Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
দেবী ত্রিপুরমালিনী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-১৪

এবার বলি দেবী ত্রিপুরমালিনীর কথা। পীঠ নির্ণয় তন্ত্রে আছে ‘ভীষণা ভৈরবস্তত্র দেবী ত্রিপুরমালিনী’। পাঞ্জাব প্রদেশে এই সতীপীঠ জলন্ধর পীঠ নামে খ্যাত। কিন্তু এই পীঠ সম্বন্ধে নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়ার কারণে এর সঠিক অবস্থান কিছুতেই নির্ণয় করতে পারিনি। অবশেষে কাশীর এক মাতাজির পরামর্শে আমি জলন্ধরে গিয়েই জলন্ধর পীঠের অনুসন্ধান করব এই স্থির করলাম। তাই একদিন বারাণসী থেকেই দুপুর বারোটা পঞ্চাশের বেগমপুরা এক্সপ্রেসে জলন্ধরের পথে রওনা হলাম।
ভাগ্যক্রমে এই ট্রেনে আমার সহযাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা বৈষ্ণোদেবী যাত্রী ছিলেন। আমি জলন্ধর পীঠ যাচ্ছি শুনে ওঁদেরই একজন বললেন, ‘জলন্ধর পীঠ দেবী কা মুখ্য পীঠ। লেকিন উধার যাকে দেবীতালাও বোলনা পড়েগি। তব মালুম হো যায়েগি সবকো।’
ব্যস। সেদিন এবং রাতটা বেশ ভালোভাবেই কাটল। পরদিন সকালে জলন্ধর ক্যান্ট থেকে সিটিতে এসে রওনা হলাম দেবী তালাওয়ের পথে। ভাড়া শেয়ারের অটোয় দশ টাকা।
এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা অঞ্চলের মধ্যে দেবীতালাও বা জলন্ধর পীঠ। তোরণ পার হলেই প্রকট স্থানে পৌঁছনো যায়। প্রথমেই চোখে পড়ে দেবীতালাও। বিশাল একটি স্বচ্ছ জলের সরোবর। এখানে দেবীর বাম স্তন পতিত হয়েছিল। কালিকাপুরাণে আছে ‘জলন্ধরে স্তনযুগং স্বর্ণহার বিভূষিতম্‌’। দেবী এখানে ত্রিপুরমালিনী। যেখানে দেবীপীঠ সেখানেই ভৈরব। ভৈরবও তাই এখানে বিরাজমান। এই পীঠ হল ষষ্ঠ মহাপীঠ।
জলন্ধর মাহাত্ম্যে আছে, পুরাকালে জলন্ধর নামে এক দৈত্যের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দেবতারা যুদ্ধ ঘোষণা করলে বহুবর্ষ ধরে দেব-দানবের এক তুমুল যুদ্ধ চলতে থাকে। ভগবান বিষ্ণু ও মহাদেবের কপট মায়ায় জলন্ধর যখন জর্জরিত, মরণাপন্ন, তখন দুই দেবতাই জলন্ধর পত্নী বৃন্দার অভিশাপের ভয়ে জলন্ধরকে প্রত্যক্ষ দর্শন দিয়ে বর প্রার্থনা করতে বললেন। জলন্ধর তখন করজোড়ে বলল, ‘হে সর্বশক্তিমান প্রভু, যদিও আপনারা আমায় কপট যুদ্ধে হত্যা করলেন তবুও আমাকে প্রত্যক্ষ দর্শন দেওয়ার ফলে আমার মতো তমোগুণসম্পন্ন ও অহংকারী একজন দৈত্য উদ্ধার প্রাপ্ত হল। তাই অন্তিমকালে আমার প্রার্থনা এই যে, যুদ্ধকালীন সময়ে আমার দেহের যে সমস্ত অংশ এই প্রদেশের বিভিন্নস্থানে পড়েছে সেই সমস্ত অঞ্চল যেন তীর্থের মহিমা পায়। বিভিন্ন দেবদেবীর মঠ মন্দির যেন গড়ে ওঠে এই স্থানকে ঘিরে। স্নান-তর্পণে দেবভক্তগণ যেন অশেষ পুণ্যফল প্রাপ্ত হন। শ্রীবিষ্ণু ও মহাদেব জলন্ধরের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে তথাস্তু বলে সেই বরই প্রদান করলেন। তখন থেকেই এই শিবালিক পর্বতমালার প্রদেশে দ্বাদশযোজন ক্ষেত্র জুড়ে চৌষট্টি মন্দির ও নানা তীর্থ গড়ে ওঠে। জলন্ধরের কান যেখানে পড়েছিল বর্তমানে সেই স্থানের নাম কাংড়া। এখানে বজ্রেশ্বরী দেবীর মন্দির আছে। আর জলন্ধরের পৃষ্ঠদেশ যেখানে পড়েছিল লম্বালম্বিভাবে সেই অংশ এবং আশপাশের জনপদ ‘জলন্ধর’ নামেই অভিহিত।
মন্দিরে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে প্রবেশ পথের ডানদিকে এক উন্নতমানের সুবিশাল ধর্মশালা।
যাই হোক, এবার মাতৃমন্দিরের পথে মন্দিরের পাশেই দৃষ্ট হয় উচ্চ বেদিকায় বাঁধানো এক বিশাল অশ্বত্থ গাছ। একে বলা হয় কল্পবৃক্ষ। ধর্মপ্রাণ নরনারীরা এই কল্পবৃক্ষতলে ধূপদীপ ইত্যাদি প্রজ্বলন করেন। অনেকের বিশ্বাস মন্দিরের বাইরে এই কল্পবৃক্ষেই দেবীর অবস্থান। দেবী এখানে সর্বক্ষণ বিরাজ করেন। কেন না এই বিশাল ভূখণ্ড হল জলন্ধরের মাথা। দেবীশক্তি না থাকলে মাথা নড়ে উঠবে। ফলে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। শুধু তাই নয় কেউ কোনও শুভকামনা নিয়ে এখানে মানত করলে তা বিফলে যায় না।
কল্পবৃক্ষে মাথা ছুঁইয়ে উচ্চ সোপান বেয়ে ওপরে উঠে এখানকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী ত্রিপুরমালিনীকে দর্শন করলাম। আমার অনেক দিনের আশা পূর্ণ হল। দেবীর র‌ম্যমূর্তি শ্বেতপাথরের। তাঁর দু’পাশে সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ। এই দেবী এখানে বিশ্বমুখী নামেও পরিচিতা। জলন্ধরে বিশ্বমুখী, তারা কিষ্কিন্ধ্যা পর্বতে।
দেবীপীঠ দর্শনের পর মন্দির চত্বরেই দর্শন করলাম দেবীতালাওয়ের পাশে ভৈরবকে। শিবলিঙ্গ ছাড়াও এখানে রয়েছে পীতবর্ণের এক বিশাল ভৈরবমূর্তি। সচরাচর এমন মূর্তি চোখে পড়ে না।
এরপর এলাম এখানকার সিদ্ধসাধক হেমগিরি মহারাজের সমাধি মন্দির দেখতে। সমাধি মন্দির দর্শনের পর পরশুরাম মন্দির। তারও পরে বালাজি মন্দির। আরতির সময় এসেছিলাম। তাই বোঁদে ও অমৃতি প্রসাদ পাওয়া গেল।
এরপর এলাম অমরনাথের গুহায়। সারা ভারতের বহুতীর্থ আমি একাধিকবার দর্শন করলেও অমরনাথে আমি বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারিনি। এখন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম। এখানকার অমরনাথের গুহামন্দির অনেকটা উচ্চস্থানে। তবু দারুণ উৎসাহ নিয়ে সেখানে গিয়ে দর্শন করে ধন্য হলাম।
এই মন্দিরচত্বরে দেবীতালাওকে ঘিরে অনেক মন্দির আছে। আমি প্রায় সবকটিই দর্শন করে দেবীতলাওতে স্নান করে ধন্য হলাম।
মন্দিরের বাইরেও এই অঞ্চলের কাছে দূরে আরও অনেক মন্দির আছে। তবে আমি আর সে সবের দর্শন না করে বাসস্ট্যান্ডে এসে রওনা দিলাম অমৃতসরের পথে। সেখানে দুর্গিয়ানা মন্দির, স্বর্ণমন্দির ও জালিয়ানওয়ালাবাগ দেখে রাতের ট্রেনে রওনা হব হরিদ্বারের পথে। হর হর গঙ্গে। জয় মা গঙ্গে।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
09th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়: জোড়াবাগান থানার বিপরীতে নিমতলার বিখ্যাত মিত্র বাড়ির এই দুপুরের সময়টা বউদের বড়ই ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। এই বাড়ির প্রখ্যাত, রাশভারী শ্বশুরমশাই পুজো সেরে এখনই খেতে বসবেন।   বিশদ

07th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
অমরকণ্টক  পর্ব-১৮

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়: বিন্ধ্যপর্বতের যে অংশটির নাম মেকল বা মৈকল, তীর্থভূমি নর্মদার সেই স্থানই অমরকণ্টক। শুধু তীর্থভূমি নয়, অমরকণ্টক হল সৌন্দর্যের খনি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।  বিশদ

07th  July, 2019
শাল-পিয়ালের চুপকথা 

সুপর্ণা সেনগুপ্ত: পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাগমুণ্ডি। আকাশ যেখানে গল্প করে মেঘের সঙ্গে। ঘন জঙ্গল, পাহাড় আর ঝর্ণা ঘেরা ছোট ছোট গ্রাম, আঁকা থাকে নীল আকাশের ক্যানভাসে। বর্ষায় সেখানে নদীর জল ছাপিয়ে যায়।   বিশদ

07th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়: মধ্যপ্রদেশের গুণা জেলায় সুন্দরী চান্দেরিতে এক বনময় পর্বতের গুহায় দেবী জাগেশ্বরীর অধিষ্ঠান। ইনি শুধু দেবী নন, মহাদেবী। মাত্র ২০০ মিটার উঁচু এই দুর্গ শহরের আকর্ষণ ঐতিহাসিক গুরুত্ব, দেবী মহিমা ও লোভনীয় চান্দেরি শাড়ির জন্য।  বিশদ

30th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়: ঋষি এবং তাঁর স্ত্রী খুব ভালো মিডিয়াম— এই কথাটা শুনে শরৎচন্দ্র হাসতে হাসতে ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলেন, তুমি কী করে জানলে তাঁরা খুব ভালো মিডিয়াম?
গিরীন্দ্রনাথ বললেন, আমি এবং আমার বন্ধু রায়সাহেব হরিসাধন মুখোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে প্ল্যানচেটে বসেছিলাম। বিশদ

30th  June, 2019
মোম জোছনা 

সঞ্জয় রায়: ‘হেই, হ্যাট্‌-হ্যাট্‌-হ্যাট্‌, যাঃ যাঃ-যাঃ। উঃ, দ্যাকো দিকিনি উঠোনটা খালি খালি নোংরা করে। অ্যাই, যাঃ-যাঃ-যাঃ।’ কুসুম সক্কালবেলায় হাঁসের দলটাকে উঠোন থেকে তাড়াচ্ছিল। দীননাথ দাওয়ায় বসে কুসুমের ছলকে পড়া যৌবনটাকে জরিপ করছিল।  বিশদ

30th  June, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ জলপা, পর্ব-১৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 মৈহরপীঠ দর্শনের পর সে রাতটা মৈহরেই কাটালাম। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাটনিতে। মধ্য রেলওয়ের কাটনি একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। এ যাত্রায় আমি ঘরমুখো হব বলেই কাটনিতে এলাম। কেন না এখানে ট্রেন একটু বেশিক্ষণ দাঁড়ায় তাই।
বিশদ

23rd  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
১৬
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 গিরীন্দ্রনাথ সরকার। সাহিত্যিক হিসেবে তেমন খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও, তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভূপর্যটক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই তাঁর ঘোরা ছিল। বহুকাল তিনি সরকারি কন্ট্রাক্টর হিসেবে ব্রহ্মদেশে কাজ করেছিলেন। আর এইসময়ই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের।
বিশদ

23rd  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৫
নিস্তব্ধ নির্জন ঘর, দেবতা বিশ্রাম করছেন খাটে। ঘরের এককোণে চুপ করে বসে আছেন মতিলাল। প্রদীপটা তখনও মিটমিট করে জ্বলছে। সময় যেন আর কাটতেই চাইছে না। মাঝে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন মতো হয়ে পড়েছিলেন মতিলাল। সেই রেশ কাটাতে তিনি ঘরের ভেতর পায়চারি করতে শুরু করলেন।  
বিশদ

16th  June, 2019
পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

মৈহর পীঠ, পর্ব-১৫
মৈহর হল মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলা তহশিলের এক প্রসিদ্ধ দেবীস্থান। একান্ন পীঠের অন্তর্গত পীঠ না হলেও উপপীঠ। এখানে সতীর দেহাংশ নয় কণ্ঠহার পড়েছিল। এই পুণ্যভূমিতেই ত্রিকূট পর্বতের চূড়ায়। সতীমাঈ কি হার। তাই থেকেই মাঈহার, মৈহার ও বর্তমানে মৈহর।  
বিশদ

16th  June, 2019
প্রাণেশদার শান্তিনিকেতন
আশিস ঘোষ 

স্টাফরুমে বসেছিলাম। ঘরের টিউব লাইট খারাপ থাকায় আবছা অন্ধকার। একটু আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। একটু যেন শীত শীত ভাব। অশোক কথা বলছিল। আমাদের কয়েকজনের অফ পিরিয়ড। কোনও তাড়া নেই। আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। এমন সময় খবর এল, প্রাণেশবাবু আর নেই। 
বিশদ

16th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।  
বিশদ

09th  June, 2019
দাদা, কেমন আছ?
 অমর মিত্র

দাদা, কেমন আছ?
কে বলছ? বীরেন জিজ্ঞেস করে।
দাদা, আমি অনুপ।
কোন অনুপ?
গলার স্বরে বুঝতে পারছ না, বেলঘরিয়ার অনুপ।
ও, মিত্রা সিনেমার অনুপ? বীরেন চিনতে পারে।
 
বিশদ

09th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।
বিশদ

02nd  June, 2019
একনজরে
 বিএনএ, চুঁচুড়া: ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রোগীর বাড়ির লোকজন বিক্ষোভ দেখালেন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। অবিলম্বে ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ...

 ওয়াশিংটন, ১১ জুলাই (এএফপি): শরণার্থী এক মহিলার দুগ্ধপোষ্য শিশুকন্যার মৃত্যুতে কাঠগড়ায় উঠল মার্কিন প্রশাসন। নিন্দায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যও। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বিধায়কদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবিতে আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন পাঁচ ও ছয়ের দশকে বাংলার অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার সৌমেন কুণ্ডু (৭৭)। গত পাঁচ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সৌমেন কুণ্ডু বাংলা ও রেলের হয়ে রনজি ট্রফি খেলেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১

11th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৫৫ টাকা ৬৯.২৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.১০ টাকা ৮৭.২৪ টাকা
ইউরো ৭৫.৬৬ টাকা ৭৮.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,২০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৪৮/৪০ রাত্রি ১২/৩১। বিশাখা ২৭/১৪ দিবা ৩/৫৭। সূ উ ৫/৩/১৩, অ ৬/২০/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৬ আষাঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৫৩/৮/৩৭ রাত্রি ২/১৮/৩৩। বিশাখানক্ষত্র ৩৪/৮/৪১ সন্ধ্যা ৬/৪২/৩৪, সূ উ ৫/৩/৬, অ ৬/২৩/৬, অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৩/৬ গতে ১০/৩/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/৩/৬ গতে ১১/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৩/৬ গতে ১০/২৩/৬ মধ্যে।
৮ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: কলকাতা বন্দর থেকে ছাড়ল ভারত নির্মিত প্রথম বাষ্পচালিত জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজাবাজারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত ১ 

06:47:00 PM

চৌবাগা খালে বাস উল্টে জখম বেশ কয়েকজন 

06:32:34 PM

মুর্শিদাবাদের প্রদীপপাড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গুলি করে খুন

04:06:59 PM

৮৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:59:16 PM