Bartaman Patrika
 

দাশরথী রায়কে গানের জগতে
নিয়ে এলেন অকাবাঈ

কলকাতা যে সময়ে বিদ্যাসুন্দর নিয়ে মেতে উঠেছিল, সেই সময়ে গ্রাম বাংলার বুকে ঝড় তুলেছিল পাঁচালি গান। কত রকম পালাগান হত সেই সব পাঁচালি গানের আসরে। কৃষ্ণগান, মঙ্গলকাব্য থেকে বেহুলার ভাসান, লাউসেনের কাহিনী, রামায়ণের গান, মহাভারতের কথা আরও কত কী! গান, দোহার, কাব্য, কথা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে একটা কাহিনীকে তুলে ধরা হতো। সেই সঙ্গে থাকত কবির লড়াইও। থাকত পারস্পরিক আক্রমণও। সেই লড়াইয়ে অনেক সময় হারিয়ে যেত সংস্কৃতিবোধ। চূড়ান্ত অশ্লীল এবং খেউড় গানে দর্শকদের আনন্দ-হুল্লোড়ে হারিয়ে যেত গানের মান। প্রথমদিকে বিনোদনের ভিতরে বোদ্ধা ভাব তেমন ছিল না। সবটাই রসের ভিয়েন। তাই এই কলকাতা শহর সেভাবে টানেনি পাঁচালি গানকে।
এই গানের ধারায় শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসাবে আমরা পাই দাশরথী রায়কে। তাঁর গানই দাশরথী রায়ের পাঁচালি বা দাশু রায়ের পাঁচালি নামে খ্যাত। দাশরথীর আগে আমরা এই গানের ধারায় পেয়েছিলাম গঙ্গানারায়ণ নস্কর এবং লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাসকে। গঙ্গানারায়ণের বাড়ি ছিল শোভাবাজারে। একবার শোভাবাজার রাজবাড়িতে তিনি পাঁচালিগান গেয়েছিলেন। সেবার বাগবাজারের পক্ষীর দলের সঙ্গে তাঁর গানের লড়াই হয়েছিল এবং সেই আসরে গঙ্গানারায়ণ জয়ী হয়েছিলেন। তবে জানা গিয়েছে গঙ্গানারায়ণ গান বাঁধতেন না। তিনি ছিলেন গাওনদার। বরং লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস নিজে গান রচনা করতেন। তাঁর গানে বেশ মজা ছিল। ছিল নানা ধরনের হাস্যকৌতুকের উপকরণ। আবার এই ধারায় পাওয়া যায় ঠাকুরদাস দত্তের নামও। । ইনি সেই ঠাকুরদাস, যিনি একসঙ্গে চারটি পৃথক বিদ্যাসুন্দর লিখেছিলেন। পাঁচালি গানেও তাঁর উপস্থিতি নজরে পড়ে। তবে এই ধারায় একচ্ছত্র নায়ক ছিলেন দাশরথী রায়।
দাশরথী ছিলেন খুবই উচ্চবর্ণের এবং বড় বংশের ছেলে। সেখান থেকে একসময় যেন তাঁর জীবনটা হারিয়ে যাচ্ছিল কোনও এক কানা নদীর বাঁকে। সে এক অপমানের এবং দগ্ধ সময়ের উপকথা। তাঁর জন্ম ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দের এদিক ওদিক হবে। কাটোয়ার কাছে বাঁধমুড়ায় তাঁর বাড়ি। ছেলেবেলায় পড়াশোনায় তাঁর মন বসত না। তেমন পড়াশোনাও শেখেননি। তবে মুখে মুখে ছড়া, পদ্য তৈরি করতে পারতেন। ছেলেবেলায় পাঠশালায় পড়া না পারায় গুরুমশায় দিলেন কয়েক ঘা বেতের বাড়ি। সেই বেত খাওয়ার দুঃখে তিনি বলে উঠেছিলেন, ‘দয়া কর গুরু মহাশয় মোর পানে, / অত প্রহারে বুঝি বাঁচিব না প্রাণে।’ কিছুটা সংস্কৃত এবং কিছুটা ইংরেজি শিখতে পেরেছিলেন মাত্র। কিন্তু পাঁচালি গান রচনার ক্ষেত্রে তিনি যে পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন, তাতে বোঝা যায়, পুঁথি এবং শাস্ত্র সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল যথেষ্ট। কিছুটা ইংরেজি জানার জন্য প্রথম জীবনে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেশম কুঠিতে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি তাঁর ভালো লাগত না। তাঁর মন তখন শুধু ছড়া, কবিতা আর গান বাঁধে। বাল্য ও যৌবনের অনেকটা সময় তিনি ছিলেন পীলা নামক গ্রামে। সেখানে ছিল তাঁর মামা রামজীবন চক্রবর্তীর বাড়ি। এই পীলা গ্রামই ছিল তাঁর খ্যাতি-অখ্যাতির পীঠস্থান। সেখানে এক কবি ছিলেন। তাঁর নাম নীলকণ্ঠ হালদার। তাঁর পালাগানে তিনি অকথা কুকথা ব্যবহার করে মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগাতেন। সে গান শুনে প্রশ্ন জাগল দাশরথীর মনে। এই কী তবে আদর্শ গানের নমুনা! তাঁর মনই বলল, হতে পারে না। এ গান কখনও মানুষের মনে চিরস্থায়ী হতে পারে না। ভালো গান লেখা দরকার। মানুষের মনে যে গান অনেকদিন থাকবে। লোকে সে গান শুনে বলবে, এই হল দাশরথী রায়ের পাঁচালি।
ভাবলেন এক, আর জীবন তাঁকে নিয়ে গেল অন্য এক ধারায়। সেই গ্রামেই ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেশমকুঠি। সেখানে অনেক মেয়েই কাজ করত। এই সব মেয়ে মূলত সমাজের নিম্নশ্রেণীর থেকে আসত। সকালে তারা কাজ করত রেশমকুঠিতে আর রাতে তারা দেহ ব্যবসা করত। এইরকমই একটি মেয়ের নাম ছিল অক্ষয়া বাইতিনী। লোকে তাঁকে বলত অকাবাঈ। বাইতিনী পদবী শুনে মনে করা হয় অক্ষয়া ছিলেন চর্মকার শ্রেণীভুক্ত কোনও পরিবারের মেয়ে। অক্ষয়া ছিলেন স্বামীপরিত্যক্তা। দাশরথী রায়ের জীবনীকার চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অকাবাঈয়ের রূপ নিয়ে অনেক শব্দ খরচ করে গিয়েছেন। তার থেকে একটি অংশ উদ্ধৃত করা যেতে পারে। ‘কৃষ্ণকলেবরে চাকচিক্যের অভাব ছিল না।’ তার গানের গলাও ছিল বেশ ভালো। তাই বেশ কিছু দলে অকাবাঈ কবির গান করতেন। অকাবাঈয়ের সঙ্গে পরিচয় হল দাশরথীর। অকাবাঈয়ের গান শুনে তিনি মুগ্ধ হলেন। মুগ্ধ হলেন তাঁর রূপেও। অকার ডাকে দাশরথী ঢুকে গেলেন কবির দলে। তাঁর কাজ হল গাওনদারদের তাৎক্ষণিক কথার জোগান দেওয়া। আসরে গায়ক যখন ঘুরে ঘুরে গান করতেন, তখন বাঁধনদার হয়ে তার পাশে পাশে ঘুরে গানের কথা তৈরি করে তাঁকে বলতে হত। সেই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সুরারোপ করে গায়ক গাইতেন।
কবিগানের নেশায় যখন দাশরথী সৃষ্টির আনন্দ সাগরে ভাসছেন, যখন অকাবাঈয়ের সংস্পর্শ তাঁর কাছে জীবনের এক অনিবার্য সম্পদ বলে মনে হচ্ছে। এনিয়ে তখন চারিদিক থেকে নানা গঞ্জনা এবং অকথা কুকথা শুরু হয়ে গেল। সে ছিল তাঁর লজ্জা, তাঁর অপমান। সবাই বলতে লাগল, ‘বড় ঘরের ছেলে এতটাই রূপোন্মাদ হয়ে গেল যে, তার আর ভালোমন্দ বোধ রইল না। একটা ছোটলোক মেয়ের সঙ্গে এমন ঢলাঢলি! ছি, ছি ছি!’ শুধু সমাজ নয়, তাঁর পরিবার থেকেও তিনি বিতাড়িত হলেন। যেটুকু যন্ত্রণা মনের মধ্যে জমত, তা দূর হয়ে যেত অকাবাঈয়ের সঙ্গে কথা বললে। সমাজ তো শুধু দাশু রায়কেই দোষারোপ করত না। কুকথায় বিদ্ধ হতেন অকাবাঈও। একদিন অকাবাঈ তাঁকে বললেন, ‘রায়, তুমি ফিরে যাও। আমার জন্য এত কলঙ্ক তুমি মেখো না। তোমার কলঙ্ক তো আমার পাপ থেকেই।’
দাশরথী বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে অকা তুই বাঁচতে পারবি?’
অকা বললেন, জানি রায় সে খুব কষ্টের। কিন্তু আমাকে পারতেই হবে। তোমাকে ভালবাসি কিনা।’
দাশরথী বললেন, ‘আমি গেলে তুই কী করে বাঁচবি অকা?’
অকা বললেন, ‘আমার কথা ভেবো না রায়। আমি ভিক্ষে করে বাঁচব। আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তুমি আমারই থাকবে। কিন্তু তোমার এমন দশা আমি সহ্য করতে পারব না। তুমি অনেক বড় কবি হবে রায়। কিন্তু আমার কাছে থাকলে তুমি সব হারাবে। যাও রায়। তোমার সামনে অনেক বড় কাজ।’
দাশরথী বললেন, ‘তোকে আমি বাঁধমুড়ায় নিয়ে যাব অকা।’
অকা বললেন, ‘সে হয় না রায়, আমার এ মুখ তোমার বাড়ির লোকেদের কি আমি দেখাতে পারি!’
দাশরথী চুপ করে থাকেন। কোন কথা বলতে পারেন না। একটু পরে তিনি গান ধরলেন, ‘দোষ কারো নয় গো মা , আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা...’
চোখের জলে ভাসেন অকা। দাশু রায়ও ব্যথায় কাতর হয়ে ওঠেন। অন্ধকার রাত্রি আরও অন্ধকারে ডুবল দুটি ব্যথিত প্রাণের অস্ফুট কান্নায়।
20th  April, 2019
গিরিশ মঞ্চে সাজাহান 

গোপীমোহন সব পেয়েছিল আসর সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা সাজাহান নাটকটি মঞ্চস্থ করল। উপলক্ষ ছিল তাদের ৬৬তম বর্ষ উদযাপন। সাজাহানের চরিত্রে অভিনয় করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।  বিশদ

14th  March, 2020
রামধনু নাট্যোৎসব 

বরানগর রামধনু নাট্যোৎসব এবার তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। আগামী শুক্রবার ২০ মার্চ বরানগর রবীন্দ্রভবনে দুপুর ১২টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়। নাট্যোৎসবটি চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। মোট ১৬টি নাট্যদল এবার এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই মফস্সলের। 
বিশদ

14th  March, 2020
পুশকিনের জীবন নিয়ে নাটক 

আগামী ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। দু’শো বছর আগে ওইদিনই জন্ম হয়েছিল বিশ্ববন্দিত রাশিয়ান কবি আলেকজান্দার পুশকিনের। আর তাঁর জীবনদীপ নেভে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে। জারের রাজকর্মচারী দান্তেসের সঙ্গে ডুয়েল লড়তে গিয়ে নিহত হন পুশকিন। অনেকে বলেন মৃত্যু, অনেকে বলেন হত্যা।  
বিশদ

14th  March, 2020
আনন্দজীবন নাট্যোৎসব

দিনাজপুর কৃষ্টি আয়োজিত সাতদিনের আনন্দজীবন নাট্যোৎসব হয়ে গেল কুশমন্ডিতে। ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি এই উৎসবে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিনই দিনাজপুরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকে আগত দলগুলির একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের প্রথমদিনে স্থানীয় বিধায়ক নর্মদা রায় প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন।  
বিশদ

14th  March, 2020
এ নাটক এক সমকালীন দলিল যা দর্শককে ভাবায় 

সময়টা বড়ই ভয়ঙ্কর। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতির কারবারিরা যে যার মত করে ঘুঁটি সাজাতে তৎপর। ধর্ম নামক বস্তুটিকে সামনে রেখে চলছে গরিব-বড়লোকের শ্রেণীবিন্যাস আর চিরকালীন সংঘাত। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘কালিন্দী নাট্যসৃজন’-এর নতুন প্রযোজনা ‘মন সারানি’ চমকে দেয়।
বিশদ

14th  March, 2020
কমলকুমারের গল্পের দুঃসাহসিক মঞ্চায়ন 

কমলকুমার মজুমদারকে ‘দুঃসাহসী লেখক’ বলে অভিহীত করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বাক্যগঠন, শব্দ, ক্রিয়াপদ, কমা, পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার সবই ছিল চলতি রীতির থেকে আলাদা। এমনকী আলাদা ছিল তাঁর ভাষাও। সাধুভাষার ব্যবহার, অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার তাঁর লেখাকে করে তুলেছিল অন্য সবার থেকে আলাদা, ফলে হয়তো দুরূহও।  
বিশদ

14th  March, 2020
নান্দীকারের নাট্যোৎসব একটি প্রতিবেদন 

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে নান্দীকারের ছত্রিশতম নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হল গত ডিসেম্বর মাসের ষোলো থেকে পঁচিশ তারিখ পর্যন্ত। নান্দীকারের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেই সমাপ্ত হল তাদের এই নাট্যোৎসব। 
বিশদ

07th  March, 2020
প্রসেনিয়ামের থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

প্রসেনিয়াম’স আর্ট সেন্টার ও বিভাবন যৌথ উদ্যোগে গত ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর এক থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের নিজস্ব সেন্টারে আয়োজিত এই উৎসবে ১১টি নাট্যদলের থিয়েটার মঞ্চস্থ হয়। 
বিশদ

07th  March, 2020
দ্বাদশ থিয়েলাইট নাট্যোৎসব 

থিয়েলাইট নাট্যদলের নাট্যোৎসব এবছর বারোয় পা দেবে। বিগত বছরগুলিতে এই উৎসব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন জেলায় করা হতো। এবছর সেই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। এবছর উৎসব হবে কলকাতাতেই।  
বিশদ

07th  March, 2020
সাথী হারা ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয় যাত্রার স্বাদ 

২৪তম যাত্রা উৎসব হয়ে গেল ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে। এই উৎসবের উল্লেখযোগ্য যাত্রাপালা ছিল বিশ্বভারতী অপেরার প্রযোজনায় ‘সাথী-হারা ভালোবাসা’। আর পাঁচটি প্রেম কাহিনীর মতোই একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প এটি। ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারে।  
বিশদ

07th  March, 2020
গা ছমছম কী হয় কী হয়!
রহস্য নাটকের সার্থক মঞ্চায়ন

সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমবঙ্গ। প্রচণ্ড ঝড়জলের এক রাত। কার্শিয়াংয়ের এক সদ্য চালু হওয়া হোটেল ড্রিমল্যান্ডে একে একে জড়ো হয় রহস্যময় কয়েকজন বোর্ডার। একজন নাকউঁচু মহিলা মিস কাজল দত্ত, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার। 
বিশদ

07th  March, 2020
এনএসডি-র আদিরঙ মাতিয়ে দিল দ্বারোন্দা 

ইউক্যালিপটাসের সুউচ্চ গাছগুলোর মাথায় মেঘমুক্ত পশ্চিমাকাশে ধ্রুবতারাটা জ্বলজ্বল করছিল। শেষ লগ্নে এসেও শীত তার দাপট জানান দিচ্ছে তীব্র হিমেল হাওয়ায়। তবু বোলপুরের দ্বারোন্দা গ্রামের মুক্ত প্রান্তরে মানুষের ভিড় কম নয়। চলছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ‘আদিরঙ’ অর্থাৎ আদিবাসী রঙ্গোৎসব।  
বিশদ

22nd  February, 2020
প্রেমের ঘেরাটোপে শয়তানের পদচারণা 

আ কনফেশন অব সাইকোফেনিক— আলোচনাটা এভাবে শুরু করা যায়। জালের ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয় নাটক। একটি অন্তরঙ্গ ঘরে, কুলকুল জলের শব্দে, জালের মধ্যে গাঢ় বেগুনি আলোয় ভেসে ওঠে কতকগুলি বিমূর্ত হাত। একপাশে যুগল অন্তরঙ্গ হয়ে চুম্বনরত ও তাদের ঘিরে পুলিসবেশী ডাক্তার ও নার্সের পদচারণা।  
বিশদ

22nd  February, 2020
ভাষা দিবসে এনআরসি বিরোধী নাট্য 

শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে একটা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। যা গোটা বিশ্বে পালিত হয়। 
বিশদ

22nd  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:07:43 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM

মাথাভাঙায় বাইসনের আক্রমণে জখম ৪
সকাল থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ...বিশদ

10:52:42 AM

নদীয়ার কালিগঞ্জে সোনার দোকানে বিস্ফোরণ, জখম ১
ব্যাপক বিস্ফোরণে উড়ে গেল সোনার দোকানের ছাদ। ঘটনাটি ঘটেছে, নদীয়ার ...বিশদ

10:40:15 AM

ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন ব্যক্তির
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার ...বিশদ

10:36:15 AM

হলদিয়ার সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান
গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপারমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ...বিশদ

10:08:57 AM