Bartaman Patrika
 

সভাগার থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল

সংস্কৃতি সাগর ও সেন্টার স্টেজ ক্রিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ২২ থেকে ২৪ মার্চ বিড়লা সভাগৃহে হয়ে গেল সভাগার থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। ছিল তিনটি ভিন্নস্বাদের নাটক। পৌরাণিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক নাটকগুলির আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।

রাবণ কি রামায়ণ
নাটকের নামটা শুনে একটু ধন্দে পড়েছিলাম। রাবণ কি রামায়ণ! বাল্মীকির রামকে পালটে নাট্যকার কি রাবণকেই রামায়ণের নায়ক করে ফেললেন? নাটকটা দেখার আগ্রহ তখন থেকেই। নাটকের শুরুতেই রাবণরূপী পুনিত ইসার আর নাট্যকার অতুলসত্য কৌশিকের সঙ্গে আলাপ জমে উঠল। কথা প্রসঙ্গে প্রথম প্রশ্নটাই করে বসলাম, রাবণ কি রামায়ণে হিরো কে? একটু থমকে গেলেন নাট্যকার। কিন্তু পুনিত আমায় পালটা প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা বলুন দেখি ইতিহাস কার দ্বারা রচিত হয়? এবার আমার থমকানোর পালা। পুনিত নিজেই উত্তর দিলেন, আবহমান কাল ধরেই ইতিহাস রচিত হয় বিজয়ীর কলম থেকে। এবার একটু পালটে দেখাই যাক না। যুদ্ধে যে হেরে গেল তারও তো একটা বক্তব্য থাকতে পারে। একবার না হয় সেই বক্তব্যটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হোক। সেই গুরুত্ব দিতে গিয়েই দিল্লির নাট্যকার অতুল সত্য কৌশিক লিখলেন রাবণ কি রামায়ণ। তাই বলে রামায়ণের এই ভার্সানের হিরো রাবণ, এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। রামই নায়ক। তবু রাবণ ভিলেন নন। না, রামায়ণের গল্পে কোনও বদল ঘটাননি নাট্যকার। শুধু দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পালটেছেন এই যা।
কৈলাশের একটি দৃশ্য দিয়ে নাটকটি শুরু হয়। শিবভক্ত রাবণ প্রভুর উপাসনা করতে হিমালয়ে উপস্থিত। নিজের রচিত মন্ত্র দিয়েই রাবণ উপাসনা করছেন শিবের। শিবের কাছে বর চাইছেন। বিজয়ী হওয়ার বর। অন্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হওয়ার বর। শিব কি দেবেন সেই বর তাঁর প্রিয় ভক্তকে? চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? কিছু পেতে গেলে কিছু ত্যাগ করাও কি আবশ্যিক নয়? এমন বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে দিয়েই নাটকটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অতুল। রাবণের মুখে কিছু সংলাপ এমন বসিয়েছেন যার ফলে রামায়ণের বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকের মন ভাবনায় মজে উঠেছে। একই সঙ্গে রাবণের পাণ্ডিত্যেও মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। সংলাপেও নতুনত্ব রয়েছে। আর রাবণের ভূমিকায় পুনিত ইসার যে অনবদ্য তা তো বলাই বাহুল্য।
পৌরাণিক কাহিনী বলেই হয়তো সেটের আতিশয্য থাকবে ধরেই নিয়েছিলাম। সেই চিন্তায় একটু ঠোক্কোর লাগল প্রথমেই। বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে সেট ডিজাইন। রাজসিক রাজমহলও চোখে পড়ল না, আবার পঞ্চবটির নিস্তরঙ্গ বনবাসও মুগ্ধ করল না। আর সোনার হরিণের দাপাদাপিযকে ঘিরে এতকাণ্ড তা স্টেজে দেখানোর ঝক্কিই নেননি নাট্য‌কার। পুরো ঘটনাটাই সূর্পনখার বয়ানে শোনানো হয়েছে। তবে সেট ডিজাইন ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও লাইটিং বেশ উল্লেখযোগ্য। আলোআঁধারির জাঁকজমকে রীতিমতো একটা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে স্টেজের ওপর।
পুনিত ইসার ছাড়া মন্দোদরীর চরিত্রে নিষ্ঠা পালিওয়াল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সীতাকে দেখে বেশ হতাশ লাগল। সেই কবে যে রামায়ণ সিরিয়ালে সীতাকে কাঁদিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দীপিকা চিকলিয়া, সীতা এখনও কেঁদেই চলেছেন। তাই অতুল সত্য কৌশিকের নাটকেও সীতার ভূমিকায় লতিকা জৈন বড্ড কাঁদুনে। সীতার চারিত্রক দৃঢ়তা মোটেও ধরা পড়েনি তাঁর অভিনয়ে। যেখানে যুক্তির ওপর যুক্তি সাজিয়ে রাবণের সঙ্গে টক্কর নিচ্ছেন সীতা, সেখানেও তিনি নাকে কাঁদতে ভুলছেন না। আর রাম! তিনি যেন অতিরিক্ত নরম ও সরল চরিত্রের হয়ে উঠেছেন। কোথায় সেই হরধনু ভঙ্গ করা তেজ? কোথায়ই বা তাঁর বীরত্ব? রাবণকে হাইলাইট করার জন্য নাট্যকার কি ইচ্ছাকৃতভাবে রামকে একটু নরম করে রেখেছেন? রামের ভূমিকায় গৌরব জাখুর অভিনয় দেখে এমন প্রশ্নও যে দর্শকের মনে একবারও উঁকি মারে না তা নয়। তুলনায় সূপর্নখা, লক্ষ্মণ ও মেঘনাদ বেশ ভালো। মেঘনাদের চরিত্রে তরুণ দাং বেশ দাপুটে, কয়েকটি দৃশ্যে রীতিমতো চমক লাগিয়েছেন। শেষকালে রাবণ ও রামায়ণে তাঁর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সামান্য একটু দর্শন রয়েছে। অতটা না হলেও মন্দ হত না। একটু অতিরঞ্জিত দর্শন খানিকটা জ্ঞানের মতো শুনিয়েছে। সব শেষে সংলাপ বিষয়ে একটু না বললেই নয়। গোটা নাটকটাই কবিতার আকারে লেখা এবং অন্তমিল দেওয়া সংলাপ যথাযথভাবে পাঠ করেছেন সব অভিনেতাই।

বালিগঞ্জ ১৯৯০
ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং তাঁর আন্দ্রিয়া ডেল সার্তো কবিতায় লিখেছেন ‘A man’s reach should exeed its grasp or what is heaven for?’ লাইনটি আবারও মনে পড়ে গেল অতুল সত্য কৌশিকের নাটক বালিগঞ্জ ১৯৯০ দেখতে গিয়ে। সামাজিক অবক্ষয়, একাকীত্ব, প্রেমকাহিনী, নাকি নিছক থ্রিলার? গোটা নব্বুই মিনিট পার করে থিয়েটার হল থেকে বেরতে বেরতেও এই প্রশ্নটাই বারবার মনে কড়া নাড়ছিল। একেবারেই সামাজিক একটি গল্প। প্রেমের প্লট। তবু তারই মধ্যে রয়েছে রহস্য। তারই মধ্যে রয়েছে সম্পর্ক। আবার তারই মধ্যে রয়েছে অধরা প্রেম, অপূর্ণ সাধ। সূপ্ত একটা বাসনাও কি নেই? আছে বোধহয়। তবে এই সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে অপূর্ণ প্রেমের প্লট। দশ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জের টেনে ধরে রাখা হয়েছে গোটা গল্পে। কার্তিক আর বাসুকীর প্রেমের ঘটনা। যে প্রেমে দশ বছর আগেই ইতি পড়েছে। তবু সম্পর্কে আগুন নিভে যায়নি পুরোপরি। দশ দশটা বছর ধরে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলেছে। তাই বলে কি আর জীবন থেমে থাকে? থাকে না। বাসুকী বা কার্তিকেরও থামেনি। দশ বছর পর বাসুকী এখন বিবাহিত। আর কার্তিক? সেও জীবনে মোটামুটি দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দু’জনের আবার দেখা হয়। কার্তিককে বাড়িতে ডাকে বাসুকী। আর তারপর? রহস্যের জাল বোনার সেই শুরু। আর সেই রহস্যের জালে এমন জড়িয়ে যায় দর্শক যে আগু পিছু জ্ঞান থাকে না। সত্য মিথ্যার বিভেদ থাকে না। বাসুকীর কোন কথাটা সত্য বলে ধরবেন? কোনটাই বা মিথ্যা? সে কি আদৌ খুন করেছে কাউকে? নাকি পুরোটাই ভাওতা? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই ৯০ মিনিট কখন যে পেরিয়ে যাবে টেরই পাবেন না। অদ্ভুত একটা ধন্দ টেনে নিয়ে যাবে গোটা নাটকটাকে। আর সেই সঙ্গে দর্শকও স্টেজের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্থে হানা দেবে চরিত্রগুলোর সঙ্গে।
রহস্য অথচ চরিত্র মাত্র তিনটি। কার্তিক আর বাসুকীর সঙ্গে তো পরিচয় ঘটেই গেছে, বাকি আর একজন, বাড়ির বুড়ো চাকর। কার্তিকের চরিত্রে অনুপ সোনি যথাযথ। একটু হয়তো স্টিফ। কিন্তু বাসুকীর চরিত্রে নিষ্ঠা পালিওয়াল তোমার অনবদ্য। অসম্ভব প্রাণবন্ত আবার একই সঙ্গে গভীর চরিত্রটি দুর্দান্ত ফলটিয়ে তুলেছেন নিষ্ঠা। চাকরের চরিত্রে কুণাল কৌশিক ততটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি। অবশ্য তিনি সময়ও ততটা পাননি চরিত্রটিকে প্রমাণ করার। সেটটি উল্লেখযোগ্য না হলেও মন্দ নয়। বড়লোক বাড়ির অন্দরমহল হিসেবে ভালোই মানিয়ে গিয়েছে আসবাবপত্র। কিন্তু লাইটিংয়ে ধোঁয়ার ব্যবহার অযথা ও অতিরিক্ত মনে হয়েছে। অন্ধকারের ব্যবহার অবশ্য বেশ উল্লেখযোগ্য। বাড়ির অন্ধকারটাই চরিত্রের মনের কোণে জমাটবাঁধা অন্ধকারের প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছে।

তিতলি কি মউত
নাটকটি মনস্তাত্ত্বিক। মানুষের অন্তরের বিবেক নিয়েই গল্প। বিবেক ছাড়াও দ্বন্দ্ব আর টানাপোড়েন নাটকটির ষোলোআনা জুড়ে। রহস্য, অথচ খুনটা ঘটল সর্বসমক্ষে, প্রথমেই। খুন নাকি আত্মহত্যা? প্রশ্নটা ঘুরছে গল্প জুড়ে। চরিত্রগুলো সবাই তার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে নিজের মত জানাচ্ছেন। সেই মতামতই সংলাপ হয়ে ফিরছে চরিত্রের মুখে মুখে।
তিতলি কি মউত নাটকটি চৈতি ঘোষালের পরিচালনা মিলেনিয়াম ম্যাম গ্রুপের একটি নাটক। মিলেনিয়াম ম্যাম কোনও পেশাদার নাট্যদল নয়। একদল গৃহবধূকে নিয়ে একটা সংগঠন। একেবারেই অ্যামেচার প্রোডাকশন। আর সেই অ্যামেচারিশ হাবভাব বেশ স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে এঁদের অভিনয়ে। দিদিমা, মা, তিন দিদি, বাড়ির পরিচারিকা আর তিতলি। এই নিয়েই তিতলিদের পরিবার। বাবা মারা গিয়েছেন বহু আগে। আর এবার তিতলিও আর বাঁচবে না। বন্দুক নিয়ে নিজেই নিজের মাথায় ঠেকিয়ে মৃত্যুকে বরণ করল সে। ভাবছেন প্রথমেই আত্মহত্যার রহস্যটা ফাঁস করে দিলাম কেন? দর্শকের সামনেই এইভাবেই আত্মহত্যাটা ঘটে নাটকের প্রায় গোড়াতেই। আর তারপর শুরু হয় নাটকের বিচার। কিন্তু আশ্চর্য এই যে প্রথমেই আত্মহত্যার ঘটনাটা দর্শকের সামনে ঘটতে দেখা গেলেও বারবার আত্মহত্যা না খুন এই প্রশ্ন নিয়ে জেরবার হতে হয় নাটকের অন্যান্য চরিত্রদের। নাটকটি খানিক দূর এগলে দর্শকের একটু শঙ্কা হয়, সত্যিই আত্মহত্যা তো? নাকি খুনই বটে?
শ্যামা শ্রীবাস্তব গোয়েন্দা বিভাগের মহিলা সেলে কর্মরত। তিনিই খুন বা আত্মহত্যার তদন্ত করতে ব্যস্ত। আর সেই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকে উঠে আসে একেকটি চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব। নাটকটা দেখতে দেখতে বারবার উত্তমকুমার অভিনীত থানা থেকে আসছি ছবির কথা মনে পড়ছিল। এত প্রকট ছাপ যে তা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। পাঠক কি এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন ছাপটি কিসের? যদি না ধরে থাকেন তাহলে একটা সামান্য ক্লু দিই আপনাদের। কে শ্যামা শ্রীবাস্তব? তিনি কি সত্যিই গোয়েন্দা? নাকি তিনি মনস্তাত্ত্বিক? না হলে হঠাৎ তাঁর প্রশ্নে চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাবে কেন?
তিতলির চরিত্রেআভা গোলছা সাহারিয়ার অভিনয় খুব একটা মনে ধরল না। বড্ড অতি অভিনয়। সব সংলাপেই মুখে একটা আতঙ্ক মিশ্রিত অভিব্যক্তি। যখন সে প্রাণোচ্ছ্বল তরুণী তখনও তার চোখে প্রাণবন্ত হাসি ফুটে উঠছে না। আর শ্যামা শ্রীবাস্তবের অভিনয় তো বীররসে ভরা। কেউ যেন তাঁর হাতে রাজদণ্ড ধরিয়ে হুকুম জারি করার অধিকার দিয়েছে তাঁকে। এমনই হুমকির বার্তার তাঁর সংলাপ বলার ধরনে যে দর্শক আসনে বসেও একটু ভয় লাগে। সামান্য নড়াচড়া করলেও হয়তো শ্যামা শ্রীবাস্তবের রোষের মুখে পড়তে হবে। এইসব খামতিই ঢাকা পড়ে যেত গল্পের টান প্রবল হলে। সেখানেও ফাঁকি এড়ানো গেল না। গোটা নাটকেই তাই অন্য একটা গল্পের মোড়ক স্পষ্ট হয়ে উঠল।
20th  April, 2019
গিরিশ মঞ্চে সাজাহান 

গোপীমোহন সব পেয়েছিল আসর সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা সাজাহান নাটকটি মঞ্চস্থ করল। উপলক্ষ ছিল তাদের ৬৬তম বর্ষ উদযাপন। সাজাহানের চরিত্রে অভিনয় করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।  বিশদ

14th  March, 2020
রামধনু নাট্যোৎসব 

বরানগর রামধনু নাট্যোৎসব এবার তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। আগামী শুক্রবার ২০ মার্চ বরানগর রবীন্দ্রভবনে দুপুর ১২টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়। নাট্যোৎসবটি চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। মোট ১৬টি নাট্যদল এবার এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই মফস্সলের। 
বিশদ

14th  March, 2020
পুশকিনের জীবন নিয়ে নাটক 

আগামী ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। দু’শো বছর আগে ওইদিনই জন্ম হয়েছিল বিশ্ববন্দিত রাশিয়ান কবি আলেকজান্দার পুশকিনের। আর তাঁর জীবনদীপ নেভে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে। জারের রাজকর্মচারী দান্তেসের সঙ্গে ডুয়েল লড়তে গিয়ে নিহত হন পুশকিন। অনেকে বলেন মৃত্যু, অনেকে বলেন হত্যা।  
বিশদ

14th  March, 2020
আনন্দজীবন নাট্যোৎসব

দিনাজপুর কৃষ্টি আয়োজিত সাতদিনের আনন্দজীবন নাট্যোৎসব হয়ে গেল কুশমন্ডিতে। ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি এই উৎসবে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিনই দিনাজপুরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকে আগত দলগুলির একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের প্রথমদিনে স্থানীয় বিধায়ক নর্মদা রায় প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন।  
বিশদ

14th  March, 2020
এ নাটক এক সমকালীন দলিল যা দর্শককে ভাবায় 

সময়টা বড়ই ভয়ঙ্কর। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতির কারবারিরা যে যার মত করে ঘুঁটি সাজাতে তৎপর। ধর্ম নামক বস্তুটিকে সামনে রেখে চলছে গরিব-বড়লোকের শ্রেণীবিন্যাস আর চিরকালীন সংঘাত। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘কালিন্দী নাট্যসৃজন’-এর নতুন প্রযোজনা ‘মন সারানি’ চমকে দেয়।
বিশদ

14th  March, 2020
কমলকুমারের গল্পের দুঃসাহসিক মঞ্চায়ন 

কমলকুমার মজুমদারকে ‘দুঃসাহসী লেখক’ বলে অভিহীত করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বাক্যগঠন, শব্দ, ক্রিয়াপদ, কমা, পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার সবই ছিল চলতি রীতির থেকে আলাদা। এমনকী আলাদা ছিল তাঁর ভাষাও। সাধুভাষার ব্যবহার, অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার তাঁর লেখাকে করে তুলেছিল অন্য সবার থেকে আলাদা, ফলে হয়তো দুরূহও।  
বিশদ

14th  March, 2020
নান্দীকারের নাট্যোৎসব একটি প্রতিবেদন 

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে নান্দীকারের ছত্রিশতম নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হল গত ডিসেম্বর মাসের ষোলো থেকে পঁচিশ তারিখ পর্যন্ত। নান্দীকারের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেই সমাপ্ত হল তাদের এই নাট্যোৎসব। 
বিশদ

07th  March, 2020
প্রসেনিয়ামের থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

প্রসেনিয়াম’স আর্ট সেন্টার ও বিভাবন যৌথ উদ্যোগে গত ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর এক থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের নিজস্ব সেন্টারে আয়োজিত এই উৎসবে ১১টি নাট্যদলের থিয়েটার মঞ্চস্থ হয়। 
বিশদ

07th  March, 2020
দ্বাদশ থিয়েলাইট নাট্যোৎসব 

থিয়েলাইট নাট্যদলের নাট্যোৎসব এবছর বারোয় পা দেবে। বিগত বছরগুলিতে এই উৎসব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন জেলায় করা হতো। এবছর সেই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। এবছর উৎসব হবে কলকাতাতেই।  
বিশদ

07th  March, 2020
সাথী হারা ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয় যাত্রার স্বাদ 

২৪তম যাত্রা উৎসব হয়ে গেল ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে। এই উৎসবের উল্লেখযোগ্য যাত্রাপালা ছিল বিশ্বভারতী অপেরার প্রযোজনায় ‘সাথী-হারা ভালোবাসা’। আর পাঁচটি প্রেম কাহিনীর মতোই একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প এটি। ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারে।  
বিশদ

07th  March, 2020
গা ছমছম কী হয় কী হয়!
রহস্য নাটকের সার্থক মঞ্চায়ন

সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমবঙ্গ। প্রচণ্ড ঝড়জলের এক রাত। কার্শিয়াংয়ের এক সদ্য চালু হওয়া হোটেল ড্রিমল্যান্ডে একে একে জড়ো হয় রহস্যময় কয়েকজন বোর্ডার। একজন নাকউঁচু মহিলা মিস কাজল দত্ত, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার। 
বিশদ

07th  March, 2020
এনএসডি-র আদিরঙ মাতিয়ে দিল দ্বারোন্দা 

ইউক্যালিপটাসের সুউচ্চ গাছগুলোর মাথায় মেঘমুক্ত পশ্চিমাকাশে ধ্রুবতারাটা জ্বলজ্বল করছিল। শেষ লগ্নে এসেও শীত তার দাপট জানান দিচ্ছে তীব্র হিমেল হাওয়ায়। তবু বোলপুরের দ্বারোন্দা গ্রামের মুক্ত প্রান্তরে মানুষের ভিড় কম নয়। চলছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ‘আদিরঙ’ অর্থাৎ আদিবাসী রঙ্গোৎসব।  
বিশদ

22nd  February, 2020
প্রেমের ঘেরাটোপে শয়তানের পদচারণা 

আ কনফেশন অব সাইকোফেনিক— আলোচনাটা এভাবে শুরু করা যায়। জালের ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয় নাটক। একটি অন্তরঙ্গ ঘরে, কুলকুল জলের শব্দে, জালের মধ্যে গাঢ় বেগুনি আলোয় ভেসে ওঠে কতকগুলি বিমূর্ত হাত। একপাশে যুগল অন্তরঙ্গ হয়ে চুম্বনরত ও তাদের ঘিরে পুলিসবেশী ডাক্তার ও নার্সের পদচারণা।  
বিশদ

22nd  February, 2020
ভাষা দিবসে এনআরসি বিরোধী নাট্য 

শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে একটা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। যা গোটা বিশ্বে পালিত হয়। 
বিশদ

22nd  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

৫ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) এবার সরাসরি হুমকি চিঠি দিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM