খুড়োদের নিয়ে ছবি তৈরির পর এবার খোকাদের জন্য ছবি তৈরিতে হাত দিলেন মৈনাক ভৌমিক। তাঁর নির্মীয়মান ছবির নাম ‘গোয়েন্দা জুনিয়র’। নামেই পরিষ্কার এ ছবির নায়ক এক নাবালক চৌখস।
প্রসিদ্ধ কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী, লেখক ও সমাজকর্মী টি এম কৃষ্ণার কলকাতায় প্রথম একক অনুষ্ঠান আগামী ২৫ আগস্ট কলামন্দিরে। তার আগে নিজের অনুষ্ঠান ছাড়াও বিবিধ বিষয় নিয়ে কথা বললেন আমাদের প্রতিনিধি অমিত চক্রবর্তীর সঙ্গে।
গ্রামের মানুষদের সরল জীবনযাত্রার খুব সাধারণ গল্প ‘দৃষ্টি’। এই সরল জীবনের মধ্যেই হঠাত্ নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। জটিল অঙ্কের মধ্যে কাটতে থাকে জীবন। শিবা মানে শিবপ্রসাদ হল গ্রামে বসবাসকারী এক বিবাহিত পুরুষ। মাছের ব্যবসা করে সুখে শান্তিতে দিন কেটে যায়। তাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী হল প্রতিবেশী রাম ও তার স্ত্রী।
ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
হিন্দি ছবি দ্য ডার্লিং ওয়াইফের কাজ শেষের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরিচালক বর্ষালি চট্টোপাধ্যায় তাঁর পরবর্তী বাংলা ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এবারের ছবি ‘ব্ল্যাক ডে’। কল্পবিজ্ঞান আর রহস্যের মিশেলে গল্পের প্লট সাজিয়েছেন নবীন গল্পকার জয় রায়, যিনি এই ছবির নায়কও বটে। টলিউডের ফ্যাশন স্টাইলিস্টদের মধ্যে অন্যতম জয়। ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’সহ একাধিক বাংলা ও হিন্দি ছবির ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। তবে এবার তিনি সম্পূর্ণ নতুন ভূমিকায়। নাম থেকেই অনুমেয় ছবির গল্প একটি বিশেষ দিনকেন্দ্রিক এবং সেই দিনটি ব্ল্যাক ডে। তবে দিনটি ঠিক কী কারণে ‘কালো দিন’-এর তকমা পেল তা জানা যাবে ছবি মুক্তির পরই। বাখরাহাটের গাছগাছালি ঘেরা বাগানবাড়ি ‘মানসী’তে ছবির একপ্রস্থ শ্যুটিং সারলেন পরিচালক। সেখানেই যাওয়া হয়েছিল ছবির বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করতে। কথা হল পরিচালক ও অভিনেতাদের সঙ্গে। টলিউডের নিউ ব্রিগেড উইমেন ডিরেক্টরদের তালিকায় বর্ষালি ইতিমধ্যেই নিজের নাম তুলে ফেলেছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘জেনানা’ বেশ কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে। দ্বিতীয় ছবি ‘ডার্লিং ওয়াইফ’ মুক্তির অপেক্ষায়। ‘আমি থ্রিলার ছবি তৈরি করতে ভালোবাসি। ব্ল্যাক ডে-তে রহস্য ও রোমান্স দুই-ই আছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলায় সম্ভবত প্রথমবার টাইম লুপ নিয়ে কাজ হচ্ছে এই ছবিতে। একটি ছেলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে আটকে গিয়েছে। ছেলেটি দিনের একটি বিশেষ সময়ে খুন হয় এবং পরের দিন সে নতুন করে আবার একটি দিন শুরু করে। ছেলেটিকে কিছুটা ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও বলা চলে। তবে সে কেবল একটিমাত্র দিনেরই আগাম আভাস পায়। এই ঘটনাটা কীভাবে ঘটছে এবং এর আসল অর্থ কী সেটাই ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করছি’, বললেন পরিচালক। ক্লাইম্যাক্সের আগের দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। তবে, সেই বিষয়টা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে ছবির নায়ক জয় বললেন, ‘ছবিটায় অভিনয়ের ভাবনা আমার ছিল না। গল্পটা লিখেছিলাম। পরিচালকের ইচ্ছাতেই অভিনয়টা করছি। যদিও দশ বছর ধরে ছবিতে স্টাইলিং করার সুবাদে অভিনয়ের একটা সুপ্ত বাসনা মনে ছিল। সেটাই এখানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’ ছবিতে নায়িকায় ভূমিকায় রয়েছেন ঋত্বিকা সেন। তাঁর বক্তব্য, ‘অপর্ণা সেনের মতো বিখ্যাত পরিচালকের হাত ধরেই আমার কেরিয়ারের সূত্রপাত বলা যায়। এখন বর্ষালির সৌজন্যে আমি আবার একজন মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছি। সেটা যেমন এই ছবিটা করার একটা কারণ, সেইসঙ্গে ছবির বিষয়বস্তুও আমার একেবারে অন্যরকম মনে হয়েছে। টাইম লুপ নিয়ে কাজ আমি বাংলায় সেভাবে দেখিনি। ছবিতে আমার চরিত্রটাও বেশ রহস্যময়। সবটা মিলিয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা।’ অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন রূপাঞ্জনা মিত্র, পূজারিণী ঘোষ প্রমুখ।
মানসী নাথ
