Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 পর্ব-২৪ 

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান। তাই বেচারা দুর্গা এখানে বেচরাজি নামে খ্যাত।
মাহেসানা থেকে বেচরাজি যাওয়ার পথে ২৫ কিমি দূরে পড়ে ভারতের আর এক সূর্যমন্দির মধেরা। কোনারকের সূর্যমন্দিরের চেয়েও একশো বছরের প্রাচীন এটি।
বেচরাজিকে দর্শন করার আগে সূর্যমন্দির দর্শন করার লোভ সামলাতে পারলাম না। বাস থেকে নেমে সামান্য হাঁটাপথে যেতেই মাঠের মধ্যিখানে দেখতে পেলাম সেই সুপ্রাচীন সূর্যমন্দির। মন্দিরের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে তখন সেখানে পুরোদমে সংস্কারের কাজ চলছে (১৯৯০ সাল)। মন্দিরের ঠিক পিছনদিক দিয়েই বয়ে চলেছে পুষ্পবতী নদী। ১০২৬-২৭ খ্রিস্টাব্দে সোলাঙ্কি রাজ প্রথম ভীবদেব এই সূর্যমন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। এর ভিতর এবং বাইরের সমস্ত কারুকার্যগুলি এমনভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মনে হল মন্দির নয় মন্দিরের কঙ্কাল দেখছি যেন।
মন্দিরের সামনেই আছে চতুষ্কোণ একটি কুণ্ড। এর নাম সূর্য কুণ্ড। কেউ কেউ রামকুণ্ডও বলেন। মন্দিরের চারপাশে মোট ১০৮ ছোট মন্দিরও আছে। সেগুলিও এখন ধ্বংস দশা প্রাপ্ত।
মধেরার সূর্যমন্দিরটি ৫২ ফুট লম্বা ও ২৬ ফুট চওড়া। এর উপরিভাগ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বহুকাল আগেই। সূর্যমূর্তিও ধ্বংসের সময় থেকেই উধাও। তা হোক বহুচরা দেবীকে দর্শন করতে এসে মধেরার সূর্যমন্দির দর্শনও আমার এক পরম প্রাপ্তি।
সূর্যমন্দির দেখার পর যে দেবীকে দর্শন করবার জন্য এত দূরের পথ এসেছি সেই বহুচরা বা বেচরাজিকে দর্শন করতে চললাম এবার। পথের দূরত্ব ৩৫ কিমি। তখন বাসের ভাড়া ছিল দু’টাকা।
গায়কোয়াড় রাজ্যের অন্তর্গত মাহেসানা নগরের চুরাল গ্রামে বহুচরা দেবীর মন্দির। এই স্থানকে ৫২ পীঠের অন্তর্গত আদ্য সিদ্ধপীঠ হিসেবে মনে করেন অনেকে। এখানে সতীর বাম ও দক্ষিণ তালু, মতান্তরে মুণ্ড পতিত হয়েছিল। আমি অবশ্য ওই ধরনের বিভ্রান্তি বা মতান্তরের মধ্যে নেই। দেবীই আমার কাছে প্রধান।
যাই হোক, বহুচরা বা বেচরাজিতে যখন এসে পৌঁছলাম তখন দেখলাম রীতিমতো মেলা বসে গিয়েছে চারদিকে। এখন তো বাসন্তী নবরাত্রি চলছে। তাই শুধু আমি নই আরও অনেক যাত্রী এসেছেন এখানে। তাদেরই সঙ্গ নিয়ে চললাম। সামান্য কিছু পথ আসতেই পৌঁছে গেলাম মন্দিরে।
কী সুন্দর রম্য মন্দির! নবরাত্রির জন্য নতুন রং করা হয়েছে মন্দিরে। শিশু বৃদ্ধ যুবা ও নারীতে পরিপূর্ণ মন্দির প্রাঙ্গণ। তবে কিনা অত্যধিক যাত্রীর ভিড়ের জন্য এখানে আশ্রয় পাওয়া খুবই দুষ্কর। তাই মাহেসানায় ফিরে যেতেই হবে। যাই হোক আমার ভাগ্য প্রসন্ন বলেই মন্দির কমিটির বদান্যতায় একদিনের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা হয়ে গেল।
ঘরে ব্যাগ রেখে দর্শনে বেরলাম। মন্দিরে তখন পুজোপাঠ চলছে। আমি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আমার বহু আকাঙ্ক্ষিত বহুচরা দেবী বা বেচরাজিকে দর্শন করে আমার মনোবাসনা পূর্ণ করলাম। মূল মূর্তি ছোট্ট একটি কালো পাথরের। তাকে ঘিরেই চতুর্ভুজা দেবীর বড় রৌপ্যমূর্তি। ইনি বেচরাজি এবং বহুচরা।
বহুচরা শব্দের অর্থ বিশ্ববাসিনী। বহুচরণ করেন যিনি। ইতি ভূচরা বা পৃথিবী দেবী। সমগ্র গুজরাত প্রদেশে এই দেবীর দারুণ প্রভাব। যদিও এই দেবী দুর্গারই নামান্তর তবুও সাতদিনে তাঁর সাতরকম বাহন হয়। কখনও বাঘ, কখনও হাতি, কখনও ময়ূর ইত্যাদি।
আমি মন্দিরে পুজো দিয়ে দেবী দর্শনের পর সমগ্র এলাকায় ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। মন্দিরের বহিরাংশে অসংখ্য নৃত্যরতা রমণীর ভব্যমূর্তি খোদাই করা আছে দেখলাম। মন্দির প্রাঙ্গণের পিছনদিকে আছে একটি রেলিং ঘেরা জায়গায় অনেক তপস্বিনীর মূর্তি। এরই একপাশে দেবীর সারথি নরসিংহ বীরদাতার পবিত্র স্থান। এঁর একটি ছোট্ট মন্দিরও আছে। আছে মান সরোবর। সেখানে ছোট ছোট শিশুদের মুণ্ডন (ন্যাড়া) করা হচ্ছে। তাদের কচি কণ্ঠের কান্নায় তখন কান পাতা দায়। শয়ে শয়ে শিশুর মুণ্ডন। সে এক দেখার মতো দৃশ্য। উত্তরপ্রদেশে শাকম্ভরী শক্তিপীঠের শাকম্ভরী দেবীর মতো এই দেবী শিশুদের রক্ষা করেন। কচ্ছের রান অঞ্চলের আশাপুরা মাতা যেমন অনেকের আশা পূর্ণ করেন, তেমনই এখানকার এই দেবীর কাছে বন্ধ্যা নারীরা সন্তান কামনায় প্রার্থনা করলে তিনি সেই কামনা পূরণ তো করেনই উপরন্তু শিশুদেরও রক্ষা করেন। এই দেবী যেমনই বেচরা তেমনই বহুচরা। প্রতি রজনীতে তিনি আশপাশের গ্রামগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন। মানুষের দুঃখকষ্ট দূর করেন। বিশেষ করে সর্বক্ষণ শিশুদের রক্ষা করেন তিনি। তাই এই অঞ্চলে প্রবাদ আছে দেবীর কৃপায় এই চুরাল গ্রামে আজ পর্যন্ত অকালমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর কোনও ঘটনা নেই। দেবীর প্রতি এখানকার মানুষের এমনই বিশ্বাস ও ভক্তি যে, পাছে কালের প্রভাবে এই ‘বিশ্বাসে’ চিড় ধরে সেজন্য মেয়েরা গর্ভবতী হলেই তাদের বাপের বাড়ি বা গ্রামের বাইরে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
চুরালের বহুচরা তীর্থে এসে অনেক আনন্দ পেলাম আমি। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে গুজরাতি খানা খেয়ে মনও ভরে গেল। শুনলাম শারদ ও বাসন্তী নবরাত্রে এবং হোলিতে এখানে দারুণ উৎসব হয়। তখন এখানে থাকার জন্য সামান্য একটু জায়গাও মেলে না। আমি অবশ্য দৈবী কৃপায় ঘর পেয়েছি।
আজ রাতে এখানে গরবা নাচ হবে। গুজরাতি রমণীদের চরণছন্দে মেতে উঠবে এখানকার মন্দির প্রাঙ্গণ। আকাশ তারার মালায় সাজবে। নববধূর মতো লাজুক লাজুক মুখ করে তাকিয়ে দেখবে দশমীর চাঁদ। মাথায় গর্ভদীপ নিয়ে সুন্দরী রমণীদের নৃত্যের তালে তালে রাত ভোর হয়ে যাবে। একটি দুটি করে পাখি ডাকবে। জনতার উজান স্রোতে ভেসে ভেসে আমার তরীও একসময় গিয়ে ভিড়বে আহিসোনায় অথবা মাহেসানায়।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল
18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 ইন্দোনেশিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর: দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার হিসেবে এশিয়ান টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন জি সাথিয়ান। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের টপ র‌্যাঙ্কিং সাথিয়ান ১১-৭, ১১-৮, ১১-৬ পয়েন্টে হারালেন উত্তর কোরিয়ার আন-জি সংকে। ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে দাসপুর থানার গৌরা বাসস্টপে বিজেপি পথ অবরোধ করে।  ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: যাদবপুর-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেবে বঙ্গ বিজেপি। আজ এ কথা জানিয়েছেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি। তিনি বলেছেন, ‘যে রাজ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরই কোনও নিরাপত্তা নেই, সেই ...

বিএনএ, রায়গঞ্জ: দুই শিক্ষাকর্মীর বদলির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার উত্তাল হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স বিভাগের সামনে কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮: চিত্রপরিচালক মহেশ ভাটের জন্ম
২০০৪: চিত্রপরিচালক সলিল দত্তের মৃত্যু

20th  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৭,৯৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,০৪৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৫৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৭/১২ রাত্রি ৮/২১। রোহিণী ১৪/৪৩ দিবা ১১/২২। সূ উ ৫/২৮/২৩, অ ৫/৩১/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪১ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৯ গতে উদয়াবধি।
৩ আশ্বিন ১৪২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ২৫/২২/২১ দিবা ৩/৩৭/৫। রোহিণী ৭/১/২৪ দিবা ৮/১৬/৪৩, সূ উ ৫/২৮/৯, অ ৫/৩৩/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২০ মধ্যে ও ৭/৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৭ মধ্যে, বারবেলা ১/১/২৯ গতে ২/৩২/৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৮/৪৯ মধ্যে ও ৪/২/৪৯ গতে ৫/৩৩/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৫৮/৪৯ গতে ৫/২৮/২৮ মধ্যে।
২১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সন্তানের সাফল্যে মানসিক সন্তুষ্টি। বৃষ: ব্যবসায়িক সাফল্য। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে প্রভূত উন্নতি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস১৮৬৬: ব্রিটিশ সাংবাদিক, ঐতিহাসিক ও লেখক এইচ জি ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ
আজ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর ...বিশদ

08:21:33 PM

ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ
আরও একবার সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধধ্যায়। আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ...বিশদ

07:39:27 PM

অস্কারে মনোনীত ছবি-গালি বয়

06:03:00 PM

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে মারধর
স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে লাঠি-রড দিয়ে ...বিশদ

05:22:00 PM