Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম। ট্রেন চার ঘণ্টা লেট করেছিল বলে আমি একেবারে সন্ধের মুখে গিয়ে কোলহাপুরে গিয়ে পৌঁছলাম। স্টেশনের সামনেই অনেক হোটেল রয়েছে দেখলাম কিন্তু সেগুলো আমার নাগালের বাইরে। আমার অবস্থা দেখে একজন মারাঠি ভদ্রলোক বললেন, ‘আপনি একা লোক, তাই আপনার উচিত হবে মন্দিরের পিছনেই ভবানীমণ্ডপে চলে যাওয়া। ওখানে প্রচুর সস্তায় লজ ও ধর্মশালা আছে।’
আমি সঙ্গে সঙ্গে একটি শেয়ারের অটো নিয়ে ভবানী মণ্ডপে চলে এলাম। এখানে এসে খোঁজখবর নিয়ে মন্দিরের পূর্ব-দরজা পার হয়ে অতীব সুন্দর ‘শ্রীলছমি কৃপা’ লজে পৌঁছলাম। তখন একটি সিঙ্গেল বেডরুমের ঘরের ভাড়া ছিল মাত্র পনেরো টাকা।
যাইহোক, লজে মালপত্তর রেখে ফ্রেশ হয়ে যাঁর পদপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি প্রথমেই সেই মহালক্ষ্মীকে দর্শন করলাম। তারপর এদিক সেদিক ঘুরে আবার চলে এলাম মন্দির এলাকায়। সেখানে রাতের খাওয়া সেরে পূর্ণ বিশ্রাম।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-পর্ব সেরে চলে এলাম কোলহাপুরের সুসজ্জিত জনপদের ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুরী পর্বতের কোলে পঞ্চগঙ্গার তীরে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতি মনোরম। ব্রহ্মপুরী অবশ্য টিলাকৃতি পর্বত। এখানে ব্রাহ্মণদের শেষকৃত্য হয়। পদ্মপুরাণে করবীর মাহাত্ম্যে আছে মহালক্ষ্মীর মহাস্থানে নারায়ণ করবীর রক্ষার্থে সতত বিরাজমান। পবিত্র পঞ্চগঙ্গা এই ক্ষেত্রকে দুই দিকে বেড় দিয়ে আছে। এর আট দিকে আট শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। আর পূর্ব দিকে আছেন ঔজ্জ্বল্য দেবী, পশ্চিমে সিদ্ধবটুকেশ মহাদেব, দক্ষিণে কাত্যায়নী ও উত্তরে রত্নেশ্বর। এই পঞ্চগঙ্গা দর্শনমাত্রেই মোক্ষলাভ। কাশ্যপমুনি এই পঞ্চগঙ্গার তীরে সহস্রবর্ষ তপস্যা করেন। মার্কণ্ডেয় মুনির তপোপ্রভাবে দেবাদিদেব মহাদেব এই পঞ্চগঙ্গায় পবিত্র জলরূপে প্রবহমান। এখানে পাষাণরূপে রয়েছেন ভগবান বিষ্ণু, বৃক্ষরূপে সমস্ত দেবতা এবং বালুকারূপে মুনিগণ। এখানকার কোটিতীর্থের কুণ্ড স্নানে জীবের জন্মান্তর রহিত হয়। আমি পঞ্চগঙ্গা স্নানের জন্য তৈরি হয়ে এসেছিলাম। তাই স্নান করে মন্দিরে গেলাম পুজো দিতে।
এখানকার মন্দিরে ভোর চারটে থেকেই পূজাপাঠ ও ভক্তসমাগম শুরু হয়ে যায়। এরপর সারাটা দিন ধরে দলে দলে তীর্থযাত্রীরা আসেন এখানে।
যাইহোক, আমি দু’চোখ ভরে মহালক্ষ্মীর মহারূপ দেখে ধন্য হলাম। মহালক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর বধের পূর্বে দেবী যে যে রূপ ধারণ করেন তার মধ্যে মহালক্ষ্মী একটি। এখানে পাণ্ডার কোনও উপদ্রব নেই। মন্দিরের পূজারীরাই সব। তাঁদেরই একজনের মুখে শুনলাম এখানকার মহালক্ষ্মী নাকি সম্পর্কে তিরুপতি বালাজির বোন। তাই প্রতি বছর বালাজির উৎসবের সময় একটি করে বেনারসি ও চোলি দেবীর জন্য নিয়ে আসেন বালাজির পূজারীরা। কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী এক অতি প্রাচীন শক্তিপীঠ। এর উল্লেখ কাশীখণ্ড, পদ্মপুরাণ, দেবী ভাগবত, হরিবংশ পুরাণ, স্কন্দপুরাণ সবেতেই আছে। কাশীখণ্ডে একে দক্ষিণকাশী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। করবীর মাহাত্ম্যে আছে, ‘বারাণস্যাধিকং ক্ষেত্রং করবীরপুরং মহৎ।’
দেবীর কৃপায় বিভিন্ন সময়ে রাজন্যবর্গের দানে মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার আজ কুবেরের ভাণ্ডারে পরিণত। ১২৪০ শকে যাদব রাজারা মহালক্ষ্মীর পুজো দিতে এসে প্রচুর ধনরত্ন দান করেন। রাজা ভোজদেব ১১১২ শকে এই মন্দিরে উমামহেশ্বর সহ পঞ্চোপচারে পূজা করেন ও প্রচুর ব্রাহ্মণাদি ভোজন করান। পরে দেবীর জীর্ণদ্বার সংস্কার করে দেন তিনি। চালুক্যরাজ ত্রিভুবনমল্ল ১২২৮ শকে তাঁর পত্নী লঘুমা দেবীকে নিয়ে মহালক্ষ্মী দর্শনে আসেন এবং ৪ একর জমি প্রদান করেন। শালিবাহন শকে চালুক্য রাজবংশের কর্ণদেব কোঙ্কণের মলুকগিরি যাওয়ার পথে এখানে আসেন এবং দীর্ঘদিন এখানে অবস্থান করেন। কর্ণদেব মহালক্ষ্মীর মন্দির সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির এখানে নির্মাণ করিয়ে দেন। ১২১২ সালে তৈলম নামে এক যাদব রাজা এই মন্দিরের মহাদ্বার নির্মাণ করিয়ে প্রচুর ধনরত্ন দান করেন এবং ইনি মহালক্ষ্মীর প্রাচীন মূর্তিটির বজ্রলেপ করান। ফলে মূর্তিটি বিশেষ স্পষ্টতা লাভ করে। রত্নগিরি দুর্গ দখলের পর ১৭১২ সালের ২১ নভেম্বর শিবাজী দেবীর মন্দির চূড়ায় একটি সোনার কলস বসিয়ে দেন। ১৫১০-১১ শকে শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুও এখানে মহালক্ষ্মী দর্শনে আসেন।
কোলহাপুর নিবাসীদের কাছে মহালক্ষ্মী অপরিহার্য। মহালক্ষ্মীর বিশাল মন্দির প্রাঙ্গণ সবিস্ময়ে দেখার মতো। অনেকটা আয়ুন্ধ নাগনাথের মতো। অনেকগুলি ছোট-বড় স্তম্ভের উপর নির্ভর করে এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। স্তম্ভগুলি এমনভাবে সাজানো যে গুনতে গেলে খেই হারিয়ে যায়। এই সুবিশাল মন্দিরে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে বিশাল তোরণ। দেবী এখানে দক্ষিণমুখী। দক্ষিণ তোরণে বহুদূর থেকে লক্ষাধিক লোকের ভিড়েও দেবীদর্শন হয়।
কথিত আছে, এই মহালক্ষ্মীর মন্দির শ্রীবিষ্ণু জয় ও বিজয় নামে দুই কারিগরকে দিয়ে এক রাতের মধ্যে নির্মাণ করান। পরে জয়-বিজয় পাথর হয়ে মন্দিরের অভ্যন্তরে দ্বারীরূপে বিরাজ করতে থাকেন। ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট জয়-বিজয়ের মূর্তি দেখবার মতো। কিংবদন্তি অনুসারে, স্বয়ং নারায়ণ এই মন্দিরকে সবসময় পাহারা দিচ্ছেন এবং সে জন্যই নাকি আরঙ্গজেবের রোষবহ্নিও এই মন্দিরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তবুও কপিল তীর্থের এক পূজারী মুঘল আক্রমণের সময়ে এখানকার কোটি তীর্থের জলে লুকিয়ে রেখেছিলেন মহালক্ষ্মীকে। তবে তার আগেই দেবী মহিমায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মুঘল বাহিনী স্থানত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মীকে দর্শনের পর আমার যেন আবার নতুন করে ভাগ্যোদ্বয় হল।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল
08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 গুয়াহাটি, ২০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): এনআরসির বিরোধিতায় শুক্রবার অসমজুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালন করা হয়। অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (একেআরএসইউ)-এর ডাকা ওই বন্঩ধে এদিন স্বাভাবিক ...

 ইন্দোনেশিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর: দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে এশিয়ান টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন জি সাথিয়ান। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের টপ র‌্যাঙ্কিং সাথিয়ান ১১-৭, ১১-৮, ১১-৬ পয়েন্টে হারালেন উত্তর কোরিয়ার আন-জি সংকে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের মাইক্রো-ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করবে। স্ব-ধন ‘ভারত মাইক্রো-ফিনান্স রিপোর্ট, ২০১৯’-এ প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে দাসপুর থানার গৌরা বাসস্টপে বিজেপি পথ অবরোধ করে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM