Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বদলের একুশ
জয়ন্ত চৌধুরী

একুশে জুলাই। শহিদ স্মরণ। তৃণমূলের বাৎসরিক শহিদ তর্পণ। গত আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে এটাই চল। ঝড়-জল-বৃষ্টি-বন্যা সবই অপ্রতিরোধ্য একুশের আবেগের কাছে। তাই কেন একুশ, এই প্রশ্নের চাইতে অনেক বেশি জায়গা দখল করে রয়েছে এই দিনকে ঘিরে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। তীব্র বাম বিরোধিতায় জারিত আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বার্ষিক উদযাপন। কিন্তু জন্মলগ্ন থেকে এই শহিদ দিবসের যে মেজাজ, তা ক্রমে বদলে যেতে শুরু করেছিল। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর গুণগত বদলটা আরও স্পষ্ট, আরও তীক্ষ্ণ। আড়াই দশক আগে যার নিশানায় ছিল বাম, হালফিলে তা বদলে হয়েছে রাম।
১৯৯২ সালে কী কারণে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রবীণরা মনে করতে পারলেও, আম তৃণমূলের সেই ইতিহাসে আগ্রহ নেই। কিন্তু এবারের ‘ধর্মতলা চলো’ সেই ইতিহাসকেই ফের সামনে আসার সুযোগ দিয়েছে। সৌজন্যে সেই মমতাই। সৌজন্যে সেই নির্বাচনী সংস্কার।
কংগ্রেস, যুক্তফ্রন্ট, কংগ্রেস করে প্রায় তিন দশক কাটানোর পর বাংলায় দেড় দশকের বামফ্রন্ট শাসন। জরুরি অবস্থার অবসানে জনতা পার্টি ও বামেদের সমঝোতায় দেশের সঙ্গে রাজ্যেও ঘটেছে পরিবর্তন। সাতাত্তরে বামফ্রন্ট সরকার। তার তিন বছরের মাথায় জনতার রায় নিয়েই ফিরে এলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জনতা পার্টির পতন হলেও, বাংলার রাজত্বে বামফ্রন্ট। শিঁকে ছিড়ল না কংগ্রেসের। একদিকে সিপিএমের ক্যাডারভিত্তি অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনে দলীয় একাধিপত্যে ক্রমশ রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিতব্য একমুখী হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে ফোঁস করলেও বিরোধী শক্তি হিসেবে শাসককে আঘাত করার ক্ষমতা হারাতে বসেছিল কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরার মৃত্যু যতটা আচমকা, ততটাই বিস্ময়কর ছিল তার পরবর্তীতে লোকসভা ভোটে বাংলার ফলাফল। যেখানে যাদবপুর কেন্দ্রে ডাকসাইটে সিপিএম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সংসদে পা রেখেছিলেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী।
ক্যাডারভিত্তিক পার্টি সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট বছর বছর নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলার মসনদে পোক্ত জায়গা করে নিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচন সর্বত্র তার একাধিপত্য। জেলায় জেলায় মানুষের যে ক্ষোভ ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তা হাজি মহম্মদ মেহসিন স্কোয়্যারের কালীপদ মুখোপাধ্যায় ভবনে বসে বিবৃতি দিয়েই দায় সারতেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু বাম হটানোর জন্য মরণপণ লড়াই শুরু করলেন মমতা। কেন্দ্রে বদল হলেও রাজ্যে বামফ্রন্টই নিয়তি, কংগ্রেস নেতৃত্ব যেন তেমনটাই ধরে নিয়েছিলেন। সেখানেই বাঁধ সাধলেন মমতা। এর জন্য রাজ্যের তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে চরম সংঘাতে জড়াতে হয়েছিল কালীঘাটের নিম্নবিত্ত পরিবারের সাদামাটা তরুণীকে। সাংসদের বেড়ি দিয়ে তাঁকে নিরাপদ জীবন নির্বাহের হাতছানি দেওয়া যায়নি। এমনকী সরভোগী সমাজের করায়ত্তে থাকা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও এই ‘নন এলিট’ প্রতিনিধির ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারেনি। কেন্দ্রের মন্ত্রী করলেও তাঁর চেতনায় রাজ্য। তাই নরসীমা রাওয়ের মন্ত্রিসভার রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও বাম আমলে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা খোলার দাবিতে মমতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসতে দ্বিধা করেননি। পাশাপাশি রাজ্যে ভোটে বাম ক্যাডারদের রিগিং নিয়েও সরব হয়েছেন। সুযোগ পেলেই সংসদে সরব হয়েছেন। ‘ভুয়ো’ ভোটারের তালিকা নিয়ে লোকসভার স্পিকারকে আক্রমণ করে বিতর্কে জড়ালেও, বাংলা থেকে তাঁর ফোকাস এক মুহূর্তের জন্যও সরে যায়নি।
সেই সন্ধিক্ষণে তাঁর পথে কাঁটা ছিল দলের অভ্যন্তরে। তাঁর বাম বিরোধিতার পরিসর যত বেড়েছে, তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ঘরোয়া মহলে মমতার প্রতি বিদ্বেষ। কিন্তু অদম্য মমতা। প্রদেশে ব্রাত্য হলেও, তাঁর বাম বিরোধিতার প্রতিজ্ঞা দৃঢ়তর হয়েছে। যার অন্যতম হাতিয়ার ছিল ‘নো এপিক নো ভোট’। অর্থাৎ, সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট করানো যাবে না।
ঘটনাচক্রে দোর্দণ্ডপ্রতাপ টিএন সেশন তখন নির্বাচন কমিশনার। ভারতে নির্বাচনী সংস্কারের প্রাণপুরুষ সেশন সাহেব যখন সচিত্র পরিচয়পত্রের ধারণা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন, তখন অনেকেই তাঁকে দিবাস্বপ্ন বলে খোঁটা দিয়েছেন। রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তো সেশনকে ‘উন্মাদ’ বলে কটাক্ষ করতেও কসুর করেননি। কিন্তু সে তো ছিল এলিট সমাজের অন্দরের চর্চা। তাকে আম জনতার মাঝে নিয়ে এসে রাজনৈতিক দাবির সঙ্গে যুক্ত করার কাজটি করেছিলেন মমতা। ১৯৯২ সালে মমতা তখন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী। কংগ্রেসে তখন তাঁকে কোণঠাসা করার ফন্দি ফিকির নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সেসব উপেক্ষা করেই স্রেফ যুব শাখার সাংগঠনিক শক্তিতে ভর দিয়ে সচিত্র পরিচয়পত্র চালুর দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিলেন মমতা। তাঁর সমর্থনে জেলায় জেলায় যে সাড়া পড়ে গিয়েছে, তা টের পেয়েছিলেন সেদিনের পক্ককেশ প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। তাই রাজ্য কংগ্রেসের প্রায় সবগোষ্ঠীকেই রাস্তায় নামতে হয়েছিল। বলা ভালো, নিজেদের বিরোধী ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন অকিঞ্চিৎকর এক যুবনেত্রীর ডাকে সাড়া দিতে।
সচিত্র পরিচয়পত্র চালুর মতো বিষয়কে সেদিন আম জনতার দরবারে এনেছিলেন মমতা। সেই ইতিহাস সর্বজনবিদিত। মহাকরণ অভিযানে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ১৩ যুবকের লাশ পড়ল কলকাতার রাজপথে।
পরের বছর যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মমতাই চালু করলেন শহিদ তর্পণ। কালক্রমে যা হয়ে উঠল বাম বিরোধিতার মঞ্চ। বছরের পর বছর তা আড়েবহরে বাড়তে লাগল। বাৎসরিক শহিদ স্মরণের মঞ্চের সুবাদে রাজ্যের কংগ্রেস মহলে শিকড় ছড়াতে লাগল মমতার। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের গণ্ডি ছাড়িয়ে মমতা হাইকমান্ডকেও রেয়াত করলেন না। বাম বিরোধিতায় আপসহীন মমতা তখন চক্ষুশূল তাঁরই সতীর্থদের কাছে। প্রকাশ্যে মমতা আক্রমণ করে চলেছেন তাঁর দলীয় দাদাদের। ছাড় পাচ্ছেন না দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সীতারাম কেশরীও। তখন সকাল-বিকেল বাংলার তাবড় কংগ্রেস নেতৃকূল দিল্লি ছুটতেন। না, বাম শাসনের অবসানের কোনও পরিকল্পনা নিয়ে নয়, বরং মমতাকে টাইট দিতে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের তদবির করতেই দিল্লি অভিযান। যেনতেন প্রকারে রাজ্য কংগ্রেসকে মমতামুক্ত করতে হবে, এমনই পণ প্রদেশের ক্ষমতাধরদের। কেননা তাঁকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না।
কিন্তু এর ফল হল উল্টো। দিন কে দিন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী তো বটেই, বামবিরোধী মানুষজনের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলছিল। আসলে ‘নন এলিট’ একরত্তি মহিলার নেতৃত্ব মেনে না নেওয়ার নেপথ্যে একটা অহংবোধ তখন গ্রাস করে রেখেছিল রাজ্যের কংগ্রেসি দাদাদের। প্রদেশ দপ্তরের আনাচে কানাচে কান পাতলেই শোনা যেত সেইসব বিষোদ্গার। ‘হয় নিজে বেরিয়ে যাক, নয়তো হাইকমান্ড ওকে তাড়াক’—মোটের উপর এটাই ছিল প্রদেশ কর্তাদের মনের কথা।
এই পটভূমিতে ১৯৯৭ সালে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তার এলাহি আয়োজন। বিয়াল্লিশের আগস্ট আন্দোলনের শহিদ দিবসকে মাথায় রেখে ৯ আগস্ট বেছে নেওয়া হয়েছিল কলকাতার অধিবেশনের দিন। সেই বছর একুশে জুলাই ধর্মতলার যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা মঞ্চ থেকেই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। দিনটা ছিল সোমবার। গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ কংগ্রেসের মিটিং-মিছিলে সচরাচর ভিড় দেখা যেত না। কিন্তু ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সেই শহিদ দিবস পালনে মমতার ডাকা সভায় মানুষ উপচে পড়েছিল। দলের মূলস্রোতের বাইরে গিয়ে সেদিনের ভিড় উপচানো সভা থেকেই ভবিষ্যত দেখতে পেয়েছিলেন মমতা। এআইসিসিকে আক্রমণ করলেও মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘তেরঙ্গা ঝান্ডা আমি ছাড়ব না।’ জনতা তাতেই সমস্বরে সাড়া দিল। তিনি জানালেন, ৯ আগস্ট কংগ্রেস যখন ইন্ডোরে অধিবেশন করবে, তখনই গান্ধীজির মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিয়াল্লিশের শহিদদের স্মরণ করা হবে। প্রকাশ্যে এআইসিসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বললেন, ‘আজ সেমিফাইনাল হল, ৯ তারিখ হবে ফাইনাল। সাহস থাকলে তার আগে আমাকে তাড়াক।’ আর এই পুরোটাই কৌশলী পদক্ষেপ। ‘আমরাই কংগ্রেসের মূলস্রোত’, আগস্ট বিপ্লব দিবস পালনের নামে কংগ্রেসকে চাপে ফেলে সেদিনই কংগ্রেসের ইন্ডোরের বিকল্প হিসেবে আউটডোর অর্থাৎ, গান্ধীমূর্তির পাদদেশকে বেছে নিলেন তিনি। সঙ্গে পেলেন পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, অজিত পাঁজার মতো হাতেগোনা কয়েকজনকে। কিন্তু সেদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তারকাখচিত নেতাজি ইন্ডোরকে ম্লান করে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়ের সূচনা হল মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। আউটডোরে মমতার স্বতঃস্ফূর্ত জনপ্লাবনে ম্লান হয়ে গেল কংগ্রেসের অধিবেশন। কোনও রাখঢাক নয়, সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়ে সেদিনই মমতা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি দল ছাড়লেও নতুন কিছু পরিকল্পনা নিয়েই পা ফেলতে চলেছেন। কারণ, তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল, ‘সিপিএমের মদতে সীতারাম কেশরী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ওঁদের স্বপ্নপূরণ হবে না, হতে দেব না...’ বা ‘দিল্লির দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ। অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। এই সব আপস করা নেতাদের জন্য ২০ বছর ধরে জ্যোতি বসুরা বহাল তবিয়তে টিকে আছেন।’
এই বাকযুদ্ধ ও তৃণমূল স্তরের লক্ষ লক্ষ কংগ্রেস কর্মীর ভরসার পরিণতিতে বাম হটানোর একমাত্র সংকল্প নিয়ে গঠিত হল মমতার নিজের দল। তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত তাঁর ফোকাস এতটুকু নড়চড় হয়নি। দলের সংবিধানটুকুও আগাগোড়া কংগ্রেসের কপিবুক হলেও, তৃণমূলের কট্টর বাম বিরোধিতা ক্রমে সাড়া জাগাল। মমতাকে মদত দিলে আখেরে কংগ্রেসকেই বেকায়দায় ফেলা যাবে এই অঙ্কে অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদবানিদের বিজেপি তৎপর হয়ে উঠেছিল। একদিকে কংগ্রেসত্যাগী, অন্যদিকে বাংলায় সিপিএমের তথা বামপন্থীদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনা টের পেয়ে বিজেপি তাঁকে কাছে টেনে নিয়েছিল। যার সুবাদে প্রথম এনডিএ সরকারের শরিক হলেন মমতা। মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পেলেন। তবে পথটা মোটেই সুগম ছিল না। রাজ্যে বিরোধী ভোট বিভাজনের সুবাদে অ্যাডভান্টেজ পেয়ে রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম ছিল বামেদের। কিন্তু জনমানসের অন্দরে ক্ষয় শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই ২০০৬ সালে ‘আমাদের ২৩৫ ওদের শুধু ৩০’, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সদম্ভ ঘোষণা চুরমার হতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি মমতাকে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সূত্রে ভেঙে পড়তে লাগল বাম প্রশাসনের ভিত। বাম বনাম মমতার মেরুকরণ তখন বাধ্য করল কংগ্রেসকে জোটের রফায় আসতে। ততদিনে সাচার কমিটির রিপোর্টে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের করুণ দশা প্রকাস্যে এসে পড়েছে। যে মুসলমান ভোটব্যাঙ্কের ভরসায় দিনের পর দিন বামেরা ক্ষমতা দখল নিশ্চিত করেছে, সেই পালেই উল্টো বাতাস বইতে শুরু করেছে। মমতায় আস্থাপ্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রায় ২৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের সিংহভাগ। তার সঙ্গে যুক্ত হল গ্রাম সমাজের রাজনৈতিক আনুগত্যের পালাবদল। এই প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে বাংলার সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন ইতিহাসের অধ্যায় সূচিত হল। সে বছর একুশে জুলাই পালিত হল বিজয় উৎসবের মোড়কে, ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে। সেখানে সেদিনও বাম বিরোধিতার ঝাঁঝ প্রাধান্য পেয়েছিল। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে নতুন ইতিহাস। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দশ বছরের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অবসান ঘটিয়ে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ ক্ষমতায়। প্রথম এনডিএ শরিক নির্ভর। কিন্তু এই প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক প্রধানমন্ত্রীর পদে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর দিয়ে। সঙ্ঘের সৌজন্যে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করল। বাংলাও ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে, একুশে জুলাইয়ের রাজনীতির রংও বদলাতে শুরু করেছিল। কেননা, ষোড়শ লোকসভা ভোটের আবহেই রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ক্ষয়ের পথে দ্রুত নামতে শুরু করেছিল। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৪৬.৬৭ শতাংশ। বামেরা পেয়েছিল ৪৩.৩ শতাংশ। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪৮.৪৫ শতাংশ এবং বামফ্রন্ট পেল ৪১.০৫ শতাংশ। দু’টি ক্ষেত্রেই অবশ্য কংগ্রেস ছিল তৃণমূলের জোটসঙ্গী। উল্লেখ্য, এই কালপর্বে বিশেষত বাম আমলে রাজ্যে সঙ্ঘের কাজকর্ম কিছুটা থমকেই ছিল। তবে থেমে থাকেনি। আরএসএসের নিজস্ব তথ্য বলছে, তৃণমূল জমানায় সঙ্ঘের জনপ্রিয়তা ও কর্মকাণ্ড দ্রুতহারে বেড়েছে। প্রসঙ্গত, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে বিজেপি বছরের পর বছর ধরে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। যদিও তাতে বিশেষ দাগ ধরাতে পারেনি বাংলার জনমানসে। এমনকী রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় বসার পর প্রথম দুই বছরেও তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদি সরকার মসনদে বসার পর থেকেই তেড়েফুঁড়ে ওঠে বিজেপি। তার আগে বিরোধী পরিসরে মামুলি শক্তি ছিল বিজেপি বাহিনী। এই পর্বে রাজ্যের বিজেপি সংগঠনের কব্জা নেয় আরএসএস। সঙ্ঘের প্রচারককে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়। এই সলতে পাকানোর কাজ বাড়তি মাত্রা পায় ২০১৪ সালের পর থেকে। একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে বহু দুরে থাকলেও বাম ও কংগ্রেসের অবক্ষয়ের সুবাদে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। এই রাজনৈতিক উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার রাজনীতির বয়ান বদলে যেতে শুরু করে। বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দলের সৌজন্যে সামাজিক স্তরে বিভাজন উৎসাহ পায়। হনুমান জয়ন্তী থেকে রাম নবমী পালনে গোবলয়ের সংস্কৃতি ক্রমশ জায়গা করে নিতে থাকে। হিন্দু আর হিন্দুত্ব—দুটোকেই এক বিন্দুতে মেলানো ছিল সংঘ পরিবারের পরিকল্পনা। হিন্দু বঙ্গবাসীর এই নবলব্ধ হিন্দুত্বের সঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদ-সোনায় সোহাগা। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে, রাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যা এমন হারে বাড়ছে যে কিছুকাল পরে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এই সামাজিক বিভ্রমে সঙ্ঘ পরিবার যে উস্কানি দেবে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। মমতা সরকারের সংখ্যালঘু নীতিকে ‘তোষণের রাজনীতি’ বলে যে প্রচার সঙ্ঘ চালিয়ে এসেছে, তাতে কমবেশি বাংলার হিন্দু সমাজ প্রভাবিত হয়েছে। সপ্তদশ লোকসভা ভোটের প্রচারে এই বিভ্রান্তিকেই অস্ত্র করেছে বিজেপি। ফলও পেয়েছে। এক বছর আগে ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ দখলের ডাক দিলেও, তাঁকে থামতে হয়েছে বাইশে। যে জনসমর্থনে ভর দিয়ে গেরুয়া বাহিনী রাজ্যে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তাতে মিশেছিল তৃণমূল বিরোধিতার সঙ্গে হিন্দুত্বের উপাদান। ফলে বামের অবশিষ্ট জনভিত্তিই রামকে ভরসা জোগাল। এক ধাক্কায় বাম ও কংগ্রেস যথাক্রমে ৮ ও ৬ শতাংশে নেমে এল। শাসক বিরোধী ভোট গিয়ে পড়ল বিজেপির ঘরে। বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় মেরুকরণ হলে এটাই প্রত্যাশিত। হলও তাই। তবে এটা নতুন ধরনের মেরুকরণ। অতীতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে রাজনৈতিক বিভাজনের চড়া সুর শোনা যেত। গত বছর দু’য়েকের ব্যবধানে এখন যে বিভাজন বাংলার রাজনীতিকে গ্রাস করেছে, তা হল সামাজিক। দলীয় রাজনীতির পারস্পরিক বিরোধ নয়, এটা হল সমাজের অভ্যন্তরে বিদ্বেষাভাব জাগিয়ে তোলার হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের তুলনায় এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট কমেছে প্রায় দুই শতাংশ। বিজেপির বেড়েছে ৩০ শতাংশ। বিজেপি শুধু বেড়েছে তাই নয়, রাজ্যের যে ২৭টি লোকসভা কেন্দ্র গ্রামকেন্দ্রিক, তার মধ্যে ১৫টিতে গেরুয়া বাহিনী সংখ্যাগরিষ্ঠ। মনে রাখতে হবে, বাংলায় বামেরা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও গ্রাম সমাজের ভরসায় প্রায় সাড়ে তিন দশক টিকে ছিল। বামের ভোট রামে গেল আর বিজেপি রাজ্যে কীভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিতে সমর্থ হল-এই দুটি বিষয় তাই একসূত্রে গাঁথা। হিন্দুত্বের মতাদর্শনির্ভর রাজনীতির মোকাবিলা শুধুমাত্র কৌশল করে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন পাল্টা মতাদর্শনির্ভর রাজনৈতিক বয়ানের। যান্ত্রিকভাবে ফ্যাসিজমের ধুয়ো তুলে তার সঙ্গে যুঝতে পারা কি সম্ভব? বিজেপির ধর্মাশ্রিত রাজনীতির বিরোধিতা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ধর্মাশ্রিত রাজনীতি দিয়ে হয় না, সেই সত্য উপলব্ধি করতে সপ্তদশ লোকসভার ফলই যথেষ্ট। হিন্দুত্বনির্ভর রাষ্ট্রবাদিতা শুধু ভোট জেতার লক্ষ্যে নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও সেই প্রকল্প বিস্তৃত। ভোটের ফলাফল প্রতিকূল হলেও, সেই প্রকল্প অব্যহত থাকে। রাজনীতির থেকেও সামাজিক বিভাজনকে মোকাবিলার পথ শুধু বন্ধুর নয়, অচেনাও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পোড় খাওয়া মমতা বরাবর প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এবারের ভিন্ন মেজাজের একুশে জুলাই থেকে সেই যাত্রার অভিমুখ সেই ইতিহাসকেই মনে করাচ্ছে। প্রতিপক্ষ শিবিরের চরিত্র গুণগতভাবে পৃথক। তাই নয়ী প্রেক্ষাপটে বিরোধ আর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটকে নেই, তা সামাজিক বিরোধের পরিসরে পুষ্ট ও পরিব্যপ্ত। তাই এটা বদলের একুশে জুলাই। আর নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুলে ১৯৯২ সালে মমতার মহাকরণ অভিযান, যার থেকে এই শহিদ দিবসের সূত্রপাত, এবারের ‘বদলের একুশে’ও মমতার হাতিয়ার সেই নির্বাচনী সংস্কার। ‘ইভিএম নয়, ব্যালট ফেরাও’।
ছবি : অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় 
21st  July, 2019
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM