Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মারা যান। সাহিত্যসম্রাট সত্যিই ভূতে বিশ্বাস করতেন কিনা তা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। কেউ কেউ বলেওছেন যে তিনি নাতি-নাতনিদের আবদার রক্ষার জন্য বানিয়ে বানিয়ে প্রতিদিনই ভূত-প্রেত-রাক্ষস-খোক্কোসদের গল্প শোনাতেন। তাঁদের কথা পুরোটাই মেনে নেওয়া সম্ভবপর নয়। কারণ তাঁরও ‘সৌভাগ্য’ হয়েছিল প্রেতদর্শনের। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তাঁর অসমাপ্ত গল্প ‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’-র প্রথম পরিচ্ছদের উপর একটু চোখ রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। ওই কাহিনীর দুই প্রধান চরিত্র বরদা এবং সারদা। বরদা দাদা, সারদা ভাই। দুই ভাই সন্ধ্যার পর একসঙ্গে খেতে বসেছেন। হঠাৎ বরদা ছোট ভাই সারদার কাছে জানতে চাইলেন, ‘সারি, সত্য করে বলো দেখি, তোমার বিশ্বাস কি? ভূত আছে?
সন্ধ্যার পর টেবিলে দুই ভাই খাইতেছিল— একটু রোস্ট মটন প্লেটে করিয়া, ছুরি কাঁটা দিয়া তৎসহিত খেলা করিতে করিতে জ্যেষ্ঠ বরদা এই কথা কনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসা করিল।
সারদা প্রথমে উত্তর না করিয়া এক টুকরো রোষ্টে উত্তম করিয়া মাস্টার্ড মাখাইয়া, বদনমধ্যে প্রেরণপূর্ব্বক, আধখানা আলুকে তৎসহবাসে প্রেরণ করিয়া, একটি রুটি ভাঙ্গিয়া বাম হস্তে রক্ষাপূব্বর্ক, অগ্রজের মুখ পানে চাহিতে চাহিতে চর্ব্বণ কার্য্য সমাপন করিল। পরে, এতটুকু সেরি দিয়া, গলাটা ভিজাইয়া লইয়া বলিল, ‘ভূত? না?’.......
তখন বরদা বলিল,‘Seriously’ সারি, ভূত আছে বিশ্বাস কর না?
সারি— না।
বরদা— কেন বিশ্বাস করো না?
সারদা— সেই প্রাচীন ঋষির কথা— প্রমাণাভাবাৎ। কপিল প্রমাণ-অভাবে ঈশ্বর মানিলেন না— আর আমি প্রমাণ অভাবে ভূত মানিব?....
বরদাকৃষ্ণ চটিয়া উঠিল— বলিল, কোথাকার বাঁদর। ভূত নাই!— ঈশ্বর নাই! তবে তুমিও নেই, আমিও নেই?......
সারদা জ্যেষ্ঠকে বলিল, তুমি নাই, আর আমি নাই— ইহা প্রায় philosophically true। কেন না, আমরা ‘mere permanent possibilities of sensation. আর এই যে আহার করিলাম, ইহাও না করার মধ্যে জানিবে, কেবল সেই possible sensation গুলার মধ্যে কতকগুলা sensation হইল মাত্র।
বরদা— সেই কথাই জিজ্ঞাসা করিতেছি, ভূত দেখা, ভূতের শব্দ শুনা, এ সব possible sensation নহে?
সারদা— ভূত থাকিলে possible.
বরদা— ভূত নাই?
সারদা— তা ঠিক বলিতেছি না, তবে প্রমাণ নাই বলিয়া ভূতে বিশ্বাস নাই, ইহাই বলিয়াছি।
বরদা— প্রত্যক্ষ কি প্রমাণ নহে?
সারদা— আমি কখনও ভূত প্রত্যক্ষ করি নাই।
বরদা— টেমস নদী প্রত্যক্ষ করিয়াছ?
সারদা— না।
বরদা— টেমস নদী আছে মানো?
সারদা— যাহাদের কথায় বিশ্বাস করা যায়, এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
বরদা— ভূতও এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
সারদা— বিশ্বাসযোগ্য এমন কে? একজনের নাম করো দেখি?
বরদা— মনে কর আমি। এই কথা বলিতে বরদার মুখ কালো হইয়া গেল, শরীর রোমাঞ্চিত হইল।
সারদা— তুমি?
বরদা— তা হইলে বিশ্বাস করো।
সারদা— তুমি একটু imaginative, একটু sentimental— রজ্জুকে সর্পভ্রম হইতে পারে।
বরদা— তুমি দেখিবে?
সারদা— দেখিব না কেন?
বরদা— আচ্ছা তবে আহার সমাপ্ত করা যাউক।’
এই অসমাপ্ত কাহিনীর বরদা অবশ্যই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শেষজীবনে উপনীত হয়ে তিনি মধ্য বয়েসে কর্মোপলক্ষে কাঁথির কাছে একটি এলাকায় গিয়ে যাঁকে দর্শন করেছিলেন সেই গল্পই কী সারদার কাছে বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যু তাঁকে সেই কাহিনী শেষ করার সুযোগ দেয়নি। জীবনের বুক থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল।
সেই রাতে জমিদারবাড়ির অতিথিশালায় সাহিত্যসম্রাট কাকে দর্শন করেছিলেন, কী ঘটেছিল সেই রাতে!
১৮৬০ সালের কথা, তখনও বঙ্কিমচন্দ্র ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস লেখার কাজে হাত দেননি। এই উপন্যাসটি প্রথম পুস্তকাকারে আমাদের হাতে আসে ১৮৬৬ সালে।
১৮৬০ সালের সেই সকালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর দুই সহকারীকে নিয়ে কোনও এক সরকারি কাজে নিকটবর্তী শহরের উদ্দেশে রওনা হলেন। বঙ্কিমবাবু জানতেন, তাঁদের কাজ সারতে সারতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। রাতে কোনওমতেই ফেরা সম্ভব হবে না। তাই তাঁরা সেই শহরে পৌঁছেই স্থানীয় জমিদারমশাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। সেই জমিদার অতি সানন্দে তাঁর অতিথিশালায় সপার্ষদ বঙ্কিমচন্দ্রের থাকার বন্দোবস্ত করলেন।
কাজ সেরে বঙ্কিমচন্দ্র যখন সেই অতিথিশালায় ফিরলেন তখন বেশ রাত হয়ে গেছে। তিনি ঘরে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা পাশের একটি ঘরে তখন বিশ্রাম করছেন।
অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। রাত আরও গভীর হচ্ছে। কাজে মগ্ন বঙ্কিমচন্দ্র হঠাৎই চমকে উঠলেন। দেখলেন তাঁর ঘরে শুভ্র বসনে আবৃতা এক রমণী ধীর পদক্ষেপে প্রবেশ করছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন, জমিদারবাড়ির কোনও দাসী তাঁকে খাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র সেই মহিলার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে বোধহয়?
মহিলা সেই কথার কোনও উত্তর দিলেন না। বরঞ্চ বঙ্কিমচন্দ্রের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে ব্যাপারটা খুব অস্বাভাবিক মনে হয়েছিল। তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তীব্র কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন— আপনি কে? আমার কাছে কী চান?
এবারও কোনও উত্তর নেই। মহিলার এহেন আচরণে বঙ্কিমচন্দ্র খুব রেগে গেলেন। তিনি মহিলার দিকে কিছুটা এগতেই সেই মূর্তি ধীরে ধীরে পিছু হটতে শুরু করল। বঙ্কিমচন্দ্র আরও খানিকটা এগিয়ে ঘরের বাইরে বেরতেই সেই মহিলা নেমে পড়লেন প্রশস্ত উঠোনে। তারপর সাহিত্যসম্রাটের চোখের সামনে তিনি মিলিয়ে গেলেন শূন্যে।
এই দৃশ্য দেখে মোটেই ভয় পাননি বঙ্কিমচন্দ্র। নির্ভীক চিত্ত বঙ্কিম, বিজ্ঞানমনস্ক বঙ্কিম কেবলমাত্র স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি ঘরে ফিরে তাঁর সহকর্মীদের ডেকে বললেন, তল্পিতল্পা বাঁধো। আমরা আর একমুহূর্ত এই বাড়িতে থাকব না। বিস্মিত সহকর্মীরা জিনিসপত্র নিয়ে নেমে এলেন রাস্তায়। রাতের নির্জনতাকে কম্পিত করে তাঁদের ঘোড়ার গাড়ি ছুটে চলল ফিরতি পথে।
(ক্রমশ) 
12th  May, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউয়ের

07:13:38 PM

দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৬২.০২ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৭৬.১০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৭.৫৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:26:06 PM