কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কী কী থেকে বিপদ
সবুজ রঙে ব্যবহৃত তুঁতে বা কপার সালফেট থেকে চোখের অ্যালার্জি এমনকী অন্ধত্বও পর্যন্ত আসতে পারে।
লাল রঙে ব্যবহৃত মার্কারি বা সালফাইড এবং
নীল রঙের প্রুসিয়ান ব্লু আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
ক্রোমিয়াম আয়োডাইড যা বেগুনি রঙের মধ্যে থাকে, তা থেকে অ্যাজমা পর্যন্ত হতে পারে।
অয়েল রং যা পেস্ট আকারে থাকে, তাতে অনেকসময় নিকৃষ্ট তেল এমনকী ইঞ্জিন অয়েল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ধরনের তেল ত্বকের বর্ণ পর্যন্ত পরিবর্তন করতে পারে।
মনে রাখবেন, এই ধরনের কেমিক্যাল এতটাই ক্ষতিকর যে মাটিতে মিশে পরিবেশ দূষণ অবধি ঘটাতে সক্ষম।
আবির নিয়েও সাবধান
আবির আমরা তুলনামূলক নিরাপদ ভাবি। কিন্তু আবিরেও রয়েছে লেড, ক্রোমিয়াম, নিকেলের মতো ধাতু। এমনকী রয়েছে সিলিকা, আসবেস্টস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণার ফলে প্রকাশিত হয়েছে চিন্তার কয়েকটি তথ্য—
হলুদ আবিরে রয়েছে বিপজ্জনক মাত্রায় লেড।
অন্যান্য আবিরেও লেড-এর পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার ওপরে। তাই ভেষজ আবিরই হল একমাত্র নিরাপদ রং। এই রং হালকা। মসৃণ। সহজেই ত্বক থেকে তুলে ফেলা যায়। যদিও বাজারি রঙের তুলনায়, এই রং বেশি দামি।
কিন্তু, বাজারে গাঢ় রঙের যে সমস্ত আবির ভেষজ বলে বিক্রি হয়, সেগুলির বেশিরভাগেই ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো থাকে। রঙে ব্যবহত ক্ষার থেকে ইরিট্যান্ট কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস বা জ্বলুনি, আর রাসায়নিক থেকে অ্যালার্জিক কনট্যাক্ট ডার্মটাইটিস বা গোটা গোটা লাল র্যাশ বের হয় ও চুলকায়। এই ধরনের উপসর্গ আণবাত বলে পরিচিত।
ঘরোয়া আবির কীভাবে পাবেন?
ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতেই রং তৈরি করে নেওয়া যায়। ময়দা, হলুদ, রক্তচন্দন, শুকনো গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, লাল জবা, আমলকী, হেনা, পাউডার-এর সাহায্যে বিভিন্ন আবির ও রং বানানো যায়।
দোলের দিনের সতর্কতা
রং খেলার আগে, সারা শরীরে নারকেল তেল মেখে নিয়ে তার উপর সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
শরীর যতটা সম্ভব সুতির কাপড়ে ঢেকে নেবেন।
চোখে রোদ চশমা, মাথায় টুপি পরা যেতে পারে।
রং তুলতে
মাথায় শ্যাম্পু করে নারকেল তেল মেখে নিলে রং সহজে তুলে ফেলা যায়।
পর্যাপ্ত জল মজুত রাখতে হবে।
ত্বকের কোনও জায়গায় অ্যালার্জি দেখা দিলে, জায়গাটি পরিষ্কার জলে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলে ল্যাকটোক্যালামাইন লাগিয়ে নিতে হবে।
চোখে রং ঢুকে গেলে, প্রথমেই রগড়াবেন না। বরং চোখে আলতো করে জলের ঝাপটা দিন।
খেলার শেষে তাড়াহুড়ো করে ত্বক রগড়ে রং তুলতে যাবেন না। এর থেকে আখেরে ত্বকেরই ক্ষতি হয়। কারণ প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বকের মৃত কোষ ঝরতে থাকে। তাই দু’চারদিনে আপনা-আপনি রং চলে যাবে।
শেষে বলি, সতর্ক হয়ে রং খেলুন। মেতে উঠুন রঙিন উৎসবে।