যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
‘আশা প্রকল্প’ প্রসূতি মেয়েদের জীবনে এনেছে আলো। এই সামাজিক প্রকল্পটি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অজ্ঞ, বঞ্চিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধুর মতো। এখনও পর্যন্ত সমস্ত সরকারি সতর্কবার্তা এবং আইন উপেক্ষা করেও অনেক মেয়েরই বিয়ে হচ্ছে উপযুক্ত বয়সের আগে। গরিব সমাজের এই ক্ষেত্রে কোনও উপায়ও নেই ফলে কোনও হেলদোলও নেই। আর এই অনুপযুক্ত বয়সে বিয়ের পরে বাচ্চাও হয়ে যাচ্ছে মেয়েদের দৈহিক কাঠামো গঠনের আগেই। এমন অবস্থায় সম্পূর্ণ নিজেদের দায়িত্বে মা’কে সচেতন করতে, রক্ষা করতে ‘আশা দিদি’ নিয়েছেন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। একটা মেয়ের বিয়ের পর থেকেই তাকে নানান বিষয়ে অবগত করা, সতর্ক ও সচেতন করা যে কতটা জরুরি তা আশা দিদি বুঝেছেন বলেই এই দায়িত্বটা নিয়েছেন নিজের ঘাড়ে। বাচ্চা আসার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ওজন, প্রেশার মাপা, তার খাওয়া দাওয়ার নিয়ম বদলানো কীভাবে সম্ভব ও কতটা দরকার তা আশা দিদি গ্রামের মানুষকে বোঝান। এককথায় যেদিন থেকে একজন মেয়ে মা হচ্ছে সেদিন থেকে তার দায়িত্ব নিচ্ছেন আশা দিদি। সাধারণ মানুষের কাছে এটা ভাবনারও অতীত। নিয়মিত মাতৃত্বকালীন অবস্থায় কেউ খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে তাও দায়িত্ব সহকারে! মায়ের পুষ্টি ও দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করছে তার পরিবারের সঙ্গে, এসব তো আগে ভাবাই যেত না। শুধু ডাক্তারি নয়, মানসিক সহযোগিতারও যে এই সময় কতটা প্রয়োজন তা গ্রামের অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত লোকেদের বোঝানোর দায়িত্বও নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন আশা দিদি। সাধারণ প্রসূতির কাছে এই ঘটনা যেন দিবা স্বপ্নের মতো। তারা ভাবত মা হওয়া অতি তুচ্ছ ঘটনা। আর এই ক্ষেত্রে কষ্ট পাওয়াটাও অতি স্বাভাবিক। সে ব্যাপারে কারও উদ্বেগও ছিল না। এমনকী কেউ মা হতে গিয়ে মারা গেলেও তা নিয়ে লোকে মাথা ঘামাত না। এক্ষেত্রে বাচ্চার জন্মের জন্য মায়ের পাশাপাশি ‘আশা দিদি’র অবদান অনস্বীকার্য। শুধু সন্তান সম্ভবা মেয়েটিরই নয়, তার পরিবারের অন্যান্যদেরও পাশে থাকছেন অাশা দিদি। দায়িত্ব নিচ্ছেন তাদের সবার ভালো মন্দের। আরও উন্নত হচ্ছে গ্রামগঞ্জের প্রসব ব্যবস্থা।