Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক। ২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরির সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছিল সে দিনের হামলায়। এর বদলা নিতে পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। সেই অপারেশনে বহু জঙ্গিঘাঁটি এবং বেশ কয়েক জন জঙ্গিকে খতম করা হয় বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছিল। আর এই সার্জিকাল স্ট্রাইকের ঘটনাটা হয়েছে নরেন্দ্র মোদির জমানাতেই। যে সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে গর্ববোধ করেন খোদ মোদি। একটা ঘটনা, যা গোটা দেশবাসীর মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল। মনে হয়েছিল, আমরাও পারি। বসে বসে মার না খেয়ে পাল্টা দিতে। আদিত্য ধরের ‘উরি’ সেই গল্পটাই বলতে চেয়েছিল। অনেকটাই হলিউডি স্টাইলে। কিন্তু এত সাফল্যের পরও অভিযোগ তাড়া করে চলেছে গোটা সিনেমাটিকে। ভোটের আগে এ দেশে জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে যেমন সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে ছবি তৈরির অভিযোগ, আমেরিকাতেও তেমনই ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরে মার্কিনদের মনোবল চাঙ্গা করতে ‘র‌্যাম্বো’ সিরিজ তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ একটাই, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে একটি সরকারি প্রোপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
একই অভিযোগে বিদ্ধ ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’। একই দিনে দু’টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ এবং ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’। বিজেপি নেতারা দিল্লিতে দু’টি সিনেমার জন্যই ‘প্রচার’ চালাচ্ছিলেন। পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হলে দু’টি ছবি দেখারই অনুরোধ করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের প্রচারের বাজিই ছিল এই দুই ছবি। যদিও প্রথম দিনের ব্যবসার নিরিখে ফেল করেছিল ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’। অনুপম খের অভিনীত ছবিটিকে ব্যবহার করে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে ফালাফালা করতে চেয়েছিল বিজেপি। ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছিল, মনমোহন সিংকে সোনিয়া গান্ধী বলছেন, এত দুর্নীতির মধ্যে রাহুল কী ভাবে দায়িত্ব নেবে? আবার রাহুল কুর্সিতে বসার আগে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি-প্রক্রিয়াতেও বাধা দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির দলের অনেক নেতাই মনে করছেন, ছবিটি আদ্যন্ত নিরাশাজনক। মনমোহনের চরিত্রকেই সেখানে বড় করে দেখানো হয়েছে। তাতে বিজেপির আখেরে লাভ কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত ‘উরি’-তেই কিছুটা মুখরক্ষা হয়েছিল বিজেপির। একটা ছবিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংকে সোনিয়া গান্ধীর হাতের পুতুল হিসেবে তুলে ধরা। অন্যটিতে সেনার ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’-এর মাধ্যমে মোদি সরকারের সাফল্য প্রচার করে জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির সময়কে কেন্দ্র করে গত বছর মধুর ভান্ডারকর তৈরি করেছিলেন ‘ইন্দু সরকার’। তখনও অভিযোগ উঠেছিল, এসব গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেলতে বিজেপির কৌশল। মধুর ভান্ডারকরের যুক্তি ছিল, গণতন্ত্রে এটা ঠিক নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
সিনেমায় রাজনীতি নতুন কিছু নয়। আমেরিকায় ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে একের পর এক ছবির পিছনেও নাকি বিরোধীদের মদত ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে সিনেমা ভারতের একশ বছরের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম। দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। সব রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। দেশের শাসক দল বিজেপি সর্বদাই হাইটেক প্রচারে বিশ্বাসী। এবার তারা বলিউডকেই প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ট্রেন্ডটা গত বছর থেকেই শুরু হয়েছিল। পরপর বেশ কয়েকটি এমন সিনেমা মুক্তি পেল বা পেতে চলেছে, যার প্রধান বিষয় হল শাসক দলের গুনগান, সরকারি প্রচার বা বিরোধীদের ভূমিকার সমালোচনা। উরি, দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার, থ্যাকারে বা পি এম নরেন্দ্র মোদি। এই সব ক’টি নামের সঙ্গে পরোক্ষে নয়, প্রত্যক্ষে জড়িয়ে বিজেপির নাম। সরাসরি রাজনৈতিক না হলেও নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প’-র প্রচার দেখা গিয়েছিল ‘টয়লেট-এক প্রেম কথা’য়।
তবে বিজেপি রূপালী পর্দায় শেষ কামড়টা মারতে চলেছে লোকসভা ভোটের প্রথম দফা শুরুর এক সপ্তাহ আগে। ভোট-মরসুমে দেশের একাধিক ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পি এম নরেন্দ্র মোদি’। নাম থেকেই স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনী নিয়ে তৈরি বিজেপির প্রোপাগান্ডামূলক সিনেমা। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে এইরকম ছবি মুক্তি পেতে পারে, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনও বিরোধীদের প্রশ্নকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। কিন্তু আইনের বাধা আছে। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া কোনও সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করা যায় না।
লোকসভা ভোট চলাকালীনই মুক্তি পাবে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’। তাসখন্দে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই সিনেমা। স্বাভাবিকভাবেই তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের ভূমিকাও আতসকাচের তলায় ফেলা হবে। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এর ট্রেলার, যেখানে পরতে পরতে রহস্যের হাতছানি। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু রহস্যকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এর প্লট। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি। লালবাহাদুর শাস্ত্রী সই করেন ‘তাসখন্দ’ চুক্তি। আর এই সই করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। যেই মৃত্যুরহস্য আজও জানা যায়নি। কী ছিল সেই মৃত্যু কারণ? বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেছিল তাঁর না হার্ট অ্যাটাকে? না এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত? এসব প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। তাঁর পরিবার তথা গোটা দেশের কাছে গোপন করা হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুরহস্য। কেন এবং কীভাবে? এই রহস্যের উন্মোচনই ঘটবে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এর হাত ধরে। ট্রেলারে অন্তত সেই ইঙ্গিতই মিলেছে।
বলিউডের শাসক দলের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন অবশ্য এই প্রথম নয়। জওহরলাল নেহরুর আমলে একাধিক হিন্দি ছবিতে তাঁকে তুলে ধরা হয়েছে। লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ স্লোগান মনোজ কুমারের ‘উপকার’ ছবিতে ব্যবহার করা হয়। সবটাই ভক্তি প্রদর্শন নয়। সমালোচনার সাহসও দেখিয়েছে বলিউড। জরুরি অবস্থার সময় তৈরি ‘কিসসা কুর্সি কা’তে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রবল সমালোচনা করা হয়। গুলজারের ‘আঁধি’ ছবিও ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়।
কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে যে ছবিগুলি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এ দেশেও কি ক্রমশ রাজনৈতিক প্রচারের মাধ্যম হয়ে উঠছে সিনেমা? কে না জানে, একটা উরিই তো যথেষ্ট একটা দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য।
আসলে মোদি জমানায় রূপালী পর্দায়ও ‘রাজনীতির সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চলেছে অহরহ!
31st  March, 2019
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM