Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না। বারে বারে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছিল মৃত্যুর মুখোমুখি। কাদম্বরী দেবীর মনে তখন আর কোনও দ্বিধা ছিল না, সমস্ত বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করার সময় মনে হয়তো কোনও ব্যথাই জাগেনি। তিনি মৃত্যুর আলিঙ্গনে নিজেকে স্বেচ্ছায় সঁপে দিয়েছিলেন।
অন্য অনেকের মতো স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও কী নতুন বৌঠানের মৃত্যুর জন্য তাঁর নতুন দাদাকেই দায়ী বলে মনে করতেন! তা নাহলে কেন ‘দুই প্রাণের ভাই’ পরস্পর পরস্পরের থেকে চিরতরে দূরে সরে গিয়েছিলেন! সে কথা এখন থাক। আসুক মৃত্যু, ঝরে যাক অসংখ্য জীবন— আর সেই ভয়ঙ্করী মৃত্যুর ভয়াবহ আঘাত সহ্য করেও আমাদের প্রাণের মানুষ, মননের দেবতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে জীবন কাটিয়েছেন সেদিকে একবার চোখ রাখি। তিনি পেয়েছেন যত আঘাত, তত বেশি মেতে উঠেছেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। তাঁর কলম ঝরে নেমে এসেছে অসংখ্য কালজয়ী, বিশ্বজয়ী সৃষ্টি। একবার তাঁর লেখা ছোট্ট একটি গল্প ‘প্রথম শোক’-এর কথা মনে করুন। তিনি লিখছেন, অবশ্যই তাঁর নতুন বৌঠানের কথা ভেবেই— আমি জিজ্ঞাসা করলেম, ‘আমার সেই পঁচিশ বছরের যৌবনকে কি আজো তোমার কাছে রেখে দিয়েচ?’
সে বললে, ‘এই দেখ না আমার গলার হার।’ দেখলেম, সেদিনকার বসন্তের মালার একটি পাপড়িও খসেনি।
আমি বললেম, ‘আমার আর তো সব জীর্ণ হয়ে গেল, কিন্তু তোমার গলায় আমার সেই পঁচিশ বছরের যৌবন আজও তো ম্লান হয়নি।’
আস্তে আস্তে সেই মালাটি নিয়ে সে আমার গলায় পরিয়ে দিলে। বললে, ‘মনে আছে, সেদিন বলেছিলে, তুমি সান্ত্বনা চাও না, তুমি শোককেই চাও!’
লজ্জিত হয়ে বললেম, ‘বলেছিলেম। কিন্তু, তার পরে অনেক দিন হয়ে গেল, তার পরে কখন ভুলে গেলেম।’
সে বললে, ‘যে-অর্ন্তযামীর বর, তিনি তো ভোলেননি। আমি সেই অবধি ছায়াতলে গোপনে বসে আছি। আমাকে বরণ করে নাও।’
আমি তার হাতখানি আমার হাতে তুলে নিয়ে বললেম, ‘একি তোমার অপরূপ মূর্ত্তি!’
সে বললে, ‘যা ছিল শোক, আজ তাই হয়েচে শান্তি।’
মা সারদা দেবী যখন মারা যান তখন কবি নিতান্তই বালক। তখন মৃত্যুর ভয়াবহতা উপলব্ধি করার মতো বয়স তাঁর হয়নি। শোক বস্তুটি কী তা তিনি সেদিন বুঝতে পারেন নি। পরবর্তীকালে তাই তিনি লিখলেন,‘শিশুদের লঘু জীবন বড়ো বড়ো মৃত্যুকেও অনায়াসেই পাশ কাটাইয়া ছুটিয়া যায়, কিন্তু অধিক বয়সে মৃত্যুকে অত সহজে ফাঁকি দিয়া এড়াইয়া চলিবার পথ নাই। তাই সেদিনকার সমস্ত দুঃসহ আঘাত বুকে পাতিয়া লইতে হইয়াছিল।’
তিনি বুক পেতে মেনে নিয়েছিলেন নতুন বৌঠান, স্ত্রী মৃণালিনী দেবী ও তাঁর প্রিয়তম সন্তান এবং প্রিয়জনদের মৃত্যু। তাঁর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি বন্ধুবর দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাকে যে শোক দিয়াছেন তাহা যদি নিরর্থক হয় তবে এমন বিড়ম্বনা আর কি হইতে পারে। ইহা আমি মাথা নীচু করিয়া গ্রহণ করিলাম। যিনি আপন জীবনের দ্বারা আমাকে সহায়বান করিয়া রাখিয়াছিলেন তিনি মৃত্যুর দ্বারাও আমার জীবনের অবশিষ্ট কালকে সার্থক করিবেন। তাহার কল্যাণী স্মৃতি আমার সমস্ত কল্যাণ কর্মের নিত্য সহায়ক হইয়া আমাকে বলদান করিবে।’
কবি ঠিক কথাই বলেছিলেন। মৃণালিনী দেবী দেহে না থেকেও যে কোনও ছোট-বড় কাজে স্বামীর পাশে সবসময় থেকেছেন, দিয়েছেন পরামর্শ, কখনও বিরত করেছেন কোনও কর্ম থেকে। জোড়াসাঁকোর তেতলার ঘরে, মিডিয়ামের হাত ধরে এসেছেন মৃণালিনী দেবী। রবীন্দ্রনাথ জানতে চেয়েছিলেন, রথীর কাজে তোমার সম্মতি আছে? উত্তরে মৃণলিনী দেবী বলেছিলেন, সে কি আমায় জিজ্ঞাসা করবার! তার কাছে যিনি আছেন, তিনি দেবতার মতো আলো দেখাবেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেইসময় এক মহাবৈপ্লবিক কাণ্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠাকুর পরিবারে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম বিধবা বিবাহ। পুত্র রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিয়ে হবে শেষেন্দ্রভূষণ চট্টোপাধ্যায় ও বিনয়নী দেবীর কন্যা, গগনেন্দ্রনাথ , সমরেন্দ্র ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি বিধবা প্রতিমা দেবীর।
প্রতিমা দেবীকে অসম্ভব স্নেহ করতেন মৃণালিনী দেবী। তাঁর ইচ্ছে ছিল পুত্র রথীর সঙ্গে প্রতিমার বিয়ে দেওয়ার। কবিও জানতেন তাঁর স্ত্রীর এই ইচ্ছার কথা। প্রতিমা দেবীর যখন দশ বছর বয়স সেইসময় তাঁর অভিভাবকরা বিয়ের কথা বলতে জোড়াসাঁকোতে এসেছিলেন, কথা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তখন রথীন্দ্রনাথের বয়স মাত্র পনেরো বছর। তাই কবি তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার জন্য। কিন্তু সমাজের কথা ভেবে প্রতিমা দেবীর পিতা-মাতা অপেক্ষা করতে রাজি হননি। তাঁরা মেয়ের বিয়ের ঠিক করলেন রবীন্দ্রনাথের সহপাঠী নীরদনাথ মুখোপাধ্যায়ের পুত্র নীলানাথের সঙ্গে। তবে এই বিয়ে মোটেই সুখের হল না। বিয়ের ঠিক দুমাসের মাথায় গঙ্গায় সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা গেলেন নীলানাথ। অপয়া অপবাদ মাথায় নিয়ে পিতৃগৃহে ফিরে এলেন বিধবা প্রতিমা দেবী।
এরপর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা বছর। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিজ্ঞানে ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন রথীন্দ্রনাথ। সেদিন মা মৃণালিনী দেবীর ইচ্ছা পূর্ণ হয়নি, এবার হবে। ১৯১০ সালের ২৭ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার অবশেষে রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীর বিয়ে সম্পন্ন হল। প্রতিমা দেবী পরবর্তীকালে লিখলেন, ‘১৩১৬ সাল ১৪ মাঘ আমার বিয়ের দিন। বয়স তখন ষোলো। আমার স্বামীর বয়স একুশ। পাঁচ নম্বর মামার বাড়ির পাশেই ছয় নম্বর শ্বশুর বাড়ি—তার পরদিন ১৫ মাঘ শ্বশুরবাড়ি এলুম....।’
রথীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পর্কে অমিতাভ চৌধুরী মহাশয় লিখছেন, ‘অজিতকুমার চক্রবর্তীর কন্যা, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্রবধূ অমিতা ঠাকুরের কথায় আরও জানতে পারি, মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ নাকি স্ত্রীকে অনেকবার এনেছিলেন। এমন কি প্ল্যানচেটে মৃণালিনী দেবীর সম্মতি না পাওয়ায় পুত্র রথীন্দ্রনাথের বিবাহের বহু সম্বন্ধ ভেঙে যায় এবং মৃণালিনী দেবীর ইচ্ছানুসারেই অবনীন্দ্রনাথের বিধবা ভাগিনেয়ী প্রতিমা দেবীর সঙ্গে রথীন্দ্রনাথের বিবাহ হয়। প্ল্যানচেট ও মিডিয়াম নিয়ে শ্রীযুক্তা অমিতা ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি আমাকে বলেন, তাঁকে এই কথা বলেছেন দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্রবধূ, দীপেন্দ্রনাথের স্ত্রী ‘বড়মা’ হেমলতা দেবী। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করি, ১৩৫২ সালের বৈশাখ-আষাঢ় মাসে প্রকাশিত ‘বিশ্বভারতী পত্রিকা’য় দেশবন্ধু ভগ্নী ঊর্মিলা দেবীর রচনার একটি অংশ। তাতে তিনি লিখছেন যে, তাঁর মেজদিদি অমলা দাসকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী সম্পর্কে বলেন, ‘মানুষ মরে গেলেই যে একেবারে হারিয়ে যায়, জীবিত প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেকথা আমি বিশ্বাস করি না। তিনি (স্ত্রী) এতদিন আমাকে ছেড়ে গেছেন, কিন্তু যখনই আমি কোনো একটা সমস্যায় পড়ি, যেটা একা মীমাংসা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তখনই আমি তাঁর সান্নিধ্য অনুভব করি। শুধু তাই নয়, তিনি যেন এসে আমার সমস্যার সমাধান করে দেন। এবারেও আমি কঠিন সমস্যায় পড়েছিলাম, কিন্তু এখন আর আমার মনে কোনো দ্বিধা নেই।’ পুত্রের বিবাহবাসরে পূর্ব কথা স্মরণ করে অবশ্যই কবির মনে বেদনার ঝড় উঠেছিল! একদিন তিনিই পিতার আদেশ পালন করার জন্য ভেঙে দিয়েছিলেন আর এক বিধবার বিবাহ। তাঁর আদরের ভাইপো বলেন্দ্রনাথ মারা যান মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে। পরিবারের অনেকের ইচ্ছা ছিল বলেন্দ্রনাথের বিধবা পত্নী সাহানা দেবীকে পুনরায় পাত্রস্থ করার। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পুনরায় বিবাহে মত ছিল না। অন্য পুত্ররা সেদিন পিতার আদেশ পালন করতে চাননি, কনিষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্রনাথ পিতার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন, ভেঙে দিয়েছিলেন সেই বিয়ে। এজন্য তাঁর অবশ্যই আক্ষেপ ছিল। পরবর্তীকালে তাই বোধহয় তিনি বলেছিলেন,‘ আমি ব্রাত্য, আমি সমাজচ্যুত।’
(ক্রমশ)
অলংকরণ : চন্দন পাল 
01st  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৩

অপমৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব একটা মতামত ছিল। পরিণত বয়সে তিনি এ সম্পর্কে তাঁর মতামত মংপুতে থাকাকালীন মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,‘অপমৃত্যু সম্বন্ধে একটা কথা কি মনে হয় জানো, হঠাৎ যে বন্ধন ছিন্ন হয়, হয়তো তা সুসমঞ্জসভাবে ছিন্ন হয় না।  
বিশদ

11th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
আরাসূরীর অম্বাজি, পর্ব-২৩
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

গিরনারের অম্বাজির পর আরাসূরীর অম্বাজিকেও দর্শন করে আসা যাক এবার। রাজস্থানের অর্বুদ শিখরে ৫২ সতীপীঠের অন্তর্গত দেবী অম্বাজি আছেন। অম্বাজিতে আমি আগেও গিয়েছি।  
বিশদ

11th  August, 2019
যে মেঘ গাভীর মতো চরে
সুতপা বসু 

বেডরুমের লাগোয়া বারান্দায় তখন সিদ্ধার্থ আর বারিষ বৃষ্টির ছাট নিয়ে খেলছে। সিদ্ধার্থ বললো,‘ওই ছড়াটা বল, মনে আছে?’ বারিষ বুঝল তার বাবাই কোন ছড়ার কথা বলছে। সে লাফাতে লাফাতে সুর করে বলল, ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান...’ 
বিশদ

04th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেএমবির অন্যতম বড় মাথা আসাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার ভোররাতে চেন্নাইয়ের একটি বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে তাকে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তার কাছ থেকে মিলেছে একটি মোবাইল ফোন, ...

পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গোৎসবের আনন্দে। বাঙালিদের এই আনন্দ পরিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে সাজসাজ রব কুমোরটুলিতে। শুধু প্রতিমা তৈরি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার ছিল মহরম। তাই সোমবার সন্ধ্যাতেই রেফারি দীপু রায়ের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান আইএফএ সচিব। তিনি সাড়ে দশটা পর্যন্ত ছিল দপ্তরে। পুলিসের গাড়িতে ...

ইসলামাবাদ, ১০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আবেদনের শুনানির জন্য দুই সদস্যের বেঞ্চ গঠন করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-এর দাবি, বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মহসিন আখতার কিয়ানির ওই বেঞ্চে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুনানি শুরু ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM