আপন সৃষ্টিশীলতায় ওরা ছোটছোট বৃত্ত রচনা করে ঘুরে চলেছে। ‘ওরা’ হল – ইফটা, থিয়েলাইট, যাদবপুর মন্থন, দমদম গোত্রহীন, অশোকনগর নাট্যমুখ এবং দমদম শব্দমুগ্ধ। ছোট ছোট স্বাবলম্বী নাটকের দল। স্বাধীন চিন্তাভাবনা, কল্পনা, সৃষ্টিশীলতাকে নিংড়ে, মেজেঘষে, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলার নাট্যমঞ্চকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু দেবার চেষ্টা করে গিয়েছে। এবার এই বৃত্ত পেরিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে একত্রিত হয়েছে ৬টি নাটকের দল। নতুন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে এক নতুন ভাবনা, নতুন যাপন — জাহান্নামের সমাচার। হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন দেবাশিস দত্ত (ইফটা), অতনু সরকার (থিয়েলাইট), রাজীব বর্ধন (যাদবপুর মন্থন), সুপ্রতীম রায় (দমদম গোত্রহীন), অভি চক্রবর্তী (অশোকনগর নাট্যমুখ) এবং রাকেশ ঘোষ (দমদম শব্দমুগ্ধ)।
এই সময়ের ৬জন গল্পকারের গল্পকে নাট্যরূপে সাজিয়েছেন এই ৬টি দলের প্রতিভাবন পরিচালক। যাঁদের ভাবনার, সৃষ্টির এক নতুন প্রকাশ ঘটবে ৬টি নতুন নাটকের মধ্যে দিয়ে। জাহান্নামের সমাচারের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটবে ২৮-৩০জুন, তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে। প্রতিদিন সন্ধে ৬টায়। নাটকগুলি হল – বাঘিনী (কাহিনী-বিনোদ ঘোষাল ও পরিচালক – রাকেশ ঘোষ), গান্ধারী – (কাহিনী – শুদ্ধসত্ব ঘোষ, পরিচালক – সত্যব্রত রাউত ও পরিকল্পনায় অভি চক্রবর্তী), শয়তান (কাহিনী – অনির্বাণ বসু ও পরিচালক – অতনু সরকার), সীমানা পারাপার (কাহিনী-সুদীপ বসু এবং পরিচালক সুপ্রতীম রায়), মোকাম্মেল-এর অমিতাভ (কাহিনী – সাদিক হুসেন ও পরিচালক রাজীব বর্ধন), ক্যানভাস (কাহিনী – শমীক ঘোষ এবং পরিচালক দেবাশিস দত্ত)।

অজয় মুখোপাধ্যায়