Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম। ট্রেন চার ঘণ্টা লেট করেছিল বলে আমি একেবারে সন্ধের মুখে গিয়ে কোলহাপুরে গিয়ে পৌঁছলাম। স্টেশনের সামনেই অনেক হোটেল রয়েছে দেখলাম কিন্তু সেগুলো আমার নাগালের বাইরে। আমার অবস্থা দেখে একজন মারাঠি ভদ্রলোক বললেন, ‘আপনি একা লোক, তাই আপনার উচিত হবে মন্দিরের পিছনেই ভবানীমণ্ডপে চলে যাওয়া। ওখানে প্রচুর সস্তায় লজ ও ধর্মশালা আছে।’
আমি সঙ্গে সঙ্গে একটি শেয়ারের অটো নিয়ে ভবানী মণ্ডপে চলে এলাম। এখানে এসে খোঁজখবর নিয়ে মন্দিরের পূর্ব-দরজা পার হয়ে অতীব সুন্দর ‘শ্রীলছমি কৃপা’ লজে পৌঁছলাম। তখন একটি সিঙ্গেল বেডরুমের ঘরের ভাড়া ছিল মাত্র পনেরো টাকা।
যাইহোক, লজে মালপত্তর রেখে ফ্রেশ হয়ে যাঁর পদপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি প্রথমেই সেই মহালক্ষ্মীকে দর্শন করলাম। তারপর এদিক সেদিক ঘুরে আবার চলে এলাম মন্দির এলাকায়। সেখানে রাতের খাওয়া সেরে পূর্ণ বিশ্রাম।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-পর্ব সেরে চলে এলাম কোলহাপুরের সুসজ্জিত জনপদের ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুরী পর্বতের কোলে পঞ্চগঙ্গার তীরে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতি মনোরম। ব্রহ্মপুরী অবশ্য টিলাকৃতি পর্বত। এখানে ব্রাহ্মণদের শেষকৃত্য হয়। পদ্মপুরাণে করবীর মাহাত্ম্যে আছে মহালক্ষ্মীর মহাস্থানে নারায়ণ করবীর রক্ষার্থে সতত বিরাজমান। পবিত্র পঞ্চগঙ্গা এই ক্ষেত্রকে দুই দিকে বেড় দিয়ে আছে। এর আট দিকে আট শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। আর পূর্ব দিকে আছেন ঔজ্জ্বল্য দেবী, পশ্চিমে সিদ্ধবটুকেশ মহাদেব, দক্ষিণে কাত্যায়নী ও উত্তরে রত্নেশ্বর। এই পঞ্চগঙ্গা দর্শনমাত্রেই মোক্ষলাভ। কাশ্যপমুনি এই পঞ্চগঙ্গার তীরে সহস্রবর্ষ তপস্যা করেন। মার্কণ্ডেয় মুনির তপোপ্রভাবে দেবাদিদেব মহাদেব এই পঞ্চগঙ্গায় পবিত্র জলরূপে প্রবহমান। এখানে পাষাণরূপে রয়েছেন ভগবান বিষ্ণু, বৃক্ষরূপে সমস্ত দেবতা এবং বালুকারূপে মুনিগণ। এখানকার কোটিতীর্থের কুণ্ড স্নানে জীবের জন্মান্তর রহিত হয়। আমি পঞ্চগঙ্গা স্নানের জন্য তৈরি হয়ে এসেছিলাম। তাই স্নান করে মন্দিরে গেলাম পুজো দিতে।
এখানকার মন্দিরে ভোর চারটে থেকেই পূজাপাঠ ও ভক্তসমাগম শুরু হয়ে যায়। এরপর সারাটা দিন ধরে দলে দলে তীর্থযাত্রীরা আসেন এখানে।
যাইহোক, আমি দু’চোখ ভরে মহালক্ষ্মীর মহারূপ দেখে ধন্য হলাম। মহালক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর বধের পূর্বে দেবী যে যে রূপ ধারণ করেন তার মধ্যে মহালক্ষ্মী একটি। এখানে পাণ্ডার কোনও উপদ্রব নেই। মন্দিরের পূজারীরাই সব। তাঁদেরই একজনের মুখে শুনলাম এখানকার মহালক্ষ্মী নাকি সম্পর্কে তিরুপতি বালাজির বোন। তাই প্রতি বছর বালাজির উৎসবের সময় একটি করে বেনারসি ও চোলি দেবীর জন্য নিয়ে আসেন বালাজির পূজারীরা। কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী এক অতি প্রাচীন শক্তিপীঠ। এর উল্লেখ কাশীখণ্ড, পদ্মপুরাণ, দেবী ভাগবত, হরিবংশ পুরাণ, স্কন্দপুরাণ সবেতেই আছে। কাশীখণ্ডে একে দক্ষিণকাশী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। করবীর মাহাত্ম্যে আছে, ‘বারাণস্যাধিকং ক্ষেত্রং করবীরপুরং মহৎ।’
দেবীর কৃপায় বিভিন্ন সময়ে রাজন্যবর্গের দানে মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার আজ কুবেরের ভাণ্ডারে পরিণত। ১২৪০ শকে যাদব রাজারা মহালক্ষ্মীর পুজো দিতে এসে প্রচুর ধনরত্ন দান করেন। রাজা ভোজদেব ১১১২ শকে এই মন্দিরে উমামহেশ্বর সহ পঞ্চোপচারে পূজা করেন ও প্রচুর ব্রাহ্মণাদি ভোজন করান। পরে দেবীর জীর্ণদ্বার সংস্কার করে দেন তিনি। চালুক্যরাজ ত্রিভুবনমল্ল ১২২৮ শকে তাঁর পত্নী লঘুমা দেবীকে নিয়ে মহালক্ষ্মী দর্শনে আসেন এবং ৪ একর জমি প্রদান করেন। শালিবাহন শকে চালুক্য রাজবংশের কর্ণদেব কোঙ্কণের মলুকগিরি যাওয়ার পথে এখানে আসেন এবং দীর্ঘদিন এখানে অবস্থান করেন। কর্ণদেব মহালক্ষ্মীর মন্দির সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির এখানে নির্মাণ করিয়ে দেন। ১২১২ সালে তৈলম নামে এক যাদব রাজা এই মন্দিরের মহাদ্বার নির্মাণ করিয়ে প্রচুর ধনরত্ন দান করেন এবং ইনি মহালক্ষ্মীর প্রাচীন মূর্তিটির বজ্রলেপ করান। ফলে মূর্তিটি বিশেষ স্পষ্টতা লাভ করে। রত্নগিরি দুর্গ দখলের পর ১৭১২ সালের ২১ নভেম্বর শিবাজী দেবীর মন্দির চূড়ায় একটি সোনার কলস বসিয়ে দেন। ১৫১০-১১ শকে শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুও এখানে মহালক্ষ্মী দর্শনে আসেন।
কোলহাপুর নিবাসীদের কাছে মহালক্ষ্মী অপরিহার্য। মহালক্ষ্মীর বিশাল মন্দির প্রাঙ্গণ সবিস্ময়ে দেখার মতো। অনেকটা আয়ুন্ধ নাগনাথের মতো। অনেকগুলি ছোট-বড় স্তম্ভের উপর নির্ভর করে এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। স্তম্ভগুলি এমনভাবে সাজানো যে গুনতে গেলে খেই হারিয়ে যায়। এই সুবিশাল মন্দিরে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে বিশাল তোরণ। দেবী এখানে দক্ষিণমুখী। দক্ষিণ তোরণে বহুদূর থেকে লক্ষাধিক লোকের ভিড়েও দেবীদর্শন হয়।
কথিত আছে, এই মহালক্ষ্মীর মন্দির শ্রীবিষ্ণু জয় ও বিজয় নামে দুই কারিগরকে দিয়ে এক রাতের মধ্যে নির্মাণ করান। পরে জয়-বিজয় পাথর হয়ে মন্দিরের অভ্যন্তরে দ্বারীরূপে বিরাজ করতে থাকেন। ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট জয়-বিজয়ের মূর্তি দেখবার মতো। কিংবদন্তি অনুসারে, স্বয়ং নারায়ণ এই মন্দিরকে সবসময় পাহারা দিচ্ছেন এবং সে জন্যই নাকি আরঙ্গজেবের রোষবহ্নিও এই মন্দিরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তবুও কপিল তীর্থের এক পূজারী মুঘল আক্রমণের সময়ে এখানকার কোটি তীর্থের জলে লুকিয়ে রেখেছিলেন মহালক্ষ্মীকে। তবে তার আগেই দেবী মহিমায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মুঘল বাহিনী স্থানত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মীকে দর্শনের পর আমার যেন আবার নতুন করে ভাগ্যোদ্বয় হল।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল
08th  September, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM