Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৩

অপমৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব একটা মতামত ছিল। পরিণত বয়সে তিনি এ সম্পর্কে তাঁর মতামত মংপুতে থাকাকালীন মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,‘অপমৃত্যু সম্বন্ধে একটা কথা কি মনে হয় জানো, হঠাৎ যে বন্ধন ছিন্ন হয়, হয়তো তা সুসমঞ্জসভাবে ছিন্ন হয় না। যদি আত্মা বলে কিছু থাকে তাহলে তার পুরনো বন্ধন মুক্ত হয়ে নতুন অস্তিত্বে প্রবেশ করবার জন্য হয়তো একটা পথ পার হবার প্রয়োজন আছে। কিন্তু হঠাৎ যদি যোগসূত্র ছিন্ন হয়ে যায়, সে ছেদ হয়তো ভালো ভাবে হয় না। এক অস্তিত্ব থেকে অন্য অস্তিত্বে প্রবেশ তাই বিলম্বিত অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। জানিনে অবশ্য এসব কি হতে পারে বা না পারে, সমস্তই অনিশ্চিত, তবে মনে হয় অপমৃত্যু অস্বাভাবিক বলেই তার মধ্যে একটা যন্ত্রণা থাকা সম্ভব, তার যে ব্যবস্থা প্রস্তুত ছিল না। সে জন্যে আরো একটা কথা মনে হয়, যদি কারও মৃত্যু আসন্ন হয়ে আসে তখন আসক্ত হয়ে শোকাকুল হয়ে তাকে বন্ধ করাবার চেষ্টা উচিত নয়— আমার জীবনে যতবার মৃত্যু এসেছে, যখন দেখেছি কোনো আশাই নেই, তখন আমি প্রাণপণে সমস্ত শক্তি একত্র করে মনে করেছি— তোমাকে আমি ছেড়ে দিলাম, যাও তুমি তোমার নির্দিষ্ট পথে। নিজের সন্তানকেও আঁকড়ে রাখতে চাইনি। যেতে যখন হবেই, তখন যেন আমার আসক্তি, আমার বেদনা, তাকে মর্ত্যের সঙ্গে বেঁধে না রাখে। তাকে বন্ধন ছিন্ন করবার জন্যে যেন কষ্ট পেতে না হয়, যেন সুগম হয় তার পথ— যেখানে ত্যাগেই মঙ্গল, যেখানে নিরাসক্ত হয়ে ত্যাগ করাই উচিত। ঘটনাপ্রবাহ আমার হাতে নেই, কিন্তু আমি তো আমার হাতে আছি।’
অসংখ্য প্রিয়জনের মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন আমাদের প্রাণের মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই বোধহয় ঠাকুর বাড়ির প্রাচীন ঐতিহ্য প্ল্যানচেটের প্রতি তাঁর মন একসময় আকর্ষিত হয়েছিল। ঠাকুরবাড়ির একটি প্রিয় বিষয় ছিল প্ল্যানচেট। তার প্রথম উল্লেখ আমরা পাই ‘জীবনস্মৃতি’-তে। ঠাকুরবাড়ির জনৈক খাজাঞ্চি কৈলাস মুখুজ্জেকে যখন প্ল্যানচেটে আনা হয়, রবীন্দ্রনাথ তখন বালকমাত্র। মুখুজ্জেমশাই ইহলোকে রসিক ব্যক্তি ছিলেন। পরলোকে গিয়েও সেই রসিকতা তিনি বিস্মৃত হননি। প্ল্যানচেটের সাহায্যে তাঁকে যখন ডাকা হয় এবং জিজ্ঞাসা করা হয় পরলোক জায়গাটি কেমন, তিনি উত্তর দেন, মরে গিয়ে অতি কষ্টে যা তিনি জেনেছেন, প্রশ্নকর্তারা না মরে তা জেনে নেবেন— সেটি হবে না।
বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথের আর একটি প্ল্যানচেট-কাহিনীর উল্লেখ পাই তাঁরই একখানি চিঠি থেকে। একবার প্রমথনাথ বিশী চিঠি লিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা জানতে চান। কারণ একসময় মাইকেল নিয়মিত না হলেও প্রায়ই ঠাকুরবাড়িতে আসতেন। সেইসময়কার কোনও স্মৃতি রবীন্দ্রনাথের মনে আছে কিনা সেটাই তিনি জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমাদের বাড়িতে মাইকেলের গতিবিধির পরে আমার জন্ম। আমি তাঁকে দেখিনি। একবার প্রেতবাণীবহ চক্রযানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, সেটা সাক্ষ্যরূপে আদালতে গ্রাহ্য হবে না।’
অমিতাভ চৌধুরী লিখছেন, ‘১৯২৯ সালের পর রবীন্দ্রনাথের পারলৌকিক চিন্তাধারায় যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। সেই বছরই তিনি জানতে পারেন, তাঁর বিশিষ্ট বন্ধু শান্তিনিকেতনের একদা-অধ্যাপক ‘কাব্যগ্রন্থাবলী’-র লেখক মোহিতচন্দ্র সেনের কন্যা উমা দেবীর (বুলা) মিডিয়াম হবার যোগ্যতা আছে। তখন থেকে পরলোক সম্পর্কে তাঁর কৌতূহল শুধু বাড়েনি, পরলোকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের বাসনাও বেড়েছে। ঠাকুরবাড়ির ধারা অনুযায়ী, আগে যে সব পরলোকচর্চা করেছেন করেছেন সবই প্ল্যানচেট মারফত। ১৯২৯ সালেই সর্বপ্রথম মিডিয়ামের সাহায্য নিলেন। প্রথমে অবশ্য তিনি কিঞ্চিৎ সন্দিগ্ধ ছিলেন।
উমা দেবী বা বুলা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি রানি মহলানবিশকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘সেদিন বুলা এসেছিল। হঠাৎ কথায় কথায় প্রকাশ পেল তার হাতে প্রেতাত্মা ভর করে পেন্সিল চালিয়ে কথা কইতে পারে। বলাবাহুল্য শুনে মনে মনে হাসলুম। বললুম— আচ্ছা দেখা যাক। প্রথমে নাম বেরোল মণিলাল গাঙ্গুলি। তার কথাগুলোর ভাষা এবং ভঙ্গির বিশেষত্ব আছে। উত্তরগুলো শুনে মনে হয় যেন সেই কথা কইছে।’
কিন্তু কে ছিলেন এই মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়! ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর কি কোনও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল? তিনি ছিলেন অবনীন্দ্রনাথের জামাতা। তাঁরই পুত্র মোহনলাল ও শোভনলাল গঙ্গোপাধ্যায়। ঠাকুরবড়িতেই থাকতেন। ‘ভারতী’ গোষ্ঠীর খ্যাতনামা সাহিত্যিক। বহু ছোট গল্প লিখেছেন। বাংলা রঙ্গালয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। জীবিতকালে মণিলালের বাতিক ছিল প্রেতচর্চা। তিনি মারা যান ১৯২৯ সালে। মনে হয় মৃত্যুর কয়েকদিন পরেই তিনি এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথের পরলোক চর্চার আসরে।
তবে কয়েকদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পেরেছিলেন বুলা সত্যিই উচ্চমানের মিডিয়াম। এরপর থেকে বুলার এই অদ্ভুত ক্ষমতার প্রতি কবির সত্যই বিশ্বাস জন্মেছিল। এইপ্রসঙ্গে ‘রবীন্দ্রজীবনী’ গ্রন্থে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখছেন, ‘বাল্যকাল ও যৌবনে রবীন্দ্রনাথ কৌতুকছলে, কখনও কৌতূহলবশে পরীক্ষা করিয়াছিলেন। বৃদ্ধবয়সে এতকাল পরে পরিচিতা কন্যার মিডিয়ামে অতিপ্রাকৃত রহস্যলোকে প্রবেশের ইচ্ছা হইল। বুলার অসামান্যতার কথা কবির মুখে শুনিয়াছি। অতি জটিল প্রশ্ন করিবার সঙ্গে সঙ্গে অসম্ভব ক্ষিপ্রবেগে তাহার কম্পমান হস্ত হইতে উত্তর লেখা হইয়া যাইত। প্রশ্নের উত্তর দেখিয়া কবি স্তম্ভিত।’
পরলোকচর্চার আসরে মিডিয়ামের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ যেসব আত্মাকে আগ্রহ করে ডেকেছেন তাঁদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন কবিগুরুর অত্যন্ত ঘনিষ্ট প্রিয়জন তাঁদের মধ্যে ছিলেন নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী, স্ত্রী মৃণালিনী দেবী, জ্যেষ্ঠাকন্যা মাধুরীলতা (বেলা), কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ, নতুন দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ, ভ্রাতুষ্পুত্র হিতেন্দ্রনাথ এবং বলেন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রী সাহানা দেবী, ভ্রাতুষ্পুত্রী অভিজ্ঞা, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় সহ আরও অনেকে। শুধু তাই নয় তাঁর সেই আসরে রবীন্দ্রনাথ না ডাকলেও চলে আসতেন অনেকে এবং সেই তালিকাটা মোটেই ছোট নয়।
(ক্রমশ) 
11th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
আরাসূরীর অম্বাজি, পর্ব-২৩
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

গিরনারের অম্বাজির পর আরাসূরীর অম্বাজিকেও দর্শন করে আসা যাক এবার। রাজস্থানের অর্বুদ শিখরে ৫২ সতীপীঠের অন্তর্গত দেবী অম্বাজি আছেন। অম্বাজিতে আমি আগেও গিয়েছি।  
বিশদ

11th  August, 2019
যে মেঘ গাভীর মতো চরে
সুতপা বসু 

বেডরুমের লাগোয়া বারান্দায় তখন সিদ্ধার্থ আর বারিষ বৃষ্টির ছাট নিয়ে খেলছে। সিদ্ধার্থ বললো,‘ওই ছড়াটা বল, মনে আছে?’ বারিষ বুঝল তার বাবাই কোন ছড়ার কথা বলছে। সে লাফাতে লাফাতে সুর করে বলল, ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান...’ 
বিশদ

04th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২২

শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের বাজার সরকার। মাসিক বেতন কুড়ি টাকা। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর কেমন লতায়-পাতায় আত্মীয়তা ছিল বলেও শোনা যায়।  
বিশদ

04th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
গিরনারের অম্বাজি পর্ব-২২
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

মরুভূমি ত্যাগ করে এবার যাওয়া যাক রৈবতক পর্বতে। এখানে বিরাজ করছেন অম্বাজি। সারা ভারতে, বিশেষ করে হিন্দিবলয়ে দেবী দুর্গা অম্বাজি নামেই প্রসিদ্ধ। অম্বিকা থেকে অম্বা, অম্বে, অম্বাজি।  
বিশদ

04th  August, 2019

দারোগা চমকিতচরণ
 
রতনতনু ঘাটী


দরকার পড়লে দারোগাবাবুকে চোর খুঁজতেও বেরতে হয়। কিন্তু আজ তিন দিন হল উদ্ভুট্টিডিহি থানা এলাকায় এক আজব কাণ্ড ঘটেছে। বড় দারোগা চমকিতচরণ দত্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই থানা এলাকার দাগি চোরদের ধরে ধরে এনে থানায় পুরবেন।
বিশদ

28th  July, 2019
পুণ্যভূমির পুণ্য ধুলোয়
মরুতীর্থ ও ওশিয়াঁ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

করাচি শহর থেকে ৩০০ কিমি দূরে লাসাবেলার বিস্তীর্ণ ও ভয়াবহ মরুভূমির বুকে হিঙ্গুলা নদীর তীরে যেমন হিংলাজ মাতার গুহা মন্দির, তেমনই রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকে যোধপুর থেকে ৬৫ কিমি দূরে হল ওশিয়াঁ মাতার রম্য মন্দির। মরুভূমির বুকে মহাতীর্থ। মরুতীর্থ ওশিয়াঁ।
বিশদ

28th  July, 2019
 ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 ঘরে উপস্থিত সবাই বুঝতে পারলেন নিত্যরঞ্জন ঘোষের শরীরে কোনও অতৃপ্ত, ক্রুদ্ধ আত্মা ভর করেছেন। সেজবাতির আলোটা একটু বাড়িয়ে দিয়ে ডাক্তার রাজকৃষ্ণ মিত্র বললেন, হ্যাঁ, আমরা আপনার সম্পর্কে সবকিছু জানতে চাই। আপনি কে? আপনার নাম কী?
বিশদ

28th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
মরুতীর্থের দেবী, পর্ব ২০
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 আমার বারো বছর বয়সের সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে তীর্থযাত্রায় গিয়ে দ্বারকা থেকে ফেরার পথে ভাটিয়া স্টেশনে নেমে সমুদ্রের খাড়ি পার হতে হয়েছিল। ওখান থেকে গন্তব্য ছিল সুদামাপুরী (পোরবন্দর)। পথে যেতে যেতে এক জায়গায় বাসযাত্রীরা সবাই নেমে পড়লেন এক জাগ্রতা দেবীকে দর্শন করবার জন্য।
বিশদ

21st  July, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 একদিন মিউগেন্স সাহেবকে বললাম, আমি বাড়িতে মাঝে মাঝে মিডিয়াম হয়ে ‘স্পিরিটের’ সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুব ভালো পারছি বলে মনে হচ্ছে না। মিউগেন্স সাহেবের গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার বললাম, — অথচ বিলেতের কাগজে পড়েছি, এফিসিয়েন্ট মিডিয়ামের সাহায্যে তারা একান্ত আপনজনের স্পিরিট নিয়ে আসছে....
বিশদ

21st  July, 2019
এমনি বরষা ছিল সেদিন
ছন্দা বিশ্বাস

দশ দিন হতে চলল অর্ণব ঠাকুরপোকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনিকেতের ছেলেবেলার বন্ধু অর্ণব। আমার বিয়ের পরে বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এসেছে। তারপর বহুদিন আর দেখা হয়নি। মাঝখানে হঠাৎ একদিন এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেও বেশ কিছুদিন হতে চলল। অনিকেত শুনলাম থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করেছে।
বিশদ

14th  July, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোটা বিশ্বেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাড়ছে দ্রুত। নতুন প্রজন্ম অর্থ উপার্জন করছে বলেই এই শ্রেণীর বাড়বাড়ন্ত। সরকারেরও উচিত তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। সেই কারণেই সরকার যতটা পেনশন খাতে খরচ করে, তার চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষা খাতে ...

করাচি, ১৭ আগস্ট (পিটিআই): পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল পাঁচজনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ তালিবান নেতা মুল্লা হাইবাতুল্লার ভাই হাফিজ আহমাদুল্লা। কোয়েত্তা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কুচলক এলাকায় রয়েছে শেখ হাইবাতুল্লা মাদ্রাসা। ...

সংবাদদাতা, বসিরহাট: ভ্যাপসা গুমোট গরমের শেষে একটানা বৃষ্টির স্বস্তি এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বসিরহাট পুরসভা এলাকায়। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শুধু হাওড়া শহর সংলগ্ন এলাকায় নয়, হাওড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এবার শিল্প স্থাপনে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। তার জন্য উদয়নারায়ণপুরের কান্দুয়ায় ৪০০ একর জমি বাছা হয়েছে। তার মধ্যে ১৭০ একর জমি কেনাও হয়ে গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM