রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ডায়াবেটিস রোগীর প্রথম প্রশ্নই থাকে, আলু কি বন্ধ? এর উত্তর, সুগার নর্মাল রেঞ্জে থাকলে দিনে ২০ থেকে ৩০ গ্রাম আলু খেতে পারা যায়। পাঁচমেশালি সব্জির মধ্যেই আলুর ব্যবহার চলতে পারে।
তেমনই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে, আমের সিজনে সপ্তাহে তিনদিন ১টি করে আঁটি বা চোকলা খাওয়া যায়।
আবার শীতকাল মানেই প্রচুর বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ, পিকনিকে সুস্বাদু খাবারের হাতছানি। না, এড়াতে বলছি না। তবে সবগুলি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে পেটপুরে খেয়ে আসতেও বলছি না। আমরা রোগীকে বলি মাসে ১ থেকে ২ দিন আনন্দ করতেই পারেন। কিন্তু মাসের বাকি ২৮ দিন কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতেই হবে।
আবার ডায়াবেটিস থাকলে সপ্তাহে ১টি সন্দেশ খাওয়াই যেতে পারে। বাকি ৬টা দিন নিয়ম মেনে খেতে হবে।
অনেক ডায়াবেটিকদের ধারণা, কম খেলেই বুঝি সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে! এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। কারণ সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের মাধ্যমে ক্যালোরি গ্রহণ করা উচিত। ক্যালোরি আসে খাদ্যের কর্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট থেকে। এছাড়া শরীরে দরকার ভিটামিন ও খনিজ। কম খেলে সেক্ষেত্রে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। আমাদের শরীরের মূল জ্বালানি আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে তাই ভাত বা রুটি কোনওটাই বন্ধ করার প্রয়োজন পড়ে না। বরং ডায়েটিশিয়ান যতটুকু আর যা যা খেতে বলছেন সেই অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
রোজ একটা করে ফল খাওয়া অবশ্যই জরুরি। খোসাসুদ্ধ আপেল খাওয়া খুবই উপকারী। অনেকেই ভাবেন আপেল ডায়াবেটিসে চলে না, কিন্তু আপেল খাওয়া যায়। এছাড়া পিয়াজ, ন্যাসপাতি, জামরুল, কালোজাম, মুসম্বি, কমলালেবু রোজ খাওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, গোটা ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সুগার হলে, সবরকম খাদ্যই খাওয়া চলে। কিন্তু ভাপা করে খেলে কম তেলে খাওয়া যায়। ভাজাভুজিও খাওয়া চলে মাঝেমধ্যে। সেক্ষেত্রে নুন, লেবু, কাঁচালঙ্কা কুচো দিয়ে ম্যারিনেট করে অল্প তেলে ননস্টিক পাত্রে ভাজলে কম তেল ব্যবহার করতে হয়। অথচ খাদ্যের স্বাদে ঘাটতি হয় না।
টকদই দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখলে চিকেনেরও নানা স্বাদু প্রিপারেশন বানানো যায়। তেলের ব্যবহারও কমে।
ডায়াবেটিস রোগীর বাইরে খেতে ইচ্ছে করলে মাসে এক বা দু’বার প্লেন ধোসা, ধোকলা, চাইনিজ, মোমো খেতে পারেন।
মোদ্দা বিষয় হল, ১৫ দিনে ১ দিন মনের মতো পছন্দের খাবার খাওয়া চলে যদি সেই মানুষের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে!