বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এক বসন্ত বিকেলে আইসক্রিমের মজা নিতে চলে গিয়েছিলাম ইকো পার্কের মেট্রো আইসক্রিম পার্লারে। ভাবছেন নিশ্চয়ই,আইসক্রিম তো সব পাড়াতেই পাওয়া যায় তাহলে খামোখা অত্তো দূরে যাব কেন? ওই যে বললাম আইসক্রিমের মজা নিতে—শুধু আইসক্রিম খেতে নয়। আপনারাও আইসক্রিমের মজা উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন মেট্রো আইসক্রিম পার্লারে। শুধু ইকো পার্কেই নয়, নাগেরবাজারের ডায়মন্ড প্লাজা শপিং মলে, মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারিতেও আইসক্রিম পার্লার রয়েছে মেট্রোর। রয়েছে স্যাটারডে ক্লাবেও। কথা হচ্ছিল কেভেন্টার অ্যাগ্রোর ডেয়ারি অ্যান্ড ফ্রোজেন ফুডের সিইও সঞ্জয় দুয়া’র সঙ্গে। জিজ্ঞেস করেছিলাম, মেট্রো ডেয়ারির আইসক্রিম তো সব এলাকাতেই পাওয়া যায়। তাহলে আইসক্রিম পার্লার খোলার পরিকল্পনা কেন?
সঞ্জয় বললেন, আসলে এখন খাওয়াদাওয়ার ধরন যেমন বদলেছে তেমনই আনন্দ করার ধ্যানধারণাও বদলে গিয়েছে। সবসময় খাওয়ার জন্য কাপ, স্টিক আইসক্রিম তো আছেই। কিন্তু যখন মানুষ প্রিয়জনকে নিয়ে শপিং মলে যায় বা ধরুন বাড়ির সবাই মিলে ইকো পার্কে বেড়াতে যায় তখন তার মানসিকতাই অন্যরকম হয়ে যায়। সে তখন জমিয়ে বসে অন্যরকম স্বাদের আইসক্রিম খেতে চায়। তাই মেট্রোও ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে আইসক্রিম পার্লার উপহার দিয়েছে তাদের। কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্তে তো বটেই ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা ও অসমেও মেট্রো আইসক্রিম পার্লার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানির। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজিও দেওয়া হবে।
অন্যান্য নামী আইসক্রিম কোম্পানিগুলোও তো পার্লার খুলেছে। তাদের থেকে মেট্রো কতটা আলাদা? মানে, মেট্রোর ইউএসপি কী?
সঞ্জয় বললেন, প্রথমত, অন্যান্য কোম্পানি বাজার চলতি কোনে ক্রেতার চাহিদা মতো ফ্লেভারের আইসক্রিম ভরে বিক্রি করে পার্লারে। কিন্তু মেট্রো তাদের প্রতিটি পার্লারে কোন তৈরির খুব দামি মেশিন বসিয়েছে। কোন ও বাস্কেট ফ্রেশ তৈরি করে তাতে ক্রেতার পছন্দের আইসক্রিম সার্ভ করা হয়। দ্বিতীয়ত অন্যান্য কোম্পানির পার্লারে নির্দিষ্ট কিছু ফ্লেভারের আইসক্রিম সার্ভ করা হয়। মেট্রো আইসক্রিম পার্লার তাদের নানান ফ্লেভার নিয়ে নতুন ধরনের ক্রিয়েশন করে সব সময়। ক্রেতার পছন্দমতো নানারকম এক্সট্রা টপিং ও করে দেওয়া হয়। ইয়াং জেনারেশন এটা খুব পছন্দ করছেন।
মেট্রো আইসক্রিম পার্লারে কী কী পাবেন এবার জানাই আপনাদের। ক্ল্যাসিক ক্রিয়েশনে রয়েছে ভ্যানিলা ক্রাঞ্চ, টু ইন ওয়ান মোমেন্ট। দাম প্রতি স্কুপ ৫০ টাকা। প্রিমিয়াম ক্রিয়েশনে রয়েছে ম্যাঙ্গো প্রালাইন ম্যাজিক, চকোলেট ক্রাঞ্চ, ব্ল্যাক কারেন্ট সেনসেশন। প্রতি স্কুপ ৬০ টাকা। রয়্যাল ক্রিয়েশনে রয়েছে হেভেনলি নলেন গুড়, চকোলেট স্ট্রবেরি ড্রিম, বিয়ার অ্যান্ড রেজিন, ওরিও বাটার স্কচ, নাট কেশর পেস্তা, টুটি ফ্রুটি, চকোলেট ফ্যাক্টরি। দাম প্রতি স্কুপ ৭০ টাকা। সাধারণ কাপেও সার্ভ করা হয়, আবার ফ্রেশ কোন, চকোলেট ডিপ কোন এবং ওয়াফেল বোলেও সার্ভ করা হয়। এতে ১০-২৫ টাকা খরচ করতে হবে। তবে মুচমুচে ফ্রেশ কোন আপনার মন ভরিয়ে দেবে।
এক্সট্রা টপিংয়ের জন্য আছে চকোলেট চিপস, হানি, ম্যাঙ্গো কিউবস্, চকোলেট কাজু, আমন্ড, কিউই, লিচি ইত্যাদি। এক্সট্রা টপিংয়ে এক্সট্রা কস্ট তো লাগবেই। কাচের বোতলে মেট্রো আইসক্রিম শেকস্ পাবেন। এটা কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া যায়। স্ট্রবেরি, ট্রিপল চকোলেট, কেশর পেস্তা ও ভ্যানিলা স্বাদে পাবেন। দাম প্রতিটি ৮০ টাকা। এছাড়া ব্রাউনি, আইসক্রিম স্যানডিস এবং সোডা উইথ আইসক্রিম পাবেন মেট্রোর এক্সক্লুসিভ ডেসার্টে। সুযোগ মতো বেরিয়ে পড়ুন মেট্রো আইসক্রিম পার্লারের উদ্দেশে।