Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

 ব্ল্যাক হোল রহস্য

 এই প্রথম কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলা সম্ভব হল। কীভাবে উঠল এই ছবি? কৃষ্ণগহ্বরই বা কী? আলোচনায় কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস।

আকাশ ভরা সূর্য তারা-র অজানা রহস্যে বিভোর থেকেছে বিজ্ঞানী। যুগ যুগ ধরে। তবু দেখি, ‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থের ‘হারাধন’ শীর্ষক কবিতায় কবি লিখছেন, ‘জ্যোতির মালায় একটি তারা/ কোথায় গেছে টুটে!’ ‘হারা তারা কোথায় গেল’ তার সন্ধানে ব্যস্ত বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী।
অনন্ত এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আপাতত সব চাইতে রহস্যময় বিষয় বোধকরি এই কৃষ্ণ-গহ্বর। স্থানের রয়েছে তিনটি মাত্রা (ডাইমেনশন), এবং সেই সঙ্গে কাল (সময়) মিলেমিশে যেন একটা পর্দার মতো। ভর আছে এমন যে কোনও বস্তুই একটা বক্রতা সৃষ্টি করে সেই পর্দায়। কোনও নক্ষত্রের ভর যখন হয় খুব বেশি, সেই বক্রতাটা যেন পরিণত হয় গহ্বরে। কৃষ্ণ-গহ্বরের আকার খুব ছোট হতে পারে, যেমন হয়তো বা একটা পরমাণুর মতো। আবার হতে পারে খুব বড়, যেমন সূর্যের লক্ষ লক্ষ গুণ। আকার অনুপাতে এর ভর খুবই বেশি। যেমন, পরমাণুর আকারের কৃষ্ণ-গহ্বরের ভর হয়তো হিমালয়ের সমান। আর এই প্রচণ্ড ভর বা ঘনত্বের ফলেই এর মহাকর্ষ খুব বেশি। এর আওতার মধ্যে আসা সব কিছুকেই নিজের মধ্যে টেনে নেয় কৃষ্ণ-গহ্বর। এই আওতার সীমারেখাকে বলে ‘ঘটনা-দিগন্ত’, ইংরেজিতে ‘ইভেন্ট হরাইজন’। স্থান-কাল সব দুমড়ে মিলিয়ে যায় সেখানে। এমনকী আলোরও নিস্তার নেই, সীমারেখার মধ্যে পেলে তাকেও টেনে নেয় কৃষ্ণ-গহ্বর। আলো বের হতে পারে না বলেই তো এ হল নিকষ কালো অন্ধকার। চলতি কথায় একেই বলে নক্ষত্রের মৃত্যু। তারার জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এটাই তার ভবিতব্য। তারার ভিতরের হাইড্রোজেন গ্যাস শেষ হলে থেমে যায় তার নিউক্লিয় বিক্রিয়া। তখনই সঙ্কুচিত হতে থাকে এর অভ্যন্তরীণ মূল বস্তু। আচ্ছা, কবির ভাষায় এটাই কী ‘হারা তারা’?
সেই কোন ১৭৯৬ সালে অঙ্কবিদ ল্যাপলাস বিপুল ভর-বিশিষ্ট আলোকে-গিলে খাওয়া অজগর অন্ধকারের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। ১৮৮৩-তে একই কথা বলেন বিজ্ঞানী জন মাইকেল। আর, প্রায় একশো বছর আগে, ১৯১৬তে, আইনস্টাইন তাঁর ‘জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি’ দিয়ে ধারণা করেন কৃষ্ণ-গহ্বরের অস্তিত্বের। মার্কিন পদার্থ-বিজ্ঞানী জন হুইলার ১৯৬৯ সালে প্রথম এই ‘ব্ল্যাক হোল’ নাম দেন। দেখে-শুনে যতটুকু বোঝা গেছে, প্রতিটা বড় ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে একটা দৈত্যাকার কৃষ্ণ-গহ্বর। আমাদের ‘মিল্কিওয়ে’ বা ‘আকাশগঙ্গা’ ছায়াপথের কেন্দ্রেও রয়েছে এমনই এক দৈত্য, ‘স্যাগিটারিয়াস এ*’।
মহাকাশে একটা গোলকের মতো অঞ্চল নিয়ে অস্তিত্ব এই কৃষ্ণ-গহ্বরের। ঘটনা-দিগন্তের প্রান্তে রয়েছে ফোটন বলয়, যা আবর্তিত হয় কৃষ্ণ-গহ্বরের কেন্দ্রকে ঘিরে। আলো যেন পিছলে পিছলে যায় এর গা ঘেঁষে। আসলে মহাকাশ-সংক্রান্ত গবেষণা অনেকটাই অঙ্ক-নির্ভর যুক্তিসঙ্গত আন্দাজ। এর অনেক তত্ত্বই প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা সময়-সাপেক্ষ, এবং প্রমাণটাও অনেকাংশে অনুমান-নির্ভর অঙ্ক। তাই মহাকাশ সংক্রান্ত অনেক তত্ত্বকেই আপাতভাবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলেও মনে হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কৃষ্ণ-গহ্বরের গভীরতম অংশে পদার্থবিদ্যার নিয়মগুলি আর কাজ করে না। এমন ধারণার কথাও শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা যে, কৃষ্ণ-গহ্বর হল এক প্রবেশপথ, যার মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া যায় মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। একে বলা হয়েছে ‘ওয়ার্ম-হোল’ বা কীট-গহ্বর। কৃষ্ণ-গহ্বরের অন্তঃপুরে তৈরি হয়ে চলেছে বস্তু আর প্রতিবস্তু। এদের মধ্যে ঘটে সংঘর্ষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে প্রয়াত কিংবদন্তি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর নামে। এই সংঘর্ষের ফলশ্রুতিতে বস্তু আর প্রতিবস্তু কিন্তু একে অপরকে ধ্বংস করে দেবে একেবারে। রাখবে না কিছুই। একে বলে ‘কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন’। এই সংঘাত যখন ঘটে ব্ল্যাক হোলের প্রান্তে, অর্থাৎ ঘটনা-দিগন্তের সীমানায়, কৃষ্ণ-গহ্বর শোষণ করে নেয় কিছু কণা, আর বাকিটা মুক্ত হয়ে পরিণত হয় বাস্তব কণায়। তাই ক্রমে ভর হারাতে থাকে কৃষ্ণ-গহ্বর। কোনও এক সময় মহাশূন্যে বিলীন হওয়াটাই তার ভবিতব্য। কিন্তু, বিশ্বস্রষ্টার মহান সৃষ্টি এই মহাবিশ্বে সত্যিই কিছু কি হারায়?
ক'দিন আগেই, এপ্রিলের ১০ তারিখ, গোটা পৃথিবীর সামনে উঠে এসেছে এম৮৭* নামক কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবি। যা নিয়ে পৃথিবী জুড়ে মস্ত হইচই। পৃথিবী থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি আলোকবর্ষ দূরে এর অস্তিত্ব। উপবৃত্তাকার ছায়াপথ মেসিয়ার৮৭-র কেন্দ্রে। যার আনুমানিক ভর আমাদের সূর্যের ভরের প্রায় সাতশো/সাড়ে সাতশো কোটি গুণ।
উজ্জ্বল কমলা রঙের ডোনাটের মতো দেখতে এই বলয় আসলে কৃষ্ণ-গহ্বরটির ঘটনা-দিগন্তের ছবি। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস, মেঘ, প্লাজমা অশান্ত আবেগে ঘুরপাক খেয়ে বেড়াচ্ছে, বিকিরণ ঘটাচ্ছে এমনকী আলোরও। কৃষ্ণ-গহ্বরটির ব্যাস সূর্যের চারধারে নেপচুনের কক্ষপথের মোটামুটি দশগুণ। মাঝখানের কালো অংশটাই সেই রহস্যময় কৃষ্ণ-গহ্বর। যার ছবি এমনিতে পাবার কোনও উপায় নেই। আলোকে সে গিলে খায়। চারদিকের আলোর বলয়ের মধ্যেই তাই অন্ধকারের হিম-কুঞ্চিত অস্তিত্বকে অনুভব করা। উপলব্ধি করা অজগর অন্ধকারকে।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, ব্ল্যাক হোল তো রয়েছে অনেক। তাহলে এর আগে অন্য কেউই বা এভাবে ছবি তুলতে পারেনি কেন? ধরা যাক এই এম৮৭* কৃষ্ণ-গহ্বরটির কথাই। এর ব্যাস ৪,০০০ কোটি কিলোমিটার, বা দেড় আলোকবর্ষ। চারপাশের বলয়টা মোটামুটি এরও ৪-৫ গুণ ছড়িয়ে আছে। আমাদের টেলিস্কোপে এর ছবি ঠিকঠাক তোলা অসম্ভব। যে ছবিটা তোলা হয়েছে তাতে দরকার একটা মস্ত টেলিস্কোপ, যার অ্যান্টেনা পৃথিবীর মত বড়। কিন্তু, সেটা তো আর বাস্তব নয়। পরিবর্তে তাই একটা চমৎকার উপায় বের করলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর সব চাইতে বড় আর কার্যকরী আটটি টেলিস্কোপের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তাঁরা বানিয়ে ফেললেন যেন এক পৃথিবীর আকৃতির টেলিস্কোপ। এই আটটি টেলিস্কোপ একসাথে তথ্য সংগ্রহ করবে কৃষ্ণ-গহ্বর থেকে। বিপুল সেই তথ্য। ৪ পেটাবাইট। এমপি৩ ফরম্যাটে যদি নিরন্তর গান বাজানো হয়, একটানা ৮,০০০ বছর ধরে, তাহলে যতটা ডেটা থাকে, ততটা। এই সমস্ত তথ্যকে পাঠানো হয় বস্টনের মাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। আর সেখানেই সেই বিপুল পরিমাণ তথ্যকে জুড়ে, এবং সুপার-কম্পিউটারের সাহায্যে এই তথ্যের এবং ছবির অনেক ফাঁকফোকর বুজিয়ে নতুন করে তৈরি হয় কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিটা। এর জন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম লিখতে প্রধান ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজোড়া খবরের শিরোনামে এসেছেন ২৯ বছরের কেটি বাউম্যান। ছবিটা দেখে বোঝা না গেলেও, টেলিস্কোপে পাওয়া তথ্যগুলি জুড়ে পাওয়া গেল যেন অত্যন্ত ভাঙাচোরা, থাম উপড়ে পড়া, দেওয়ালে ইট খুবলে নেওয়া, দরজা-জানালা-ছাদের হদিশ না থাকা এক পুরনো রাজবাড়ির ছবি। তাকে অনেক মেরামত করে, বেশ কিছু কল্পনার মশলা, ইঁট, সিমেন্ট, রং দিয়ে রংচঙে রূপ দেওয়া হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছবি তৈরি করতে পৃথিবীর সব চাইতে দক্ষ সুপার-কম্পিউটারের লেগেছে দু’বছর।
২০১৪ সালের সায়েন্স ফিকশন ম্যুভি ‘ইন্টারস্টেলার’। ভিসুয়াল এফেক্টের জন্য ছবিটি অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পায় ২০১৫তে। এর ঘটনার প্রেক্ষাপট ভবিষ্যৎ— একুশ শতকের মাঝামাঝি। শস্যে মড়ক এবং ধুলোঝড়ের প্রভাবে পৃথিবী তখন হয়ে পড়েছে বসবাসের অযোগ্য। শনিগ্রহের কাছে অবস্থিত একটি ওয়ার্মহোলের পথ ধরে যাওয়া যায় দূর এক ছায়াপথে, যেখানে গর্গানচুয়া নামে এক কৃষ্ণ-গহ্বরের কাছে রয়েছে এক ডজন বসবাস-যোগ্য গ্রহ। কীট-গহ্বরের পথ গলে বেরিয়ে পড়ে বারোজন, বারোটি গ্রহ সরেজমিনে দেখবার জন্যে। আশাপ্রদ তথ্য পাঠায় তিনজন। তাঁদের পাঠানো তথ্যের উপর নির্ভর করে প্রফেসর ব্র্যান্ড তৈরি করেন দুটি পরিকল্পনা। প্ল্যান ‘এ’, আর প্ল্যান ‘বি’। তারপর ওয়ার্মহোলের পথ বেয়ে ভিন ছায়াপথের অজানা গ্রহে পৌঁছানোর অভিযাত্রা চমকপ্রদ বললেও কম বলা হয়। সঙ্গে রয়েছে ডঃ রোমিলি নামে একটি চরিত্রের ব্ল্যাক হোলের অজানা তথ্য অনুসন্ধানের প্রয়াসও। মুভিটিতে দেখানো হয়েছে, প্রফেসর ব্র্যান্ডের প্ল্যান ‘এ’ বাস্তবায়িত করা যাবে না, কারণ তাতে প্রয়োজন ব্ল্যাক হোলের অভ্যন্তরের কিছু তথ্য, যা পাওয়া অসম্ভব। তাই এই মুভিটির কল্পনার সীমারেখাকে বাড়াতে বাড়াতেও কোথাও যেন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে কৃষ্ণ-গহ্বরের অজ্ঞাত অতলান্তিক রহস্যের কথা। যা বোধকরি কল্পবিজ্ঞানের সীমারও বাইরে।
ওয়ার্মহোল গলে অন্য ব্রহ্মাণ্ডে পাড়ি দেওয়াটা কল্পবিজ্ঞানের আওতাতেই থাকুক। আমরা কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিতেই উল্লসিত। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা ‘স্যাগিটারিয়াস এ*’ কৃষ্ণ-গহ্বরের ছবিটাও হয়তো আমরা দেখতে পাব অদূর ভবিষ্যতে।
21st  April, 2019
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
চাঁদের  তাপমাত্রা

খন বিভিন্ন দেশ চন্দ্রাভিযানে নেমেছে। কিছুদিন আগে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল। চাঁদের বুকে ঘোরাফেরা করে গবেষণা চালিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এখন অবশ্য চিরঘুমে ঢলে পড়েছে সে।  
বিশদ

17th  March, 2024
মহাসাগরের গভীরে ঘুমন্ত ‘অষ্টম’ মহাদেশ

সাতটি মহাদেশের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন অষ্টম মহাদেশের কথা। আশ্চর্যের বিষয় এই আট নম্বর মহাদেশটিকে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে এখনও সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ এই মহাদেশটি  সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত ।       
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM