Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

 ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু ও এনকেফেলাইটিসের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

 পরামর্শে সল্টলেকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ গৌতম আশ।

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু জ্বর ভেক্টর বাহিত একটি গুরুতর সংক্রমণ যা চারটি ভিন্ন ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় এডিস ইজিপটাই মশার দ্বারা। ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাসটির চারটি সেরোটাইপ রয়েছে। ডেন-১, ২, ৩ এবং ৪। আমাদের দেশের বিভিন্ন অংশে প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। বিশেষত, বর্ষাকালের পরে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে মাসে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। যদিও এখন সারা বছরই কোনও না কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এই জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

রোগ লক্ষণ

এই জ্বরের লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। মারাত্মক উপসর্গগুলি ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের অন্তর্ভুক্ত। এই জ্বরের লক্ষণ রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। যেমন হালকা থেকে উচ্চ মাত্রায় জ্বর। এর পাশাপাশি পেশি এবং অস্থিসন্ধিগুলিতে তীব্র বেদনা, শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি, তীব্র মাথা ও চোখের পিছনে ব্যাথা এবং বমি বমি ভাব থাকে। সাধারণত লক্ষণগুলি মশার কামড়ের ৪ থেকে ৭ দিন পরে শুরু হয় এবং ৩ থেকে ১০ দিনের মতো থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ গুরুতর আকার নেয় না। তবে কখনও কখনও মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হয় যাকে ডেঙ্গু হেমারেজিক জ্বর ও ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বলা হয়ে থাকে। ডেঙ্গু হেমারেজিক জ্বরে সাধারণত মুখ, নাক থেকে রক্ত বেরয়। পাশাপাশি ব্রেনেও রক্তপাত হতে পারে। আবার অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, কালো বমি ও মল হতে পারে এবং রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা অত্যন্ত কমে যায়, ত্বকে রক্ত জমে যায়।
এছাড়া ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হল জটিল শারীরিক অবস্থা যেখানে পেটে তীব্র ব্যথা, হঠাৎ শরীরে রক্তচাপ কমে যাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ভারী রক্তপাত হয় এবং রোগী অচেতন অবস্থায় চলে যায়।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি বিশ্লেষণ করতে হয়। এছাড়া রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষাও জরুরি।
যেহেতু ডেঙ্গু একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ, তাই এই জ্বরের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিকার নেই। তবে যাই হোক রোগ কতটা গুরুতর তার উপর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে জলের ঘাটতি (ডিহাইড্রেশন) প্রতিরোধ করাই অত্যন্ত জরুরি। দরকারে রোগীকে স্যালাইন দিতে হতে পারে। এর মাধ্যমে রোগীর শরীরে জরুরি লবণ, তরল এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্য আসে। গুরুতর ক্ষেত্রে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন হয়। বিশেষত, যেখানে রক্তের প্লেটলেট ভীষণভাবে কমে যায়। ডেঙ্গু জ্বর একাধিক বার হতে পারে এবং দ্বিতীয় সংক্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আছে যেগুলি ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় খুবই ভালো ফল দেয়। যার মধ্যে ইউপেটোরিয়াম পার ফোলিয়েটাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই ওষুধটির ৬, ৩০ বা ২০০ শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী। আবার এই ওষুধটির ৩০ শক্তি ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বেলেডোনা, রাসটক্স, ক্রোটেলাস হরিডাস, ফসফরাস ইত্যাদি ওষুধগুলিও এই জ্বর নিরাময়ে ভালো ফল দেয়।
তবে ওষুধের সঙ্গে প্রচুর জলপান করা, ফলের রস খাওয়া ও সম্পূর্ণ বিশ্রাম একান্তই প্রয়োজন।

এই রোগের প্রতিরোধ

রোগ প্রতিরোধ করার প্রধান উপায় হল মশার কামড় এড়ানো এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এজন্য বাড়ির আশেপাশে বা বাড়িতে ছাদে ফুলের টব, বালতিতে বা যে কোনও পাত্রে জল জমতে দেওয়া যাবে না। এছাড়া লম্বা প্যান্ট, হাতা যুক্ত জামা, মোজা ইত্যাদির ব্যবহার দরকার। মশারি ব্যবহার করা একান্তই জরুরি। ডোর এবং উইন্ডো স্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যাতে মশা ঘরে ঢুকতে না পারে। ভোর বেলা ও সন্ধ্যায় বাইরে থাকা এড়ানোর চেষ্টা করা। মশা মারার তেল ব্যবহার ও মশা যাতে সংরক্ষিত জলে ডিম না পারতে পারে তা দেখা।

সোয়াইন ফ্লু

এইচ১এন১ ভাইরাসের মাধ্যমে সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ হয়। এই ভাইরাস হঠাৎই আসে, কয়েকদিনের জন্য থাকে এবং চলেও যায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গগুলি সাধারণ মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মতোই। এক্ষেত্রে রোগীর গলা ব্যথা, জ্বর, নাক দিয়ে জলপড়া, কাশি, গলা খুশখুশ, বমি বমি ভাব বা বমি, শীত শীত ভাব, গা-হাত-পা ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, এনার্জি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে এই সংক্রমণটির পার্থক্য হল সোয়াইন ফ্লু স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও গুরুতর এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগ অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তাই যে কোনও মুহূর্তে সোয়াইন ফ্লু একটি মহামারীর আকার ধারণ করে বা করতে পারে।
সাধারণত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব, পাঁচ বছরের কমবয়সি বাচ্চা, গর্ভবতী মহিলা ও যাঁরা হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ।
এই রোগ ছড়িয়ে পড়া
‘সোয়াইন ফ্লু’ শব্দটা শুয়োরের ইনফ্লুয়েঞ্জা বোঝায়। মাঝেমধ্যে শুয়োর থেকে মানুষের মধ্যে এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রামিত হয়। বিশেষত কৃষক ও পশুচিকিৎসকদের মধ্যে। তবে প্রায়ই একজন সোয়াইন ফ্লু সংক্রামিত ব্যক্তির থেকেও অন্যরাও এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

নানাভাবে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে—

 কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে সরাসরি অন্য ব্যক্তির চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে  বায়ুতে থাকা ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির শ্বাসের সঙ্গে শরীরের ঢোকে  সরাসরি ব্যক্তিগত যোগাযোগের দ্বারা বা সংক্রমিত কোনও বস্তুর সংস্পর্শে এসে হাত থেকে চোখ, হাত থেকে নাক বা হাত থেকে মুখে সংক্রমণ হতে পারে।
ডায়গনসিস: নাক ও গলার সোয়াব পরীক্ষা করেই এই রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।
চিকিৎসা: সোয়াইন ফ্লু রোগের প্রকৃতির ভিত্তিতে এবং এই রোগবিজ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে সোয়াইন ফ্লু-এর মতো ভাইরাল রোগের চিকিৎসার হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ভালো কাজে দেয়। সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীদের স্বতন্ত্র উপসর্গগুলির উপর নির্ভর করে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এখানে কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হল যেগুলো সোয়াইন ফ্লু’র চিকিৎসার বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। যথা— ইনফ্লুয়েনজিনাম, জেলসিনিয়াম, আর্সেনিক অ্যালব, রাসটক্স ইউপেটোরিয়াম পারক, ব্রায়োনিয়া, অক্সিলোঙ্গেকিনান, ভেরেট্রাম ভিরিডি, ব্যাল্টিসিয়া ইত্যাদি। এই ওষুধগুলির শক্তি মাত্রা ও ডোজ নির্ণয় করা হয়ে থাকে রোগের প্রকৃতি ও তীব্রতার উপর। এই ওষুধগুলি আবার শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতেও সাহায্য করে এবং এই রোগের প্রতিকারের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ
 হাঁচি ও কাশির সময় নাক ও মুখ চাপা দেওয়া দরকার  হাত না ধুয়ে ঘনঘন চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ না করা  ঘনঘন হাত ধোয়া উচিত  ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত  ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত রোগীর বা অসুস্থ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো  যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ আছে তাঁদের কাছ থেকে দূরে (অন্তত ৩ ফুট দূরে) থাকা দরকার  প্রচুর জল খাওয়া এবং রেস্ট নেওয়ার প্রয়োজন
 দরকারে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

এনকেফেলাইটিস
এনকেফেলাইটিস হল মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের তীব্র প্রদাহ (অ্যাকিউট ইনফ্লামেশন)। এই সমস্যা সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের ফলে হয়। অথবা শরীরের নিজের ইমিউন সিস্টেম ভুল করে মস্তিষ্কের টিস্যুকে আক্রমণ করে থাকে এবং প্রদাহের সৃষ্টি করে। তীব্র প্রদাহের অর্থ হল রোগটি হঠাৎ করে আসে এবং রোগে তীব্রতা দ্রুত বাড়ে। এই জন্যই এই রোগের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
এই সংক্রমণটি সাধারণত প্রতি হাজার জনের মধ্যে ১ জনের ঘটে থাকে। সাধারণত এনকেফেলাইটিস জ্বর এবং সঙ্গে মাথা ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। উপসর্গগুলি দ্রুত খারাপ হতে থাকে। দেখা দেয় বমি, তড়কা, বিভ্রান্তি, তন্দ্রা এবং চেতনা হারানোর মতো লক্ষণ। এমনকী রোগী কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন।
এই রোগে আক্রান্ত অল্পবয়সের রোগী সাধারণত কোনও জটিল সমস্যা ছাড়াই সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু বয়স্ক ও একদম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
এনকেফেলাইটিসের নানান প্রকারভেদ রয়েছে— জাপানি এনকেফেলাইটিস মশা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। টিক-বোর্ন এনকেফেলাইটিস টিক (এঁটুলিজাতীয় পোকা) দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। আবার কোনও প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ানোর দ্বারা রেবিস ভাইরাস দেহে প্রবেশ করেও এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও প্রাথমিক বা সেকেন্ডারি এনকেফেলাইটিস ভাইরাস, ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা মস্তিষ্কের সংক্রমণ হয়। আবার সেকেন্ডারি বা পোস্ট-সংক্রামক এনকেফেলাইটিস-এর সৃষ্টি হয় যখন ইমিউন সিস্টেম আগের সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ভুলভাবে মস্তিষ্ককে আক্রমণ করে।
যদিও অধিকাংশ সময়, এই প্রদাহ ভাইরাল সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট হয় কিন্তু আরবোভাইরাস অর্থাৎ ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ও হারপিস ভাইরাসের কারণেও এই সংক্রমণ হয়ে থাকে। এছাড়াও হাম, মামস, চিকেন পক্স, রুবেলা ও রেবিসও এই সংক্রণের কারণ হয়।
গ্রীষ্মকালেই এই সংক্রমণ বাড়ে। তবে এনকেফেলাইটিসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে বয়স্ক ব্যক্তিদের ও এক বছরের কমবয়সি শিশুদের। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা মানুষদেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।

রোগ নির্ণয়

রোগের লক্ষণ এবং রোগীর শারীরিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে এই রোগ সন্দেহ করা হয়। রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রক্ত ও সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে মস্তিষ্কের ইইজি বা ইমেজিং স্টাডি এবং কখনও কখনও নির্দিষ্ট ভাইরাল স্টাডিও করা হয় রোগের তীব্রতা নির্ণয়ের জন্য।

চিকিৎসা:

এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে উপসর্গগুলির আশু হ্রাস হয় এবং যাতে রোগীর কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয়। এজন্য রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে রাখা ও প্রচুর পরিমাণে জলপান করানো একান্তই প্রয়োজন। প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। সেখানে আক্সিজেন ও ইন্ট্রা ভেনাস ড্রিপও দিতে হয় যাতে শরীরের ইলেক্ট্রো লাইটস ব্যালেন্স ঠিক রাখা যায়।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এনকেফেলাইটিসের চিকিৎসার জন্য কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এই রোগ প্রতিরোধের জন্যও ভালো কাজ করে। এনকেফেলাইটিস সংক্রমণের চিকিৎসায় বেলেডোনা, জেলসিয়াম, হেলেবোরাস, হাইও সাইমাসনাইজার, স্ট্র্যামনিয়াম, আর্সেনিক অ্যালবাম, রাসটক্স ব্রায়োনিয়া, আরনিকা, ইউপেটোরিয়াস ইত্যাদি ওষুধগুলি বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে বেলেডোনা ওষুধটিই এনকেফেলাইটিসের চিকিৎসার জন্য শীর্ষস্থানীয়। তবে এই রোগের উপসর্গ, রোগের তীব্রতা, রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই ওষুধ নির্বাচন, ওষুধের শক্তি ও মাত্রা ঠিক করা হয়ে থাকে।
এই রোগের প্রতিরোধী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া কার্ব ও টিউবার কউলিমাস ২০০ মাত্রায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য পেতে প্রায় বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাস লাগতে পারে।

প্রতিরোধ:

 যে সমস্ত সংক্রামক রোগের ফলে এনকেফেলাইটিস হয় সেগুলি থেকে দূরে থাকা উচিত।
 মশারির ব্যবহার করুন।
 বিভিন্ন রকম সংক্রামক রোগের টিকা শিশুদের দেওয়া।
 এনকেফেলাইটিসে আক্রান্তদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে।
 প্রত্যেকেরই ভালো করে বারবার হাত ধোয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
 মশার কামড় এড়াতে ভোর ও সন্ধ্যায় বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
 ফুলহাতা জামা, লম্বা প্যান্ট, টুপি ইত্যাদির ব্যবহার করুন।
 পোকামাকড় ও মশা বিতারক দ্রব্য বা রাসায়নিক ব্যবহার।
 বাড়িতে ও বাড়ির চারপাশে জল জমতে না দেবেন না।
 টিক বা এঁটুলিজাতীয় পোকার কামড় এড়ান।
 পোষ্যের নিয়মিত শরীর পরীক্ষা করা দরকার।
11th  July, 2019
তীব্র দাবদাহ: বাচ্চাদের স্কুল চলছে কী কী সতর্কতা নেবেন?

হাঁসফাঁস গরম। হিট ওয়েভ চলছে। নেহাত বাধ্য হয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। শিশুদের অসুস্থতা এড়াতে কী করবেন এই সময়? পরামর্শে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ মাঙ্গলিক।  বিশদ

অস্থির গরমে সুস্থ থাকতে রোজ পাতে থাক টক দই

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টক দই নিয়ে। টক দই সাধারণত শুভ্র বর্ণের হয়। অনেকের আবার সাদা দই এবং ইয়োগার্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইয়োগার্ট এবং দই-এর প্রস্তুতির মধ্যে একটু ছোট্ট পার্থক্য আছে।  বিশদ

অতিরিক্ত ঘাম কি অসুখের লক্ষণ

বেশি ঘামেন, কিংবা হয়তো ঘাম হতেই চায় না। লোকে ভয় দেখায় কোনও অসুখ আছে বলে। আদৌ কি তাই? জানালেন আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 ডাঃ শাশ্বতী সিনহা।
বিশদ

কাহোকন‌ ২০২৪

সম্প্রতি বিশ্ববাংলা‌ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য‌ পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হল‌ বিশ্বব্যাপী‌ স্বাস্থ্য সম্মেলন ‘কাহোকন‌ ২০২৪’।  এই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ‌ বিজয় আগর‌ওয়াল‌, ডাঃ‌ লালু জোসেফ, রূপক‌ বড়ুয়া, ডাঃ‌ শংকর‌ সেনগুপ্ত প্রমুখ। বিশদ

কাটাছেঁড়া ছাড়াই হার্টে ফুটোর অপারেশন!

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের। চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস। বিশদ

রোবটিক, জেনারেল সার্জারি না ল্যাপারোস্কপি এগিয়ে কে?

পরামর্শে হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট রোবটিক সার্জেন ডাঃ পার্থপ্রতিম সেন ও বিশিষ্ট জিআই ও ক্যানসার সার্জেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন। বিশদ

11th  April, 2024
হার্টের রোগী কি ডাবের জল খেতে পারেন? 

পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস বিশদ

11th  April, 2024
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডাবের গুণাগুণ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর বিশদ

11th  April, 2024
স্টেন্টের জন্ম

ব্যাঙ্ক থেকে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন সোমনাথবাবু। চেয়ারে বসতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। ছুটে এলেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমাদেবী। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েও সামলে নিলেন। ছুটলেন প্রতিবেশীদের কাছে। সকলে মিলে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। বিশদ

11th  April, 2024
এবার জয়েন্টের সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

অস্থিসন্ধির অপারেশন নিখুঁতভাবে করার সুবিধার জন্য এতদিন ধরে রোবটিক সার্জারির ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিশদ

11th  April, 2024
পজিটিভ থাকবেন কীভাবে?
 

আজকাল সবাই ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কারণ আমরা সকলেই বেশি বেশি উপার্জন করে ভীষণ ভালো থাকতে চাই। এই করতে গিয়ে একসময় আমরা সামাজিক সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। আরও বড় জটিলতা হল, ব্যস্ততার বাইরে, রোজকার কাজের বাইরে যেটুকু সময় থাকে, সেই সময়টাতেও আমরা তাত্ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্য মাথা গলিয়ে দিই সোশ্যাল মিডিয়ার ছত্রছায়ায়। বিশদ

07th  April, 2024
লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বিপদ কি নিজেরাই ডেকেছি?

হু হু করে চড়ছে পারদ। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নেপথ্যে দায়ী কে? প্রতিকারই বা কী? লিখছেন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত নির্দেশক দীপঙ্কর সাহা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। বিশদ

07th  April, 2024
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

মার্চ থেকেই গুছিয়ে গরম পড়েছে এবার। চড়চড় করে চড়ছে পারদ। খর বেলায় যাঁরা কাজেকর্মে বেরচ্ছেন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভাজা ভাজা হওয়ার মর্ম! বাইরে বেরলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘামের সঙ্গে শরীরের জল তো বেরচ্ছেই। পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
বিশদ

04th  April, 2024
রাতে কাঁদলে ভালো ঘুম! 

কাঁদলে চোখের জল পড়ার জন্য যে ইন্দ্রিয় দরকার হয়, তা তৈরি হতে শিশুদের সাত আট মাস সময় লাগে। জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার সঙ্গে মানুষের একটি বিশেষ সংযোগ আছে। জন্মের পর প্রথম কান্নার সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি নিজে পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কপ্টারে করে পুরাতন মালদহে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:18:28 PM

৪০৬ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:36:13 PM

পূঃ বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কালনায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:56:28 PM

বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও: মমতা

02:45:58 PM

মোদি জিতলে এটাই শেষ নির্বাচন: মমতা

02:39:36 PM

রাজ্য ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছে: মমতা

02:37:39 PM