Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ভাসানের পরে
মৃত্তিকা মাইতি

 অশ্রু বসে আছে দুর্গা ঠাকুরের পায়ের কাছে। ফুল-মালাগুলো গুছিয়ে কাঁড়ি করা। পুজো শেষ। আজ ভাসান। একটু পরেই বরণ শুরু হবে। পাড়ার বউরা বরণডালা হাতে অপেক্ষা করছে রুম্পাদের উঠোনে। এটা তাদেরই বাড়ির পুজো। রুম্পার মা আর কাকির বরণ সারা হলে তবেই বাকিরা করতে পারবে।
ঢাক বাজছে, ডুংডু ডুডুং ডুডুং ডুং। সেই আওয়াজ ছাপিয়েও ঢং... ঢং... ঢং শব্দটা আসছে কানে। রুম্পাদের ঘণ্টাঘড়ির শব্দ। এত বড় ঘড়ি গ্রামে কারও বাড়িতেই নেই। রুম্পাদের ঘরে আরও অনেক জিনিসই আছে যা শহর থেকে আসে। জামা-কাপড়ে কত সুন্দর সুন্দর ফুল, নকশা। সেরকম জামা অশ্রু কখনও পরেইনি। রুম্পার কাকা মাঝে মাঝে কলকাতায় যায় পান নিয়ে। বিক্রি করতে। তখন আনে। ওরা বড়লোক। দু-দুটো পান বরজ, ধানকাটার মেশিন আছে। পাকা ঘর, পুকুরের ঘাটটা অবধি বাঁধানো। মাইতিপাড়ায় ওদের বাড়িতে হুটহাট কেউ ঢুকতে পারে না।
পুজোর দিনগুলো যদিও আলাদা। যে যখন খুশি এসে ঠাকুর দেখেছে, প্রসাদ খেয়েছে। আজ আরও বেশি লোক ভাসান বলে। প্রতিমার চালা থেকে কে কী নেবে, আগে থেকে দেখে রাখছে।
পুজো হয়েছে রাস্তার ধারে মাটির একচালাটায়। খড় দিয়ে ছাওয়া। প্রতিবছর এখানেই হয়। পুজোর মুখে মুখে গোবর আর এঁটেল মাটি দিয়ে লেপে-পুছে চাল বাটা দিয়ে আলপনা।
পুজোর ক’দিন এখানে বসেই কেটেছে অশ্রুর। বসে বসে সব দেখেছে সে। খড়ের ভূতে মাটি পড়ল, সেই মাটি রোদে শুকিয়ে ঠাকুরের গায়ে ফাটল হল। তাতে আবারও মাটি দিয়ে ফাটল বুজিয়ে তারপর রং। সাজ-সজ্জা। চক্ষুদান।
সেই সুন্দর প্রতিমার মুখটা এখন কেমন দেখাচ্ছে! যেন বাড়ির বউ পরপর রাত জেগে মুখ শুকিয়ে ফেলেছে। চোখের তলায় কালি। তবু কেউ তাকে ছাড়ছে না। ঢাক বাজছে, উলু পড়ছে। পাড়ার বউদি, কাকিরা এখন ঠাকুরের মুখে পানপাতা বুলিয়ে মিষ্টি দিচ্ছে। তার সিঁথির সিঁদুর নিয়ে পরছে। একে অপরকে পরাচ্ছে।
অশ্রু ভেবে পায় না সবেতেই ওদের আনন্দ কীসের! মা আসবে তাতেও, চলে যাবে তাতেও? ভাবতে গিয়ে মনে হল, ওদের আসল মা তো কাছেই আছে। মাটির মা নাই বা রইল। তাকে ঘিরে শুধু আনন্দই নেওয়ার। কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই! কিন্তু অশ্রুর তো তা নয়। মায়ের মুখটা চোখে ভেসে উঠল। থাকলে আজ মা-ও বরণ করত। সিঁদুর খেলত।
অশ্রুর মনে পড়ে, পুজোর সময় মা তেল মাখিয়ে চুল বেঁধে দিত, জামা পরিয়ে দিত সুন্দর করে। তারপর মায়ের হাত ধরেই পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়া।
গত বছর এই সময়েই মাকে দাদা, বাবা আর পাড়ার কয়েকজন কাকা মিলে খাটিয়ায় শুইয়ে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শ্মশানে। বাবা অশ্রুকে কোলে টেনে নিয়ে ধরা গলায় বলেছিল, ‘পুজোটাও কাটল না, তোর মায়ের ভাসান হয়ে গেল রে!’
মায়ের কী অসুখ করেছিল অশ্রুকে কেউ বলেনি। তবে সে দেখেছে, মাঝেমাঝে মুখ দিয়ে রক্ত বেরত। রোগা আর কালো হয়ে যাচ্ছিল মা। বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়ে দেখেছিল, মোটা মোটা কাঠগুলি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ভেতরে শুয়ে আছে মা। কাঠের সঙ্গে মিশে পুড়ে যাচ্ছে। হুহু করে উঠল বুকটা। কান্না এসে চেপে ধরল।
এই সময় পিঠে টোকা পেয়ে চমকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, পিয়ালি। পাশের বাড়ির জেঠুর মেয়ে।
‘তোর বউদি ডাকছে। বলল তাড়াতাড়ি যেতে।’
একটু পরেই ঠাকুর উঠবে কাঁধে। পাড়ার পুরুষ মানুষগুলো খালি গায়ে লুঙ্গির ওপর গামছা এঁটে তৈরি। মিষ্টির হাঁড়ি এনে রুম্পাকে ধরতে দিল তার মা। অশ্রুর কৃষ্ণাকাকি। এ হল ঝিউড়ি ছাড়ার মিষ্টি। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে আনলে সেই ঝিউড়ি যখন ফেরে তখন মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে ছাড়তে যেতে হয়। দুর্গার বেলাতেও তাই। তবে দুর্গা যখন ফেরে, মিষ্টির হাঁড়ি যায় পুকুরপাড়ে। যারা ভাসানে যায়, পায়।
ঘরে যেতে ইচ্ছে করছিল না অশ্রুর, কিন্তু না গেলে বউদি আবার মুখ করবে। উঠে পড়ল। চট করে শুনে আসবে।
রুম্পাদের বাড়ির কিছুটা পিছনেই তাদের ঘর। গিয়ে দেখে, বাবা তখনও মাঠ থেকে ফেরেনি। সকালে বিছানা ছেড়েই মুখ ধুয়ে বেরিয়ে যায় দা আর ঝুড়ি নিয়ে। সব খেতই এখন সবুজ। রোয়া হয়ে গেছে মাস তিনেক আগেই। এখন ধান বেরনোর মুখে। তাদের চাষের জমিন ঘুরে ঘুরে দেখতে যায় বাবা! পোকা লাগল কি না, মাঠে জল কতটা আছে। ফেরার সময় গোরু দুটোর জন্য ঘাস কেটে আনে। এ সময় গোরু বাইরে যায় না। আলের ঘাস এনে তাদের খাওয়াতে হয়।
বউদি মাঠে যেতে পারে না। ছেলে দু’বছরের। দাদা বাইরে খেটে টাকা রোজগার করে। চাষের কাজ সে করবে না। আলাদা হওয়ার পরেও একা বাবাকেই সব করতে হয়। দাদা কিছু দেখে না।
মা মরে যাওয়ার পরে পরেই দাদা কেমন বদলে গেল। রোজই ঝগড়া করত। একদিন তো পাড়ার লোকজন ডেকে বলেই দিল, ‘এতগুলো পেট আমি টানতে পারব না। আজ থেকে যার যার হাঁড়ি আলাদা।’ সেদিন থেকেই অশ্রু আর তার বাবা আলাদা খায়। মা না থাকায় অশ্রুকেই এখন বাবার খেয়াল রাখতে হয়। চানের আগে তেল, গামছা এগিয়ে দেয়। স্কুলে যাওয়ার আগে ভাতে ভাত বসায়। বাবা করে তরকারি। রাতে বিছানা পাতে অশ্রুই।
বাবার জন্য খুব কষ্ট হয় অশ্রুর। অষ্টমীর দিন তাকে বলেছিল, ‘রোজ রোজ ওদের বাড়িতে যাস না মা। সবাই নতুন জামা পরে আর তুই পুরনো ছেঁড়াটা পরে ঘুরিস, ভালো দেখায় না।’
অশ্রু বলেছিল, ‘আমি কারও সঙ্গে খেলি না, চুপ করে এক জায়গায় বসে থাকি।’ তারপর জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তুমি কেন একদিনও ঠাকুর দেখতে গেলে না বাবা?’
নব মেয়েকে কাছে টেনে নিল। ‘মা আমার জামার অভাবে কোথাও ঘুরতে যেতে পারল না, আমার দেখে কী হবে?’ তবে অশ্রু জানে, বাবা সব সময় ঘরের জায়গাজমি দেখাশোনা করে। না হলে ভাগের চাল জুটবে না। নগদ টাকা নেই, তাই তাকে জামা কিনে দিতে পারেনি।
মা থাকতে আনন্দ ছিল। কী সুন্দর ভেড়ু পলুয়া রান্না করত। সেই ঢ্যাঁড়শের চচ্চড়ি দিয়ে একথালা ভাত খাওয়া হয়ে যায়। মাছের ডিমের টকও করত তেমন! পিঠের সময় পিঠে। মা যেখানেই যেত, রুম্পাকে সঙ্গে নিত। একবার যাত্রা দেখতে গিয়ে কী কাণ্ড! রুম্পার সামনে একটা ঢ্যাঙা লোক বসেছিল। সে কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। মা সমানে লোকটার সঙ্গে মুখ চালিয়ে তাকে উঠিয়ে ছাড়ল।
ঘরে সবাইকে সামলে রাখত মা। তার কথা সকলকে শুনতে হতো। কিন্তু এখন বউদির আইনই চলে।
তপতী ঠাকুরের আসনে বরণডালা রাখছিল। অশ্রু সামনে গিয়ে দাঁড়াতে বলল, ‘শোন, এ বছর দুর্গা ঠাকুরের কাপড়টা ভালো দিয়েছে রুম্পার বাপ। জলে নেমে ওটা নেওয়ার চেষ্টা করবি। তোকে তো আবার বলে না দিলে কিছু করতে পারিস না।’
মায়ের লালপেড়ে কাপড়টা এখনও ছাড়েনি বউদি। মুখটা সিঁদুরে মাখামাখি। ধূপ, ধুনো, প্রদীপের গন্ধ মিশে বউদির গা থেকেই ঠাকুরপুজোর গন্ধ পাচ্ছে অশ্রু। অথচ তার কথাগুলো বুকের মধ্যে গিয়ে কষ্ট দিচ্ছে খুব।
‘দাদা তো আনবেই কিছু না কিছু।’ এইটুকুই বলতে পারল অশ্রু। তারপরেই তপতী হুঙ্কার দিয়ে উঠল, ‘দাদা আনে বলে তোকে আনতে নেই? পিয়ালি আর তার ভাইগুলোকে দেখ তো? ওদের বাপ তো নেয়ই, তারাও যা পারে নিয়ে যায়। ওইটুকু-টুকু দশ-বারো বছরের বাচ্চাগুলো কী চালাক!’
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল অশ্রু। ওদের ছোট বলছে বউদি। অশ্রুও যে তাদেরই বয়েসি তা কি ভুলে গিয়েছে!
‘দাঁড়িয়ে রইলি যে? সবার সব কিছু নেওয়া হয়ে গেলে তারপর যাবি? যা। একেবারে খালি হাতে ফিরিস না। কিছু না পারিস, ডাব বসানো ঘটটা নিয়ে আসিস। ওতে করে খাওয়ার জল বইতে পারবি কল থেকে।’
তপতীর ঝাঁঝানি মেখে আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে এল অশ্রু। আগে কখনও ভাসানের সময় জলে নামেনি সে। মা বারণ করত। বলত, ‘হুড়োহুড়িতে ডুবে গেলে কে বাঁচাবে!’ বউদিও তখন কিছু বলতে পারত না। আজ বলছে।
মণ্ডপে গিয়ে অশ্রু দেখল, বরণ শেষ। সব ঠাকুরের ঠোঁটের ওপরেই দলা দলা মিষ্টি উঁচু হয়ে রয়েছে। যে যেমন পেরেছে ঠুসে দিয়েছে। উঠোনে ভিড়। অশ্রুর বন্ধুরা ছুটাছুটি করছে। খুব হুড়ি হচ্ছে। কাঁধে উঠছে গোটা একচালা। ‘বলো দুর্গা মাঈ কী— জয়।’
পুকুরের দিকে চলল সবাই। উঠোন পেরিয়ে রুম্পাদের বাগান। বাঁধাকপি, ফুলকপি, টম্যাটো, গাঁঠিকচু আরও কত কী। পাশ দিয়ে সরু রাস্তা পুকুর ছুঁয়েছে।
কষ্ট হচ্ছে দাদা-কাকাদের। যে পুজোই হোক, গ্রামে ভাসান দিনের বেলায়। একে মাথার ওপর সূর্যের তাপ তার ওপর সব ঠাকুরই এক কাঠামোয়। বইতে ঘাম ঝরে যাচ্ছে ওদের। পুকুরপাড়ে পৌঁছল সবাই। চারপাশে নারকেল আর খেজুর গাছ। একপাশে ঘাট।
রুম্পার দাদা অরূপ ঘট মাথায় করে এনেছে। নামিয়ে রাখল। ওই ঘটটাই নিতে বলে দিয়েছে বউদি। রুম্পা মিষ্টির হাঁড়িটা তার দাদুর হাতে ধরিয়ে দিল। সেও জলে নামবে। প্রতিমা পড়ার আগেই অশ্রুর বন্ধুরা এদিক-ওদিক দিয়ে হড়কে নেমে পড়েছে কোমরজলে।
বড়রা কিছুক্ষণ হাঁফ নিয়ে তারপর ঠাকুর তুলল। ঘাট বেয়ে আস্তে আস্তে নামল। পাড়ে ঢাক, কাঁসর, উলুধ্বনি। ঠাকুমা, কাকিমা আরও একবার ঠাকুরের পা ছুঁয়ে প্রণাম সেরে নিচ্ছে। ‘ছেলেপুলে সঙ্গে নিয়ে আসছে বছর আবার এসো মা।’
এখন ঠাকুর জলে ফেলে ঠেলতে ঠেলতে মাঝপুকুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটু পরেই সকলের পা মাটি ছাড়া হয়ে গেল। মানুষগুলোও মাছেদের মতো জল কাটছে।
ঠাকুর চিত হয়ে ছিল। উল্টে দেওয়ার আগেই সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার ওপর। যে যা পাচ্ছে, সেটা ধরেই টান মারছে। পাড়েও হইচই হচ্ছে খুব। এ বলছে ওটা নে, ও বলছে সেটা।
জলে হাপড়াতে হাপড়াতে এর ওর ফাঁক গলে অশ্রু ঠাকুরের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতেই বড়রা যা নেওয়ার নিয়ে নিয়েছে। টানাটানিতে শোলার সাজ কুচি কুচি হয়ে নানা দিকে ভেসে যাচ্ছে।
গুঁতাগুঁতিতে তার মাথাটা গিয়ে ধাক্কা খেল ঠাকুরের গায়ে। তখনই কীসের যেন গন্ধ এসে ঢুকল নাকে। ঝাপুস ঝুপুস জল চলকে নাকে-মুখে ঢুকছে তার। জল ঘুলিয়ে ওঠায় পাঁকের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ঝোঁট দিয়ে বানানো ঠাকুরের পরচুলা খুলে গেছে। পাটের কোঁকড়ানো সেই কালো চুল এলো হয়ে মুখ ঢেকে ফেলেছে। সেগুলো সরাতে সরাতে অশ্রুর মনে হল এ তো সাবুর গন্ধ! চুল বসানোর সময় সাবু জ্বাল দিয়ে সেটাই আঠা বানিয়েছিল কারিগর। জল পেয়ে টাটকা হয়ে গিয়েছে। মায়ের গায়ের রং থেকেও কী যেন তেলের গন্ধ বেরচ্ছে। বেলপাতা, ফুল, নতুন কাপড়, শোলার গয়না— আরও যে কত রকমের গন্ধ আসছে, বুঝতে পারছে না অশ্রু। সব আলাদা আালদা। আবার সব যেন মিশেও রয়েছে। বুক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, মাথা ঘুরছে।
আর ভাসতে না পেরে ডুব দিয়ে দিয়ে ধারে গিয়ে ঠেকল অশ্রু। তারপর হাঁফাতে হাঁফাতে ঘাটে। পাড়ে এখন মিষ্টি নিয়ে কাড়াকাড়ি। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে দেখে পায়ে নরম পাঁক লেগে আছে। ধোয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়াল। তার বন্ধুরাও উঠে আসছিল। কেউ পেয়েছে কার্তিকের মাথার শোলার মুকুট, কেউ কলাবউয়ের কাপড়, টিনের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়েছে অনেকে। অন্য কিছু না পেয়ে কয়েকজন পরে নিয়েছে ঠাকুরের গলার শুকিয়ে যাওয়া ফুলের মালা। ভিজে চুপচুপে মালা থেকে টপ টপ করে জল পড়ছে। এখান থেকে অশ্রু ফিরে যাবে খালি হাতেই?
একজন তার গায়ে ঠেলা দিয়ে জানতে চাইল, ‘কী রে, ঘর যাবি না?’
সে বলল, ‘তোরা যা, আমি যাচ্ছি।’
ঘরে তো ফিরতেই হবে তাকে। মাঠ থেকে বাবা খেতে আসবে। মাটিতে চাটা পেতে ভাত বেড়ে দিতে হবে। পাশে রাখবে জলের গেলাস। বাবা বলবে, আয় মা, তুইও বোস। এখন সে বাবার মা হয়ে গিয়েছে।
মাঝপুকুরে তাকাল অশ্রু। সেখানে প্রতিমার মুখ উল্টোদিকে ঘুরে জলে ডুবে গিয়েছে। উঁচু হয়ে আছে পিছনের কাঠামোটা। দেখা যাচ্ছে কাঠ, দড়ি আর খড়। কিছুদিন পর ঠাকুরের মাটি ঝরে পুরো খড় বেরিয়ে পড়বে।
পরের বছর আবার মাটি মেখে সেজে উঠবে দুর্গা। অশ্রুর মায়ের যদি এরকম কাঠামো হতো নতুন করে পাওয়া যেত মাকে! কিন্তু আসল মায়ের তো তা হয় না।
পা ধোয়ার সময় মাথা নামিয়ে জলের ওপর ঝুঁকে পড়তেই নিজেকে দেখতে পেল অশ্রু। চুলগুলো ভিজে। পাকানো দড়ির মতো কাঁধের দু’পাশে ঝুলছে। কপালে কালো টিপ। গলার নীচে কণ্ঠার হাড় দুটো ঠেলে বেরিয়ে রয়েছে। তার কাঠামো এটা। হালকা ঢেউ এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। জল স্থির হওয়ার অপেক্ষায় একদৃষ্টে চেয়ে রইল সে।
আবার ঝুঁকতেই আঁইধাই করে উঠল বুকটা। মায়ের মুখটা না? জলে কাঁপছে! হ্যাঁ, ছোট্ট মুখে জ্বল জ্বল করছে সিঁদুরের টিপ, ঘোমটা দেওয়া। জলে ঝিলিক দিয়ে উঠল রোদ। ভেসে যাওয়ার আগেই এবার সে আরও ঝুঁকে ছোট্ট দু’হাতের আঁজলা ভরে তুলে নিল তার মায়ের মুখ।
14th  April, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। বৃষ: নতুন ...বিশদ

08:43:08 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে ১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া ...বিশদ

08:33:48 AM

উপাচার্য: আজ বৈঠক রাজভবনে
উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে ফের বিরোধ বাধল শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে। ...বিশদ

08:10:00 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

08:05:00 AM

আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM