কাউকে ভালোবাসেন ভালো কথা, কিন্তু তাঁর শরীরে বসবাস করা রোগ-জীবাণুর প্রতি কি ভালোবাসা থাকা উচিত? একেবারেই না। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির খাদ্যবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডাউসন বলেছেন, আমরা নিজেদের অজান্তেই বহু বিপজ্জনক কাজ করে চলি। বন্ধুর জন্মদিনে ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ গেয়ে তাঁর মুখে কেক তুলে ধরি। বন্ধুটি ছোট্ট একটা কামড় দিল তাতে। বাকি অংশ থেকে আপনি এক কামড় নিলেন, পরে অন্যদের মুখের কাছে ধরলেন, তাঁরাও একটু একটু করে কামড়ে নিল। ডাউসন বলেছেন, এটা মোটেও সুরুচির পরিচয় তো নয়ই, উপরন্তু পরস্পরের সঙ্গে নিজের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ভাগাভাগি করার একটা অপচর্চা। কার জীবাণু বাড়ি বয়ে নিয়ে গেলেন, কিছুই জানতে পারলেন না।
১৫০ বছর আগে যুক্তরাজ্যে একটি ছোট গ্লাসে আইসক্রিম বিক্রি করা হত। খাওয়ার পর ক্রেতারা গ্লাসটি বিক্রেতাকে ফেরত দিত। পরে তাতে ফের আইসক্রিম ভরে বিক্রেতা আরেকজনের কাছে সেটি বিক্রি করতেন। এ থেকেই যক্ষ্মা আর কলেরা জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়