পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনী নিয়ে তৈরি হতে চলা এই ছবির নাম ‘ছপাক’। ক্যামেরার সামনে দীপিকার চরিত্রের নাম ‘মালতী’। দীপিকার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ওই রূপ দেখে তাঁর বহু ভক্ত চলচ্চিত্রটি দেখার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কী ঘটেছিল লক্ষ্মী আগরওয়ালের সঙ্গে। আমাদের দেশের তরুণ সমাজের অনেকেই তাঁকে চেনেন ‘প্রেরণাদায়ক বক্তা’ হিসেবে। শ্রীমতী আগরওয়াল দিল্লিতে বাস করা একজন সাধারণ নারী। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ভয়ঙ্করভাবে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন তিনি। প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বয়সি এক ‘শয়তান’ লক্ষ্মীকে প্রথমে প্রেমের ও পরে বিয়ের প্রস্তাব দেন। স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মী ও তাঁর পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০০৫ সালের এক সকালে লক্ষ্মী যখন হেঁটে বাজারে যাচ্ছিলেন, তখন বিয়ারের বোতল ভর্তি অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয় তাঁর মুখ লক্ষ করে। আর তাতেই জ্বলে যায় লক্ষ্মীর মুখ ও হাত। তাঁর সেই শ্রীময়ী মুখ মুহূর্তেই হারিয়ে যায় অ্যাসিডের বীভৎসতার আড়ালে। রাস্তায় পড়ে আর্তনাদ করতে থাকেন লক্ষ্মী। ঘটনার বীভৎসতায় পথচারীরা তখন হতভম্ব। প্রায় পাঁচ মিনিট পর এক ট্যাক্সিচালক পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সিতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন লক্ষ্মীকে। শুরু হয় যমে-মানুষে টানাটানি। চিকিৎসকদের হার না মানা মানসিকতায় নিশ্চিত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ঘরে ফিরে আসেন লক্ষ্মী।
দ্বিতীয়বার জীবন পেয়ে হার মানেননি লক্ষ্মী। ২০০৬ সালে হাইকোর্টে পি আই এল দাখিল করেন, বেআইনিভাবে রাস্তায় অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের স্বাক্ষর নিয়েছেন এই আইন পাশ করার আবেদনের জন্য। দীর্ঘ সাত বছরের সংগ্রাম শেষ হয় ২০১৩ সালে। অবশেষে আদালত রায় দেন, ‘প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ছাড়া অ্যাসিড কেনাবেচা করা যাবে না।’ এত বড় বিপর্যয় ও কাজের মধ্যে থেকেও পড়াশুনা শেষ করেছেন লক্ষ্মী। অ্যাসিড আক্রান্ত নারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে খুলেছেন এনজিও। এই হার না মানা মনোভাবের জন্য মিশেল ওবামা লক্ষ্মী আগরওয়ালকে পুরস্কৃত করেছেন। ভারত সরকারও তাঁকে নানা সম্মান দান করেছে।
এক কন্যা সন্তানের জননী লক্ষ্মীদেবী বর্তমানে একটা টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করছেন। এই লক্ষ্মীই ‘মালতী’ হয়ে বড় পর্দায় হাজির হবেন দীপিকার এই নতুন ছবিতে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২০ সালের শুরুতে মুক্তি পাবে ‘ছপাক’।