Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মোদি ম্যাজিক
সমৃদ্ধ দত্ত

আর নিছক জয় নয়। দেখা যাচ্ছে জয় খুব সহজ তাঁর কাছে। ২০ বছর ধরে কখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিতেই চলেছেন। সুতরাং ওটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাহলে এরপর টার্গেট কী? সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করা। এক রেকর্ড সৃষ্টি করাই লক্ষ্য হবে নরেন্দ্র মোদির। কিসের রেকর্ড? লাগাতার জয়ের রেকর্ড। একক শক্তিশালী দলকে সরকারে আনার রেকর্ড। কেন? এখনও রেকর্ড হয়নি? না। সত্যি বলতে কী, এখনও রেকর্ড হয়নি। কারণ এই বিপুল বিজয়ও ভারতের ইতিহাস দেখে ফেলেছে। ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জওহরলাল নেহরুর কংগ্রেস মোট ৪৮৯টি আসনের মধ্যে একাই পেয়েছিল ৩৬৪। কতটা জনপ্রিয় ছিলেন নেহরু? বি আর আম্বেদকরকে পরাজিত করার জন্য নেহরু তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বইতে কোনও জনপ্রিয় শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতাকে প্রার্থী না করে স্বয়ং আম্বেদকরের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টকেই কংগ্রেসের প্রার্থী করলেন। নারায়ণ কাজরোলকর। এবং মুম্বই চৌপট্টিতে নেহরু একটি সভা করলেন কাজরোলকরের হয়ে। ১৫ হাজার ভোটে নিজের অ্যাসিস্ট্যান্টের কাছে পরাজিত হলেন ভীমরাও আম্বেদকর। স঩ত্যিই কি কাজরোলকর হারালেন? ভুল। হারালেন নেহরু। প্রথম নির্বাচনের ওই বিপুল সাফল্যের পর বলা হয়েছিল একটি ল্যাম্পপোস্টকে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হলেও সে জিতবে। কারণ, নেপথ্যে নেহরু। সেবার কংগ্রেস শুধুই লোকসভার ৩৬৪টি আসন পেল তাই নয়। গোটা দেশে হওয়া তাবৎ বিধানসভা নির্বাচনেও মোট ৩২৮০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ২২৪৭ আসন।
কিন্তু প্রথমবার এই জয় খুব স্বাভাবিক। কারণ, ভোট কী, কেমন করে দিতে হয়, কেন দিতে হয়, কাকে দিতে হয়? এসবই অজানা ছিল ১৭ কোটি ভোটারের কাছে। সুতরাং তাঁদের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য নেতা যে গান্ধীবাবার প্রধান শিষ্য নেহরুই হবেন, এটা তো প্রত্যাশিত! সুতরাং ওটা যে বিরাট এক রাজনৈতিক সাফল্য, তা বলা যাবে না। আসন প্রচুর পেলেও নেহরুর দল যে বিপুল ভোট পেয়েছিল, তেমন নয়। ৪৫ শতাংশ। তখনও কংগ্রেস বিরোধী কোনও দলও সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। তাই সেই অর্থে জওহরলাল নেহরু আর কংগ্রেসের প্রথম পরীক্ষা আসলে ১৯৫৭। দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। ৮ বছর শাসন হয়ে গিয়েছে নেহরুর। এমতাবস্থায় সময় এসেছে তাঁর শাসনকালে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিকে যাচাই করে নেওয়ার। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, উদ্বাস্তুদের সমস্যা, কর্মসংস্থানের অভাব ইত্যাদি সমস্যা প্রবল। এরকমই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হল। দেখা গেল নেহরুর ক্যারিশমা তথা জনপ্রিয়তা বিশেষ হ্রাস পায়নি। কংগ্রেস একাই দখল করল ৩৭১টি আসন। যার মধ্যে শুধু উত্তর ভারতই দিয়েছিল ১৯৫। কিন্তু একইসঙ্গে দু’টি রাজ্য উদ্বেগের বার্তাও দিল কংগ্রেসকে। তামিলনাড়ু। সেখানে একটি নতুন পার্টি আচমকা বেশ কিছু আসন পেল প্রধানত বিধানসভায়। কিন্তু তথ্য বলছে, সেই পার্টির জনপ্রিয়তা তামিলবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান। কংগ্রেসকে ছেড়ে ওই পার্টিকেই বেছে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই পার্টির নাম ডিএমকে। দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাঘাম। আর অন্য যে রাজ্যটি বড়সড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠল, সেটি হল কেরল। লোকসভার ১৮টি আসনের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া দখল করল দখল করল ৯টি। আর তার থেকেও বিপজ্জনক বার্তা কংগ্রেসের কাছে বিধানসভার ফলাফল। ১২৬টি আসনের মধ্যে ৬০টি আসন দখল করেছে কমিউনিস্ট পাটি। কিছু নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে কেরলে সরকার পর্যন্ত গড়ে ফেলল কমিউনিস্টরা। কিন্তু উত্তর ভারতে নেহরুকে সেরকম কোনও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়নি। পরপর দু’বার তিনি বিপুলভাবে জিতে এলেন। এবং একক গরিষ্ঠতা নিয়ে।
প্রত্যাশিতভাবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল আরও পাঁচ বছর পর ১৯৬২ সালে নেহরুর সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কারণ তখন আর কংগ্রেসকে কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামী পার্টি হিসেবে বিবেচনা করছে না। তখন কংগ্রেস নিছক এক রাজনৈতিক দল। ১৯৫২ সালে গোটা ভারতজুড়ে নেহরু বলে বেরিয়েছিলেন জয়ী হয়ে এলে তিনি কী কী করবেন। নয়া ভারত নির্মাণের জন্য তাঁর পরিকল্পনা কী। কিন্তু ১৯৬২ সালে তাঁকে বলতে হচ্ছিল তিনি কী কী করেছেন। তাই সেই নির্বাচনে নেহরুর প্রচারের অন্যতম প্রতিপাদ্যই ছিল কৃষি, শিল্প ও শিক্ষায় কীভাবে ভারতের প্রগতি হয়েছে, তার তথ্য প্রদান। যদিও তাঁর সেই দাবিগুলি সত্যি, না অর্ধসত্য, নাকি মিথ্যা? এরকম কোনও পাল্টা প্রচারের তীব্রতায় যেতে পারেনি বিরোধী দলগুলি। সুতরাং দেখা গেল ভারতবাসী নেহরুতেই আস্থা রাখলেন। এবং ৪৯৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই পেল ৩৬১। আবার একক গরিষ্ঠতা। অর্থাৎ লাগাতার তিনটি লোকসভা ভোটে একক গরিষ্ঠতার সরকার গড়লেন নেহরু। কংগ্রেসের সবথেকে কাছাকাছি পৌঁছনো দলটি কে ছিল? কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। ২৯টি আসন। তারপরের স্থানে স্বতন্ত্র পার্টি। ১৮টি আসন।
১৯৫৭ সাল থেকে নেহরুর অন্যতম নির্বাচনী ক্যাম্পেন ম্যানেজার হিসেবে দেখা গিয়েছিল এক ঝকঝকে বুদ্ধিমত্তা আর শানিত ভাবমূর্তির তুখোড় হিন্দি ও ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ এক নারীকে। বস্তুত ওই দু’টি নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণের হেডকোয়ার্টার ছিল এলাহাবাদের আনন্দভবন। কোথায় কোথায় কীভাবে ভোটপ্রচার করা উচিত, সেখান থেকে এসব নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতেন তিনি। ১৯৬৭ সালে সেই নারীর সামনে আচমকা চলে এল এক নির্বাচন। এতকাল ধরে তিনি বাবার কাছে থেকে শিখে এসেছেন কীভাবে রাজনীতিতে উচ্চতা তৈরি করতে হয়। সাধারণ মানুষের কাছে ক্রাউডপুলার হিসেবে কীভাবে নিজেকে তৈরি করতে হয়, সেটাও দেখেছেন সূক্ষ্মভাবে। তিনি হলেন ইন্দিরা গান্ধী। পরপর তিনবার একক গরিষ্ঠতার সরকার গড়া জওহরলাল নেহরুর ১৯৬৪ সালে জীবনাবসান হয়। এরপর লালবাহাদুর শাস্ত্রী হয়ে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। সিংহাসনে বসার মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই তাঁকে প্রস্তুত হতে হয় নির্বাচনের জন্য। ১৯৬৭ সাল ছিল প্রথম লোকসভা নির্বাচন, যে নির্বাচনে ভারতের প্রথম ভোটের আগেই একটি জনমত সমীক্ষা প্রকাশ হল। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ইউনিয়ন ওই সমীক্ষায় জানাল, ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের আসন কমতে চলেছে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, কেরল, মধপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়বে অকংগ্রেসি দলগুলি। প্রথম সেই জনমত সমীক্ষা শুধু যে সঠিক প্রমাণিত হল তাই নয়, যতটা খারাপ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল তার থেকেও লোকসান হল ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসের। ১৯৬২’তে ছিল ৩৬১। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেস পেল ২৮৩ আসন। একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হয়ে গেল। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও একক গরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেন তিনি। অর্থাৎ কোনও জোটের দরকার হল না। ইন্দিরা গান্ধী একাই সরকার গড়লেন। নিজের ক্ষমতায়। প্রথমবার। সেই প্রথম ভারত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিল, যে নির্বাচনে জওহরলাল নেহরু নেই।
কিন্তু কুর্সিতে বসার পর ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ও দল পরিচালনায় প্রধান সমস্যা হল দলের অন্দরের বিরোধিতাই। নেহরু আমলের নেতাদের সঙ্গে ইন্দিরার ক্ষমতা আর প্রভাবের লড়াই শুরু হয়েছিল আগেই। তাহলে নিজের পৃথক অস্তিত্ব কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? ইন্দিরা গান্ধীর বাবা ১৯৫৭ সালের নির্বাচনী প্রচারে একবার কালো পতাকা দেখেছিলেন। ‘সৌজন্যে’ বামপন্থীরা। গাড়ি থামিয়ে তাদের লক্ষ্য করে নেহরু কটাক্ষ করেছিলেন, ‘আপনারা যে দেশের আদর্শ তুলে ধরে চলছেন, সেখানেই চলে যাচ্ছেন না কেন? ভারতে থাকার কী দরকার!’ পাল্টা ওই কমিউনিস্টরা বলেছিলেন, ‘আপনি নিউ ইয়র্কে চলে যাচ্ছেন না কেন? সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে গিয়েই থাকুন।’ সেই পিতার পুত্রী ইন্দিরা গান্ধী একক ক্ষমতায় সরকার গঠনের পরই লোকসভা ও রাজ্যসভায় একের পর এক বক্তৃতায় বললেন (১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি), ‘ভূমিহীন শ্রমিকদের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের সমস্যা দূর করতে হবে।’ লালকেল্লা থেকে শিল্পপতিদের সতর্ক করলেন, ‘আপনারা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কথা বলেন কীভাবে? তাঁদের শ্রমেই তো নিজেদের মুনাফা বাড়াচ্ছেন।’ ফল? ইন্দিরা গান্ধী দ্রুত বামপন্থী কংগ্রেস নেত্রীর তকমা পেলেন। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকল হু হু করে। এরপর দু’টি মাস্টারস্ট্রোক। রাজন্যভাতা বিলোপ এবং ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ। এবং দু’টিই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হল। এই সুযোগটাই চাইছিলেন তিনি। ততদিনে তাঁর গরিব দরদি ইমেজ প্রতিষ্ঠিত। লোকসভার মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার অনেক আগেই ঘোষণা করলেন নির্বাচন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে আচমকা একদিন ভাষণ দিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে বললেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের জীবনের উন্নতি করতে চা‌঩ইছি। প্রকল্প নিচ্ছি। অথচ কিছু প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সেই কাজ করতে দিচ্ছে না। তাই আমি চাই আপনাদের জনাদেশ।’ জনতাই জনার্দন। ১৯৭১ সালেই পরবর্তী নির্বাচন ঘোষণা করা হল। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ভেঙে নিজের জন্য পৃথক কংগ্রেস গঠন করা হয়ে গিয়েছে তাঁর। এবার প্রমাণের অপেক্ষা কোন কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষ আছে!
‌ই঩ন্দিরা গান্ধীকে হারাতে হবে। যেভাবেই হোক। তাঁর জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বগামী। তাই একজোট হওয়া ছাড়া উপায় নেই। এককভাবে কোনও দল তাঁকে হারাতে পারবে না নিশ্চিত। অতএব বিরোধীরা তৈরি করল মহাজোট। সেই মহাজোটে রয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়িদের ভারতীয় জনসঙ্ঘ, স্বতন্ত্র পার্টি, কংগ্রেস (সংগঠন), সোশ্যালিস্ট পার্টি। নতুন স্লোগান হল সেই মহাজোটের। গোটা ভারতের প্রতিটি দেওয়াল লিখন, প্রতিটি কংগ্রেস বিরোধী সমাবেশে স্লোগান ছড়িয়ে পড়ল—ইন্দিরা হটাও!! পাল্টা প্রচারে নেমে ইন্দিরা গান্ধী প্রথম ওড়িশায় সভা করলেন। এবং সেখান থেকে এমন এক স্লোগান দিলেন, যা আগামীদিনের রাজনীতিতেও অমর হয়ে থাকবে। তিনি বললেন, ‘ও কহেতে হ্যায় ইন্দিরা হটাও... হাম কহেতে হ্যায় গরিবি হটাও!!’ সেই জন্ম হল ভারতীয় রাজনীতির প্রিয় স্লোগান গরিবি হটাও! গোটা বিরোধী পার্টির জোটকে বিপর্যস্ত করে দ্বিতীয়বারের জন্য ইন্দিরা গান্ধী বিপুলভাবে একক দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে এলেন সরকারে। ৫১৮ লোকসভা আসনের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস একাই পেল ৩৫২! দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটির নাম কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)। সিপিএম পেল ২৫।
এই পুরনো কাহিনীর পুনরাবৃত্তির দরকার হল কেন? কারণ এটা মনে করা একজন প্রধানমন্ত্রীর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের বিপুল জনপ্রিয়তার প্রবণতা ভারত দেখেছে। এরপরও ২০০৪ সাল থেকে পরপর দু’বার ডঃ মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার এসেছিল লোকসভায়। কিন্তু সেটির সঙ্গে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীদের তুলনা হয় না। কারণ ২০০৪ ও ২০০৯ সাল দু’বারই ছিল জোট সরকার। কংগ্রেসের একক গরিষ্ঠতা ছিল না।
নরেন্দ্র মোদি সেই রেকর্ড আবার স্পর্শ করলেন। ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড। ইন্দিরা গান্ধী ৫১৮ আসনের মধ্যে একাই ৩৫২ পেয়েছিলেন। মোদি ৫৪২ আসনের মধ্যে একাই ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছেন। স্বাধীন ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে মোদি এখনও সংখ্যা কিংবা জনপ্রিয়তার নিরিখে রেকর্ড করেননি। প্রথমেই বলা হয়েছে, মোদির কাছে এখন জয় কোনও জটিল অঙ্ক নয়। তিনি গোটা ভারতকে নিজের পাশে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কাছে তাই এখন শুধু জয় নয়, প্রধান টার্গেট হল ইতিহাসে স্থান করে নেওয়া এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে। নিজেকে ও দলকে এভারেস্টের উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ভাঙা। অর্থাৎ তিনবার একক গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়ার পর আবার চতুর্থবারও একক গরিষ্ঠভাবে সরকার গড়তে হবে। অর্থাৎ শুধুই ২০২৪ নয়, ২০২৯ সালেও মোদি যদি এভাবেই একক গরিষ্ঠতার সরকার গঠন করেন, তাহলেই তিনি হবেন সর্বকালের সর্বজনপ্রিয় এক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেটা তো নেহাত সংখ্যাতত্ত্ব! মোদির সাফল্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় ইতিহাসে স্থান পাবে অন্য একঝাঁক কারণে। প্রথম কারণ হল স্বাধীনতার পর নরেন্দ্র মোদিই সবথেকে সফল এবং জনপ্রিয়তম অকংগ্রেসি রাজনৈতিক নেতা।
বৃহস্পতিবারের ফলাফল ভারতে নতুন রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। মোদি হারিয়ে দিয়েছেন দু’টি প্রধান রাজনৈতিক সমীকরণের স্তম্ভকে। ১) ভোটব্যাঙ্ক, ২) আইডেন্টিটি পলিটিক্স। মুসলিম, যাদব, দলিত, জাঠ—এই চার সমীকরণকে সঙ্গে নিয়েই উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, অজিত সিং জোট করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদির বিপুল জয় দেখিয়ে দিয়েছে জাত সমীকরণ পলিটিক্স বিদায় নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। নিছক সাম্প্রদায়িক কারণে ভয় পাওয়া নয়, মোদির এই বিপুল উত্থানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে সবথেকে বড় বার্তা হল, তাঁদের এবার সম্পূর্ণ নতুনভাবে রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। কারণ মোদির জয় এবার স্পষ্ট করেছে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ছাড়াই ভারতে একক গরিষ্ঠতার সরকার গড়া যায়। যা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও যথেষ্ট আশঙ্কার। কারণ সেক্ষেত্রে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিছক ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই বিবেচনা করার প্রবণতা আগামীদিনে কমবে। এবং উত্তরপ্রদেশের মতোই বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের দল ও কংগ্রেসের জোটও ওই এম-ওয়াই ফ্যাক্টর অর্থাৎ মুসলিম-যাদব কম্বিনেশনের উপর ভর করেই জয়ী হবে ভেবেছিল। কিন্তু তা হয়নি। নীতীশ কুমারের নিজের জাত কুর্মি। সেটি বিহারে মাত্র ৩ শতাংশ। কিন্তু তিনি ১৭টি আসনে লড়াই করে ১৬টি জয়ী হয়েছেন। এই ম্যাজিকের নাম ভোটব্যাঙ্ক নয়। ম্যাজিকের নাম মোদি। বস্তুত মোদির মেগা সাফল্য হল, গোটা ভারতের সিংহভাগ মানুষের মনে একটি ধ্রুবপদ ধরিয়ে দেওয়া। সেটি হল মোদিকে আর একবার চান্স দেওয়া। গরিব, ধনী, ব্যবসায়ী, চাকুরে সকলেই ভেবেছে মোদির আর একবার চান্স পাওয়া উচিত। মোদির রাজনীতির মধ্যে নিছক অঙ্ক নেই, রসায়ন নেই, সমীকরণও নেই। এক রহস্যময় ইমেজ বিল্ডিং আছে। সেটি হল এই প্রথম দেখা গেল কোনও একটি নির্বাচনে মানুষ নিজেদের কষ্ট, অপ্রাপ্তি, সমস্যা, সঙ্কট এসবকে মনে রাখছেন না। নোট বাতিল কিংবা কর্মহীনতা, কৃষক সমস্যা কিংবা মূল্যবৃদ্ধি—কোনও ব্যক্তিগত সমস্যাই আর মানুষকে স্পর্শ করেনি। তাই এসব ইস্যু বিরোধীরা উত্থাপন করলেও জনতা শুনতেই চায়নি। এতদিন জানা ছিল মানুষ রেগে গিয়ে বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এবার দেখা গেল বিস্ময়কর প্রবণতা। গত পাঁচ বছরে যতরকম রাগ প্রকট ছিল, সেগুলির প্রতিফলন ভোটে হল না। মধ্যপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র, কৃষক সঙ্কট কি নেই? কৃষকরা কি লং মার্চ করেনি? আত্মহত্যা করেনি? কর্মহীনতা কি নেই? সাম্প্রদায়িক হিংসা কি নেই? সবই আছে। কিন্তু প্রতিটি ইস্যুকেই নরেন্দ্র মোদি একাই ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতি মানুষের আস্থার দিকে। তার অর্থ কী? তার অর্থ হল, সিংহভাগ মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করছে। আজও তাঁর প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসকে সত্য হিসেবে আস্থা রাখছে। বিরোধীরা বলেছে বালাকোট মিথ্যা। মোদি বলেছেন বালাকোট সত্যি। জনতা মোদিকে বিশ্বাস করেছে। এনডিএর সাড়ে তিনশো ছাপিয়ে যাওয়া এই জনাদেশ সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন। অন্যতম প্রধান প্রচার ছিল ন্যাশনালিজম। একমাত্র মোদির হাতেই দেশ সুরক্ষিত, একরকম এক তীব্র বার্তা ছিল প্রচারের অন্যতম প্রতিপাদ্য। ন্যাশনালিজমের প্রতিযোগিতায় বিরোধীদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি অত্যন্ত সুচারুভাবে। সঙ্গে দোসর ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অথবা উজ্জ্বলা ও কৃষকদের জন্য ৬ হাজার টাকার প্রকল্প। বিরোধীরা যতই অভিযোগ করুন এই সুবিধাগুলো লক্ষ লক্ষ মানুষ পেয়েছেন। এবং ভোট দিয়েছেন। সর্বোপরি মোদির মতো স্ট্রং ব্যক্তিত্ব আর কোথায়? সব মিলিয়ে দেশপ্রেম প্লাস উন্নয়নের স্বপ্ন প্লাস পলিটিক্যাল হিন্দুত্ব! নিখুঁত কৌশল। তাই চ্যাম্পিয়ন মোদি-প্যাকেজ!
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
26th  May, 2019
ধ্বংসের প্রহর গোনা 
মৃন্ময় চন্দ

আরও একটা বিশ্ব পরিবেশ দিবস গেল। অনেক প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি...। কিন্তু দূষণ বা অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ কি কমছে? উদাসীনতায় আজ ধ্বংসের মুখে যে এরাজ্যের সমুদ্রতটও! 
বিশদ

09th  June, 2019
বিরাট সম্ভাবনা ভারতের

রাতুল ঘোষ: প্রায় দেড় মাসব্যাপী সাত দফার লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা হয়েছে। অতঃপর পরবর্তী দেড় মাস আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষের সোয়াশো কোটি জনগণ আন্দোলিত হবেন দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ ঘিরে।
বিশদ

02nd  June, 2019
ভোটের ভারত 

রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুল বিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল ভোটের ভারত! যে ভারত ঘুরে দেখলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
 
বিশদ

19th  May, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত। 
বিশদ

05th  May, 2019
চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়।  
বিশদ

28th  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মৎস্য চাষিদের তেলাপিয়া মাছের চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কেন বিজ্ঞানীরা এই মাছের চাষ থেকে চাষিদের বিরত থাকতে বলছেন?  ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন শীলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন এমেরিটাস শীলা গৌতম। গত ৮ জুন তিনি পরলোক গমন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি শীলা ফোম তৈরি করেন, যা ক্রমশ সফল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ রাজনীতিক। ...

 পবিত্র ত্রিবেদি, কলকাতা: বর্ষায় জল জমার দুর্ভোগ থেকে এবারও রেহাই মিলছে না বিধাননগর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দাদের। সল্টলেকে জল না জমলেও বিধাননগর পুরসভার বাকি অংশে এই সমস্যা এলাকাবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়। ...

  নয়াদিল্লি, ১১ জুন (পিটিআই): নিজের কেন্দ্রে ‘জল সঙ্কট’ নিয়ে সরব বিজেপি এমপি মীনাক্ষী লেখি। মঙ্গলবার দিল্লির জল বোর্ডের বাইরে রীতিমতো ধর্নায় বসেন তিনি। যদিও দিল্লি সরকারের আওতায় থাকা জল বোর্ডের দাবি, ক্ষমতা অনুযায়ী জল সরবরাহ করা হচ্ছে। বিজেপি মানুষকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM