Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ব্যাডমিন্টন
মণিদীপ রায় 

সাড়ে আটটার লোকালটা যদি টাইমে আসে তাহলে নির্ঘাত মিস। কোনদিনই অবশ্য আসে না, এটুকুই যা ভরসা। প্লেটে একখানা আস্ত পরোটা, হাতে মেরেকেটে আর পাঁচটা মিনিট। অপর্ণা চায়ের কাপটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘এতো দামি গাড়িটা কিনলে বসিয়ে রাখার জন্যে?’ অপর্ণা বেছে বেছে ঠিক এই সময়টাই বের করে তার দাবি দাওয়া পেশ করার জন্য। ‘দাদাকে দেখো তো’, অপর্ণা যোগ করল। সব ব্যাপারে নিজের দাদাকে জুড়ে দেওয়াটা অবশ্য কিছু নতুন নয়। প্রথম দিকে কথাটা গায়ে লাগলেও এখন বেশ গা সওয়া হয়ে গেছে। আমার পরোটা শেষ। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললাম, ‘দাদাকে আবার কি দেখব?’
—‘এই তো, কি সুন্দর বউদি আর বুবুনকে নিয়ে মন্দারমণি থেকে ঘুরে এল।’
—‘সে, তোমার দাদা মস্ত অফিসার। হাজারটা ক্লায়েন্ট। কেউ পেট্রোল খরচ দিচ্ছে, তো কেউ হোটেল। তার সাথে কি আমার তুলনা চলে?’ চা শেষ করে আমি জুতো পরতে লাগলাম।
—‘খুব চলে। ইচ্ছে থাকলে সব হয়। অন্ততঃ কাছেপিঠে থেকেই একদিন ঘুরে আসি চলো। মেয়েটা এত বায়না করছে। সামনেই তো বড়দিন। চলো না গো।’
শেষের দিকটায় সুর কিছুটা নরম। অপর্ণা বুঝেশুনে সবরকমের টেকনিকই অ্যাপ্লাই করে, যেটা লেগে যায়। কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার মাত্র দেড় ঘণ্টার রাস্তা। আমরা সকাল ন’টার মধ্যেই ঢুকে পড়লাম। স্টেশন বাজার পেরিয়ে একটা রাস্তা পশ্চিম দিকে ঢালু হয়ে নেমে গেছে। আমি স্টিয়ারিং এ বসে অপর্ণাকে লক্ষ করছিলাম। দীর্ঘ দাবদাহের পর প্রথম বর্ষণে প্রকৃতি যেমন ঝলমলিয়ে ওঠে, ওকে দেখে অনেকটা সেরকমই মনে হচ্ছিল। মেয়ে পিছনের সিটে বসে মোবাইল গেম নিয়ে ব্যস্ত।
ছোট একটা কালভার্ট পড়ল। সেটা পেরিয়ে ডান হাতে একটা গার্লস স্কুল।
তারপর একটু এগিয়ে, সামনে একটা বাঁক নিয়ে গাড়িটা একটা ইট বাঁধানো রাস্তার সামনে এসে দাঁড়াল। বুঝলাম আর এগোনো যাবে না। পেঁজা মেঘের ফাঁক দিয়ে ঝকঝকে নীল আকাশ। বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব। ইটের রাস্তাটা সরু হয়ে এঁকেবেঁকে কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ আর টালির চালের বাড়ির মাঝখান দিয়ে যেন একদম নদীর বুকে নেমে গেছে। সামনে একটা বিশাল বটগাছ তার ডালপালা নিয়ে নদীটা আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে। তার লম্বা ঝুরির ফাঁক দিয়ে দেখা যায় নদীর চরে দুটো নৌকা বাঁধা রয়েছে। সেখান থেকে একটু দূরে নদীর পাড় ধরে কিছুটা এগতেই সবুজ ঘাসে মোড়া একফালি জায়গা পাওয়া গেল। আমরা শতরঞ্চি পাতলাম। আজকে বড়দিন। আমাদের মতো অনেকেই এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। অপর্ণা রাত জেগে লুচি আর আলুরদম বানিয়েছিল। ফ্লাস্কে চা-ও আছে। কতক্ষণ গরম থাকবে জানি না। ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জামও রয়েছে। মা মেয়ে দুজনেরই খেলার খুব শখ। আমি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা এনেছি।
এখানে নদীটা বেশ চওড়া। একের পর এক ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। কিছুদূর এসেই আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। তারপর আরেকটা, আবার আরেকটা। কত যুগ ধরে যেন বয়ে চলেছে। বহু যুগের ওপার থেকে যেন বয়ে নিয়ে আসছে কোন বার্তা। কোন সুদূর অতীত যেন আজ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

হাফপ্যান্ট পরা ছেলেটা রোজ এখানটায় এসে দাঁড়ায়। দূর থেকে তাকিয়ে থাকে নৌকোগুলোর দিকে। মাঝিরা খুব সকালেই বেরিয়ে যায় মাছের সন্ধানে। দুপুরের দিকে আবার ফিরে আসে। নদীর চরে স্টোভ জ্বেলে চলে রান্নাবান্না। বেশ লাগে মাঝিদের এই সহজ-সরল আড়ম্বরহীন জীবন। আর ভালো লাগে শীতকালে শহর থেকে আসা মানুষদের ভিড় দেখতে। নদীর পাড়ে যেন মেলা লেগে যায়। কী সুন্দর পোশাক পরে থাকে ওরা। মাথায় খেজুরপাতার টুপি। ও খেজুরপাতার চরকা বানাতে পারে। দুটো খেজুরপাতা একটার মধ্যে আরেকটা ঢুকিয়ে প্রথমে চরকাটা বানিয়ে
নিতে হয়, তারপর মাঝখানে একটা খেজুরকাঁটা ফুটিয়ে আঙুল দিয়ে ঘুরিয়ে দিলেই চরকাটা বনবন করে ঘুরতে থাকে। তবে শীতকালের এই সময়টায় চরকা ঘুরিয়ে তেমন মজা পাওয়া যায় না। এই সময়ে নদীর ধারে একরকম বুনোফুল ফোটে। বোঁটা ভাঙলেই টুপটুপ করে আঠা বের হয়। একটা নারকেল পাতার শীষ পেঁচিয়ে সেই আঠাতে ডুবিয়ে ফুঁ দিলেই সারি সারি
বুদবুদ বেরিয়ে হাওয়ায় উড়তে থাকে। বুদবুদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ছেলেটা নদীর চরের দিকে নেমে এল।
নদীতে এখন ভাটা। অনেক দূর পর্যন্ত বালির চর দেখা যাচ্ছে। বালির ওপর রোদ পড়ে কেমন রুপোর পাতের মতন ঝিকমিক করছে। ওর বয়সি দু’তিনজন ব্যাডমিন্টন খেলছিল। ছেলেটা দাঁড়িয়ে পড়ল সেখানে। এ খেলাটি তার চমৎকার লাগে। এতটাই আনমনা হয়ে গিয়েছিল যে কচুপাতায় রাখা আঠাটা কখন শুকিয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি সে। হঠাৎ পায়ের কাছে ঝুপ করে ফেদারটা এসে পড়ল। জিনিসটা একবার ছুঁয়ে না দেখলেই নয়। ছেলেটা একটু ইতস্ততঃ করে ফেদারটা হাতে তুলে নিল। পরক্ষণেই তার মনে হল যে কাজটা বোধহয় ঠিক হয়নি। ও ধীর পায়ে এগিয়ে গেল ফেদারটা ফেরত দিতে। কিন্তু অধিকারভঙ্গের শাস্তি যে এতো
তাড়াতাড়ি মিলবে ও সেটা বুঝতেই পারেনি। ওদের মধ্যে একটা দস্যি মতন ছেলে এগিয়ে এসে প্রথমে ওর হাত থেকে ফেদারটা কেড়ে নিল, তারপর এক ধাক্কায় ওকে মাটিতে ফেলে দিয়ে বলল, ‘ফেদারে হাত দিলি কেন রে? গেঁয়ো ভূত।’
শরীরে যতটা না আঘাত লেগেছিল মনে লেগেছিল তারও বেশি। ও মাটি থেকে উঠে প্যান্টে ধুলো ঝাড়তে লাগল। চোখ মুখ অপমানে লাল। গালে কিছুটা মাটি লেগেছিল, কনুইটাও ছড়ে গিয়েছে। চোখ ফেটে জল আসতে চাইছিল কিন্তু এ পরিস্থিতিতে কান্না চলে না।
মায়ের চোখ থেকে অবশ্য কিছুই লুকোনো গেল না। ‘কি হয়েছে রে?’ দুপুরে খেতে বসে মা জিজ্ঞাসা করলেন। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা আসন্ন বিপদের উপস্থিতি টের পেয়েও মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেনা। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। কনুইটা তো ছড়ে গিয়েই ছিল, গালের ওপর পড়ল আরেকটি চড়। দুপুরে মা ঘুমোলে ছেলেটা আবার চুপি চুপি বার হল। এর একটা প্রতিশোধ নেওয়া দরকার।
শীতের সূর্য তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়। তবে এখনও বেলা কিছুটা আছে। যারা খেলছিল তাদের এখন মধ্যাহ্ন ভোজনের সময়। ভেসে আসা কোলাহল আর টুকরো হাসির ফোয়ারা জানান দিচ্ছে যে সকলেই বেশ উপভোগ করছে। একটু দূরেই ব্যাট দুটো পড়ে ছিল। পাশেই ফেদারটা। ছেলেটা সকলের নজর এড়িয়ে চুপিসাড়ে সেখানটায় এসে দাঁড়াল, তারপরে অতি সন্তর্পণে ফেদারটা তুলে নিয়ে পাশে একটা খেজুর গাছের আড়ালে চলে গেল। বুকের মধ্যে জ্বলতে থাকা আগুনটা যেন একটু বাতাস
পেয়ে গেল। প্রথমে ও ফেদারটা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ল, তারপর মাটিতে ফেলে দুপায়ে পিষতে লাগল।
মনের জ্বালা কিছুটা জুড়িয়ে এসেছিল, হঠাৎ পিঠের ওপর পড়ল সপাটে একটা বাড়ি। ও চকিতে পিছন ফিরে দেখল সেই দস্যি ছেলেটা একটা ব্যাডমিন্টনের র‍্যাকেট নিয়ে হিংস্র বাঘের মত দাঁড়িয়ে আছে। দুচোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে। কী করবে বুঝতে না পেরে ও ছেলেটাকে দু’হাত দিয়ে ধাক্কা মারল। ছেলেটা মাটিতে পড়ে গেল। ব্যাটটা ছিটকে পড়ল দূরে। ও এবার ব্যাটটা তুলে নিয়ে সজোরে চালিয়ে দিল ছেলেটার হাতে। ছেলেটা যন্ত্রণায় কাতরাতে লাগল। আর ও ব্যাটটা নিয়ে লাগাল দৌড়। দৌড়োতে দৌড়োতে অনেকটা দূরে এসে লক্ষ করল দস্যি
ছেলেটাও ওর পিছু নিয়েছে। ও আরও জোরে দৌড়োতে লাগল। এসে থামল একেবারে নদীর চরে। এ জায়গাটা খুব নিরিবিলি। চারিদিকে শুধু বড় বড় পাথরের চাঁই আর এলোমেলো খেজুরের গাছ। দস্যি ছেলেটা নদীর পাড় অবধি এসে হাঁফাতে লাগল। এখানে অবধি আসার ক্ষমতা ওর নেই। হাফপ্যান্ট পরা ছেলেটা এবার মনেমনে যুদ্ধ জয়ের হাসি হাসল, তারপর দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাটটাকে হাঁটুর ওপরে রেখে দু’হাতে সজোরে চাপ দিল। ব্যাটের হ্যান্ডেলটা কিছুটা বাঁকলো। তারপর সেটাকে ছুঁড়ে দিল খেজুরগাছের ঝোপের মধ্যে, যেখান থেকে খুঁজে পাবার ক্ষমতা কারওর নেই। সূর্য তখন ঢলে পড়েছে নদীর কোলে।

ঢেউ গুনতে গুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মনে নেই। অপর্ণা ঠেলা মেরে বলল, ‘ওঃ, কি লোক রে বাবা। বেড়াতে এসেও ঘুমায়। ওঠো.., ফিরতে হবে না?’
আমি হাতঘড়ি দেখলাম। সাড়ে ছ’টা। আমরা জিনিসপত্র গুছিয়ে নদীর পাড় ধরে হাঁটতে লাগলাম। চরে বাঁধা নৌকোগুলোয় হ্যারিকেনের আলো জ্বলতে শুরু করেছে। ওরা তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে। অনেক ভোরে উঠতে হয় ওদের।
আমি গাড়ি স্টার্ট দিলাম। ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো কুয়াশা পরিবৃত হয়ে রাস্তাকে আলোকিত করার পরিবর্তে অন্ধকারকেই যেন বেশি প্রকট করে
তুলেছে। তবে গাড়ির হেডলাইটে রাস্তার দৃশ্যমানতা যথেষ্ট। গাড়ি মেন রোডে এসে পড়ল। অপর্ণাকে বললাম, ‘নজর রেখো তো, পেট্রল নিতে
হবে।’
অপর্ণা অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ। সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গে চলে গিয়ে বলল, ‘জানো, আজকে তোমার মেয়ে একটা কাণ্ড করে বসেছে।’
—‘কি আবার কাণ্ড?’ আমি পিছন ফিরে মেয়ের দিকে তাকালাম।
—‘আমরা যখন দুপুরবেলায় খেলছিলাম, একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আমাদের খেলা দেখছিল। মেয়েরই বয়সি। মাঝেমধ্যে ফেদার এদিক ওদিক চলে গেলে কুড়িয়ে আনছিল। খেলা শেষ হলে মেয়ে বলল, মা, দেখে মনে হচ্ছে ওরা খুব গরিব। একটা ব্যাট ওকে দিয়ে দিই?’
‘আর তুমি দিয়ে দিলে?’ আমি বিরক্ত হয়ে বললাম।
‘আঃ কেমন মানুষ গো তুমি। দিলামই না হয়। তুমি পরে না হয় একটা কিনে দিও?’ অপর্ণা মৃদু তিরস্কার করল।
গাড়ি মাঝারি স্পিডে চলছিল। চারপাশে হালকা কুয়াশা। রেডিওতে পুরনো গানের সুর। অপর্ণা যেন মনের অতলে ডুব দিয়েছিল। তারপরে হঠাৎ কোন গুপ্তধন খুঁজে পেয়েছে এরকম একটা ভাব করে বলল, ‘জানো, একটা খুব পুরনো ঘটনা মনে পড়ে গেল।’
আমি রেডিওর ভল্যুম কম করে দিলাম।
অপর্ণা বলল, ‘আমি তখন খুব ছোট। বাবা, মায়ের সঙ্গে একবার এখানে পিকনিক করতে এসেছিলাম। দাদাও ছিল। আমরা নদীর ধারে ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম, হঠাৎ দাদার সঙ্গে একটা ছেলের খুব ঝামেলা লাগল।’
—‘তারপর?’
—‘দু’জনের মারপিট শুরু হল। তারপর ছেলেটা দাদাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে একটা র‍্যাকেট নিয়ে পালাল। দাদাও পিছু নিল।’
—‘তারপর?’ এই শীতের মধ্যেও যেন আমার ঘাম দিতে শুরু করল।
—‘তারপর ছুটতে ছুটতে অনেক দূরে গিয়ে ছেলেটা র‍্যাকেটটা জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিল। আমরা অনেক খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না। আমি খুব কেঁদেছিলাম।’
অপর্ণা একটু দম নিল। তারপর মনের যত বিরক্তি আর ক্ষোভ উজাড় করে দিয়ে বলল, ‘কী শয়তান ছেলে দেখেছ। সামনে পেলে না একবার চড়িয়ে গাল লাল করে দিতাম। অসভ্য বাঁদর কোথাকার।’
আমি সজোরে ব্রেক কষলাম। অপর্ণা চমকে উঠে বলল, ‘কি হল?’
রাস্তার ধারে একটা পেট্রল পাম্পে টিমটিম করে আলো জ্বলছিল। আমি সেই দিকে ইশারা করে বললাম, ‘পেট্রল নিতে হবে।’
পরের দিন অফিস থেকে দুপুর দুপুর বেরিয়ে পড়লাম। ট্যাক্সি নিয়ে শিয়ালদা। সেখান থেকে ট্রেন। মা-বাবা আমাদের পুরনো বাড়ি ছেড়ে এখন বারুইপুরে থাকেন। আমি মাঝেমধ্যে এরকম না জানিয়েই চলে আসি। আমাকে দেখে মায়ের মুখে যে খুশির তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে, তার কাছে পৃথিবীর সকল ঐশ্বর্য মূল্যহীন। তবে আজকে এখানে আসার একটা অন্য কারণ আছে। মা লুচির জন্য ময়দা মাখতে বসলেন। বাবা বেরলেন নাতনির জন্যে নলেনগুড় কিনতে। কলকাতায় নাকি এসব ভালো পাওয়া যায় না। আমি সেই ফাঁকে দোতলার চিলেকোঠায় হানা দিলাম। এ জায়গাটা আমার বড় প্রিয়। একটা কাঠের তক্তপোষ আছে। তার তলায় পুরনো একটা ট্রাঙ্ক। টেনে বের করলাম। আমার ছোটবেলায় ব্যবহার করা জামাকাপড়, খেলনাপত্র সব যত্ন করে রেখে দিয়েছেন মা। পুরনো বই, দু-চার খানা খাতা, ক্লাস ফাইভের ফার্স্ট প্রাইজের ট্রফি, মায়ের হাতে বোনা আমার প্রথম সোয়েটার, ঘুড়ি, লাটাই, লাট্টু সবই আছে। একের পর এক সব
বের করলাম। জিনিসটা এখানেই রেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছে। তখন সেভেনে পড়ি। নদীর ধারে খেলতে যেতাম রোজ। শীতকালে শহর থেকে দলে দলে পিকনিক করতে আসত অনেকে। সেবারে ওই ছেলেটার সাথে মারপিট হল। ওদের সঙ্গে একটা ফুটফুটে মেয়ে ছিল। ওদের একটা র‍্যাকেট ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। প্রথম দিকে ব্যাপারটাতে বেশ মজা লাগলেও, কিছুদিন পর থেকে মনের মধ্যে একটা অপরাধবোধ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। একদিন নদীর ধারে গিয়ে অনেক করে খুঁজলাম র‍্যাকেটটা, পেয়েও গেলাম। খেজুর গাছের ঝোপে আটকে ছিল। বাড়ি নিয়ে
এসে ট্রাঙ্কে রেখে দিলাম। ভেবেছিলাম কোনওদিন দেখা হলে ফেরত দেব। পরের বছর বড়দিনে আবার গেলাম নদীর ধারে। পেলাম না। ছেলেটার মুখ ভালো করেই মনে ছিল। পরের বছর আবার গেলাম। তার পরের বছর আমরা ডায়মন্ড হারবারের পাট গুটিয়ে পাকাপাকি ভাবে বারুইপুরে চলে এলাম। ভাবতেই অবাক লাগে যে ওই ছোট্ট মেয়েটাই এখন আমার স্ত্রী।
বাড়ি ফিরতে রাত হল। অপর্ণা আমাকে দেখে বলল, তুমি হাত মুখ ধুয়ে এসো, আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি। অপর্ণা রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল, আমি ওর রাস্তা আটকে দাঁড়ালাম। খবরের কাগজ মোড়া একটা প্যাকেট ওর হাতে দিয়ে বললাম, ‘এটা আমার কাছে তিরিশ বছর ধরে গচ্ছিত ছিল। দেখত, চিনতে পার কিনা?’
অপর্ণা চোখে একরাশ কৌতূহল। ও আমার হাত থেকে নিয়ে প্যাকেটটা খুলতে লাগল। একটা করে পরত খুলছে আর কৌতূহল গভীরতর হচ্ছে। অবশেষে যে বস্তুটা বেরিয়ে এল সেটা দেখে অপর্ণা কেমন থমকে গেল। অনেক পুরনো, মরচে পড়ে গেছে, হাতলটা একটু বাঁকা। অপর্ণার মন শাটল ককের মতন খুব দ্রুত গতিতে একবার অতীত আর একবার
বর্তমানের মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছে আর কোনও পাকিয়ে যাওয়া জট ছাড়াবার চেষ্টা করছে। অবশেষে, অপর্ণার ঠোঁটে হাসি। আমি নিরাপদ দূরত্বেই ছিলাম। অপর্ণা ছুটে এসে প্রথমে আমার জামাটা খামচে ধরল, তারপর র‍্যাকেটটা নিয়ে পিঠে দু-ঘা কষিয়ে দিয়ে বলল ‘তুমিই তাহলে সেই...!’
ও আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল। আমি ওর মুখে হাত চাপা দিয়ে বললাম, ‘অসভ্য, পাজি, বদমাশ...।’
দেওয়াল ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজল। বাইরে কুয়াশা মাখা হিমেল রাত প্রহর গুনছে ভোরের অপেক্ষায়।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী 
19th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।  
বিশদ

09th  June, 2019
পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
দেবী ত্রিপুরমালিনী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-১৪

এবার বলি দেবী ত্রিপুরমালিনীর কথা। পীঠ নির্ণয় তন্ত্রে আছে ‘ভীষণা ভৈরবস্তত্র দেবী ত্রিপুরমালিনী’। পাঞ্জাব প্রদেশে এই সতীপীঠ জলন্ধর পীঠ নামে খ্যাত। কিন্তু এই পীঠ সম্বন্ধে নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়ার কারণে এর সঠিক অবস্থান কিছুতেই নির্ণয় করতে পারিনি।  বিশদ

09th  June, 2019
দাদা, কেমন আছ?
 অমর মিত্র

দাদা, কেমন আছ?
কে বলছ? বীরেন জিজ্ঞেস করে।
দাদা, আমি অনুপ।
কোন অনুপ?
গলার স্বরে বুঝতে পারছ না, বেলঘরিয়ার অনুপ।
ও, মিত্রা সিনেমার অনুপ? বীরেন চিনতে পারে।
 
বিশদ

09th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।
বিশদ

02nd  June, 2019
পুন্য ভূমির
পুন্য ধুলোয়
কালকার কালিকা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

কালকার কালিকা দেবী দর্শনে কোনও দুর্গম পন্থার পথিক হতে হবে না। কলকাতা থেকে কালকায় যাওয়ার একমাত্র ট্রেন দিল্লি কালকা মেল। এছাড়াও আম্বালা ক্যান্ট থেকে কালকাগামী বাসে কালকায় আসা যায়। তবে নয়নাদেবীর যাত্রীদের উচিত ফেরার পথে চণ্ডীগড়ে এসে কালকায় যাওয়া। চণ্ডীগড় থেকে কালকার দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার।
বিশদ

26th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 দীনবন্ধু মিত্র সেইসময় কর্মসূত্রে যশোরে বসবাস করেন। তাঁর বাড়ির খুব কাছেই এক কুলীন বৃদ্ধের বাড়ি। সদ্য সেই বৃদ্ধের তরুণী স্ত্রী কয়েকদিনের জ্বরে ভুগে গত হয়েছেন। তাঁদের একটি আট ন-বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী রোগ শয্যায় শুয়ে বৃদ্ধ স্বামীর দুটি হাত ধরে অনুরোধ করে বলেছিলেন, তুমি খুকির মুখ চেয়ে আর বিয়ে করো না।
বিশদ

26th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

নয়নাদেবী, পর্ব-১২

শিবালিক পর্বতমালার উত্তমশৃঙ্গে রমণীয় পরিবেশে নয়নাদেবীর অধিষ্ঠান। নয়নাদেবীতে সতীর দুটি নয়নই পতিত হয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই স্থান? সচরাচর কোনও যাত্রীরও যাতায়াত নেই সেখানে।  
বিশদ

19th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

১২
অভাব অনটন তাঁর পরিবারের নিত্য সঙ্গী তবু পিতা কালাচাঁদ মিত্র আদর করে পুত্রের নাম রাখলেন গন্ধর্বনারায়ণ।১৮৩০ সালে নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে জন্ম হল বাংলার এই অন্যতম কৃতী সন্তানের।  
বিশদ

19th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  
বিশদ

12th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

চিন্তাপূর্ণী দেবী, পর্ব-১১

গাড়োয়াল হিমালয় ও সংলগ্ন হিমাচল প্রদেশে চিন্তাপূর্ণী দেবীর মান্যতা খুব। কেননা ইনিও নয় দেবীর এক অন্যতমা মহাদেবী। জ্বালামুখী ও কাংড়ার খুব কাছেই চিন্তাপূর্ণী দেবীর স্থান। নগরকোট কাংড়া থেকে চিন্তাপূর্ণীর দূরত্ব ৫০ কিমির মতো।  
বিশদ

12th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১০
ফেরার পথে আর হেঁটে নয়, গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে এলেন দুই বন্ধু। তারপর নিস্তেজ নার্ভকে সতেজ করার জন্য দু কাপ গরম পানীয় নিয়ে তাঁরা মুখোমুখি বসলেন। তখনও তাঁদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি।  
বিশদ

05th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জ্বালামুখী, পর্ব-১০

হিঙ্গুলায়া মহাস্থানং জ্বালা মুখ্যাস্তথৈব চ। একান্ন সতীপীঠের অন্তর্গত এই জ্বালামুখীতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম তেইশ বছর বয়সে। তারপর তো বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার।
এ যাত্রায় কাংড়া দুর্গ দেখার পর এখানে রাত্রিবাস না করে বাসস্ট্যান্ডে এসে পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে পৌঁছলাম।
বিশদ

05th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


পরবর্তী ডাকেই শিশিরকুমার তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র পয়সকান্তির ছবি বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ছবির সঙ্গে তিনি একটা চিঠিও পাঠালেন। তিনি তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, আপনার কথামতো আমি ছবিটা পাঠালাম। 
বিশদ

28th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

নগরকোট কাংড়া, পর্ব-৯
চামুণ্ডা নন্দীকেশ্বর থেকে এবারের দর্শন নগরকোট কাংড়ায়। পথের দূরত্ব মাত্র পঁচিশ কিমি। এ পথে আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। প্রথম এসেছি ১৯৬৪ সালে। আমার রাত্রিবাসের স্থল আরও পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে। 
বিশদ

28th  April, 2019
একনজরে
গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১১ জুন: রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেবে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ...

বিএনএ, বাঁকুড়া: এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকাল থেকে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও ...

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মৎস্য চাষিদের তেলাপিয়া মাছের চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কেন বিজ্ঞানীরা এই মাছের চাষ থেকে চাষিদের বিরত থাকতে বলছেন?  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM