Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রুকু ও ছেলেটি 

বিজলি চক্রবর্তী: টলটল পায়ে ট্রাম রাস্তার ধারে এসে রুকু দাঁড়াল। রাস্তা কীভাবে পার হতে হয় সে এখন বুঝতে পারে। মায়ের পেছন পেছন এখন যায় না। দুধ খেয়ে পেট ভর্তি করে রুকু মাকে ছেড়ে একাই রাস্তায় চলে এসেছে। হাত পায়ের তুলনায় পেটটা এখন তার মোটা। রাস্তার দু’ধার দিয়ে অনবরত গাড়ি যাচ্ছে আসছে। গাড়ির চাকার দাপটে রাস্তা থরথর করে কাঁপে। রুকু সেটা টের পায়। রুকুর সারা গায়ে ধুলো। নোংরা গলিতে মায়ের সঙ্গে এতক্ষণ শুয়েছিল। অপুষ্টিতে মায়ের শরীর কঙ্কালসার। অথচ বুকে অফুরন্ত দুধ। মায়ের বুক ছেড়ে রুকু যখন গলির বাইরে আসে তার পেট টানটান হয়ে ফুলে থাকে। তখন তাকে ছেড়ে মা যে কোথায় চলে যায় সে জানে না। রুকু এখন কিছুটা বড় হয়েছে। তাকে আর পাহারা দেওয়ার দরকার হয় না। যখন সে জন্মেছে বা যে ক’দিন সে খুব ছোট ছিল, মায়ের ভয়ে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে সাহস পায়নি। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তীক্ষ্ণ গলায় চেঁচিয়ে গলি মাথায় করেছে। তবু তো রুকু ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। কিংবা কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে কি না রুকু ঠিক জানে না। তাদের কাউকে রুকু দেখতে পায় না। উল্টোদিকের দোতলা বাড়ির ছেলেটিই তার নাম দিয়েছে রুকু। প্রথম প্রথম রুকু বুঝতে পারত না যে এটা তার নাম। রুকুর মা ওই ছেলেটিকে পছন্দ করত না। ভালো-মন্দ খাবার দিয়ে ছেলেটি মাকে বস করে ফেলেছে। সন্তানকে রক্ষা করবার হিংস্র তাগিদে সেই খাবারগুলোর দিকে মা খালি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখত। লোভে চোখ চকচক করত। খাবারগুলো নেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াত। কিন্তু রুকুকে ছেড়ে যেত না। রুকুকে বুকের কাছে নিয়ে শুয়ে পড়ত। মায়ের বুকের ঘড়ঘড় আওয়াজ রুকু শুনতে পেত। ছেলেটি হাল ছাড়েনি। বারবার আসত। বিস্কুট বা রুটি নিয়ে আসত। মাঝে দু-একবার কেক এনেছিল। এই খাবারগুলোর নাম সে বারবার শুনেছে। এখন এই শব্দগুলো তার কানে গেলেই সে ছটফট করে ওঠে। পরে ছেলেটাকে দেখে মা আর রাগ করত না। বরং খুশি খুশি ভাব দেখাত। প্রথম যেদিন নোংরা রুকুকে ছেলেটি কোলে তুলে নিয়েছিল মা অবাক চোখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল। ছেলেটির দু’হাতের মধ্যে রুকু থরথর করে কাঁপছিল। সে অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। দোতলার বারান্দা থেকে এক মহিলার চিৎকারে ভয় পেয়ে ছেলেটি রুকুকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়েছিল। ছেলেটির জামায় হাতে রুকুর গায়ের নোংরা লেগেছিল। এক ছুটে ছেলেটি বাড়ির ভেতরে চলে গিয়েছিল। রুকু ভয় পেয়েছিল আরও বেশি। পরে বুঝেছিল তার যেমন মা আছে তেমনই ওই মহিলাও ছেলেটির মা। সেদিন বিকেলে ছেলেটি মায়ের হাত ধরে রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিল রুকু তখন গলির মুখে চোখ বুজে শুয়েছিল। অদ্ভুত একটা আওয়াজ শুনে রুকু চোখ খুলেছিল। তার দিকে তাকিয়েই ছেলেটি মুখে ওই রকম আওয়াজ করছে। ছেলেটির সঙ্গে তার চোখাচোখি হয়ে গেল। ছেলেটি ইশারায় তাকে ডাকছে। সঙ্গের মহিলাকে দেখে রুকুর এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়নি। ক্রমশই ছেলেটির সঙ্গে রুকুর বন্ধুত্ব বেড়েছে। তার এবং ছেলেটির দু’জনেরই সাহস বেড়েছে। রাতের বেলায় ছেলেটির বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তখন গলি ছেড়ে রুকু বন্ধ দরজার সামনে এসে শুয়ে থাকে। বাড়ির ভেতর থেকে ছেলেটির গলার স্বর ভেসে আসে। আরও অনেক গলার স্বর সে শুনতে পায়। কিন্তু একমাত্র ছেলেটির গলার স্বরই তার চেনা। আস্তে আস্তে বাড়িটা শান্ত হয়ে আসে। একটা দুটো করে আলো নিভতে থাকে। রুকু তখনও শুয়ে থাকে। শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করে। একসময় অপেক্ষা শেষ হয়। দোতলার বারান্দা থেকে খাবারের একটা প্যাকেট রাস্তায় এসে পড়ে। রুকুর মা ছুটে এসে প্যাকেটটা তুলে নেয়। তাদের রাতের খাবার থাকে ওই প্যাকেটে। কতকগুলো রুটির টুকরো। ভেজা ভেজা। সঙ্গে কিছু ভাতও থাকে। আরও কী সব যেন থাকে। তবে যা-ই থাক, টুকরো রুটির সঙ্গে আস্ত রুটির স্বাদের মধ্যে কোনও তফাৎ রুকু বুঝতে পারে না। বাড়ির লোকজনদের চোখ এড়িয়ে ওই ছেলেটিই খাবারের প্যাকেটটা ফেলে। প্যাকেটটা পড়বার আগে ছেলেটির গলার পরিচিত সুরটা রুকু শুনতে পায়। রুকুও চাপা গলায় তার উত্তর দেয়।
রুকু ট্রাম লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি এই সময় ফেরে। সঙ্গে সেই রাগী মহিলা। ছেলেটির পিঠে থাকে একটা ভারী ব্যাগ। কাঁধ থেকে যে জিনিসটা ঝোলে তার মধ্যে জল থাকে। রুকু একদিন দেখেছে ট্রাম থেকে নেমে ছেলেটি ওটাতে মুখ লাগিয়ে জল খাচ্ছে। ছেলেটি বাড়ির পথ ধরলে রুকু তাদের পেছন পেছন যায়। ছেলেটি তাকে লক্ষ করে। মহিলার ভয়ে তার সঙ্গে কথা বলে না। রুকুর তখন খুব ইচ্ছে করে ছেলেটির কোলে উঠতে। প্রাণভরে ছেলেটির শরীরের ঘ্রাণ নিতে। বাড়িতে ঢোকবার আগে পকেট থেকে কিছু না কিছু ছুঁড়ে রুকুকে দেয়। রুকু খেয়ে দেখে ওই খাবারের স্বাদ অন্যরকম। বেশ ভালো।
উত্তর কলকাতার বনেদি পাড়া। সাবেক কালের বনেদিয়ানার ছাপ এখন কম বাড়িতেই আছে। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বড় বড় বাড়ি। দুটো বাড়ির মাঝে যে জায়গাটুকু থাকে তার মধ্যে কোনও মানুষ ঢুকতে পারে না। সেই সরু গলিগুলোই রুকুদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। বাড়ির সামনের রাস্তাও চওড়া নয়। দুটো গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে না। মুখোমুখি দু’তলা তিনতলা সব বাড়ি। এখনও এই রাস্তায় কোনও ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হয়নি। কোনও কোনও বাড়ির একপ্রান্ত এই রাস্তায়। অপর প্রান্ত প্রায় পার্কের ধারে গিয়ে শেষ হয়েছে। একান্নবর্তী সংসারের দিন শেষ হয়ে গেছে। তার চিহ্ন বাড়িগুলোর গায়ে। শরিকি বিবাদে বা প্রয়োজনে বড় বড় বাড়িগুলো পার্টিশন হয়ে গেছে। যে যার নিজের রুচি ও ক্ষমতায় নিজের ভাগের অংশটুকু সংস্কার করিয়েছে। এই রাস্তাটা পাড়ার পেছন দিকে। তাই কিছুটা বিবর্ণ। অনেকদিন আগে যাঁরা এই বাড়িগুলোতে থাকতেন তাঁরা তো কেউ বেঁচে নেই। তবু তাঁদের যাঁরা দেখেছেন এ রকম মানুষ দু’চারজন এখনও এই পাড়ায় থাকেন। তাঁদের অল্প বয়সের স্মৃতিতে ওই মানুষগুলো বেঁচে আছেন। যত দ্রুত পাড়াটা পাল্টে যাচ্ছে এই গলিটা তার থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে। নিঃশেষ হয়ে যেতে যেতে এই রাস্তার কোনও কোনও বাড়ির মানুষগুলোর মধ্যে এখনও কিছুটা আভিজাত্য টিকে আছে। সে রকমই এক বাড়ির ছোট ছেলেটির সঙ্গে রুকুর ভাব। তাদেরই বাড়ির লাগোয়া সরু গলির মধ্যে রুকুর জন্ম। ছেলেটি দরজা খুলে বাইরে আসে রুকু টের পায়। নোংরা মাটিতে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থেকে ছেলেটির গায়ের গন্ধ সে টের পায়। উঠে দাঁড়ায় রুকু। গায়ের ধুলোগুলো ঝেড়ে ফেলবার চেষ্টা করে। গলি থেকে মুখটা বার করে এবার সে রাস্তাটা দেখে নেয়। তারপর টলমল করতে করতে ছেলেটির পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়ে। ছেলেটি তার পিঠে পা বুলিয়ে দেয়। রুকু তার খসখসে জিব দিয়ে ছেলেটির পা চেটে দেয়। ছেলেটি অনবরত মুখ দিয়ে বিচিত্র একটা আওয়াজ করে। এটা যে আদরের ভাষা রুকু বুঝতে পারে।
সেদিন ছেলেটি তখনও নীচে নামেনি। রুকু গলি থেকে বাইরে বেরিয়ে এল। রাস্তায় ছেলেদের দল খেলা করছিল। রুকু ভেবেছিল ওই দলে হয়তো ওই ছেলেটি থাকবে। দলের মধ্যে ছেলেটিকে দেখতে না পেয়ে গলিতে ঢুকবে বলে রুকু পেছন ফিরল। ঠিক তখনই একটা ইটের টুকরো রুকুর পেছনের পায়ে এসে পড়ল। চিৎকার করতে করতে রুকু গলিতে ঢুকে পড়ল। অদূরে ছেলেদের দল তখন হেসেই চলেছে।
আঘাতটা খুব জোর না হলেও রুকুর পায়ে বেশ ব্যথা। পরদিন ভোরবেলায় রুকু গলি থেকে বাইরে আসতে পারল না। দোতলা বাড়ির ছেলেটা গলির মুখে এসে দাঁড়াল। মুখে সেই অদ্ভুত আওয়াজ। রুকু বুঝতে পারল তাকেই ডাকছে। কষ্ট করে রুকু গলির মুখে এসে দাঁড়াল। ছেলেটা একবার তাদের বাড়ির বারান্দার দিকে তাকাল। তারপর গলির মুখে উবু হয়ে বসে পড়ল। আস্তে আস্তে রুকুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল, — ‘তোকে ওরা মেরেছে! খুব লেগেছে!’ রুকু জিব দিয়ে ছেলেটার হাত চাটতে লাগল। — ‘ঠিক আছে। আজ আর গলির বাইরে আসবি না, আমি আবার বিকেলে আসব।’ ছেলেটি পকেট থেকে দুটো বিস্কুট বার করে রুকুর মুখের সামনে রাখল। তারপর উঠে বাড়িতে ঢুকে পড়ল।
রুকু সারাদিন তার মাকে দেখতে পায়নি। বিকেলে ট্রাম রাস্তার ধারে রুকু যায়নি। পায়ের ব্যথা এখনও কমেনি। গলির মুখে সামনের দু’থাবার মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে বসেছিল। রাস্তায় ছেলের দল ছোট বল নিয়ে খেলছে। কিন্তু দোতলা বাড়ির ছেলেটা আজ এখনও ফেরেনি। বসে থাকতে থাকতে রুকু ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঠক করে একটা শব্দ হল। চোখ খুলে রুকু দেখল ছোট একটা বল। একটুও দেরি না করে রুকু বলটা মুখে করে গলির ভেতরে ঢুকে গেল। ছেলের দল গলির মুখে এসে ভিড় করে দাঁড়াল। দোতলা বাড়ির ছেলেটির মতো শব্দ করছিল কেউ কেউ। রুকু কিন্তু তাতে একটুও নড়ল না। রেগে গিয়ে ছেলেগুলি ছোট ছোট ইট ছুঁড়তে শুরু করল। রুকু বলটা মুখে নিয়ে গলির আরও ভেতরে ঢুকে গেল। গলির অন্ধকারে শুধু তার চোখ দুটো জ্বলছিল।
আস্তে আস্তে দিনের আলো কমে এল। রাস্তার আলো জ্বলে উঠল। গলির ভেতর কিছুটা আলো এসে পড়ে। ছেলের দল বাড়ি ফিরে গেছে। দোতলা বাড়ির ছেলেটির কোনও সাড়া-শব্দ নেই। গলির মুখে রুকু বসে আছে। খিদে পেয়েছে। খাবারের গন্ধ সে পাচ্ছে। সব বাড়িতে এখন রান্না হচ্ছে। একটা রিকশ এসে দোতলা বাড়ির দরজায় দাঁড়াল। রুকু ছেলেটির গায়ের গন্ধ পেয়েছে। রাগী মহিলা ছেলেটিকে সাবধানে রিকশ থেকে নামালেন। রুকু দাঁড়াবার চেষ্টা করল। পারল না। পেছনের পায়ে রুকু জোর পায় না। অসহ্য ব্যথা। কিন্তু ছেলেটির কী হল রুকু বুঝতে পারে না। রিকশর ভাড়া মিটিয়ে মহিলা ছেলেটিকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরল— ‘এবারে চোখ খোলো। ঘরে গিয়ে জামাকাপড় পাল্টে নেবে। বিছানা করাই আছে। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে পারবে।’ ছেলেটি একবার গলির দিকে তাকাল। তারপর বাড়িতে ঢুকে গেল। অনেকক্ষণ রুকু গলির মুখে বসে রইল। দোতলার বারান্দা থেকে কোনও খাবারের প্যাকেট পড়ল না। রাত নিস্তব্ধ হয়ে গেল। দোতলা বাড়ির আলো একটা একটা করে নিভে গেল। অসুস্থ শরীরটাকে টেনে নিয়ে রুকু বাইরে এসে দাঁড়াল। রাস্তায় জমে থাকা ময়লাগুলোতে মুখ ঢুকিয়ে খাবার খুঁজতে লাগল। বিশেষ কিছু পাওয়া গেল না। রুকু আবার অন্ধকার গলির ভেতর ঢুকে গেল। খিদের জ্বালায় শরীরের অসহ্য যন্ত্রণায় কাহিল রুকু সামনের দু’থাবার মধ্যে মুখ রেখে চোখ বুজল।
ভোরের আলো গলির ম঩ধ্যে ঢোকে না। তাতে রুকুর কোনও অসুবিধা হয় না। রুকু গলির বাইরে এল। সরু নর্দমায় মুখ ডুবিয়ে জল খেল। কয়েকদিন হয়ে গেল রুকু তার মাকে দেখতে পায় না। একবার যদি সে মায়ের বুকের কাছে শুতে পারত! দু’থাবা দিয়ে চেপে ধরে মায়ের বুক থেকে আকণ্ঠ দুধ পান করতে পারত। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। রাস্তায় যারা যাতায়াত করছে তারা রুকুকে খেয়াল করছে না। রুকু ভালো করে দাঁড়াতেই পারছে না। ধুপ ধুপ করে বসে পড়ছে। দোতলা বাড়ির সদর দরজা এখনও খোলেনি। বারান্দা খালি। কেউ নেই। রুকুর দরকার ওই বাড়ির ছোট ছেলেটিকে। খিদে আর শরীরের যন্ত্রণায় রুকু ঝিমিয়ে পড়ছে। রকের সামনে গিয়ে বসে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু সাহস হচ্ছে না। হঠাৎ দোতলা বাড়ির দরজা খুলে গেল। যে লোকটি বাইরে এল তার চোখে পড়ে গেল রুকু। হাতে ধরা বালতি থেকে জল নিয়ে রুকুর গায়ে ছুঁড়ে দিল। কুঁই কুঁই শব্দ করে রুকু গলির ভেতর ঢুকে গেল। রুকুর পায়ে ঘা থেকে রক্ত ঝরছে। তার সঙ্গে দুর্গন্ধ। রুকু নিজেও সেই গন্ধ টের পাচ্ছে।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে রুকু জানে না। কানে এল সেই চেনা সুর। ছেলেটি তাকে ডাকছে। রুকু গলির বাইরে যাবে। তাকে যেতেই হবে। সব যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে অতি কষ্টে রুকু রকের সামনে ছেলেটির পায়ের কাছে এসে বসে পড়ল। ছেলেটি তার মুখের সামনে খাবার দিল— ‘রুকু, তোর পা কী করে এমন হল! তুই তো ভালো করে হাঁটতেই পারছিস না। তোকে কি আবার কেউ মেরেছে! নাকি অন্য কুকুরদের সঙ্গে মারপিট করেছিস!’ কৃতজ্ঞতায় রুকুর চোখ দুটো জলে ভরে গেল। কুঁই কুঁই করে অনেক নালিশ ছেলেটিকে সে জানাল। বিস্কুট খাওয়া শেষ হলেও রুকু উঠতে পারছিল না। ছেলেটি নোংরা গন্ধময় রুকুকে দু’হাত দিয়ে তুলে নিয়ে গলির মুখে নামিয়ে দিল। বলল, — ‘তুই ভেতরেই থাকবি। আর বাইরে বার হবি না। আমি তোর খাবার দিয়ে যাব।’ রুকু আধবোজা চোখে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে রইল। যেন বোঝাতে চাইল ছেলেটির সব কথা সে বুঝতে পেরেছে।
স্কুলে ছেলেটির পড়ায় আজ মন বসছে না। রুকুকে কোনও খাবার সে দিতে পারেনি। মায়ের নজর এড়িয়ে সেই কাজ সে করতে পারেনি। মাকে সে কিছুতেই রাজি করাতে পারেনি। রুকুকে বাড়িতে নিতে দেবে না মা। বারবার রুকুর কথাই মনে হচ্ছে। সারা দিন রুকু কী খাবে! ভালো করে হাঁটতেই তো পারছে না। রুকুর পায়ের ঘা থেরে রক্ত পড়ছে। বাড়ি ফিরে মায়ের চোখ এড়িয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক কোনও মলম রুকুর পায়ে লাগিয়ে দেবে সে। টিফিনের ঘণ্টা পড়ল। সারা ক্লাসে হইহই শুরু হয়ে গেল। টিফিনের কৌটো খুলে নিল ছেলেটি। আবার রুকুর কথা মনে পড়ল। দু’চোখ জলে ভরে গেল, কৌটোর ঢাকা বন্ধ করে ডেস্কে মাথা রেখে ছেলেটি কেঁদে ফেলল। শরীর ভালো থাকলে রুকু রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার জোগাড় করে ফেলত। ট্রাম রাস্তার ধারে ছেলেটির জন্য রুকু দাঁড়িয়ে থাকবে না। মা তার কথা বুঝতেই চায় না। অভিমানে তার মন ভার হয়ে উঠল। টিফিন খাওয়া হল না।
মায়ের হাত ধরে ট্রাম থেকে নামল ছেলেটি। অভ্যেস মতো রুকুকে খুঁজল। নাহ্‌, নেই। কেমন আছে রুকু কে জানে! যদি মরে যায়! মায়ের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল ছেলেটি। গলিতে ঢুকে মা ছেলেটির হাত ছেড়ে দিল। ইচ্ছে করে ছেলেটি কিছুটা পিছিয়ে পড়ল। তার চোখ শুধু রুকুকেই খুঁজছে। খুঁজে পেয়েও গেল। গলির মুখে রুকু বসে আছে। ছেলেটিকে দেখে লেজ নাড়তে লাগল। মা বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেলে ছেলেটি চলে এল রুকুর কাছে। রুকুর মুখের ভাব বেশ খুশি খুশি। ব্যাগ থেকে টিফিন কৌটো বার করে সব খাবার রুকুর মুখের সামনে ঢেলে দিল, — ‘খা, ভালো করে খা। জানি সারাদিন তোর খাওয়া হয়নি।’
কুঁই কুঁই করে রুকু অনেক কিছু বলতে চাইল যেন। রুকুর মাথায় হাত বুলিয়ে ছেলেটি বাড়ি ঢুকে গেল। অ্যান্টিসেপ্টিক মলমটা ছেলেটা খুঁজে পাচ্ছে না। ড্রয়ারের ভেতরেই তো থাকে! মা ঘোরাফেরা করছে। ভালো করে খুঁজ঩তেও পারছে না। তবু মায়ের চোখ এড়ানো গেল না। — ‘কী খুঁজছো তুমি!’ কোনও উত্তর দিতে পারে না ছোট ছেলেটি। — ‘আমি জানি তুমি কী খুঁজছ। কিন্তু ওই ওষুধে কোনও কাজ হবে কি! ওরা তো ওদের ঘা চেটে চেটেই পরিষ্কার করে নেয়। আজ দুপুরে ডাল-ভাত মেখে একটা ডিসে করে আমি ওকে খেতে দিয়েছি। খুব খিদে পেয়েছিল। কাঁদছিল।’ দু’হাত দিয়ে মা ছেলেকে বুকে টেনে নিল, — ‘আমি জানি তোমার খুব মন খারাপ। স্কুলে টিফিন খাওনি। সব খাবার ওকে দিয়ে দিলে।’ ছেলেটি মাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরল। মনে মনে বলল, — মা, আমার মা! ছেলেটির মা রুকুকে খেতে দিয়েছে— এই কথাটাই বোধহয় রুকু ছেলেটিকে বলতে চেয়েছিল।
মলমটা মা ছেলেটির হাতে দিল, —‘দ্যাখো লাগিয়ে, যদি কিছু কাজ হয়। আর এবার থেকে রাস্তার মধ্যে খাবার ফেলবে না। একটা ডিস আমি রেখে এসেছি। তার মধ্যেই খাবার দেবে।’
মলমটা হাতে নিয়ে ছেলেটি দৌড়ে সিঁড়ির কাছে চলে এল— ‘মা, আমি একটু পরেই চলে আসব। এসেই পড়তে বসব।’ চেয়ারে বসে মা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে রইল। গত কয়েক বছর ধরে কত উপহার তো সে ছেলেকে দিয়েছে। কিন্তু এত আনন্দ বোধহয় এর আগে দিতে পারেনি। মায়ের দিকে তাকিয়ে ছেলেটির মনে হল— রুকুও একজন মা খুঁজে পেল। 
28th  July, 2019
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
চাঁদের  তাপমাত্রা

খন বিভিন্ন দেশ চন্দ্রাভিযানে নেমেছে। কিছুদিন আগে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল। চাঁদের বুকে ঘোরাফেরা করে গবেষণা চালিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এখন অবশ্য চিরঘুমে ঢলে পড়েছে সে।  
বিশদ

17th  March, 2024
মহাসাগরের গভীরে ঘুমন্ত ‘অষ্টম’ মহাদেশ

সাতটি মহাদেশের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন অষ্টম মহাদেশের কথা। আশ্চর্যের বিষয় এই আট নম্বর মহাদেশটিকে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে এখনও সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ এই মহাদেশটি  সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত ।       
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হলদিয়ার সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান
গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপারমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ...বিশদ

10:08:57 AM

বাঘাযতীন বাজারে প্রচার চালাচ্ছেন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য

10:06:00 AM

দৌলতাবাদে নির্বাচনী প্রচারে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম

10:04:00 AM

প্রখর রোদের তাপ এড়াতে সকাল সকাল নামাবলি গায়ে প্রচারে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ

10:02:00 AM

পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে  বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত ২
বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়াল পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে। এই সংঘর্ষের ...বিশদ

09:58:52 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

09:57:58 AM