হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
আপনাকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সেই সম্পর্কে বসকে নিয়মিত জানান। নিয়মিত মানে প্রতিদিন নয়। সপ্তাহে একবার বা পাঁচদিন পরপর। কাজ কীভাবে এগতে পারে সেই নিয়েই আলোচনা করতে পারেন। ফলে তিনি বুঝতে পারবেন আপনি— ‘কাজের মানুষ’।
ডেডলাইনের আগে কাজ শেষ করতে পারলে বসকে হালকা করে কথাটা জানিয়ে রাখুন। কাজ শেষ হলেই বসকে মেল করে জানিয়ে দিন। সঙ্গে ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়েও মেল এর মধ্যে ছোট্ট করে একলাইন লিখে দিতে পারেন।
নিজের কাজ শেষ হয়ে গেলে অতিঅবশ্যই সহকর্মীদের কাজেও সাহায্য করুন। এই কাজের ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে পাবেন না। পরে পাবেন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, অফিসে সকলেই বন্ধু হয় না। তবে যাতে শত্রু না হয়, সেই দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। অন্তত আপনার নামে কেউ নিন্দে যাতে না করে, সেই ব্যবস্থা করে রাখুন!
ভালো কাজ করছেন যখন, নিশ্চয়ই আপনার সহকর্মীরাও প্রশংসা করছেন। তাঁদের সরাসরি বলুন, বসের কাছেও আপনার নামে প্রশংসা করতে। যাঁরা ক্লায়েন্ট সামলাচ্ছেন, তাঁরা সন্তুষ্ট গ্রাহককে বলুন সরাসরি বসের কাছে আপনার ব্যাপারে বলতে। সব বসেরাই অধস্তন কর্মীর প্রশংসা অন্যের মুখে শুনতেই বেশি পছন্দ করেন। আর এই সুনামের প্রভাব আপনার বেতনবৃদ্ধিতে পড়বে সেকথা বলাই বাহুল্য।
অফিস সংক্রান্ত কাজে কেউ কোনও প্রশংসা করলে তাঁকে বলুন আপনাকে হোয়্যাটসঅ্যাপে বা মেল করে লিখে প্রশংসা করে পাঠাতে। কথার ছলে বসকে একবার দেখিয়ে দিন সেই প্রশংসা বাক্য। যেমন, ‘স্যার, আজ মন ভালো হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট খুব সন্তুষ্ট আমার কাজে। এই দেখুন হোয়্যাটস অ্যাপ করেছেন...’
মিটিং-এর সময় কাজ বের করার নতুন আইডিয়া বলতে ভয় পাবেন না। আর সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলবেন, যাতে কেউ আপনার বিরোধিতা করতে না পারে। মিটিং-এর সময় মুখ খোলার দু’টি সুফল, প্রথমত— সবাই দেখবে আপনি কাজ নিয়ে কতটা ভাবেন। দ্বিতীয়ত, সকলে যখন আপনাকে বাহবা দেবে, তখন বসেরও সুনজরে পড়বেন।
অভিযোগ করা বন্ধ করুন। সব বসেরা চায়, অধস্তনরা তার কথা মতো কাঙ্খিত ফল এনে দেবে। অবশ্য বাজারের অবস্থা সবসময় ভালো থাকে না। কিন্তু বসের মুখের উপর সরাসরি সেকথা বললে তিনি বিরূপ হতে পারেন। বারবার ‘বাজারের অবস্থা খারাপ’ বলাটা অভিযোগের পর্যায়ে চলে যায়। এমন নেগেটিভ কথাবার্তা কাজের জায়গায় ভালো ইমেজ তৈরি করে না। অতএব বাজারের সঙ্গীন পরিস্থিতির কথা বলতে পারেন অন্যভাবে— ‘আমি খুব উপকৃত হব যদি আপনি এই অবস্থায় কীভাবে ভালো ফল করা যায় সেই বিষয়ে কোনও উপদেশ দেন আপনার অভিজ্ঞতা থেকে!’
আপনি যে বিভাগে কাজ করেন, সেখানে কোনও সমস্যা এলে দূরে পালানোর চেষ্টা করবেন না। বরং বিভিন্ন ধরনের সমাধান ভাবুন ও বসকে জানান।
বসের দেওয়া কাজ শেষ হলে বসে থাকবেন না। শেষ করা কাজ বসের সামনে পেশ করুন। তারপর নিজের থেকে নতুন কাজ চেয়ে নিন।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সল্টলেক মাইন্ডসেট-এর কর্ণধার এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান।