Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
আরাসূরীর অম্বাজি, পর্ব-২৩
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

গিরনারের অম্বাজির পর আরাসূরীর অম্বাজিকেও দর্শন করে আসা যাক এবার। রাজস্থানের অর্বুদ শিখরে ৫২ সতীপীঠের অন্তর্গত দেবী অম্বাজি আছেন। অম্বাজিতে আমি আগেও গিয়েছি। এবার বাসন্তী নবরাত্রিতে আরও একবার যাবার মন করলাম। কেন না একই মাতার স্নেহালিঙ্গনে ভারতের সমস্ত সতীপীঠগুলি এখন উৎসবময়। সর্বতীর্থই এখন ধর্মীয় ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ। বিশেষ করে গুজরাত প্রদেশে তো মহোৎসব।
মাউন্ট আবুতে তিন-চারবার গেলেও অম্বাজিতে এলাম দু’বার। আবু রোড স্টেশন থেকে অম্বাজির দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। প্রতি বছর বিভিন্ন সময়ে অগণিত তীর্থযাত্রী এই মহাতীর্থে এসে থাকেন। অর্বুদাচল বা অম্বাজি তীর্থের এই অম্বাজির নাম ভারতময় বিখ্যাত।
অনেকেই মাউন্ট আবু দেখার পর অম্বাজিতে গিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না। শতকরা আশিজন যদি মাউন্ট আবুতে যান, তো কুড়ি জন অম্বাজিতে আসেন। অথচ স্থানটি শুধু তীর্থভূমি নয়, অতীব রম্যস্থান। এখানে যাতায়াতেরও কোনও অসুবিধা নেই।
আমি অম্বাজিতে এসে আগে যেখানে উঠেছিলাম সেই পুরুষোত্তম ধর্মশালাতেই উঠলাম। এই নবরাত্রির সময়েও মাতৃমহিমায় ঘর পেতে কোনও অসুবিধে হল না আমার।
ধর্মশালায় জিনিস রেখে প্রথমেই চললাম দেবী দর্শনে। দলে দলে যাত্রীরা চলেছেন ‘জয় অম্বে’ ধ্বনি দিয়ে। যাত্রীদের মধ্যে রাজস্থানি এবং গুজরাতিই বেশি। লাল চোলি, নারকেল, ধূপ, সিঁদুর আর ফুলমালা নিয়ে চলেছেন সবাই। ওইরকম একটি ডালি নিয়ে আমিও চললাম। মন্দির খুব কাছেই। সেই পুরনো মন্দির ভেঙে এখন নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে। দেবীর অধিষ্ঠানও এখন দোতলায়। যাই হোক, বিশাল মন্দির প্রাঙ্গণের সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠে দর্শনের জন্য লাইন দিলাম। ভাগ্য ভালো যে, নবরাত্রি উপলক্ষেও ভিড় বেশি ছিল না। তাই অনায়াসেই দেবীকে দর্শন করলাম। এখানে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। দেবী এখানে যন্ত্রে স্থিতা। এদেশে পাণ্ডার উপদ্রব নেই। পূজার ডালি এগিয়ে দিতেই পূজারীরা তা দেবীর যন্ত্রে স্পর্শ করিয়ে ফেরত দিলেন। পূজার প্রসাদ নিয়ে এবার এলাম চাচরে। চাচর হল বিশাল নাটমন্দিরে দেবীর সম্মুখে এক জ্বলন্ত কটাহ। এর অনির্বাণ দীপশিখা কোন সুপ্রাচীনকাল থেকে জ্বলে আসছে তা কেউ জানে না। ভক্তযাত্রীগণ সেই কটাহ মধ্যে সাধ্যমতো ঘি ঢালছেন। দেবী নাকি এতেই প্রসন্না হন। অম্বাজির মন্দির শ্বেত-পাথরের। মন্দিরের সামনে যে বিশাল প্রাঙ্গণ তাকেও চাচর বলা হয়। শারদ ও বাসন্তী নবরাত্রিতে গুজরাতি মেয়েরা এখানে গরবা নাচেন।
মন্দির দর্শন করে এর পিছনে মান সরোবর নামে এক জলাশয় আছে, সেটি দেখতে গেলাম। এর নাম দেবী কুণ্ড। তীর্থযাত্রীরা এই কুণ্ডে স্নান করে দেবীকে দর্শন করতে যান।
মন্দির দর্শনের পর এবার আমি চললাম দেবীর মুখ্য স্থান দর্শন করতে। অম্বাজি ক্ষেত্র থেকে আড়াই কিমি দূরে ছোট্ট একটি পর্বতের উপর দেবীর মুখ্য স্থান। এটি ‘গব্বর’ নামে পরিচিত। এখানে যাওয়ার জন্য শেয়ারের ট্যাক্সি মেলে। আমি এমনই একটি ট্যাক্সি নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘গব্বরে’ এলাম। দারুণ রমণীয় মনোমুগ্ধকর পার্বত্য পরিবেশ এখানকার। বনময় এই স্থানও যাত্রী সমাগমে জমজমাট। গব্বরে গিয়ে পর্বতারোহণ শুরু করলাম। ছোট্ট পর্বত কিন্তু ভয়ঙ্কর খাড়াই। মোচাকৃতি ও বৃক্ষবিরল। এই পর্বতে আরোহণ দুর্বল ও অশক্ত লোকেদের পক্ষে কষ্টকর। তাই এখানে ডুলির ব্যবস্থাও আছে।
পাহাড়ের বেশ কিছুটা উচ্চস্থানে ওঠার পর একটি বিশাল আয়তনের গুহার সামনে এসে দাঁড়ালাম। এই স্থানটির নাম দেবী কি ঝুলা। এখানে পুরোহিত আছেন। পুলিস পাহারাও আছে। একটি সুবৃহৎ পাথরের ফাটলে অনেক যাত্রী কান পাতছেন। কী ব্যাপার? পুরোহিত বললেন, ‘এই ফাটলে কান পাতলে হরগৌরীর কথোপকথন শুনতে পাওয়া যায়।’ ভীষণ কৌতূহল হল আমার। ভিড় একটু কম হলে অনেকক্ষণ কান পেতে রইলাম। কিন্তু না। কোনও শব্দই কানে এল না আমার। হয়তো আমি ভাগ্যবান নই।
এরপর খাড়াই বেয়ে আবার উপরে ওঠা। পথটি খুবই বিপজ্জনক। সেই পথ পার হয়ে আরও এক গুহামন্দিরে ঢুকলাম। ভেবেছিলাম এটাই দেবীর মুখ্যস্থান। কিন্তু পুরোহিতরা বললেন, ‘না। সে স্থান আরও উপরে।’
অতএব আরও উচ্চস্থানে গিরিশৃঙ্গের শীর্ষদেশে পৌঁছলাম। এখানেই দেবী দুর্গা শিবের জন্য সহস্র বছর তপস্যা করেছিলেন। এই সেই মহাপীঠ, যেখানে সতীর অঙ্গ ‘বাঁয়া পের কি অঙ্গুলি গিরা থা’ অর্থাৎ বাঁ-পায়ের আঙুল পড়েছিল। এখানে সামান্য একটু সমতল আছে। তারই একপাশে দেবীর মুখ্যস্থান। সেখানে পুলিস প্রহরায় জোর পুজো-পাঠ চলছে তখন। সেই স্থানের সৌন্দর্যের কোনও তুলনা নেই। ছোট্ট একটি মন্দিরে আছেন অম্বাজি। এখানেও দেবীর সম্মুখে ঘৃত প্রদীপ জ্বলছে। শুধুমাত্র জানা না থাকার কারণে এই রম্যস্থানে এর আগে আসিনি ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে দেবীর কৃপায় এ যাত্রায় দর্শন থেকে যে বঞ্চিত হলাম না এই ভেবেই আনন্দে নন্দিত হলাম। এবার অন্য পথে নীচে নামা। অবতরণ কষ্টের নয়। তাই সহজেই নেমে এলাম। পরদিন সকালে চললাম এখান থেকে পাঁচ কিমি দূরে গুজরাত প্রদেশে সরস্বতীর উৎস দেখতে। এখানেও অনুচ্চ একটি পাহাড়ের উপর সরস্বতীর উৎস। সরস্বতী এখানে বেগবতী ও স্রোতস্বিনী। উৎসমুখ থেকে নেমেই সরস্বতী কুণ্ড। ঝর্ণার আকারে বয়ে এসে নদী এখানে গোমুখ কুণ্ডে পড়ছে। এর পাশেই কোটীশ্বরের শিব মন্দির। মন্দিরটি অতি প্রাচীন।
আমি সরস্বতী কুণ্ডে স্নান করার পর বাল্মীকির তপোবনে এলাম। তপোবন কোটীশ্বরের নীচে। শোনা যায়, মহামুনি বাল্মীকি নাকি রামায়ণ রচনার আগে এখানে সরস্বতীর কৃপালাভের আশায় আশ্রম রচনা করে কিছুকাল বসবাস করেন। ফেরার পথে এলাম কুম্ভারিয়াজির মন্দির দেখতে। কী অনবদ্য ভাস্কর্য সেই মন্দিরের। আরও একবার অম্বাজি-দর্শনে না এলে এ সবই আমার অদেখা রয়ে যেত। সেদিনটা ছিল বাসন্তী নবরাত্রির মহাষ্টমী। মন্দির প্রাঙ্গণে লোক যেন ভেঙে পড়েছে। অম্বাজির সন্ধ্যারতির সময় চাচরে এসে বসলাম। তখনই শুরু হল গুজরাতি রমণীদের অনবদ্য গরবা নাচ। নাচের সঙ্গে গান। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নৃত্যগীত সমানে চলতে লাগল। নির্মেঘ আকাশে অসংখ্য নক্ষত্র আর নীচে দেবী মন্দিরে ঘৃতদীপালোকে সেই রমণীয় নৃত্যকলা এখানকার পরিবেশটাকে যেন স্বর্গীয় করে তুলল। এবারের যাত্রায় আমারও জন্মান্তর হল। (ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
11th  August, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
পাওয়াগড়ের কালী, পর্ব-২৫
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

‘আদ্যেতে বন্দনা করি হিঙ্গুলার ভবানী। তারপরে বন্দনা করি পাওয়াগড়ের কালী।’ পাওয়াগড় যেতে হলে গুজরাত প্রদেশের বারোদা থেকেই যাত্রা শুরু করতে হবে। বারোদা এখন নাম পাল্টে ভাদোদারা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কুঞ্জবিহারী
তরুণ চক্রবর্তী 

‘জানো তো হাটতলার কোণে পান-বিড়ির একটা দোকান দিয়েছে কুঞ্জবিহারী?’
গাঁয়ের বাড়িতে গিয়ে কথাটা শুনে প্রথমে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারিনি— অ্যাঁ, ঠিক শুনছি তো?
কথাটা যে ঠিক, এখন দোকানটা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষেই তা দেখছি আর উপভোগ করছি বিস্ময়ের আনন্দ। 
বিশদ

25th  August, 2019
এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
বিশদ

18th  August, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
বহুচরা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

গুজরাত প্রদেশে আর এক তীর্থে আছেন বহুচরা দেবী। দিল্লি অথবা আমেদাবাদ থেকে মাহেসানায় নেমে এই তীর্থে যেতে হয়। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন বেচরাজি। কিন্তু কেন ইনি বেচরাজি? প্রবাদ, বহুকাল আগে এক চাষি চাষ করতে করতে এখানকার দেবী দুর্গা বা অম্বিকাকে খেতের মধ্যে কুড়িয়ে পান।
বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 পাত্রীর ডাকনাম ফুলি, ভালোনাম ভবতারিণী। বিয়ের পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর আর একটি ডাক নাম পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলেন মৃণালিনী। শুরু হল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বিশদ

18th  August, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৩

অপমৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব একটা মতামত ছিল। পরিণত বয়সে তিনি এ সম্পর্কে তাঁর মতামত মংপুতে থাকাকালীন মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,‘অপমৃত্যু সম্বন্ধে একটা কথা কি মনে হয় জানো, হঠাৎ যে বন্ধন ছিন্ন হয়, হয়তো তা সুসমঞ্জসভাবে ছিন্ন হয় না।  
বিশদ

11th  August, 2019
যে মেঘ গাভীর মতো চরে
সুতপা বসু 

বেডরুমের লাগোয়া বারান্দায় তখন সিদ্ধার্থ আর বারিষ বৃষ্টির ছাট নিয়ে খেলছে। সিদ্ধার্থ বললো,‘ওই ছড়াটা বল, মনে আছে?’ বারিষ বুঝল তার বাবাই কোন ছড়ার কথা বলছে। সে লাফাতে লাফাতে সুর করে বলল, ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান...’ 
বিশদ

04th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেএমবির অন্যতম বড় মাথা আসাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার ভোররাতে চেন্নাইয়ের একটি বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে তাকে। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তার কাছ থেকে মিলেছে একটি মোবাইল ফোন, ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর সময়ে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সামাল দিতে সাপ্তাহিক ১৩ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তারা জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই-সাঁতরাগাছি রুটে ট্রেনগুলি চালানো হবে। ...

ইসলামাবাদ, ১০ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): আল-আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আবেদনের শুনানির জন্য দুই সদস্যের বেঞ্চ গঠন করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-এর দাবি, বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মহসিন আখতার কিয়ানির ওই বেঞ্চে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুনানি শুরু ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রেজা। শুক্রবার থেকে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ টানা চিকিৎসা চলেছে তাঁর। ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ বিভূতি সাহার অধীনে ভর্তি হন রেজা সাহেব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম
১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন
১৯০৮- বিপ্লবী বিনয় বসুর জন্ম
১৯১১- ক্রিকেটার লালা অমরনাথের জন্ম
২০০১- নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এবং পেন্টাগনে বিমান হানায় অন্তত ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৫৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৫৭ টাকা ৮০.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
10th  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৯/১৩ শেষ রাত্রি ৫/৭। শ্রবণা ২১/২৫ দিবা ১/৫৯। সূ উ ৫/২৫/৩১, অ ৫/৪১/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৮ মধ্যে।
২৪ ভাদ্র ১৪২৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ত্রয়োদশী ৫৮/৩৭/১১শেষরাত্রি ৪/৫১/৫৭। শ্রবণা নক্ষত্র ২৪/৫৬/২৬ দিবা ৩/২৩/৩৯, সূ উ ৫/২৫/৫, অ ৫/৪৩/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৯/৩১ গতে ১১/১০ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৪/২৫ গতে ১/৬/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৯/৪৫ গতে ১০/২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯/৪৫ গতে ৩/৫৭/২৫ মধ্যে। 
 ১১ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। বৃষ: পারিবারিক অশান্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৬২- মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরির জন্ম১৮৯৩- শিকাগোর ধর্ম সম্মেলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন 
রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া মোটর ভেইকেলস আইন। আজ ...বিশদ

06:41:55 PM

এবার রেল স্টেশনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
এবার একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না ...বিশদ

04:56:20 PM

কৈখালিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক 

04:17:00 PM

কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি রুখতে জেলায় সাহায্য কেন্দ্র খুলবে সরকার 
ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর ধরে অনলাইনেই চলছে। তবুও দুর্নীতি ...বিশদ

03:56:24 PM