কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মনের বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে যে তথ্য আমরা জানতে পারি ইংরেজিতে তাকে EXTRA SENSORY PERCEPTION বা সংক্ষেপে ESP বলা হয়।
আজ তোমাদের সঙ্গে আমার ভালো লাগার এই বিষয় নিয়েই একটা ম্যাজিকের খেলা শেখাব। হ্যাঁ, এটা সাইকোলজি বলতে পার। আমি এর ওপর ব্যক্তিগতভাবে কিছু পড়াশোনা করেছিলাম। তাই বেশ কিছু E.S.P.-এর ম্যাজিক আমার দখলে আছে। আর সুযোগ পেলেই সেগুলো দেখাই। আমার এই ‘হিলি গিলি হোকাস ফোকাস’ কলমে তোমাদেরকে কয়েকটা সহজ ও সরল টেলিপ্যাথির মতো ম্যাজিক শেখাতে চাই, আগামী দিনের হ-য-ব-র-ল-এর পাতায়।
খেলাটা শুরু করার আগে দর্শকবন্ধুদের টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় অনুভূতির ওপর এই ভূমিকাটা বলতে পার। ‘ধরো তুমি তোমার এক নতুন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছ। হঠাৎ করে বন্ধুটি এমন কিছু কথা বলে বসল যা কখনও তুমি তাকে জানাওনি। আবার কথাগুলো কিন্তু মিথ্যে নয়। ওই কথাগুলো তোমার মনের মধ্যেই ছিল। তুমিও ভেবেছিলে। কিন্তু তোমার বন্ধু সে কথা জানল কী করে? মনের কথা জানা বা অনুমান করার এই অদ্ভুত ক্ষমতাকেই টেলিপ্যাথি বলে।’
দর্শকের চোখে
জাদুকর টেবিল-এর ওপর তিনটে ছোট কাগজের গ্লাস এক এক করে রাখলেন। এখন চা খাওয়ার জন্য সাধারণ দোকানে যে গ্লাসগুলো দেয়, ওইরকম হলেই চলবে। এছাড়াও তিনটে কয়েন আছে। দু’টাকা, পাঁচ টাকা ও দশ টাকা। ধরা যাক, প্রথম গ্লাসে (বাঁদিক থেকে) দশ টাকার কয়েন, এরপর মাঝের গ্লাসে পাঁচ টাকা আর তার পরের গ্লাসটায় একটা দু’টাকার কয়েন তুমি (জাদুকর) রাখলে, সব্বাইকে দেখিয়ে।
টেলিপ্যাথি নিয়ে কথা বলে, তুমি (জাদুকর) তোমার দর্শকবন্ধুদের জানালে, এই মনের শক্তির সাহায্যে তোমাদের মনের পছন্দের কথা আমি জানতে পেরেছি। আর তাই আমি একটা কয়েন তোমার পছন্দ বলে ভেবেছি এবং লিখেও রেখেছি। আর সেটাই তোমার পছন্দ হবে।
এবার তোমার দর্শকবন্ধুদের মধ্যে থেকে যে কোনও একজনকে এই তিনটি কয়েন গ্লাসের মধ্যে থাকা অবস্থায়, যে কোনও একটা কয়েন মনে মনে পছন্দ করতে বলতে হবে। দর্শকবন্ধু ভাবল তুমি পুনরায় বন্ধুকে সুযোগ দিলে, যদি সে তার চিন্তা পাল্টাতে চায়। এবার কয়েন পছন্দ করা ফাইনাল হল। তুমি এবার দর্শকবন্ধুকে জিজ্ঞাসা কর সে কোন কয়েনটা পছন্দ করেছে বা ভেবেছে? ধরা যাক দর্শকবন্ধু বলল, দশ টাকার কয়েন। তুমি বললে আমি জানতাম তুমি দশ টাকার কয়েনটাই পছন্দ করবে। তাই এই গ্লাসের ভেতর ‘তোমার পছন্দ’ এইটা লিখে রেখেছিলাম আগেই। কয়েনটা টেবিলে ঢেলে, গ্লাসটা কাত করে ভেতরটা দেখালে, যেভাবে ‘তোমার পছন্দ’ লেখাটা দেখা যায়। আর অন্য গ্লাসগুলো থেকে কয়েনগুলো (পাঁচ টাকা ও দু’টাকা) বার করে গ্লাসের ভেতর দেখালে যে ভেতরে কিছু লেখা নেই। দারুণ মজার ব্যাপার না!
খেলার কৌশল
তোমাদের মনে এখন প্রশ্ন আসছে তাই না! পাঁচ টাকা বা দু’টাকা যদি দর্শকবন্ধু পছন্দ করে তাহলে কী হবে? তোমাদের চুপি চুপি জানাই, পাঁচ টাকার কয়েন পছন্দ করলে গ্লাস তুলে গ্লাসের পিছন দিকটা দেখাও। ওখানে ‘তোমার পছন্দ’ লেখা আছে। অথচ অন্য গ্লাসগুলোতে কিছুই লেখা নেই। এবার আসা থাক, দু’টাকার কয়েন প্রসঙ্গে। তখন কয়েনটা টেবিলে ফেলে উল্টে দিলেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘তোমার পছন্দ’। কিন্তু অন্য দুটি কয়েনের পিছনে কিছুই লেখা নেই। মনে রাখবে, এই সময় কোনও গ্লাসের তলা বা ভেতর দেখানো যাবে না। খেলা শেষ। তিনটি গ্লাস পরপর একসঙ্গে রেখে, এবার অন্য খেলায় চলে যাও।
প্রস্তুতি
১. প্রথম গ্লাসের মধ্যে অথবা, ভেতরে ‘তোমার পছন্দ’ স্কেচ পেন দিয়ে ভালোভাবে লিখতে হবে। দশ টাকার জন্য।
২. দ্বিতীয় গ্লাসের তলায় ‘তোমার পছন্দ’ স্কেচ পেন দিয়ে ভালোভাবে লিখতে হবে। পাঁচ টাকার জন্য।
৩. তৃতীয় গ্লাসের মধ্যে দু’টাকার কয়েন থাকবে, যার উল্টোদিকে ‘তোমার পছন্দ’ লেখা থাকবে। দু’টাকার বড় কয়েন নিও। কারণ ‘তোমার পছন্দ’ কাগজ আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
ছবির মতো, গ্লাসগুলি পরপর সাজিয়ে নিয়ে, টেলিপ্যাথির গল্প শুনিয়ে খেলাটা দেখাতে শুরু করে দাও। অবশ্যই এই খেলা কেবলমাত্র একবারই দেখানো যাবে। তাই কয়েন পছন্দ করার পর, আরও একবার তাকে ভাবার সময়
দাও। তবেই জমবে খেলা।
ছবি: সুফল ভট্টাচার্য