Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ফিরে দেখা
শুচিস্মিতা দেব

গাড়িটা পিজি হাসপাতালের মোড় ঘুরে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। সামনের সিটে বসা সুমন জানলা দিয়ে ঝুঁকে ফুটপাতের এমাথা থেকে ওমাথা চোখ বুলিয়ে নিরাশভাবে বলে, ‘কই! ব্যাটাকে তো দেখা যাচ্ছে না!’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় দেখা গেল ছুটতে ছুটতে আসছে অনীক। চটপট দরজা খুলে উঠে পড়ে পিছনের সিটে, ছুটে আসার পরিশ্রমে বড় বড় শ্বাস ছেড়ে সিটে শরীর এলিয়ে দেয় অনীক, তারপর বলে, ‘উঃ! এক্সাইডের মোড়ে কী জ্যাম মাইরি! রাস্তাই ক্রস করতে পারছিলাম না!’
সুমন এবার ভাড়া গাড়ির চালককে তাড়ার ভঙ্গিতে বলে, ‘ছেড়ে দিন গাড়ি। এখানে দাঁড়ালে পুলিসের নজর পড়তে পারে।’
অনীক তার পাশে বসা প্রণবকে দেখে নিশ্চিন্ত হাসি হাসে, ‘যাক! শেষ অবধি আমাদের বার্ষিক মিলনোৎসবটি বাস্তবায়িত হল! যা গ্যাঁড়াকলে পড়েছিলাম! পরশু থেকে বুক ফেয়ার... অনেকগুলো নতুন বই বেরুবে... ছোটাছুটি চলছে!’
প্রণব বিরক্তভাবে বলে, ‘তার মধ্যে ছোটাছুটি করে আসার কী দরকার ছিল? কতবার বললাম, বাড়ি থেকে তোকে পিক-আপ করে নেব, রাজিই হলি না!’
অনীক আনমনাভাবে বলে, ‘আসলে মেট্রো চড়ার শখ হল, কতদিন চড়িনি।’
সুমন সামনের এগিয়ে আসা সর্পিল ফ্লাই-ওভারের দিকে চোখ রেখে বলল, ‘লোকেরা তোকে চিনতে পারে? নিশ্চয়ই অটোগ্রাফ চায়? সত্যি তোর জন্য গর্বে আমাদের বুক ভরে ওঠে। আমাদের সেই নাকু আজ এত বড় লেখক!’ অনীকের লম্বা নাক আর নামের মিশেলে বন্ধুদের এই দুষ্টুমির নামটি শুনে হেসে ফেলে সকলে। গাড়ি স্পিড তোলে, এবার প্রণব বলে, ‘তাহলে বন্ধুগণ, নিয়মমাফিক আমাদের সেলফোনগুলো আমরা বন্ধ করে দিই?’ প্রণবের কথার লেজ ধরে অনীক কেমন গাঢ় গলায় বলে, ‘ও ইয়েস, লেটস গেট কাট অব ফ্রম দি ওয়ার্ল্ড! তারপর শৈশবের সোনালি দিনগুলোতে ডুব মারব তিনজনে।’ বড্ড গাঢ় হয়ে আসে অনীকের গলা, অন্য দু’জনকেও বুঝি ছুঁয়ে যায় মন কেমন করা মায়া...
একটু যেন আনমনা হয়ে পড়ে তিনজন, নিজেদের ফোনগুলিকে অফ করে দেয় আঙুলের চাপে এক এক করে। ব্রিজের নীচে আলসেমির চাদর মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে গঙ্গা, খোলা জানলা পেয়ে হু হু করে বাতাস এসে এলোমেলো ঝাপ্টা মারে তিনজনের চোখে-মুখে, স্মৃতিতে...
এটা তিন বন্ধুর একটা খেলা। গত পাঁচ বছর ধরে চলছে। তিন বাল্যবন্ধু বছরে একদিন একসঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। সারা দিনটা কাটায় নিজেদের সুখ-দুঃখের রোমন্থনে। বউ-বাচ্চাদের ফেলে, জগৎ-সংসার থেকে বিমুক্ত হয়ে নতুন নতুন ঠিকানায় পৌঁছে যায় ছেলেবেলার একাত্মতায় ভর করে। সুমন লন্ডন থেকে তার কর্পোরেট কর্তার ঝকঝকে পরিচয় ছুঁড়ে ফেলে ছুটে আসে, প্রণব ত্যাগ করে আসে তার ব্যারিস্টারি গাম্ভীর্য। এদের মধ্যে সফলতম অনীক সেনগুপ্ত... বাংলার লোকপ্রিয় লেখক, তার যশের মুকুটটি সেদিন নামিয়ে রেখে খোলা হাওয়ায় ভেসে যায়।
‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। মিঃ আগরওয়ালের ব্যবস্থা চমৎকার, কুকটাও নাকি লা জবাব...’
বাংলোটা সত্যিই সুন্দর। পরিপাটি ব্যবস্থা। সাজানো ড্রয়িং রুম, হাত-পা ছড়িয়ে বসতেই গরম গরম ফুলকো লুচি আর আলুর দম হাজির। সুমন তার ঢাউশ ব্যাগটি খুলে স্কচের বোতল বার করতেই সেটির সদ্ব্যবহারে তৎপর হয় তিন বন্ধু। আড্ডা শুরু হয়। এই তিন বন্ধুর শৈশব কেটেছে ভবানীপুরে। পাড়ার রাস্তায় ক্রিকেট বল পেঁদিয়ে... আদি গঙ্গায় ঝাঁপাঝাঁপি করে! স্কুলের বাঁদরামি করে কানমলা খেয়েছে একসঙ্গে... ইন্দিরা সিনেমা হলের লাইনে মেয়েদের পিছনে লেগে তর তর করে বড় হয়েছে তিনজনে। ক্রমশ বেলা গড়ায়... জীবনের খুঁটিনাটি বোঝাপড়া, আনন্দ দুঃখ ফেনিল ধারায় বহমান হতে থাকে। বছরের এই একটা দিন যে কেন আজও এমন অমূল্য রয়ে গেছে তাদের কাছে, আরও একবার সেকথা উপলব্ধি করে তারা। শীতের দুপুর এবার বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোদ ম্লান মেদুর। ওরা বসে আছে লনে, সামনে শান্ত মেয়েটির সৌজন্যে ধীর প্রবাহিতা গঙ্গা। চায়ে চুমুক দেয় সুমন, ‘দারুণ কাটল বল দিনটা?’
নদীটির মতো শান্ত মুখে অনীক হঠাৎ বলে, ‘আজ যাবার আগে তোদের কিছু কথা আমি বলতে চাই।’
কী ছিল অনীকের কথাটিতে? সুমন ও প্রণব কেন যে এমন ত্রস্ত হয়ে ওঠে? বড্ড যেন নিথর দৃষ্টি তাদের লেখক বন্ধুর চোখ দুটিতে... যেন সে তার পারিপার্শ্বিক থেকে চলে গেছে অনেক দূরে।
‘সুমন-প্রণব, তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলিস, কিংবা বলব, এখনও আছিস। তোরা কী কোনও দিনই টের পাসনি যে আমি তোদের ভালোবাসার পাশাপাশি তোদের হিংসাও করতাম? হয়তো টের পাসনি, কারণ আমি খুব সাবধান ছিলাম সে বিষয়ে। তোদের দু’জনের সঙ্গে আমার অবস্থার আকাশ-পাতাল ফারাক ছিল। আমার বয়স যখন পাঁচ বোন অনিতার বয়স তিন... আমাদের বাবা-মা দু’জনে এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। সম্ভবত ঋণশোধ করতে না পারার দরুন। মামা বাড়ির হেফাজতে বাচ্চা দুটিকে ফেলে রেখে তারা কেটে পড়লেন। মামারবাড়িতে ফাই-ফরমাস খেটে বড় হতে থাকি আমরা...’
প্রণব হাত তুলে প্রসঙ্গটির সমাপ্তি টানতে চায়, ‘এসবই আমাদের জানা... পাস্ট ইজ পাস্ট... কে এসব মনে রেখেছে বল তো? তুই এখন বাংলাদেশের, আমাদের গর্ব!’
অনীক কেমন তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে, ‘হাঃ! গর্ব! প্রণব তোদের ছিমছাম দোতলা বাড়িটা কী সুন্দর ছিল! তোর বাবা ব্যারিস্টার প্রমথ মুখার্জির সোনালি নেমপ্লেট! তুই ছিলি আদরের ধন কুলপ্রদীপ পুত্র, বাপ-মায়ের বুকের পাঁজর। টলটলে ভালোবাসার সংসার ছিল তোদের। আমার ভীষণ লোভ হতো অমন একটা সংসারের জন্য... বাবা-মায়ের জন্য!’
সুমন বিরক্তভাবে বলে, ‘আজ এত বছর পর কেন যে তুই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে বসলি! এটা স্বাভাবিকই ছিল অনীক, ঈর্ষা হতেই পারে।’ অনীক সুমনের দিকে তাকায়, ‘তোরা তো জমিদার ছিলিস। গঙ্গার গা ঘেঁষে তোদের বাড়িটাকে আমরা বলতাম রাজবাড়ি। ঠাকুর-চাকরে ঠাসা জমজমাট সংসার ছিল তোদের, জন্মদিনে ফ্লুরিসের কেক, রবিবারে পার্ক স্ট্রিটে লাঞ্চ! কিন্তু তোরা দু’জনেই অনাথ হাঘরে আমাকে বুঝতে দিসনি তফাতটা... বিন্দুমাত্র অহংকার ছিল না তোদের!’
রোদে তেজ মরে এল, সুমন উসখুস করে, ‘নে এবার থাম। ফিরতে হবে তো!’
‘হ্যাঁ! ফিরতে হবে, তাই বলতেও হবে। শুনে নে। তখন আমরা ক্লাস টেন, তোরা সাইন্স, আমি আর্টস! আমাদের বাড়ির রকে ক্যারাম খেলার ঠেক ছিল। সেখানে আমার বোন অনিতা আর ওর বন্ধু সুন্দরী মিতাও এসে জুটত। লক্ষ করলাম, তোরা ওদের দেখলে চঞ্চল হয়ে উঠিস... তোদের চারজনের মধ্যে একটা গোপন স্রোত বইতে দেখলাম...’
‘প্লিস, তুই থাম—’ সুমন বাধা দেয়।
অনীক কিন্তু থামে না। ‘আমার হিংসা দাউদাউ করে জ্বলে উঠল জানিস? প্রণব, তোর অনিতাকে পছন্দ করাতে আমার খুশি হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু হইনি। মিতা আর সুমনের দৃষ্টি বিনিময়ের গভীরতা আমাকে জ্বালাত! আমি গরিব, আমি সুন্দর নই, আমার কোনও প্রেমিকা জুটবে না। শালা, ভগবান আবার তোদের জিতিয়ে দেবেন? নো! নেভার!’
অনীক নিজের আঙুলগুলি নিয়ে খেলা করতে করতে স্বগতোক্তির মতো বলে, ‘মিতাকে যে আমারও দারুণ পছন্দ ছিল! সুন্দরী, দারুণ গান গায়। কিন্তু সুমনের মতো শাঁসাল পার্টি ফেলে আমার মতো ফেকলুকে সে কেনই বা পাত্তা দেবে? এইসময়, প্রথমবার ভগবান আমার দিকে মুখ তুলে চাইলেন। সুমন, তোর বাবা লন্ডনে চাকরি সূত্রে সপরিবার চলে যাওয়া মনস্থ করলেন। বন্ধু বিচ্ছেদের বেদনা নয়, প্রবল আনন্দ হল আমার। আমার পথের কাঁটা দূর হবে এবার।’
নিজের মনেই হেসে উঠে অনীক বলে, ‘কিন্তু কী কপাল! সুমন চলে যাবে জেনে মিতা ভেঙে পড়ল খুব। সুমনকে চিঠি লিখল একটা। অনিতা সেই চিঠি সুমনের কাছে পৌঁছবার ভার দিল আমায়।’ সুমন চমকে যায়। ‘মিতা আমাকে চিঠি লিখেছিল?’
‘লিখেছিল, কিন্তু তোর কাছে পৌঁছল না। আমি সেটা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিলাম তো! মিতা জানল, সুমনই চিঠিটা ফেলে দিয়েছে। সুমনের এই প্রেমের খেলা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে অন্তরায়!
‘আমাদের হায়ার সেকেন্ডারি তখন শিয়রে, রকের আড্ডা ভেঙে দিলাম। সুমন তুই মিতার কথা মাঝে মাঝে তুলতিস, আমি তোকে বলেছিলাম মিতাদের রক্ষণশীল পরিবারের বিধি-নিষেধের কথা। ফোনও ছিল না ওদের, আর তুই মানুষটা তো চিরকাল ভদ্র আর মুখচোরা!’
সুমন এখন সিগারেট খায় না, ফস করে সে প্রণবের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট তুলে ধরায়। ‘তার মানে মিতা সারাজীবন আমাকে একটা ফ্লাট ভাবল?’ ‘চিন্তা করিস না। সুমনদার প্রতি অবিচল আস্থায় বড় একটা ছেদ বোধহয় পড়েনি মিতার। তোর চিরকুমার স্টেটাসটাও ওকে গভীরে কোথাও সান্ত্বনা জুগিয়েছে।’
বলে চলে অনীক, ‘মিতাকে কায়দা করে অজগরের মতো পাকে পাকে জড়িয়ে ধরলাম, ক্ষতস্থানে প্রলেপ লাগিয়ে যখন বেশ বশ করে আনছি, তখন দেখি অনিতা আর প্রণব গল্পে মশগুল রাস্তার ধারে। অনিতা জানে মিতার প্রেমপত্রের কথা, ভবিষ্যতে প্রণবকে যদি বলে দেয় সে কথা? শয়তানের মগজ বলল, অনিতার সঙ্গে প্রণবের প্রেম-বিয়ে আমার ভবিষ্যতের জন্য ডেঞ্জারাস। আমি সিধা চলে গেলাম প্রণবের মায়ের কাছে।’
প্রণব এবার অঙ্ক মেলানোর ভঙ্গিতে বলে, ‘তুই মাকে বলেছিলিস অনিতার শরীরে বড় রকম মেয়েলি প্রবলেম আছে, ও কোনও দিন মা হতে পারবে না। মায়ের সে কী কান্না, বংশলোপের আশঙ্কা! শেষ পর্যন্ত মাকে আমি কথা দিলাম, অনিতার সঙ্গে আর দেখা করিনি।’
অনীক মাথা নাড়ে। ‘হ্যাঁ! অনিতা আর মিতাকে আমি শান্তিনিকেতনে পড়তে রাজি করালাম। মামাবাড়ি ছেড়ে কলেজ স্ট্রিটের মেসে চলে গেলাম। অনিতা বিএ পাশ করে একটি জাপানি ক্লাসমেটকে বিয়ে করে চলে গেল জাপানে। দুটি মেয়ে নিয়ে সুখেই আছে।’
প্রণব বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে বলে, ‘মাকে তুই মিথ্যে বলেছিলি!’
‘উপায় ছিল না যে! ভগবানের অবিচারের সঙ্গে লড়াই চলছে! নিজের ভাগ্য নিজে গড়ব। মিতা কলাভবনেই পড়াত। বাড়ির অমতে আমায় বিয়ে করল বলে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক থাকল না। আমি লেখালেখির জগতে পা দিলাম, একটু একটু করে নাম হল, তোদের সঙ্গে আবার যোগাযোগও হল, মনে হল এবার আমি জিতে গেছি।’
শীতের কুয়াশা কেমন অস্পষ্ট করে দিচ্ছে তিন বন্ধুকে। তারা বসে আছে তিনটি স্থির মূর্তি! ‘ভেবেছিলাম জিতে গেছি, কিন্তু নাঃ! জিতলাম কোথায়?
শান্তিই তো পেলাম না। বিবেকের কাছে জবাবদিহি চলছে সারাজীবন। মিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মিলনের মুহূর্তে মনে হতো আমাদের মধ্যে সুমন রয়ে গেছে। বাচ্চাও হল না একটা! হিংসার জ্বালায় যাদের এত ভালোবাসি তাদের সকলকে কষ্ট দিলাম। তোরা আমায় ক্ষমা করে দিস প্লিস—’ নিজের হাতের পাতায় মুখ ঢাকে অনীক। ফেরার পথে তিন বন্ধুই গাড়িতে বসে আছে নির্বাক। তিনজনই ডুবে আছে নিজেদের ভাবনায়। সুমন আর প্রণবের মনে হচ্ছে, সন্দেহের জট খুলে গেল এতদিনে! এবারের মেমরি ট্রিপটায় জীবনটাকে আগাগোড়া অন্যভাবে ফিরে দেখা হল যেন!
গাড়িটা রবীন্দ্র সদনকে সামনে রেখে দাঁড়ায়। অনীক নেমে বলে, ‘আজ বড় শান্তি হল রে। এবার মোবাইলগুলো অন করে দে। চলি।’ হাত নেড়ে ভিড়ের মধ্যে চকিতে অদৃশ্য হল অনীক।
সত্যিই তো! মোবাইলগুলোও অফ রয়ে গেছে। গাড়িটা ডানদিকে মোড় নেয়। অন্যমনস্কভাবে মোবাইল অন করে চমকে যায় প্রণব! প্রচুর মিসড কল! বউ চুমকিরই বেশি! বুকটা কেঁপে ওঠে প্রণবের। তাড়াতাড়ি চুমকিকে ফোন লাগায়। ফোনে শোনে চুমকির কান্না, ‘কতবার বলেছি ফোন অফ করে এভাবে যেও না তোমরা। একবার খোঁজও নিলে না সে কেন এল না? কেমন মানুষ তোমরা?’
‘কার কথা বলছ চুমকি?’
‘অনীকদা সকালে তোমাদের মিট করতে রাস্তা পার হতে গিয়ে এক্সাইডের মোড়ে বাসের চাকায় পিষে স্পটডেড... সারাদিন কলকাতা তোলপাড়... লোকেরা বাস পুড়িয়ে দিয়েছে... পোস্টমর্টেম হল... নন্দনে খানিকক্ষণ বডি ছিল... আমি মিতার সঙ্গে আছি। এখন আমরা পিজি হাসপাতালের সামনে দিয়ে ক্যাওড়াতলা শ্মশানের দিকে যাচ্ছি... তোমরা কোথায়?’
প্রণবের হাত থেকে সেলফোনটা খসে পড়ে। জ্ঞান হারাবার আগের মুহূর্তে সে দেখতে পায় কাচে মোড়া ফুলে ঢাকা শববাহী গাড়িটা চলেছে ঠিক তাদের সামনে সামনে।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
24th  February, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে  বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত ২
বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়াল পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে। এই সংঘর্ষের ...বিশদ

09:58:52 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

09:57:58 AM

হলদিয়ার সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান
গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপারমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ...বিশদ

09:57:54 AM

উপাচার্য: আজ বৈঠক রাজভবনে
উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে ফের বিরোধ বাধল শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে। ...বিশদ

09:28:09 AM

১১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ

09:13:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। বৃষ: নতুন ...বিশদ

08:43:08 AM