Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব। সংসারের পালা-গানে ঝালাপালা হতে হতে কখনও-সখনও যদি নিস্তার পাওয়া যেত তখন রিমার সঙ্গে গল্প জুড়তে ভুলত না দীনবন্ধু— জানো তো, মিহির পড়াশুনোয় কী ভালোই না ছিল, অথচ শেষ পর্যন্ত একটা চাকরি জোটাতে পারল না। কিংবা বলত, সিনেমার নায়ক হতে গিয়ে কী হেনস্তাই না হয়েছিল বিমল। মায়ের গয়না চুরি করে শেষ পর্যন্ত হাজতবাস করতে...। স্বামীর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের প্রতি রিমার কোনও উৎসাহ না দেখে হতাশ হতো দীনবন্ধু। হতাশ হলেও সহজে ছাড়ত না রিমাকে। পাশের ফ্ল্যাটের ঘোষ-গিন্নির মতো গাওয়া ঘি রঙের জামদানি শাড়ি কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শোনাতে চাইত অজিতের বোন নন্দিতার গল্প। নন্দিতার ভুল বানানে ভরা প্রেমপত্র লেখার গল্প। দীনবন্ধুকে তিন-তিনটে চিঠি লিখেও যখন পাত্তা পায়নি, তখন পাকড়াও করেছিল ত্রিনাথকে। বলতে বলতে হেসে ঢলে পড়ত দীনবন্ধু। একটু হয়তো ছুঁয়েও দিত রিমাকে। আর তখনই সোফার পাশে বসা স্বামীকে ছেড়ে উঠে দাঁড়াত রিমা— তোমার বড্ড ঢলে পড়া স্বভাব। বড় বড় সব ছেলে-মেয়েরা ঘরে। দেখলে কী ভাববে বলো তো?
দীনবন্ধুর উত্তরের অপেক্ষা করত না রিমা। হেঁশেলে পালিয়ে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করত স্বামীর স্মৃতিচারণের বহর থেকে। রিমা পালালেও দুঃখ পেত না দীনবন্ধু। স্মৃতি সতত সুখের। নিজের মনে নিজেই ডুবে যেত হারানো বন্ধুদের স্মৃতি মন্থনের সমুদ্রে। স্মৃতির ঢেউয়ে ভেসে যেত। আছড়ে পড়ত। আবার ভাসত। আছাড় খেত। সুখ-দুঃখ, দুঃখ-সুখের স্মৃতি মানুষের জীবনের হৃদস্পন্দন। বেঁচে থাকার, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সুতরাং রিমা এড়িয়ে গেলেও বুঁদ হয়ে থাকতে ভালোবাসত দীনবন্ধু। মনে মনে রিমার উদ্দেশে বলত— মেয়েরা বন্ধুত্বের কী বোঝে? হিংসা আর পরশ্রীকাতরতার অসুখে ভুগলে কি আর বন্ধুত্ব করা যায়?
বলবে না কেন? রিমার মুখে কোনও দিন তার কোনও বন্ধুর গল্প এমনকী নামও শোনেনি দীনবন্ধু। কৌতূহল চাপতে না পেরে প্রশ্নটা একদিন করেই ফেলেছিল ছেলে-মেয়েদের আড়ালে— তোমার কোনও বন্ধু নেই? কই তাদের কথা তো কোনও দিন বলো না? স্বামীর প্রশ্নের উত্তরে একগাল রহস্যের হাসি ছড়িয়েছিল রিমা— থাকবে না কেন? খুউব আছে। তবে তারা তোমার বন্ধুদের মতো গেলাসের বন্ধু নয়।
ওঃ, উত্তর শুনে একটু দমে গেছিল দীনবন্ধু। বলেছিল— আমাদের সমাজে মেয়েদের হাতে গেলাসটা এখনও তেমনভাবে ওঠেনি, তাই বলতে পারলে। উঠলে তো সন্ধের পর সংসারটা ভরত-নাট্যমের স্টেজ হয়ে যেত।
মোটেও না। ওই সব ছাইপাঁশ গিলে বন্ধুত্ব করার চেয়ে নির্বান্ধব থাকা অনেক ভালো— হাতের কাজ সারতে সারতে নিজের মনে নিজেকে বলার মতো করে বলেছিল রিমা।
মাসে ক’দিন আমার হাতে গেলাস উঠতে দেখেছ? স্ত্রীর উপর অভিমান হয়েছিল দীনবন্ধুর— জানি জানি, তোমার বন্ধুদের সব খবর আমার জানা আছে।
তাই? কী জানো, একটু শোনাবে আমাকে? কান খাড়া করে বেঁকে দাঁড়িয়েছিল রিমা।
ওই তো বিট্টুর মা, দর্জিপাড়ার ধুমসো মহিলাটা, কী যেন নাম?
কল্পনা মোটেও আমার বন্ধু নয়। ওর ছেলে বাপ্পার সঙ্গে পড়ে। স্কুলের দুয়ারে দেখা হয়, ব্যস— আবার নিজের কাজে ফিরেছিল রিমা।
টুম্পার মা গীতা? তার সঙ্গে তো দিনে চোদ্দোবার কথা হয়। নারায়ণ পুজোর প্রসাদ খেতে যাও। রামমন্দিরে শাড়ি কিনতে যাও, নাছোড় দীনবন্ধু কিছুতেই ছাড়তে চায়নি রিমাকে। গীতাকে একটু বেশিই পছন্দ করে দীনবন্ধু। বিট্টুর মায়ের মতো থলথলে নয়, আবার সানুর মায়ের মতো প্যাঁকাটিও নয়। গায়ের রং শ্যামলা হলেও বেশ চিকচিকে। আর চোখ দুটো? সে তো একেবারে মদন বাণ।
—গীতা তো আমার চেয়েও তোমার বেশি বন্ধু। স্কুটারের পিছনে বসিয়ে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাও—
—গীতা বলেছে বুঝি? গোপন কথাটি গোপন না থাকায় ফুঁসে উঠেছিল দীনবন্ধু— স্ট্যান্ডে একটাও রিকশ ছিল না। নিজেই যেচে এসে দু’কাঁধ ধরে পিছনে ঝুলে পড়ল।
জানি জানি। গীতা আমাকে সব বলেছে— হিংসে হিংসে স্বরে শুনিয়ে দিয়েছিল রিমা। তারপর সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিল, পরের বউকে স্কুটারের পিছনে বসিয়ে অত ঘন ঘন ব্রেক কষার কী হয়েছিল? ঘন ঘন ব্রেক কষেছি? আমি? গীতা বলেছে বুঝি?
না, ঠিক তা বলেনি। বলেছে, রিমা, তোর বরটা খুব ভিতু। স্কুটার চালানোর হাতটাও পোক্ত নয়। ওইটুকু রাস্তায় পঞ্চাশবার কেউ ব্রেক কষে? নিজের ঢঙে জবাব দিয়েছিল রিমা। চোখ রেখেছিল দীনবন্ধুর মুখের ক্যানভাসে। তারপর দীনবন্ধুর কোনও উত্তর শোনানোর আগেই ঘোষণা করেছিল রায়— আমি তো তোমাকে হাড়ে হাড়ে চিনি। ঘন ঘন ব্রেক কষার উদ্দেশ্যও বুঝি। গীতার ঢুলু ঢুলু স্বভাবকে ক্যাশ করতে চেয়েছিলে, তাই তো?
রিমার রায় শোনার পর বন্ধুত্ব নিয়ে আলোচনা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি দীনবন্ধু। গীতার স্পর্শটুকু স্মৃতিতে রেখে ঘর ছেড়েছিল নিস্তার পেতে। বিট্টুর মা, গীতা আর শ্রীলেখার সঙ্গেই একটু যা মাখামাখি রিমার। তার বাইরে আর যারা আছে তারা তেমন উল্লেখযোগ্য কেউ নয়। কিন্তু দীনবন্ধু তো জানতে চেয়েছিল অন্য কথা। রিমার স্কুল কিংবা কলেজবেলার কোনও বন্ধুর কথা। ‘বন্ধু’ তার কারণ ‘বান্ধবী’ শব্দটাকে তেমন প্রাধান্য দিতে চায় না দীনবন্ধু। দিতে ইচ্ছে করে না। কেমন যেন প্রাণহীন, ছাড়া ছাড়া মনে হয়। চাকরি পাওয়ার পর দপ্তরে পেয়েছিল অনুরাধাকে। বয়সে দু-তিন বছরের বড় হলেও ‘দিদি’, ‘দিদি’ চেহারা ছিল না অনুরাধার। রিমা তখনও দীনবন্ধুর জীবনে চৌকাঠ পেরয়নি। তাই অনুরাধাকে বান্ধবীর মর্যাদা দিয়ে মনে মনে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে রূপকথার দেশে বেড়াতে যেতে ভালোই লাগত। অনুরাধাও সাড়া দিত শনিবারের ইভিনিং শো-এ সিনেমা-থিয়েটারে যাওয়ার প্রস্তাবে। পুরনো বন্ধুদের কাছে বুক ঠুকে গর্ব করত দীনবন্ধু— তোরা ওই এক নন্দিতাতেই মেতে আছিস। আছে তোদের কোনও বান্ধবী? অনুরাধার মতো?
না নেই— ঠাস করে মুখের উপর বলে দিয়েছিল বিমল। বান্ধবী না অন্য কিছু? ইয়ে, মানে বিয়ে করে ফেল তোর ওই পরমাণুকে। অজিত জ্ঞান দিয়েছিল— বান্ধবী জুটিয়েছিস তো! পকেট সেলাই করে রাখিস। গেলাসে শেষ চুমুক দিয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছিল ত্রিনাথ— মাসিমা জানেন? না কি নারদের ভূমিকাটা আমিই পালন করে আসব?
রিমার কাছে গীতার খোঁটা খেয়ে পালিয়ে এসেও নিস্তার নেই দীনবন্ধুর। থাকবে কেমন করে? মানুষের মতো তো কখনও ফাঁকা থাকে না। মানুষ তো কখনও চুপ করে থাকতে পারে না। মনের ভাবনা, মনের কথোপকথন মনে মনেই চলতে থাকে। ত্রিনাথের কথা মনে পড়তেই তাই মনে মনে হেসে ফেলে দীনবন্ধু। প্রস্তাবটা অনুরাধার কানে পাড়তে গিয়েও পাড়তে পারেনি। ভিতু প্রেমিকের স্বভাব। বলি বলি করতে করতেই প্রেম পালিয়ে যায় চলি চলি বলে। তবে অনুরাধা নেমন্তন্ন করেছিল। ভাইফোঁটায়। বলেছিল, আমার ভাই নেই। তোমারও বোনের অভাব। চলে এসো। প্রস্তাব শুনে ভিরমি খাওয়ার দশা হয়েছিল দীনবন্ধুর— কিন্তু বন্ধুত্ব? ওমা, ভাই-বোনের কি বন্ধুত্ব হয় না? বলতে বলতে অফিসের মধ্যেই অনুরাধা নিজের কমললতা দুই হাত মালা করে জড়িয়ে ধরেছিল দীনবন্ধুর গলা। ক্যামেরা থাকলে তোদের ভাই-বোনদের একটা ছবি তুলে রাখতাম— পাশের টেবিল থেকে টিপ্পনি ছুঁড়ে দিয়েছিল সামন্তবাবু। বন্ধু আর বান্ধবীর জ্যাকেট খুলে সেই যে সেদিন দীনবন্ধু আর অনুরাধা ভাই-বোন হয়ে গেছিল, সে সম্পর্ক আজও অটুট হয়ে আছে। অনুরাধার মেয়ে অলকানন্দা তো মামা বলতে পাগল। প্রতি রবিবার শ্যামনগর থেকে ছুটে আসে শুধু মামির হাতে রান্না চিকেনকারি খেতে। কিন্তু দীনবন্ধুর অবচেতন মন এখনও মাঝেমধ্যে কামনা করে অনুরাধাকে। একান্তে রিমার চেহারায় গুলিয়ে নেয় অনুরাধাকে।
আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে/ তাই হেরি তায় সকল খানে...
ধুস! আজকাল এই এক জ্বালা হয়েছে। মোবাইল ফোন। একটু যে মন দিয়ে মনের কথা ভাববে, সে উপায় নেই। অথচ যখন থাকার দরকার ছিল তখন ছিল না। থাকলে কত বন্ধু হতো। বান্ধবী জুটত। এসএমএস পাঠিয়ে মনের কথা ফোনের পর্দায় নিবেদন করা যেত। এখন এই অবেলার পড়ন্ত রোদে মোবাইলের চাকচিক্য তেমন ভালো লাগে না দীনবন্ধুর। অনুরাধা সবে উঠে আসছিল এক পা এক পা করে। ঠিক তখনই বেজে উঠতে হল যন্ত্রটাকে?
তুমি কি চা খাবে না স্নানে যাবে?
আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে/ তাই হেরি তায় সকল খানে...।
হ্যালো, মিহির। বল... রান্নাঘর থেকে উড়ে আসা রিমার প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয় না। আজই সকালে খুঁজে পাওয়া হারানো ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত হয় দীনবন্ধু। তবে বেশিক্ষণ নয়, মাত্র দু’মিনিট ষোলো সেকেন্ড। মিহির ছিল চিরপ্রেমিক। যাকে দেখত তাকেই পছন্দ হয়ে যেত। মনে মনে ভালোবেসে খুশি হতো। একতরফা হলেও বুক চিতিয়ে বলত, পারবি তোরা এমন নিঃস্বার্থ প্রেমিক হতে?
না, আজ আর অফিস যাওয়া হবে না। তুমি চা দাও, ঝট করে বাজার থেকে একটু ঘুরে আসি— ফোন ছেড়ে রান্নাঘরে রিমার পাশে এসে দাঁড়ায় দীনবন্ধু। খবরটা ঢেলে দেয় স্ত্রীর কানে, মিহির আসবে। একটু মাটন নিয়ে আসি। মিহিরকে মনে আছে তো? সেই যে আমার সঙ্গে তোমাদের বাড়ি গেছিল কনে দেখতে?
দীনবন্ধুর কথা শুনে বুকের ভিতরটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে রিমার। কিন্তু মুখে প্রকাশ করে না। মেয়েদের চিরন্তন স্বভাবে বুক ফাটলেও মুখ ফোটে না। চায়ের বাটি চাপিয়ে দেয় ওভেনে।
মিহিরের খুব পছন্দ ছিল তোমাকে— রিমার সাড়া না পেয়ে ডাইনিং স্পেসে ফিরে আসে দীনবন্ধু।
জানি, মুখ ফস্কে এক শব্দের উত্তরটা প্রায় বাতাসে ছুঁড়ে দিয়েছিল রিমা। কিন্তু না, মুখ ফস্কাতে দেয় না। ভারী সুন্দর সহজাত ভঙ্গিতে সামলে নেয়। ফুটন্ত চায়ের বাটিতে চামচ নাড়তে নাড়তে শুনিয়ে দেয় হক কথা— গেলাস পেতে গিলতে বসো না।
তোমার ওই এক দোষ। এক স্বভাব। ঠাকুমা দিদিমার যুগে পড়ে থাকার স্বভাব। এতদিন বাদে পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, একটু সেলিব্রেট করব না?
না, করবে না। ঘরের ভেতর বেলেল্লাপনা আমি সহ্য করব না। ফোন করলেই বাপ্পা জিজ্ঞাসা করে, মা, বাবা ঠিক আছে তো? আজকালকার ছেলে। হোস্টেলে থাকে। একটা সিগারেট পর্যন্ত...
মায়ের স্বভাব পেয়েছে— খুশি হয় দীনবন্ধু। তোষামোদ করে রিমাকে— অতটা সেকেলেপনাও ঠিক নয়। একটু স্মার্টনেস দরকার।
স্মার্টনেস? বলো ভলেন্টারি ম্যাডনেস। ইচ্ছে করে পাগল হওয়া। তোমার কাছেই তো শুনেছি তোমার বন্ধুর গল্প। চার চুমুক পেটে পড়তে না পড়তেই মাতলামির সীমা ছাড়িয়ে ফেলে। তুমিই তো বলেছ, সৈকতদার বাড়িতে রীনাদিকে জড়িয়ে ধরে...।
বন্ধুর বউয়ের সঙ্গে ওটুকু ইন্টু-মিন্টু হতেই পারে— চায়ের কাপ হাতে তুলে যুক্তির দেওয়াল খাড়া করে দীনবন্ধু।
তোমার বউয়ের সঙ্গে করলে তুমি মেনে নিতে পারবে তো? বিরক্ত হয় রিমা।
কী যা তা বলছ? এই বয়সে মানুষ অনেক ম্যাচিওর হয়। স্থান-কাল-পাত্র বুঝতে পারে। তাছাড়া মিহিরের অনেক পরিবর্তন হয়েছে শুনেছি— রিমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে দীনবন্ধু।
হাজারবার সাবান মাখালেও কয়লা কখনও ফর্সা হয় না, দৃঢ় স্বরে জানিয়ে দেয় রিমা— তাছাড়া ওই মানুষটা কী করে যে তোমার বন্ধু হল বুঝতে পারি না বাপু।
আমিও বুঝতে পারি না মিহিরকে চিরকাল তুমি কেন অপছন্দ করো? বিরক্ত দীনবন্ধুর মনে ক্ষোভের উত্তরে হাওয়া বইতে থাকে।
তার যথেষ্ট কারণ আছে।
কী কারণ? কাপে শেষ চুমুকটা সেরে নিয়ে উঠে দাঁড়ায় দীনবন্ধু।
বিয়ের আগে থেকেই বিরক্ত করত। ছুঁক ছুঁক করত। এমনকী বাবার কাছেও—
বিয়ের আগেই মিহিরকে যে চিনত সে কথা তো বলনি কোনও দিন— রিমাকে থামিয়ে অবাক হয় দীনবন্ধু। বসে পড়ে চেয়ারে, ওকে নিয়ে তোমাকে যেদিন দেখতে গেছিলাম সেদিনও তো মিহির কিছু বলেনি।
তারপর থেকেই শুরু করেছিল আসা-যাওয়া। তোমার পাঠানো নববর্ষের কার্ড পৌঁছে দিতে দাঁড়িয়েছিল ইউনিভার্সিটির গেটে। রাগ হয়েছিল তোমার উপর— রান্নাঘরের দিকে পিছন ফেরে রিমা।
নববর্ষের কার্ড? আমি পাঠিয়েছিলাম? অবাক হওয়ার সীমা ছাড়ায় দীনবন্ধু।
শুধু কী নববর্ষের কার্ড? রবীন্দ্রনাথের কবিতা লেখা চিঠি? ঘুরে দাঁড়ায় রিমা— তোমার ওই বন্ধু বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল বাবার কাছে। বিয়ের পরেও নানান অছিলায় বিরক্ত করার চেষ্টা করেছে। সে সব খবর কি তুমি জানো? আমিও জানতে দিইনি। প্রাণের বন্ধুর স্বভাব জানতে পারলে দুঃখ পাবে তাই।
মজা করেছিল হয়তো। তবে ওর মনে কোনও পাপ...।
চুপ করো। ছেলেদের কোনটা মজা, কোনটা পাপ, কোনটা পুণ্য মেয়েরা বেশ বুঝতে পারে। শান্তির প্রয়োজনে শাক দিয়ে আমরা মাছ ঢেকে রাখি তাই কিছু টের পাও না— ঋজু রিমার গলার স্বরের এমন দৃঢ়তা আগে দেখেনি দীনবন্ধু।
মোবাইল হাতে তুলে রিং ব্যাক করে শান্ত দীনবন্ধু— শোন মিহির, আমাকে অফিস যেতেই হবে। বড়সাহেব ফোন করেছিলেন। রিমাও বাড়ি থাকবে না। তুই তো এখন কয়েকদিন কলকাতায় আছিস। পরে যোগাযোগ করে নেব, কেমন!
ফোন ছেড়ে রিমার চোখে চোখ রাখে দীনবন্ধু। বন্ধু আর বন্ধুত্বের সব অহঙ্কার যে অন্ধকারে মিশিয়ে দিয়েছে রিমা।
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
10th  February, 2019
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM