Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব। অন্ধ-কানা-খোঁড়া বলে কেউ তাদের উপহাস করছে না! আজ আর কেউ তাঁদের রথের দড়ি ছোঁয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে না। এভাবেই কোটি কোটি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে নিজস্ব মেজাজে স্বকীয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।



 জগন্নাথের বিষয় আশয়...

বিষয় আশয় থেকে রোজগার কমে যাওয়ায় নীলাচলপতির বিলাস বসনে কিঞ্চিৎ ভাটা পড়েছে। বারো মাসে তেরো পার্বণে তাঁর জমকালো নানাবিধ পোশাকের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগানোও মুশকিল হয়ে পড়ছে। অনেক ‘বেশ’ কালক্রমে অপ্রচলিত হয়ে পড়ছে। হাতি-ঘোড়া-আসবাব-তৈজসপত্র বাদ দিয়েও প্রভু শ্রীজগন্নাথের রয়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিশাল এক মালিকানা। ‘মাদলাপাঁজি’র বর্ণনায় ওড়িশার রাজা অনঙ্গভীমদেব একাই আড়াই লক্ষ সোনার মোহর দান করেছিলেন। সূর্যবংশীয় রাজারাও তাদের আরাধ্য দেবতাকে দানধ্যান করেছিলেন প্রচুর। তবে মুসলিম শাসকরা বারেবারে শ্রীজগন্নাথের রত্নভাণ্ডার লুট করেছে। ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে ‘কালাপাহাড়’ শ্রীমন্দিরকে ধ্বংস করে, লুট করে রত্নভাণ্ডারের যাবতীয় ধনসম্পত্তি। রাজা পুরুষোত্তম দেবের রাজত্বকালে ‘কেসোদাস মারু’ নামে এক মুঘল সুবেদার লুটপাট চালায় মন্দিরে। যদিও উপহার হিসেবে প্রাপ্ত, ১৪৬৬ খ্রিস্টাব্দের বিভিন্ন অলঙ্কার বর্তমানেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সোনা-হীরে-জহরত-নীলকান্তমণি-প্রবাল-মুক্তো ছাড়াও রয়েছে রুপোর নানা দুর্মূল্য অলঙ্কার ও তেজস। ‘রেকর্ড অব রাইটস’-এর চতুর্থ ভাগে দেখা যাচ্ছে রত্নভাণ্ডারের ‘বাহার ভাণ্ডারে’ তিনটে সোনার নেকলেস বা ‘হরিদা খাণ্ডি মালি’ রয়েছে, যার প্রতিটির ওজন ১২০ তোলা বা ১৩৯৯.৬৫৬ ভরির বেশি। জগন্নাথ-বলভদ্রের সোনার শ্রীভুজ আর শ্রীপায়েরার ওজন ৮১৮ (৯৫৪০ ভরি) এবং ৭১০ (৮২৮১ ভরি) তোলা। শ্রী জগন্নাথ, শ্রীবলভদ্র ও সুভদ্রার সোনার মুকুটের ওজন যথাক্রমে ৭১১৪ ভরি, ৫০৬২ ভরি ও ৩২০৭ ভরি। রয়েছে সোনার জপমালা, স্বর্ণপত্র, সোনার ফুলদানি, সোনার কৌটো, সোনার বাটি, সোনার ছাতা, উষ্ণীষ, সোনার গ্লাস, স্বর্ণকলস, সোনার রণভেড়ি, সোনার ছোরার হাতল, স্বর্ণঝাড়ি, সোনার জগ, প্লেট, বাতিদান, সোনার পিকদান-টায়রা-ছোট সোনার ছাতা। রয়েছে রুপোর কলসি-পদ্মফুল-শঙ্খ-তালাচাবি-লাঠি, সাতটা বাতির ঝাড়লণ্ঠন, শাবল, ছোট তরোয়াল, রুপোর গাছে ফুলের মতো ফুটে থাকা শাঁখের গুচ্ছ, সানাই, বাঁশি, চক্র, ঢাল, কোমরবন্ধ প্রভৃতি। রত্নভাণ্ডারের ‘বাহার’ বা ‘বাইরের ভাণ্ডার’ তিনটে তালাচাবি ও ‘ভিতর ভাণ্ডার’ দু’টো তালাচাবিতে সুরক্ষিত। একটি চাবি রাজার কাছে থাকে, অন্য দুটি যথাক্রমে ‘ভাণ্ডার মেকাপ’ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকে। রত্নভাণ্ডারের রত্নসামগ্রীকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। ভিতর ভাণ্ডারের (১ নং বিভাগ) রত্ন কখনও ব্যবহার করা হয় না। দ্বিতীয় ভাগের রত্নরাজিকে বিভিন্ন উৎসবে, পার্বণে ব্যবহার করা হয় আর সর্বশেষ ভাগের (৩নং বিভাগ) রত্ন-অলঙ্কার নিত্যদিনের সেবাকাজে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৬—৭৮ সালব্যাপী সরকারি তত্ত্বাবধানে রত্নভাণ্ডারের চুলচেরা হিসেবনিকাশ পর্ব চলে। তারপরে প্রস্তুত করা হয় এক সুবিস্তৃত তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী ১ নং বিভাগে রয়েছে ৩৬৭ ধরনের সোনার অলঙ্কার/সামগ্রী যা কখনও ব্যবহার করা হয় না। তার ওজন ৪৩৬৪ ভরি। ২ নং বিভাগের ৭৯ ধরনের সোনার গহনা বিভিন্ন পার্বণে ব্যবহৃত হয়, তার ওজন ৮১৭৫ ভরি। আর শেষ বিভাগে ৮ ধরনের নিত্যব্যবহার্য গয়নার ওজন ২৯৯ ভরি। সবমিলিয়ে ৪৫৪ ধরনের সোনার গহনা বা সোনার সামগ্রীর ওজন ১২ হাজার ৮৩৮ ভরি। তেমনই ২৯৩ ধরনের রুপোর গহনা বা অন্যান্য বস্তুর ওজন ২২ হাজার ১৫৩ ভরি। ওড়িশার রাজ্যপালের অনুরোধে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ৪ জন বিখ্যাত স্বর্ণকারকে ওড়িশায় পাঠান। তাঁরাই রত্নরাজির সঠিক মূল্য নির্ধারণ করেন। এছাড়াও শ্রীজগন্নাথদেবের রয়েছে প্রচুর ভূসম্পত্তি। প্রায় নিখরচায় বছরের পর বছর সেখানে বসবাস বা চাষবাস করছেন বহু-মানুষ। ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী ‘সর্বরাকর’, ‘একহাজারত মহল’ ও ‘সাইতিশহাজারি মহলে’ রাজস্ব বকেয়া ৩০ লাখ টাকার বেশি। মন্দির কর্তৃপক্ষের বয়ানে মামলা চালানোর মতো অর্থনৈতিক সঙ্গতি শ্রীজগন্নাথদেবের নেই। সুতরাং গগনচুম্বী বকেয়া অনাদায়ীই থেকে যাচ্ছে। তাই সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে ভাবনাচিন্তা চলছে শ্রীজগন্নাথদেবের কিছু অলঙ্কার বন্ধক রেখে যদি মোটা অঙ্কের সুদ মেলে, তাহলে সংসারের হালও ফেরে আর মামলা মোকদ্দমার খরচটাও উঠে আসে।


 ইতিহাসের আলপথ বেয়ে...
সত্যযুগে রথযাত্রার অবতারণা ভক্ত প্রহ্লাদের হাত ধরে। ভবগান বিষ্ণুকে রথে উপবেশন করিয়ে তা নিজে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ভক্ত প্রহ্লাদ। তাঁর হৃদয়-রথে তখন অধিষ্ঠিত স্বয়ং তাঁর ভগবান। বর্তমান যুগের রথযাত্রায় আপামর বিশ্ববাসীর ভগবান জগন্নাথদেব। শ্রীমন্দির থেকে ভাই-বোনকে নিয়ে গুণ্ডিচা মন্দিরে তাঁর আগমনই সাড়ম্বরে পালিত হয় পুরীতে। উৎকলভূমি পেরিয়ে সেই রথযাত্রার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
পুরাকালে অবশ্য মোট ছ’টি রথের প্রয়োজন পড়ত। বড়দাণ্ড বা শ্রীমন্দির থেকে গুণ্ডিচা বাড়িতে যেতে সারদা নদী পেরোতে হতো। বর্তমানের বলগন্ডীতে বয়ে যেত সারদা নদী। আদরের মাসি দেবী অর্ধাশনির অবস্থান সেখানেই। রথ নদী পেরোতে পারবে না বলে নদীর অপর পাড়ে রাখা থাকত আরও তিনটি রথ। অর্ধাশনির মন্দিরে চালের পিঠের ভোগ জগন্নাথের খুব প্রিয়। ভোগ খেয়ে মাসির আদর যত্নে কিছুদিন কাটিয়ে আবার সারদা নদীর অপর পাড়ে যাত্রা।
গোটা যাত্রাপথে সপার্ষদ নৃত্যরত চৈতন্য মহাপ্রভু দিনের বেলায় রথের সঙ্গেই থাকতেন। সন্ধ্যা ঘনালে বিশ্রাম নিতেন ‘জগন্নাথবল্লভ উদ্যানে’। মহাপ্রভুর সঙ্গে প্রভু নিত্যানন্দ, নরহরি সরকার, বক্রেশ্বর পণ্ডিত এমনকী শ্রী-অদ্বৈতও উন্মত্তের মতো নেচে চলতেন। ভাবাবেগে বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত সকলের। মহাপ্রভুর দু’চোখ বেয়ে অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। তিনি একবার সামনে একবার পিছনে, এভাবেই সকলকে সঙ্গত করছেন। রথের সামনে করজোড়ে দাঁড়িয়ে শ্রীচৈতন্য, মেঘশ্যামল-দেবকীনন্দনের উদ্দেশ্যে গাইছেন, ‘নাহর বিপ্রো ন চ নরপতির্নাপি বৈশ্য ন শূদ্র....।’ রাজা প্রতাপরুদ্রের চোখের সামনে ঘটে চলেছে মহাজাগতিক দৈবলীলা। শ্রীজগন্নাথ তন্ময় হয়ে মহাপ্রভুর শ্লোক শুনছেন। শুনতে শুনতে বিগলিত তিনি। আরাধ্য আর আরাধ্যা কখন যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেলেন। বিষয়ী প্রতাপরুদ্র দেখছেন রথের উপরে আসীন যিনি, রথের সামনেও সেই তিনি। এই মহাভাব প্রত্যক্ষ করে স্বরূপ গেয়ে উঠলেন সেই বিখ্যাত গান, ‘সেই তো প্রাণনাথ পাইলুঁ/ যাহা লাগি মদনদহনে ঝুরি গেলুঁ’। মহাপ্রভু তাঁর গলার গোড়ের মালাটি ছুঁড়ে দিলেন জগন্নাথের দিকে। জগন্নাথের কণ্ঠবেষ্টিত সেই মালা আবার ফিরে এল মহাপ্রভুর কাছে। একের পর এক মালা মহাপ্রভু নিচ্ছেন, তদগতচিত্তে তা ছুঁড়ে দিচ্ছেন ভক্তদের উদ্দেশ্যে। কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন এঁকে রথ চলেছে নিকুঞ্জে। ভাবলীলার আবেশে থেমে যায় পরমভক্ত নরপতি প্রতাপরুদ্রের হাতের সোনার ঝাড়ু। সম্বিত ফিরলে ফের তিনি চন্দনের জলে ধুইয়ে দিতে শুরু করেন ধূলিমলিন রথের রাস্তা। রাধাস্বরূপে গৌড়ীয় বৈষ্ণবরা রথের ‘দক্ষিণামুখী’ প্রত্যাগমন অর্থাৎ গুণ্ডিচা থেকে শ্রীমন্দিরে আগমনকেই প্রাধান্য দেন বেশি।
প্রতাপরুদ্রের রাজত্বের শেষদিকে রথ বিধিমাফিক পথে নামল। ডাহুক আর কলাবৈঠিয়ারা রথ টানতে উদ্যোগী হল। কিন্তু রথের চাকা নড়ে না। এল হস্তীযূথ। তাদের প্রবল পরাক্রমেও রথ নট নড়নচড়ন। আশঙ্কিত রাজা ভাবলেন নিশ্চয়ই নিয়ম পালনে নিষ্ঠার অভাব হয়েছে। কুপিত ও রুষ্ট হয়েছেন প্রভু। দৌড়ে গেলেন মহাপ্রভুর কাছে। রাজার মিনতিতে ধীরেসুস্থে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য এলেন রথের কাছে। প্রথমেই হস্তি-ডাহুক-কলাবৈঠিয়া থেকে মুক্ত করলেন রথকে। তারপর রথের রজ্জু ভক্তদের হাতে তুলে দিয়ে পরম মমতায় স্পর্শ করলেন রথ। গড়গড়িয়ে এগিয়ে চলল রথ। রজ্জুর টানে নয়, ভক্তিসুধারসের প্রাবল্যে রথ যেন উড়ে চলল। রাজা প্রতাপরুদ্র মহাপ্রভুর পায়ে লুটিয়ে পড়েছেন, চোখের জলে ধুয়ে গেল দুই কোমল শ্রীচরণ। পার্থিব জগতের মায়া কাটিয়ে মহাপ্রভু যখন বিষ্ণুলোকে, প্রতাপরুদ্রের মনে হচ্ছে এই বিশ্বসংসার ফাঁকা, অর্থহীন এক প্রলাপ। সর্বহারা প্রতাপরুদ্রের অবস্থা বোধহয় সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন রবি-বাউল। তাই তিনি গাইলেন ‘সে যে মনের মানুষ/ কেন তারে বসিয়ে রাখিস নয়নদ্বারে?/ ডাক না রে তোর বুকের ভিতর,/ নয়ন ভাসুক নয়নধারে’।
রথের পনেরো দিন আগে অনরবাহ প্রথায় ‘স্নানযাত্রা’ সমাপ্ত হয়। ১০৮ ঘড়া বদ্ধ কুয়োর জলে অবগাহনের ফলে জগন্নাথদেবের জ্বর হয়। ‘চাহনি মণ্ডপ’ থেকে গোটা স্নানযাত্রা প্রত্যক্ষ করেন শ্রীলক্ষ্মী। অন্ত্যজ দয়িতাপতিরা মা লক্ষ্মীর সঙ্গে যৌথভাবে সেবা-শুশ্রূষায় সারিয়ে তোলেন জগন্নাথকে। শ্রীঅঙ্গ নতুন করে চন্দন চর্চিত হয়। এই ১৫ দিন জগতপতি থাকেন অন্তরালে।
স্নানযাত্রার সময় শ্রীজগন্নাথ ‘গণেশ বেশ’ ধারণ করেন। গণপতি বেশেরও রয়েছে ঐতিহাসিক তাৎপর্য। কর্কট দেশের ‘কানিয়ারি’ গ্রামে বাস করতেন সাত্ত্বিক ব্রাহ্মণ গণপতি ভট্ট। ‘ব্রহ্মপুরাণ’-এর একটি শ্লোকে তিনি দেখলেন, স্বয়ং বিষ্ণু স্থূল শরীরে নীলাচলে বিরাজমান। তাঁর দর্শনেই জন্মমৃত্যুর অমোঘ কালচক্র থেকে জীবকুলের মুক্তি। যাত্রা শুরু হল নীলাচল অর্থাৎ পুরী অভিমুখে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গণপতি পৌঁছলেন পুরীর সিংহদ্বার ‘আঠারো নালায়’। প্রতি বছর বন্যায় উৎকলে প্রচুর ফসল নষ্ট হতো। তাই প্রজাদের দুর্গতির দিকে তাকিয়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ‘মুটিয়া’ নদীর উপর আঠারোটি নালার সমাহারে এক সেতুবন্ধন করলেন। আঠারো নালার স্থাপত্য আজও বিস্ময়। কথিত আছে, আঠারো নালাতে উপস্থিত হয়েই নাকি শ্রীজগন্নাথ দর্শনের আনন্দে মহাপ্রভু মহাভাবে নিমজ্জিত হন। যাই হোক, গণপতির সামনে দিয়ে কয়েকজন লোক তখন নীলাচলনাথের দর্শন সেরে হাসিঠাট্টায় মশগুল হয়ে আঠারো নালা পেরচ্ছিল। গণপতি ভাবলেন, এরা তাহলে মুক্তিলাভে অসমর্থ। কারণ, ব্রহ্মস্বরূপে পরমাত্মার সঙ্গে মিলনে তো নশ্বর দেহ থাকারই কথা নয়। দ্বিধাগ্রস্ত ব্রাহ্মণ! তবে ব্রহ্মপুরাণ কি ভুল? গণপতির সংশয়ের অবসানে সৌম্য বৃদ্ধের বেশে হাজির হলেন স্বয়ং মদনমোহন। গণপতির সংশয় নিরসন করলেন। পরমব্রহ্ম সত্যিই নীলাচলে উপস্থিত, কিন্তু তিনি যে বাঞ্ছাকল্পতরু। যে ভক্ত তাঁর কাছে যা চায় তিনি সেভাবেই তার বাসনার নিবৃত্তি ঘটান। যে পথিকদল হাসতে হাসতে সংসারে ফিরে গেল, তারা তো সংসারে ফিরতেই উন্মুখ। আর যে মুক্তি চায় মুরলীধর তাকে মুক্তি দেন। গণপতি বৃদ্ধের কথা শুনে উপস্থিত হলেন শ্রীমন্দিরে। সেদিন ছিল স্নানযাত্রা। গণপতি ভট্টের দৃষ্টি চুম্বকের মতো স্থির শ্রীবিগ্রহের বিশাল নির্লিপ্ত দুই নয়নে। পরমব্রহ্মের এরকম মানুষী চোখ কেন? এ দারুমূর্তি কখনওই সচ্চিদানন্দ নন! তার এত পথ আসাটাই বৃথা। মনোবাসনা পূর্ণ না হওয়ায় গণপতি ভট্ট আবার ফিরে যেতে উদ্যত! ভক্ত আহতচিত্তে ফিরে যাচ্ছে দেখে জগন্নাথের হৃদয় আলোড়িত হল! জগমোহনে গতকালের প্রবল খাটাখাটনিতে সেবক বিষ্ণুশর্মা মুদিরথ পান্ডা তখন তন্দ্রাচ্ছন্ন। প্রভুর স্বপ্নাদেশে ঘুম ভেঙে তড়িঘড়ি মূল ফটকের দিকে ছুটে ধরে আনলেন গণপতি ভট্টকে। স্তম্ভিত গণপতি অতিপ্রাকৃতের আশায় আবারও চললেন বিগ্রহ সমীপে। কিন্তু তাঁর আরাধ্যকে তো সেই ঠুঁটো বিগ্রহ-মূর্তিতে কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না! হঠাৎ কে যেন কানে কানে গণপতি ভট্টকে বলল, ‘মনকে স্থির সংযমী করে অবলোকন কর দারুমূর্তিকে।’ দু’বার চোখ কচলে গণপতি ভট্ট দেখলেন শুঁড়দোলানো একদন্ত গণেশ তাঁর দিকে চেয়ে ফিকফিক করে হাসছে। স্বয়ং শ্রীহরি হাত বাড়িয়ে গণপতিকে ডাকছেন, ‘এসো, আমার কাছে এসো, পরমভক্ত আমার, আমার হৃদয়ে লীন হয়ে যাও’। গণপতি তখন প্রাণের ঠাকুর শ্রীজগন্নাথকে অনুরোধ করলেন, ‘করুণাসাগর, তুমি যদি ভক্তবাঞ্ছায় কল্পতরু হও, তাহলে তোমার এই অধম ভক্তের ইচ্ছাপূরণে প্রত্যেক স্নানযাত্রায় গণপতি বেশ ধারণ করবে!’ তারপর সমবেত জনতা চোখের সামনে দেখল গণপতি ভট্টের দেহ থেকে এক আঙুল সমান দিব্য জ্যোতির্ময় এক পুরুষ পরমাত্মার শরীরে লীন হয়ে গেল! গণপতির নিথর শরীর ভূপতিত পাথরের পাষাণ মেঝেতে। সেই থেকে স্নানযাত্রার দিন, ‘গণেশ বেশে’ সাজিয়ে তোলা হয় জগন্নাথদেবকে। স্মরণ করা হয় পরম ভক্ত গণপতি ভট্টকে।
বৌদ্ধধর্মের আচার বিচারের কিছু ছাপ বিদ্যমান জগন্নাথ তর্পণে। শ্রীমূর্তির শরীরে ব্রহ্মমণি বা শ্রীকৃষ্ণের অস্থির সংস্থাপন হয় নবকলেবরে। হিন্দুধর্মে মৃতদেহের দাঁত-নখ-অস্থি-চুল অপবিত্র, তার সংরক্ষণ শাস্ত্রসম্মত নয়। কিন্তু বৌদ্ধরা মৃতদেহের দাঁত-নখ-চুল সংরক্ষণ করে তার উপর স্তূপ নির্মাণ করেন। শ্রীকৃষ্ণের অস্থি সংরক্ষণ, নবকলেবরে তা পুনঃস্থাপন স্পষ্টতই বৌদ্ধপ্রভাব। বহুকাল পরে দাক্ষিণাত্যের সুদূর কেরলের পাণ্ড্যপ্রদেশে থেকে পাণ্ডাবিজয় নামে এক পরাক্রমী রাজা উৎকলরাজ্যে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বিষ্ণু অন্তপ্রাণ মন্ত্রী দেবেশ্বর। রাজা-মন্ত্রী সদলে উদ্ধার করেন দারুমূর্তিকে। গুণ্ডিচামন্দিরের মহাবেদিপিঠ, যেখানে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন সহস্র অশ্বমেধযজ্ঞ সমাধা করেন, সেখানে তিনটি দারুমূর্তির অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করান তিনি। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন ত্রিমূর্তিকে। রথযাত্রার সময় ত্রিমূর্তির শ্রীমন্দির থেকে গুণ্ডিচামন্দিরে আগমন ঘটে। তাই রথযাত্রা ‘পাণ্ড্যবিজয়’ বা ‘পহণ্ডিবিজয়’ নামেও পরিচিত।

রত্নভাণ্ডারের অদ্যাবধি অপ্রকাশিত, যাবতীয় গোপন সরকারি তথ্য, পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের ভূতপূর্ব প্রশাসক ও বর্তমান লিয়াঁজ অফিসার ডঃ ভাস্কর মিশ্রের সৌজন্যে প্রাপ্ত।
 
ছবি : অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও লেখক
30th  June, 2019
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM