ওয়াইল্ড স্টোন গাঁটছড়া বাধল বলিউডের সুপারস্টার রণবীর কাপুরের সঙ্গে। বলিউডের ইয়ুথ আইকন ও অনুভূতিপ্রবণ অভিনেতা রণবীর কাপুরের ইমেজ এমনই যা ওয়াইল্ড স্টোনের সব প্রোডাক্টের সঙ্গেই মিলে যায়।
নামী কোম্পানির নানারকম মডেলের সিলিং ফ্যানের দরদাম জানাচ্ছেন পাপিয়া মণ্ডল।
কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জামাইষষ্ঠীতে আজন্মকাল ধরে অভ্যস্ত বাঙালির কাছে ‘বউমাষষ্ঠী’ সত্যিই এক চমক! অবাক হয়ে গেলেন তো? ভাবছেন তেরোপার্বণকে ছাপিয়ে এ আবার নতুন কোন পার্বণ এল! হ্যাঁ, নতুনই বটে! অন্তত, তরুণকান্তি বারিকের ভাবনা, নামকরণ ও পরিকল্পনার নিরিখে দেখতে গেলে। আর এই নতুন ভাবনাকে মনোগ্রাহী ভাবে বাস্তবায়িত করেছেন শ্রীনিকেতন। শ্রীনিকেতন শুধুমাত্র বস্ত্র বিপণিই নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁরা নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত আছে। ২০০৮ সালে প্রথম এই ‘বউমাষষ্ঠী’ উদ্যাপিত হয়। খেলার ছলে এই বার্তাটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া তাঁদের লক্ষ্য ছিল যে ইচ্ছে করলেই বউমারা মেয়ে হয়ে উঠতে পারেন এবং শ্বশুররা বাবা। শ্রীনিকেতনের কর্ণধার নিত্যানন্দ আইচ বললেন, ‘বউমা তো সবাইকে সারাবছর খাওয়ায়, তাকে একদিন বসিয়ে খাওয়াতে যে কত আনন্দ তা শ্বশুরদের উপলব্ধি, করাতেই এই অভিনব ‘বউমাষষ্ঠী’র আয়োজন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করলেন অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী। মাঝে মাঝে ছিল কৃষ্ণেন্দু-তানিয়ার ‘শ্বশুর-বউমা’ জুটির হাস্যকৌতুক। সোদপুর, কল্যাণী, বারাসত ও হাজরায় চারটি অডিশান রাউন্ডের শেষে চারশো প্রতিযোগী থেকে পঞ্চান্নজন বউমা-শ্বশুর জুটি এসেছিলেন গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নিতে গত ১ জুন, দমদম রবীন্দ্রভবনে। বিচারকদের আসনে ছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের শ্বশুর, শাশুড়ি, বউমা ও ছেলে। ‘শ্বশুর’ অভিনেতা শংকর চক্রবর্তী বললেন ‘খুব ভালো লাগছে এই নতুন ‘কনসেপ্ট’টা!’ এবারের বারোতম বছরের উদ্যাপনে অনেক সিনিয়ার ‘শ্বশুর-বউমা’ জুটিও অংশ নিয়েছেন যা খুবই আনন্দের। ‘মিলেমিশে’, ‘মতিগতি’ ইত্যাদি নানারকম মজার রাউন্ড ছিল সেদিনের গ্র্যান্ড ফিনালেতে। ছিল হৃদয়স্পর্শ করা রাউন্ড ‘কনফেশান’, যেখানে না বলা কথা বললেন শ্বশুর-বউমা দু’জনেই। যা আগে কখনও বলা হয়ে ওঠেনি একে অপরকে! এই রাউন্ডে সেই না বলা কথা বলতে বলতে যেমন আবেগতাড়িত হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা, তেমনি শুনতে শুনতে দর্শকদেরও চোখের পাতা ভিজে যাচ্ছিল! প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার ছিল যথাক্রমে কুড়ি, পনেরো ও দশ হাজার টাকা। বিজয়ী জুটির শ্বশুররা পাখার হাওয়া করতে করতে নিজে হাতে খাইয়ে দিলেন বউমাদের। সেই সঙ্গে ‘সেরা সাজের বউমা’ ও সেরা হাসিমুখ শ্বশুরমশাইয়ের জন্যও ছিল বিশেষ পুরস্কার। প্রত্যেক ঘরে ঘরে যদি সত্যিই সব বউমারা মেয়ে আর সব শ্বশুররা বাবা হয়ে ওঠেন, তাহলেই হয়তো সবদিক দিয়ে শ্রীনিকেতনের ‘বউমাষষ্ঠী’র সার্থকতা মিলবে!
চকিতা চট্টোপাধ্যায়
ছবি: সুফল ভট্টাচার্য
