Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


আজ থেকে বছর ত্রিশ, চল্লিশ আগেও ‘তাঁদের’ রমরমা উপস্থিতির কথা অনেক মানুষজনই বেশ বুঝতে পারতেন। সেইসময় কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেশ কিছু পরিত্যক্ত, পুরনো বাড়ি ছিল। সেইসব বাড়ির বিভিন্ন তলায় তাঁরা সপরিবারে বসবাস করতেন। দিনের বেলায় তাঁদের চলাফেরা মোটেই টের পাওয়া যেত না। যেই সূর্যদেব সেদিনের মতো পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়তেন, আর তখনই হাতে আঁকশি নিয়ে এক সাইকেল আরোহী টুক টুক করে একের পর এক ল্যাম্পপোস্টের আলো জ্বালাতে জ্বালাতে হারিয়ে যেতেন এপাড়া থেকে অন্য পাড়ায়। হলদে হয়ে যাওয়া সেই বাল্বের ম্রিয়মান আলো কিন্তু আজকের মতো কোনওদিনই রাস্তা ছুঁতে পারত না। আর তারপরেই শুরু হতো তাঁদের হইহুল্লোড়। কিছু কিছু এলাকার পুরো দখলদারি তাঁরা নিয়ে নিতেন। যেমন বরাহনগর কুটিঘাট অঞ্চলের বসাকবাগানের দীর্ঘ পথটি রাতের বেলায় পার হতে অতি বড় সাহসীরও বুক কেঁপে উঠত। একদিকে বিশাল এক কেয়া ঝোপ, আর রাস্তার ধারে বসাকদেরই কোনও পূর্বপুরুষ সার দিয়ে ছোট ছোট এক ধরনের ফলের গাছ পুঁতেছিলেন। অদ্ভুত আকৃতির সবজে রঙের পাকানো এক ধরনের ফল । ওপরের মোটা সবুজ খোসাটা ছাড়িয়ে ফেললেই বেরিয়ে আসত সাদা শাঁস। অদ্ভুত তার স্বাদ। তাকে আমরা আদর করে জিলিপি ফল বলে ডাকতাম। তবে এই বাগানের সেই কুখ্যাত গাব গাছটিই ছিল মানুষের ত্রাসের কারণ। কারণ ওই গাব গাছে প্রতিবছরই কেউ না কেউ গলায় দড়ি দিতেন। ফাঁসি ঝোলা গাব গাছ নামে সে বিখ্যাত ছিল। অনেকেই এই গাছের তলায় রাত-গভীরে তাঁদের দর্শন পেয়েছেন বলেও শোনা যেত। বর্তমানে সেই গাব গাছ অতীতের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই রাস্তার শেষ মাথার একটি বাড়িও যথেষ্ট কুখ্যাত ছিল। বালিগঞ্জের এক ধনী ব্যক্তির বাগানবাড়ি ছিল সেটি। রাতের দিকে বহু মানুষই সেই বাড়ি থেকে ঘুঙুরের আওয়াজ শুনতে পেতেন।
এই রকমই একটি রাস্তা হল রায় মথুরানাথ চৌধুরী স্ট্রিট। কুটিঘাট রোডের বুক থেকে উঠে মা গঙ্গার গা ঘেঁষে অধুনা লুপ্ত সতীদাহ ঘাট ছুঁয়ে সে এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে প্রামাণিক ঘাট রোডে । এখানেই রয়েছে সেই বিখ্যাত কাঁথাধারী মঠ। বহু কাল আগে সপার্ষদ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব গঙ্গাবক্ষে নৌকাযোগে পুরী যাচ্ছিলেন। তাঁরা গঙ্গার ধারে ছোট্ট একটি চালা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন বলে ঠিক করেন। ওই চালাটি ছিল ভক্ত এক ব্রাহ্মণের। গৃহকর্তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে মহাপ্রভু বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গের কাঁথাটি ব্রাহ্মণের গায়ে জড়িয়ে দেন। সেই কাঁথা আজও রয়েছে বর্তমান মঠে। এই মঠ পেরিয়ে একটু এগোলেই বাঁদিকের সেই ঘাটটি আজও বহু অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘাটটির নাম শিলাঘাট। নকশাল আন্দোলনের শেষক্ষণে একদিন, যেদিনটি আজও কলঙ্কিত হয়ে আছে ‘বরাহনগর কিলিং’ নামে, ওই ঘাটেই খুন করা হয়েছিল অসংখ্য তরুণকে। তারপর তাঁদের ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গায়। তাই রায় মথুরানাথ চৌধুরী স্ট্রিটের ওই অংশটি সম্পর্কে বহু মানুষ নানারকম কথা কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলতেন। বর্তমানে বহুতল বাড়ি ও ভেপার ল্যাম্পের আলো এই অঞ্চলের ভৌতিক বদনাম একদম মুছে দিয়েছে।
তবে কলকতায় এখনও অনেক বিখ্যাত ভুতের বাড়ি আছে। যাদের নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা যায়। যেমন ঐতিহাসিক হেস্টিংস হাউস। এর কুখ্যাতি আজও সমান ভাবে বিদ্যমান। ওই বাড়িটি এখনও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে ভারতের প্রথম বড়লাটের জন্য। তিনি নাকি আজও ওই বাড়িতে মাঝেমাঝেই চলে আসেন। কেন আসেন? সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন ।
তাঁরা আছেন কিংবা নেই তা নিয়ে প্রবল দ্বিমত, তর্কবিতর্ক থাকলেও যাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন তাঁরা আছেন সেইসব মানুষজন অন্ধকার নামলেই নিজেদের সঁপে দিতেন দশরথ-নন্দন ‘শ্রীরামচন্দ্র’-এর চরণে । পারতপক্ষে রাতের অন্ধকারে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরতে চাইতেন না। বেরতে বাধ্য হলে তাঁরা বিড়বিড় করে অবিরাম রামনাম জপতে জপতে কাজ শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে আসতেন। রাতে ঘুমোবার সময় তাঁদের ঘরের সমস্ত আলোই ফটফট করে জ্বলত। তাঁরা বিশ্বাস করতেন — দিনের আলোকে যদি ‘তাঁরা’ ভয় পান, তাহলে ঘরে যদি রাতে আলো জ্বেলে রাখা যায় তাহলে অবশ্যই তেনারা সেই ঘরে প্রবেশ করার সাহস দেখাবেন না। জানি না এইভাবে আলো জ্বেলে সত্যি তাঁদের আটকানো আদৌ সম্ভবপর কিনা!
এবার আপনাদের আমি একটা সত্যি ঘটনা শোনাব। এই গল্পটি আমি শুনেছিলাম এক খ্যাতিমান সাহিত্যিকের মুখ থেকে। আজ থেকে বছর পঁয়ত্রিশ আগের ঘটনা। উত্তরবঙ্গের এক সাহিত্যসভায় যোগ দিতে গিয়েছেন কলকাতার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। সেই দলে নবীনতম সাহিত্যিক হিসাবে সেই লেখকও ছিলেন। পরবর্তীকালে এক সন্ধ্যার আড্ডায় তিনি আমাদের এই গল্পটা শুনিয়েছিলেন।
সময়টা ছিল শীতকাল। দার্জিলিং মেলে চেপে সদলবলে তাঁরা গিয়ে নামলেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখানে তাঁদের জন্য উদ্যোক্তারা সকাল থেকেই গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। গোটা তিনেক গাড়িতে ভাগাভাগি করে লেখকরা উঠে পড়লেন। একসময় গাড়ি গিয়ে পৌঁছল তাঁদের জন্য ঠিক করে রাখা বনবাংলোতে। দুপুরের আহারের পর জমে উঠল জমজমাট আড্ডা। কিন্তু কোথাও যেন তাল কেটে যাচ্ছে। কেন এরকম হচ্ছে! আসলে ওই দলের দুই বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের মধ্যে কোনও কারণে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তখন কথা বন্ধ। তাই বিবাদমান দু’জনেই দু’জনের রসিকতায় কোনওরকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন না। এইভাবে কখন যেন সময় হয়ে গেল বিকেলের সভার। সেই সাহিত্য সভা শেষে তাঁরা যখন আবার বাংলোয় ফিরলেন, তখন বেশ রাত হয়েছে। উদ্যোক্তারা প্রত্যেকের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। আলাদা ঘরে শুতে হবে শোনা মাত্র দলের অন্যতম এক প্রবীণ সদস্যের হৃদকম্পন শুরু হল। কারণ তিনি প্রবলভাবে ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন। এদিকে তাঁর সঙ্গে যিনি রুম শেয়ার করতে পারেন, সেই মানুষটির সঙ্গেই তো আবার প্রবল ঝগড়া চলছে।
এই পরলোকের বাসিন্দারাই সেই রাতে দুই পুরনো বন্ধুর বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছিলেন। ভূত বিশ্বাসী সেই প্রখ্যাত লেখক ও সম্পাদক হাতের কাছে রাখা প্যাড টেনে নিয়ে নাকি লিখেছিলেন, ‘ঝগড়া আপাতত স্থগিত থাক। আজ রাতে তুমি আমার ঘরে শুতে পারবে কি?’ চিঠি পড়ে আর এক বিখ্যাত সাহিত্যিক ও সম্পাদক মৃদু হেসে বন্ধুর সঙ্গে রাত কাটাতে চলে এসেছিলেন।
ভূত নিয়ে লেখক ও শিল্পীদের আগ্রহ এবং উৎসাহ কোনওকালেই নেহাত কম ছিল না। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও প্ল্যানচেট করতেন। তাঁর সেই আসর আলো করে গিয়েছেন বহু বিখ্যাত আত্মা। অপরদিকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং প্রেত দর্শন না করলেও তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় কাশীতে ‘পুত্রের ওপর ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধ সদ্য প্রয়াত পিতার প্রেতকে’ কোনওক্রমে শান্ত করেছিলেন। সেই গল্প কথাসাহিত্যিক তাঁর বন্ধুদের কাছে মাঝে মাঝেই করতেন।
তখনও ‘কপালকুণ্ডলা’ লেখার কাজে হাত দেননি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি তখন নেগুয়া (পূর্ব মেদিনীপুর)-তে থাকতেন। কার্যোপলক্ষে তাঁকে একদিন যেতে হয়েছিল নেগুয়ার বাইরে একটি জায়গায়। সেখানে রাত্রিবেলায় তিনিও শুভ্র বসন পরিহিতা এক রমণীকে দেখেছিলেন। ভূতে বিশ্বাস শুধু ভারতীয় লেখকর বা শিল্পীরাই করতেন এরকম ভাবাটা কিন্তু একদমই অনুচিত হবে। ধরা যাক শেক্সপিয়রের কথা। তাঁর লেখায় তাঁদের উপস্থিতি আমাদের বারেবারে নজরে এসেছে। ‘হ্যামলেট’ নাটকে হ্যামলেট তাঁর বন্ধু হোরাসিয়োকে কী বলেছিলেন একবার মনে করার চেষ্টা করুন। তিনি বলেছিলেন,‘There are more things in heaven and earth Horatio, Than the dreamt of in your philosophy.’
পরবর্তী সংখ্যা থেকে আপনাদের সেইসব কাহিনী শোনাবার চেষ্টা করব। (চলবে)
24th  February, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মালদহের মানিকচকের জনসভায় পৌঁছলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:43:44 PM

২৪ তারিখ অবধি বঙ্গে তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি
এখনই তাপপ্রবাহ কমার কোনও আশা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। তাই আগামী ...বিশদ

03:38:08 PM

বাংলায় আমি যতদিন আছি, এসব করতে দেব না: মমতা

03:11:14 PM

কে কী খাবে তাঁর নিজের ব্যাপার, আপনারা কেন ধমকাবেন: মমতা

03:10:41 PM

রামনবমীতে পরিকল্পনা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে: মমতা

03:07:01 PM

দেশের কৃতী মেয়েরা তাঁদের পদক ফেরত দিয়েছে: মমতা

03:07:01 PM