Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৪

সন্ধের নিরিবিলি সময়ে তসবিরখানা থেকে বেরিয়ে দাসোয়ান কোথায় চলেছেন কীরকম আলুথালু মুখে দেখে ধন্দে পড়লেন বীরবর।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেতাব দেখাচ্ছে তসবিওয়ালাকে। তসবিরখানায় বসে থাকেন চুপচাপ, তুলিতে রং মাখিয়েও তা খাগের কাগজে মাখাতে ভুলে যাচ্ছেন, কেউ গায়ে হাত দিয়ে নাড়া দিলে থতমত খেয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কাগজের উপর। কিন্তু যেখানে যে রং যাবে তা যাচ্ছে না। কোথাও শুধু হিজিবিজি রেখা।
অল হিজরি ৯৮৯ মহরম মাস, সম্রাট আকবর বিশাল ফৌজ নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলেন কাবুলের উদ্দেশে মির্জা হাকিমকে কড়কে দিতে। ফিরলেন প্রায় দশ মাস পরে। এই সময়কাল কাবুলে কাটালেন এক তুলকালাম বেচইন অবস্থায়। রাজপুত-জওয়ান মান সিংহের তাগদ দেখে পালিয়ে গেলেন মির্জা হাকিম। কিন্তু বন্দি করা গেল না। বন্দি করতে না পেরে বাদশাহ খুব নাখোশ ছিলেন, শেষ পর্যন্ত মানসিংহের হাতেই সিন্ধু-এলাকার দায়িত্ব দিয়ে ফিরলেন ফতেপুর সিক্রিতে।
বীরবরের সঙ্গে মুলাকাত হতে বাদশাহ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিলেন তাঁর অনুপস্থিতিতে কী পরিস্থিতি এখন কেল্লায়। আকবর ‘মহযরনামা’ পাঠ করায় কেল্লার আমির-উমরাহরা নাখোশ জেনে খুব তাজ্জব হলেন না, বরং বললেন, ধর্ম নিয়ে আবার একদিন তাবির করবেন সবার সঙ্গে। হোক আলোচনা।
মুসলমান ও হিন্দুধর্মের গোঁড়া নেতারা এলেন, এলেন পাদ্রি সাহেবরাও। কিন্তু যে কারণে ইবাদতখানায় আগের সভাগুলো বাতিল করতে হয়েছিল, একই কারণে এবারও একমত হতে পারলেন না কেউ। বাদশাহ চাইছিলেন সব ধর্মকেই নিয়ে চলতে, সবাই একমত হলে শাহানশাহিতে চালু হোক একটিই ধর্ম।
আকবরের কাছের মানুষরা ছাড়া বাকি সবাই ইবাদতখানা ছেড়ে চলে গেলে বীরবর বললেন, জাহাঁপনা, আপনার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে বাকিদের জহিনের অনেকটাই ফারাক। সমস্ত উলেমা আপনাকেই ইসলামের তরক্কির দায়িত্ব নিতে বলেছে। ‘মহযরনামা’য় আপনাকেই ‘সুলতানে আদিল’ বলা হয়েছে। আপনিই এখন ইসলামের ইমাম—ধর্মগুরু। আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধর্মমত কী হবে সে-বিষয়ে।
বাদশাহ তাকালেন আবুল ফজলের দিকে, বললেন, ফজল, তুমি তো লিখছ আমার জীবনী তুরুক। তাতে এক জায়গায় লিখেছ আকবর খোদ আদমের ওয়ারিশ। মুজতাহিদ— যুগন্ধর পুরুষ। তাঁর শরীর থেকে নিয়ত বিচ্ছুরিত হয় ঐশ্বরিক আলো। দেখার চোখ থাকলেই ওই আলো দেখা যায়। বাদশাহের সার্বভৌমত্ব তো ওই ঐশ্বরিক আলোর প্রকাশ। তুমি কী বলো?
আবুল ফজল দিন দিন দানেশমন্দ হয়ে উঠছে আরও। দু’চোখে সর্বদাই একটা ঘোর। সামনে কাউকে দেখে না, তার দৃষ্টি থাকে অনেক দূরে, সে রকমই আবছা চোখে বাদশাহের কথা শুনে হাসল এক ঝলক।
বীরবর আড়চোখে তাকাচ্ছিলেন বদায়ুনের দিকে। তাকে দেখে কিছু মালুম করা যায় না, কিন্তু তার দাঁত যে কিড়মিড় করছে তা দিব্যি বুঝে নেওয়া যায়।
বাদশাহ জানতে চাইলেন, আর কেউ কিছু বলবেন?
বাকিরা চুপ করে আছে দেখে বাদশাহ একটুও চিন্তিত না হয়ে বললেন, বীরবরজি, আমি আন্দাজ করেছি আমার সঙ্গে একমত হওয়া কারও পক্ষেই মুশকিল। ঠিক আছে, ক’দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যা ভেবেছি তা প্রকাশ করব সবার সামনে।
সম্রাট আকবরের নতুন ধর্মমত প্রকাশের ঠিক আগে হঠাৎ এন্তেকাল ঘটল হাজি বেগমের। তাঁর দাফনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আকবর পিছিয়ে দিলেন ঘোষণার দিন।
অবশেষে জুলকাদা মাস, অল হিজরি ৯৮৯, বাদশাহ সবাইকে নিয়ে বসলেন, বললেন, সকল প্রতিষ্ঠিত ধর্মই প্রকৃতপক্ষে সত্য। প্রত্যেকের ধর্ম সমানভাবে দেখা দেয় যার-যার কাছে। সমকালীন ভক্তি আন্দোলন অনুযায়ী ইনসান-ই-কামাল বা গুরুর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুসরণ করতে হবে ‘সুল্‌ক-ই-কুল’-এর পথ। কুল অর্থে ভ্রাতৃত্ব। সুল্‌হ অর্থে পথ। সুল্‌হ-ই-কুল— এটি শাহানশাহির এমন একটি ভাষ্য যার মাধ্যমে সকল ধর্মের সার কথাকে শ্রদ্ধা জানানো ও গ্রহণ করা হয়। এই ধর্ম বিভিন্ন ধর্মের ঐক্যের উপর জোর দেয়। এই ধর্মের নাম ‘তওহিদ-ই-ইলাহি’। আজ থেকে ইসলামের চান্দ্র-বছরের পরিবর্তে সৌর-বছর চালু হবে। এই ধর্মমতে থাকবে সর্বেস্বর বাদ। এই ধর্মমতে কোনও জীবন্ত প্রাণীকে হত্যা করা নিষেধ। জং ছাড়া অন্য কোনও সময় অস্ত্র বহন করা নিষেধ। হিন্দুরা পারবে না সতীদাহ করতে। মুসলমানরা পারবে না গোহত্যা করতে। হিন্দুদের মূর্তিপুজো যেমন সমর্থন করি না, তেমনি মানি না মুসলমানদের প্রার্থনা-রীতি। হিন্দুস্তানের সব ধর্মের গুরুদের কথা আমি শুনেছি। সব ধর্মের সারটুকু নিয়ে রচনা করেছি এই নতুন ধর্ম ‘তওহিদ-ই-ইলাহি’। এই ধর্মের আচরণবিধিতে আছে উদারতা, পরোপকার, ক্ষমা, কোমলতা। জাগতিক লিপ্সা থেকে সংযম, পার্থিব বন্ধন থেকে মুক্তি। সকল ধর্মের উপর জোর দিতে চেয়েছি এই ধর্মাচরণে। শাসক ও প্রজাদের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক বন্ধন সৃষ্টিকারী বন্ধন। এই ধর্ম অনুসরণ করলে অবসান ঘটবে সুন্নি-শিয়া ও অন্যান্য সকল ধর্মের মধ্যে বিরোধের।
এই পর্যন্ত বলে বাদশাহ তাকালেন সবাইকার দিকে। আন্দাজ করার চেষ্টা করলেন উপস্থিত উলেমা, আমির-উমরাহদের কার কী মতামত। বললেন, আজ থেকে এই ধর্ম সবার মধ্যে প্রচার করব। সবাইকে অনুরোধ করব এই ধর্ম গ্রহণ করতে। আপনাদের কোনও বক্তব্য থাকলে তা স্পষ্ট করে বলুন।
বাদশাহের কথা মানেই হুকুম, তাঁর সামনে ধর্ম নিয়ে বিরোধিতা করার তাগদ কারও নেই, তবু প্রথমেই উঠলেন রাজা ভগবান দাস। বললেন, জাহাঁপনা, হিন্দুস্তানের দুটি প্রধান ধর্মের মানুষ হিন্দু ও মুসলমান। দুটি ধর্মেরই কিছু ভালো, কিছু মন্দ দিক আছে। এখানে যাঁরা উপস্থিত আছি, তাঁরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান। জাহাঁপনা, যদি স্পর্ধা মনে না করেন, আপনার কাছে জানতে চাই, এই নতুন ধর্ম— যাকে আপনি বললেন, ‘তওহিদ-ই-ইলাহি’ তা হিন্দু বা মুসলমান ধর্ম থেকে কতটা আলাদা?
বাদশাহের মুখ গম্ভীর, হঠাৎ বললেন, আপনার যদি এই ধর্ম গ্রহণ করতে আপত্তি থাকে, আমি নিশ্চয় জোর খাটাব না। তবে কোনও শর্ত ছাড়াই কেউ যদি এই ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি থাকেন, তা হলে এখনই বলুন।
সারা কোঠিতে সবাই চুপচাপ। বাদশাহ হঠাৎ বললেন, মান সিংহ? তুমি কি আমার নীতি অনুসরণ করতে চাও?
মান সিংহ তার কুরশিতে বসেছিল মুখ নিচু করে, বাদশাহ তার নাম উচ্চারণ করবেন তা ভাবেনি, চমকে উঠে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানিয়ে বলল, জাহাঁপনা, আপনি ওয়াকিফ আছেন সেই বচপনে যখন অম্বর ছেড়ে আপনার তাঁবে এসেছি, তখন থেকেই আপনার নীতি অনুসরণ করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার ধর্ম ত্যাগ করিনি। আমি এখনও কঠোরভাবে একজন হিন্দু। আপনি হুকুম করলে আমি মুসলমান হতে রাজি আছি, কিন্তু আপনার প্রচারিত নতুন ধর্ম বিষয়ে আমি এখনও কিছুই বুঝিনি, সেই ধর্ম গ্রহণ করতেও অপারগ।
সম্রাটের মুখ কিছুক্ষণ লাল, কিন্তু কিছু বললেন না মান সিংহকে, বরং বাকিদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এই সভায় কেউ কি আছেন যিনি এই নতুন ধর্ম অনুসরণ করতে ইচ্ছুক?
উঠে দাঁড়ালেন বীরবর, বললেন, জাহাঁপনা, তেইশ বছর আগে আপনার দরবারে এসেছিলাম, তখন থেকে আপনি যখন যেরকম বলেছেন তা সাধ্যমতো তামিল করার চেষ্টা করেছি। আজও আপনি যা হুকুম করছেন, আমি হাসি মুখে তামিল করছি। আমি আপনার নতুন ধর্মমত গ্রহণ করব।
এক লহমায় সম্রাট আকবরের মুখে তজল্লি, অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন বীরবরের মুখের দিকে। বললেন, ঠিক আছে, আজ এই সভার এখানেই ইতি। আপনারা যে যার কোঠিতে ফিরে যান। বিষয়টা নিয়ে ভাবুন। কারও উপর কোনও চাপ থাকবে না। যিনি মনে করবেন ‘তওহিদ-ই-ইলাহি’র ধর্মমত অনুসরণ করবেন, তাঁকে দীক্ষিত করা হবে এই ধর্মে।
বদায়ুন বেরিয়ে যাওয়ার সময় বীরবরকে নিচু গলায় বললেন, ‘তওহিদ-ই-ইলাহি’ বলছেন, কেন? বলুন ‘দীন-ই-ইলাহি’।
বাদশাহ সভা ভেঙে দিতে স্বস্তির শ্বাস ফেললেন সবাই। একে-একে উঠে বেরিয়ে গেলেন কোঠি থেকে। বসে রইলেন শুধুমাত্র সম্রাট আকবর আর বীরবর।
সম্রাট তখনও বিহ্বল, তাঁর মুখে কোনও রাগ বা বিরক্তির চিহ্নমাত্র নেই, বরং প্রসন্ন মুখে উঠে দাঁড়ালেন, বললেন, বীরবরজি, আজ আপনি আমার মুখ রক্ষা করেছেন—
বলে হঠাৎ বীরবরকে জড়িয়ে ধরে বললেন, হিন্দুস্তানে এসে বহু ইনসানকে দেখলাম, বহু দানাদার আদমিকেও দেখলাম, কিন্তু আপনার মতো দানেশমন্দি কারও মধ্যে দেখতে পাইনি। আপনি আমার খুব কাছের দোস্ত। আপনি এই দীর্ঘকাল আমার পাশে পাশে থেকে আমাকে যেভাবে মদত দিয়েছেন, তার কারণেই হিন্দুস্তানের ইতিহাসে আমার নাম অন্যভাবে লেখা থাকবে।
বীরবর বিহ্বল বোধ করছিলেন, হিন্দুস্তানের বাদশাহ তাকে জড়িয়ে ধরে যে-খাতির দেখালেন তা তাঁর প্রত্যাশার বাইরে, বললেন, জাহাঁপনা, আমারও মনে হয়েছে আপনার কেল্লায় কত আমির-উমরাহ আছে, শাহানশাহিতে কত মনসবদার আছে, কিন্তু আপনি আমাকে যে খাতির করেছেন তা আর কেউ পায়নি। আবার সেই কারণেই আপনার দেওয়ান, মির বকশি, মির আতিস থেকে শুরু করে যাবতীয় দানাদার আদমি— সবারই আমি না-পছন্দ। এমনকী আবুল ফজল— যাকে আমি প্রথম থেকে নানাভাবে মদত দিয়ে আসছি, তার লেখা তুরুকেও আমার নাম তেমনভাবে উল্লেখ থাকছে না!
সম্রাট আকবর জোরে জোরে মাথা নাড়িয়ে বললেন, তা আমি লক্ষ করেছি, বীরবরজি। ফজল আমাকে বলল, তার লেখা তুরুকে শুধু বাদশাহের জংয়ের কথা লেখা থাকছে। আপনি তো খুব কমই গেছেন জং করতে, তাই আপনার নাম উল্লেখ করেনি। তবে তাতে কিছু যায় আসে না। আমি নিশ্চিত হিন্দুস্তানের সমস্ত ইনসান কোনও না কোনওভাবে ইয়াদ রাখবে আপনাকে। ঠিক আছে, এর পরে যদি কোনও জং করি, আপনাকে নিশ্চয় ফৌজ দিয়ে পাঠিয়ে দেব। কিন্তু আজকের দিনটা ইয়াদ করে রাখতে আমি চৌগান খেলা করব।
চৌগান খেলা সম্রাটের খুব প্রিয়। বীরবর জানেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে চৌগান খেলা খুবই ঝুঁকির। ঝুঁকির হলেও বীরবর আজ পর্যন্ত সম্রাটের সব হুকুম তামিল করেছেন, সেদিনও করলেন।
শাহেনশাহ আকবর বহুকাল পরে চৌগান খেলবেন এই সংবাদে মাঠে বহুত জমায়েত— সম্রাটের পাশে পাশে থেকে ঘোড়ায় চড়াটা ভালোই রপ্ত করেছেন বীরবর। তবে তাতে চৌগান খেলতে পারবেন কি না সংশয় ছিল তাঁর। মাঠের চারদিকে বেশুমার আদমি। আমির-উমরাহ-মনসবদার সবাই উপস্থিত।
খেলা শুরু হতেই বীরবর বুঝলেন চৌগান খেলায় সম্রাট খুবই চোস্ত। এক হাতে লাগাম, অন্য হাতে একটি ভারী লাঠি নিয়ে প্রবল গতিতে ছুটে আসছেন, তাঁর লাঠির আঘাতে চৌগানটিও দৌড়ে চলেছে মাঠের ঘাস বরাবর। বীরবর তার নাগালই পাচ্ছেন না!
কিছুক্ষণের মধ্যে বীরবর আন্দাজ করলেন চৌগান খেলা রপ্ত করতে তাঁর এখনও ঢের দেরি। আকবরের কাছে একেবারেই শিশু। বরং তীব্র গতিতে ঘোড়ায় চড়ে ছোটার মুহূর্তে হঠাৎ এক ঝাঁকুনি খেয়ে উল্টে পড়লেন মাটিতে। তিনটে পাক খেলেন ঘাসের উপরে, তার পরে আর কিছুই ইয়াদ নেই তাঁর। একটু পরে জ্ঞান ফিরতে দেখলেন তিনি শুয়ে আছেন মাটিতে, আকবর তাঁর শরীরের উপর ঝুঁকে পড়ে, পাগলের মতো তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে ফুঁ দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে চেষ্টা করছেন তাঁকে সুস্থ করতে।
একটু পরেই তিনি উঠে বসতে সম্রাট হাঁফ ছেড়ে বললেন, খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন, বীরবরজি।
বীরবর খুবই অস্বস্তিতে। স্বয়ং সম্রাট তাঁকে সুস্থ করতে যেভাবে কোশিস করলেন তা দেখে জমায়েতের সবাই তাজ্জব।
সেদিন সম্রাট তাঁকে হাতি দিলশঙ্করের পিঠে তুলে নিয়ে পৌঁছে দিলেন তাঁর কোঠির মধ্যে।
বীরবরের জন্য বাদশাহের আকুলতা, এতখানি দরদ দেখে কেল্লায় শুরু হল কানাকানি। সবচেয়ে নাখোশ বদায়ুন, বীরবরের সঙ্গে দেখা হতে চোরা হেসে বললেন, বীরবরজি, আপনি একটা—
তারপরে যে-শব্দটা উচ্চারণ করলেন তা শুনে বীরবর স্তম্ভিত। একজন দানাদার আদমি এরকম একটা অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন তা চিন্তার বাইরে। বীরবর মুচকি হেসে শুধু বললেন, বদায়ুনজি, হিংসেয় জ্বলতে থাকলে দানাদার আদমিও মিশকিন হয়ে যায়।
বদায়ুনকে তাজ্জব করে দিয়ে বীরবর ফিরে এলেন নিজের কোঠিতে। পরের দিনই সম্রাট বীরবরকে তলব করে বললেন, আপনাকে আকবরপুরে যে-জমি দেওয়া হল— সেখানে একটা কোঠি তৈয়ার করার কথা বলেছিলাম তা ইয়াদ আছে?
—ইয়াদ আছে, জাহাঁপনা। সেখানে কোঠি তৈয়ার হচ্ছে।
সম্রাট গম্ভীর গলায় বললেন, আমি সামনের মাসে ওখানে যাচ্ছি, আপনার কোঠিতে মেহমান হিসেবে ক’দিন থাকব।
বীরবর আন্দাজই করতে পারছিলেন না সম্রাট ঠিক কথা বলছেন কি না! তাঁর একটা কোঠি তৈয়ার হচ্ছে ঠিকই, সেখানে তাঁর পরিচয় একজন মনসবদার। তাঁর মনসবে দো’হাজার ঘোড়া থাকার কথা। সম্রাটের হুকুমে সেই কোঠি বেশ জেল্লাদার হচ্ছে। সেখানে তিনি থাকবেন কি না এখনও ভাবেননি। সিক্রির কেল্লায় তাঁর একটা হাভেলি আছে, সেই হাভেলি অনেক বেশি জেল্লাদার। কোথায় তাঁর আসল নিবাস হবে তা এখনও ভাবনার বাইরে।
পরের দিনই বীরবর রওয়ানা দিলেন আকবরপুরের উদ্দেশে, আর তাজ্জব কি বাত, আকবর পরের দিনই সেখানে গিয়ে হাজির, সঙ্গে বিশাল কাফেলা।
হিন্দুস্তানের শাহেনশাহ যদি মেহমান হয়ে আসেন কোঠিতে, বীরবর কীভাবে খাতির দেখাবেন!
তখনও বিস্ময়ের বাকি ছিল বীরবরের। বাদশাহ হাসি-হাসি মুখে বললেন, বীরবরজি, আমার আওলাদ— শাহজাদা সেলিমের শাদি। মহরম মাস অল হিজরি ৯৯২। আপনাকে দাওয়াত দিতে এলাম আপনার কোঠিতে।
হিন্দুস্তানের শাহেনশাহ এই দীর্ঘ সড়ক পার হয়ে তাঁর কাছে এসেছেন শাহজাদার শাদির দাওয়াত দিতে! এত তশরিফ, এত সমাদর কখনও কী প্রত্যাশা করেছিলেন বীরবর! দু’হাজারি মনসবদার হয়ে কয়েকদিন নিজের কোঠিতে কাটিয়ে বীরবর ফিরেছেন ফতেপুর সিক্রিতে, অনেক তজল্লি ছিটিয়ে সম্পন্ন হল শাহজাদা সেলিমের শাদি, কেল্লায় তখনও খুসবু ছুটছে বিরিয়ানি, হালোয়া, ফিরনির।
শাদির রওশন শেষ হলে বীরবর ব্যস্ত হয়ে তদারকি করছেন কখনও মকতবখানার তরজমার কাজ, তসবিরখানার তসবির আঁকার কাজ, খুশনবিশখানায় লিখনের কাজ, জিলখানার বাঁধাইয়ের কাজ। এক-একটা কিতাব প্রস্তুত হলে সেটি তুলে দিচ্ছেন বাদশাহের হাতে। বাদশাহ খুবসুরত আখরগুলির দিকে চোখ রেখে পরের মুহূর্তে নজর দিচ্ছেন তসবিরগুলির দিকে। কোনও তসবির পছন্দসই হলে জানতে চাইছেন কার আঁকা। বীরবর জানাচ্ছেন, কোনওটা বাসোয়ানের আঁকা, কোনওটা দাসোয়ানের আঁকা, কোনওটা কেসুলাল, মুকন্দ, জগন মহেশ, মধু, হরিবংশ বা রামের আঁকা। বীরবর খেয়াল করছিলেন দাসোয়ানের কথা উঠতেই মুখ গম্ভীর হয়ে যাচ্ছিল সম্রাটের।
কেন তা বীরবর আন্দাজ করতে পারছিলেন, কয়েকদিন পরে এক সুবাহ কালে হারেমের পাহারাদার মাসুদ খাঁ ছুটতে ছুটতে এসে বীরবরের কাছে খবর দিল, হুজুর, খুদকুশি— আত্মহত্যা।
বীরবর চমকে উঠে বললেন, কোথায়? কে? কেন?
বীরবর দ্রুত উঠে চললেন কেল্লার পাঁচিলের ওপাশে, এক নিরিবিলি কোণে, তার পিছু পিছু গিয়ে স্তম্ভিত। সেখানে জমায়েত হয়েছে কেল্লার আরও বহু মানুষ। দেখলেন দাসোয়ানের অত বড় শরীরটা পড়ে আছে মাটির উপর। তার গলায় গিঁথে আছে একটি ধারালো বল্লম। চারপাশের মাটি খুনে লাল। (ক্রমশ)
অলংকরণ : সুব্রত মাজী 
20th  January, 2019
রাতের প্যাসেঞ্জার
সৌমিত্র চৌধুরী

 মাসের এক তারিখেই বিএস মানে ‘ভট্টাচার্জি-সমাদ্দার কনসালটেন্সি’ নগদে মাইনে দিয়ে দেয়। কোম্পানির সমাদ্দারবাবু একটু রাগী মার্কা, তবে তপনবাবু অতি অমায়িক সজ্জন মানুষ। খেতে খাওয়াতে ভালোবাসেন। নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করেন আমাকে। আজ ওঁর বাড়িতে ছোট একটা অনুষ্ঠান। আমেরিকা থেকে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছেলে এসেছে বাড়িতে। আমিও সস্ত্রীক নিমন্ত্রিত।
বিশদ

10th  March, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

‘আমি বৃন্দাবনে বনে বনে ধেনু চরাবো’— সেই কৃষ্ণ বৃন্দাবনে এখন বন নেই। যা আছে তা কংক্রিটের বন। তবুও শ্রীরাধাগোবিন্দের সেই লীলাভূমি ধর্মপ্রাণ নরনারীর কাছে আজও অতি প্রিয় স্থান।
বিশদ

10th  March, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫— এই তেরো বছরের রাজত্বকালে ওয়ারেন হেস্টিংস শুধু আলিপুরের এই বিলাসগৃহ নয়, তিনি মোট তেরোটি বাড়িতে বসবাস করেছেন। তাঁর এই গৃহ-প্রীতি নিয়ে সেইসময় বিস্তর আলোচনাও হতো। ডব্লু কে ফার্মিংজারের ‘থ্যাকারস ক্যালকাটা ডিরেকটরি’-তে আছে, ‘হি হ্যাড এ লুক্রেটিভ ম্যানিয়া ফর হাউস বিল্ডিং অ্যান্ড সেলিং।’
বিশদ

10th  March, 2019
ফিরে দেখা
শুচিস্মিতা দেব

‘আজ আমাদের ঠেকটা কোথায়?’ সুমন জানতে চায়। এই কর্মকাণ্ডের হোতা হল প্রণব। সে তার বিশাল ক্লায়েন্ট গোষ্ঠীর আনুকূল্যে প্রতিবছর বাগানবাড়ি বা রিসর্ট বুক করে রাখে। প্রণব বেশ গর্বভরে বলে, ‘খুব পছন্দ হবে তোদের বাগানবাড়িটা। এক ঘণ্টা বড়জোর লাগবে। বিশদ

24th  February, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ব্রিটিশ আমলে এখানকার শিংরৌলিতে ক্যান্টনমেন্ট হলে এর নাম হয় বেনারস ক্যান্টনমেন্ট। তবে বর্তমানে এটি স্বনামে মহিমান্বিত। ১৯৫৬ সালের ২৪ মে থেকে সরকারি আদেশ বলে বেনারস আবার বারাণসী হয়ে যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 বহু কাল আগে সপার্ষদ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব গঙ্গাবক্ষে নৌকাযোগে পুরী যাচ্ছিলেন। তাঁরা গঙ্গার ধারে ছোট্ট একটি চালা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন বলে ঠিক করেন। ওই চালাটি ছিল ভক্ত এক ব্রাহ্মণের। গৃহকর্তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে মহাপ্রভু বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গের কাঁথাটি ব্রাহ্মণের গায়ে জড়িয়ে দেন। সেই কাঁথা আজও রয়েছে বর্তমান মঠে।
বিশদ

24th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

এক মধ্যরাতে রাজপুতকন্যা ঘুম ভেঙে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাঁহাপনা, রূপমতী কে? আপনি নিদের ঘোরে ‘রূপমতী, রূপমতী’ বলে ডাকছিলেন।পাঁচ সাল হয়ে গেল বাদশা আকবরের রাজত্বকাল, হিন্দুস্থানের হরেক ভাষার সঙ্গে তাঁর পহচানা ঘটছে রোজ।
বিশদ

17th  February, 2019
ফেসবুকের ফাঁস
রমলা মুখোপাধ্যায়

 —‘জানি রে ল্যাপটপ ছাড়া জীবন একেবারে অচল, কিন্তু কী করবি বল? এখন তো বাবা-মায়ের থেকে দূরে থেকেও জীবন চালানো সম্ভব, কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ছাড়া তো ভাবাই যায় না বল!’
—‘ল্যাপটপের প্রসেসরটাই তো খারাপ হয়ে গেছে! সেটার তো অনেক দাম। মাসের মধ্যিখানে হাতে তেমন টাকাও নেই। আর এদিকে আমার তো ভালো মোবাইল সেটও নেই। নেট, ফেসবুক ছাড়া কি একটা দিনও কাটানো যায়?’ বিশদ

17th  February, 2019
বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

03rd  February, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস 

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

03rd  February, 2019
মাঠরাখা
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

আলোটা ভাসতে ভাসতে আঁকড়গোড়ে, ভাড়ালগোড়ে, জিওল নালার মাঠ ঘুরে চক্কর দিয়ে মাঝের-দাঁড়ার মাঠে এসে মিলিয়ে গেল। মেঘগুলোকে নীচে ফেলে চাঁদটা অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিল। 
বিশদ

20th  January, 2019
কাকের বাসায় ভালোবাসা 
অমিত ভট্টাচার্য

যদিও গল্পটা পুষ্পদির মুখ থেকে পুরোপুরি শোনা হয়নি, তবে কিছুটা চাক্ষুষ দেখার সুযোগ হয়েছিল।
একদিন হঠাৎ সে হাজির হয়েছিল আমার বাড়ি। আমি তখন বাইরে।
স্ত্রীকে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা বউদি, দাদা নাকি গপ্প নেকে?’
 
বিশদ

13th  January, 2019
একনজরে
 পাটনা, ১৪ মার্চ (পিটিআই): তাঁর বিজেপি ত্যাগ সম্ভবত সময়ের অপেক্ষা। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধোনা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। পাটনা সাহিব কেন্দ্রের এই এমপির ...

  সংবাদদাতা, বুদবুদ: বুদবুদে শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুদবুদের মহাকালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই উৎসব এবার দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করছে। শান্তিনিকেতনকে বাদ দিয়ে বাঙালির বসন্ত উৎসব কার্যত অসম্পূর্ণ। তাই দোল উৎসবে শান্তিনিকেতন যেতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। ...

 লন্ডন, ১৪ মার্চ (পিটিআই): বুধবার রাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়ে সরকারকে দ্বিতীয়বার ধাক্কা দিয়েছেন হাউস অব কমন্সের সদস্যরা। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ভেঙে পড়তে নারাজ। আগামী সপ্তাহের কোনও একটি দিনে শেষবারের মতো চেষ্টা করে দেখতে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের জুট মিলগুলির শ্রমিকদের নতুন বেতন চুক্তি বুধবার বেশি রাতে শ্রম দপ্তরে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সিটু সহ সাতটি শ্রমিক সংগঠন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার জুট মিলগুলিতে প্রতীকী ধর্মঘট থেকে তারা সরে আসছে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর
১৮৯২ – লিভারপুল ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ - ভারতীয় সাক্ষ্য আইন প্রবর্তন।
১৯০৪ - স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের জন্ম
১৯৩৪: রাজনীতিক কাঁসিরামের জন্ম
১৯৩৭ - পৃথিবীর প্রথম ব্লাডব্যাংক চালু হয় শিকাগোতে
১৯৩৯ - বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক জলধর সেনের মৃত্যু
১৯৭৬: অভিনেতা অভয় দেওলের জন্ম
১৯৭৭: অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী হানি সিংয়ের জন্ম
১৯৮৫ – প্রথম ইন্টারনেট ডোমেইন নাম নিবন্ধিত হয়। (symbolics.com)



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৭০ টাকা ৭০.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৬৮ টাকা ৯৩.৯৭ টাকা
ইউরো ৭৭.২৯ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৫২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৮৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৩২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৪৯/৪৭ রাত্রি ১/৪৫। আর্দ্রা ৫৪/৪৫ রাত্রি ৩/৪৪। সূ উ ৫/৪৯/৫৫, অ ৫/৪১/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১২ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে ৪/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৩০ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার, নবমী রাত্রি ৯/০/৫০। আর্দ্রানক্ষত্র রাত্রি ১১/৩২/৪৫, সূ উ ৫/৫০/২৮, অ ৫/৪০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫/১১ মধ্যে ও ৮/১২/৩২ থেকে ১০/৩৪/৩৬ মধ্যে ও ১২/৫৬/৫১ থেকে ২/৩১/২৪ মধ্যে ও ৪/৬/৬ থেকে ৫/৪০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৮/৬ থেকে ৮/৫৫/২৩ মধ্যে ও ৩/২৪/৩২ থেকে ৪/১৩/১১ মধ্যে, বারবেলা ৮/৪৩/৩ থেকে ১০/১৬/৫১ মধ্যে, কালবেলা ১০/১৬/৫১ থেকে ১১/৪৫/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৩/১৪ থেকে ১০/১৪/২৬ মধ্যে।
 ৭ রজব
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:  উচ্চতর বিদ্যায় শুভ ফল। বৃষ: পাওনা অর্থ আদায় হবে। মিথুন: উচ্চশিক্ষায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪ – জিজিয়া কর তুলে দেন মুঘল সম্রাট আকবর১৮৯২ – ...বিশদ

07:03:20 PM

দাসপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস 
টোটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল কনেযাত্রীবোঝাই বাস। ...বিশদ

07:55:31 PM

২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা 
১৭টি আসন ছেড়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ...বিশদ

06:51:12 PM

আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা 
আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে ...বিশদ

05:01:43 PM

২৬৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

04:02:07 PM