Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

সবলা বিপ্লবী সুহাসিনী গাঙ্গুলির কথা 

১ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ রাত তিনটে। মধ্যরাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে ভেসে এল ব্রিটিশ পুলিসের বুটের আওয়াজ। চন্দননগর গোন্দলপাড়ার কোনও এক বাড়ির পাশে সারি সারি হেলমেট পরা মাথা। পুরো বাড়িটাকেই ঘিরে ফেলেছে তারা। সেদিন চন্দননগরে স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি বিশেষ অধ্যায়ের সূচনা হয়।
গোন্দলপাড়ার ওই বাড়িতে তখন অবস্থান করছেন কয়েকজন বিপ্লবী যুবক আর তাদের তথাকথিত দাদা-বউদি। ওই যুবকেরা পণ করেছেন তাঁরা আর পালাবেন না। পালাতে পালাতে আজ তাঁরা মরিয়া। ব্রিটিশ পুলিসের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করবেন। হয় মারবেন, নয় মরবেন। সেদিনের সেই অকুতোভয় বিপ্লবীরা হলেন ছদ্মবেশে অতুল ওরফে গণেশ ঘোষ, অশোক মানে মাখনলাল ঘোষাল, বাচ্চু অর্থাৎ আনন্দ এবং অজয়ের পরিচয়ে লোকনাথ বল।
এঁরা সকলেই চট্টগ্রাম আন্দোলনের বীর সৈনিক। বিপ্লবীরা জানতেন তাঁদের ধরতে অথবা মারতে আসছে ব্রিটিশ পুলিস। তবু তাঁরা অকুতোভয়। খবর পেয়ে বিপ্লবী বসন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ভাই সত্যেনকে তাঁদের খবর দিতে পাঠিয়েছিলেন। পুলিস কমিশনার টেগার্ট স্বয়ং আসছেন। বিপ্লবীরা যেন চন্দননগর ত্যাগ করেন। কে এক কালীপদ ঘোষ বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে তাঁদের ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছে। ফরাসি আইনে রাতে কোনও বাড়ি খানা-তল্লাসী করার নিয়ম নেই। সুতরাং ভোর পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতেই হবে। বাড়ি ঘিরে ওঁত পেতে বসে আছে তারা, টেগার্ট আর তার বিশাল পুলিসবাহিনী।
আর সময় নেই। বিপ্লবী গণেশ ঘোষ বললেন, পেছনের দরজা দিয়ে রিভলভারের গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এগতে হবে। ওঁরা বার হতেই শুরু হল পুলিসের গুলিবৃষ্টি। টর্চের জোরালো আলোয় চারপাশ একদম দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তবে শেষরক্ষা হল না। মাখন ঘোষালের বুকে, মাথায়, শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগল গুলি। ছিটকে পুকুরের জলে পড়লেন তিনি। সবচেয়ে কমবয়সি আনন্দ গুপ্তের ঊরুতে গুলি লাগায় তিনি তখন মাটিতে ধরাশায়ী, লড়াই শেষ।
অকথ্য নির্যাতন শুরু হল বন্দি বিপ্লবীদের ওপর। নারী হয়েও রেহাই পেলেন না ছদ্মবেশী বউদি মানে বিপ্লবী সুহাসিনী গাঙ্গুলি। ব্রিটিশ পুলিসের লাঞ্ছনায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি গর্জে উঠলেন। ‘তোমরা সভ্য জাত বলে গর্ব কর, এই তার পরিচয়?’ আনন্দ গুপ্ত, লোকনাথ বল, গণেশ ঘোষ, সুহাসিনী গাঙ্গুলি আর তাঁর ছদ্ম স্বামীর বেশধারী শশধর আচার্যকে বন্দি করে গাড়িতে তুলল তারা। ওদিকে পুকুরের জল থেকে মাখনলাল ঘোষালের মৃতদেহ উদ্ধার করে মেয়রের নেতৃত্বে মিছিল করল চন্দননগরবাসী। সেই স্বনামধন্য মেয়র হলেন চারুচন্দ্র রায়। যাঁর নেতৃত্বে শহরবাসী ফরাসি পুলিসকে মৃতদেহ স্পর্শ করতে দেয়নি। চট্টগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত মাখনলালের নশ্বর দেহ ভস্মীভূত হল চন্দননগরের মহাশ্মশানে। আর সেই থেকে চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে চন্দননগরবাসী বাঁধা পড়লেন অচ্ছেদ্য বন্ধনে।
পরবর্তীকালে পাওয়া ‘জাজমেন্ট রিপোর্টে’ ওই ঘটনা সম্পর্কে লিপিবদ্ধ লাইনগুলি হল ‘১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাতে দশজন সার্জেন্ট এবং একজন কলকাতা পুলিসের ইন্সপেক্টর ও আরও দশজন পদস্থ অফিসার, যাঁদের মধ্যে ছিলেন পুলিস কমিশনার চার্লস টেগার্ট, ডেপুটি কমিশনার বার্টবি এবং ম্যাকেন্টি, ছ’টি মোটরগাড়িতে কলকাতা ত্যাগ করেন ও রাত তিনটেয় চন্দননগর পৌঁছন।’ এই সমস্ত ঘটনার পেছনে ছিলেন এক বীরাঙ্গনা। তিনিই বিপ্লবী নেত্রী সুহাসিনী গাঙ্গুলি।
১৯৪৩ সাল। জেলে বসে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভাবছিলেন সুহাসিনী। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০-এ প্রথম পুলিসের হাতে বন্দি হন। কুখ্যাত হিজলি জেলে ছ-ছ’টা বছর কাটল। তারপর ‘বেঙ্গল অর্ডিন্যান্সে’ গ্রেপ্তার হয়ে সিউড়ি জেলে, কলকাতার বিভিন্ন জেলে কাটল অনেকগুলো দিন। অবশেষে ১৯৩৮ সালে এল সাময়িক মুক্তি। ১৯৪২-এ আবার কারাবাস। যদিও প্রায় বিনা দোষেই। এখনও অধরা সেই স্বপ্ন— দেশমাতৃকার স্বাধীনতা। মাঝেমাঝেই মনে পড়ে ভয়ঙ্কর সেই রাতটার কথা। ১৯৩০-এর ১ সেপ্টেম্বর। সন্ধেবেলা রুটি করতে করতে বারবার মনে হচ্ছিল ভয়ানক কিছু ঘটবে সেদিনই। ভাইদের জন্য হয়তো রুটি আর বানাতে হবে না। উনুনে ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। সেই আঁচের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন তিনি।
দেশের বাড়ির কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ রুটিটা একদম পুড়ে গেল। ওটাকে আড়াল করে রাখতে হবে। খাওয়ার সময় নিয়ে নেবেন। দেখতে পেলে ভাইরা চেঁচাবে। ওরা যে তাঁদের পুঁটুদিদিকে বড্ড ভালোবাসে। কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে কিছুই তো ফেলা যাবে না। চার চারটে জোয়ান ছেলে আবার তাঁরা দু’জনও আছেন। এতগুলো লোকের খাবারের সংস্থান করা কম কথা নয়। রেলের চাকরিতে রোজ যাতায়াত করতে হয়। তবু শশধরবাবু দোকান-বাজার সব এক হাতে সামলে নিচ্ছেন। রান্নাবান্না করেন তিনি। ভাইরা থাকে বন্ধ বাড়িতে নিশ্চুপে, আত্মগোপন করে।
ঘরের কাজকর্ম সামলে প্রতিদিন ইস্কুলে ছোটেন সুহাসিনী। স্থানীয় কাশীশ্বরী পাঠশালার হেডমিস্ট্রেস তিনি। গোঁদলপাড়ার সব লোক, সর্বক্ষণ সমীহ করে চলে। আজ রাতের পর হয়তো সবকিছু জানাজানি হয়ে যাবে। ভারী অবাক হবে সবাই।
খবর এসেছে। বসন্তবাবু তাঁর ভাইকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছেন। যে কোনও সময় কলকাতার পুলিস কমিশনার চার্লস টেগার্ট তার দলবল সমেত হাজির হবে। যেটুকু সময় আছে, নৌকা করে নদী পেরিয়ে পালানো যায়।
কিন্তু ভাইরা রাজি নয়। গণেশ, আনন্দ, মাখন, লোকনাথ সবাই একসঙ্গে যা বলেছে তা হল ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’। পালাতে পালাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এবার মুখোমুখি হতে হবে। ধর্মযুদ্ধ! দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ! যা হবার হোক। ‘চলরে চল সবে ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান’। গাইছিল ওরা। তিনি গলা মেলাতে পারেননি। এই ক’দিনেই বড় মায়ায় জড়িয়েছে ছেলেগুলো। ওদের বিপদের কথা ভাবলে বুক কেঁপে ওঠে যে।
ঢাকার বাড়িতে মা মাঝেমাঝে বড় আক্ষেপ করতেন। চার চারটে মেয়ে। বিয়ে দেব কী করে? এই তো টানাটানির সংসার। মা এখানে থাকলে দেখতেন নকল সংসারের নকল স্বামীর সঙ্গে নকল স্ত্রী সেজে চমৎকার সংসার করছেন তিনি। বাড়তি পাওনা সোনার মতো উজ্জ্বল ভাইদের সঙ্গ। ঢাকার কলেজে পড়তে পড়তেই চিন্তাভাবনার শুরু। পরাধীন মায়ের শৃঙ্খল মোচনের ডাক এসেছে। ডাকছেন মাস্টারদা সূর্য সেন। চট্টগ্রামে মাস্টারদা, ঢাকায় সুভাষচন্দ্র, যুবশক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছেন, মেয়েদেরও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে দলে দলে যুবক-যুবতী যোগ দিচ্ছে তাঁদের সংগ্রামে। না, গান্ধীজির অহিংস আন্দোলন নয়, সহিংস আন্দোলনেই যোগ দেবেন তিনি।
কলকাতা। গঙ্গা নদীর তীরে প্রাণবন্ত এক শহর। বিপ্লবের পীঠস্থান। ‘ডেফ এ্যান্ড ডাম্ব’ স্কুলের কাজ নিয়ে সেই কলকাতায় অবশেষে পৌঁছে গেলেন তিনি। দেশ জুড়ে স্বদেশি উন্মাদনা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতা শহর। আলাপ হল কমলাদি, মানে কমলা দাশগুপ্তের সঙ্গে। তিনি আবার সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন রসিকলাল দাসের কাছে। দেশের ডাক এসেছে। গুরুতর দায়িত্ব পালন করতে হবে। ১৯২৯-এ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। প্রীতিলতা, কল্পনা, মাস্টারদার মন্ত্র শিষ্যারা নিঃসঙ্কোচে সেই দুঃসাহসিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। লড়াই শেষ। এবার বিপ্লবীদের আত্মগোপনের পালা। গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ, মাখন ঘোষাল, আনন্দ গুপ্তদের গোপন আশ্রয় চাই। ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে যদি সেই আশ্রয় মেলে সবদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। গোন্দলপাড়ার বসন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নিলেন সেই দায়িত্ব। চন্দননগরের দক্ষিণে তেমাথায় কাশীশ্বরী পাঠশালা অবস্থিত। সেই পাঠশালার জন্য একজন বিবাহিত শিক্ষয়িত্রী চাই। যদি সুহাসিনী সেই পদে যোগ দিয়ে গোন্দলপাড়ায় বসবাস করেন, সব গোল মেটে। কিন্তু সুহাসিনী তো বিবাহিত নন। শেষ পর্যন্ত সমাধান হল সেই সমস্যার। শশধর আচার্য, ইস্ট ইন্ডিয়া রেলের কর্মচারী, স্বদেশের আহ্বানে এগিয়ে এলেন। সুহাসিনীর স্বামীর ভূমিকায় তিনি নিঃসঙ্কোচে এসে উঠলেন গোন্দলপাড়ায় জনৈক দাশরথী ঘোষের বাড়িতে। সুহাসিনীর ভাই হিসেবে এলেন বিপ্লবী হেমন্ত তরফদার। স্বামী রেলের কাজে, স্ত্রী স্কুলের কাজে বেরিয়ে যান। বাড়ি থাকে তালাবন্ধ। আত্মগোপনের এমন নিরাপদ জায়গা আর কোথায় পাওয়া যাবে?
১৯৩০-এর মে মাসে মোটরগাড়িতে চেপে ছদ্মবেশে এসেছিলেন অনন্ত সিংহ, আনন্দ গুপ্ত, মাখন ঘোষাল আর গণেশ ঘোষ। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বীর অংশগ্রহণকারীরা। সেই বছরই জুন মাসে হঠাৎ কলকাতায় আত্মসমর্পণ করলেন অনন্ত সিংহ। এবার এলেন লোকনাথ। লোকনাথ বল। ফাঁকা বাড়িতে গণেশ ঘোষের নির্দেশে রিভলভারের কার্তুজ, বোমা তৈরি করেন তাঁরা। বিপ্লবের প্রস্তুতি চলে সংগোপনে। ১৯৩০, সুহাসিনীর জীবনে পরপর ঘটনার মিছিল। বাবা মারা গেলেন। সংসারের চরম দুরবস্থা। সবকথাই কানে আসে, কিন্তু নিরুপায় তিনি। চন্দননগরে তাঁর ভূমিকা যে নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। কর্তব্য আগে, ব্যক্তিস্বার্থ পরে। না! দিনগুলো সত্যিই বড় ভালো কাটছিল। দোতলায় ভেতর দিকের একটা ঘরে থাকতেন বিপ্লবীরা। তাঁরাই পালা করে রাতে পাহারা দিতেন বাড়ির ছাদে। তাই সেদিন আনন্দ গুপ্তের নজরে পড়েছিল পুলিসি হেলমেটের নড়াচড়া। পরদিন বৃষ্টি পড়েছিল চন্দননগরে। শহিদের মৃতদেহ নিয়ে শোভাযাত্রা হয়েছিল চন্দননগরের পথে। পুলিসের ভ্যানে ওঠার সময় তাঁর মনে পড়েছিল মাখনের কথা। মনে মনে ভাবছিলেন তাঁর পাঠশালার ছোট ছোট ছাত্রীরা স্বাধীন ভারতের মাটিতে পা রাখবে তো? অজস্র মাখনের এই মৃত্যু নিশ্চয়ই ব্যর্থ হবে না। স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসে আত্মকথনরত মহিলাটির বিশেষ ভূমিকা ছিল। ১৯০৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মতান্তরে ১৯০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন সুহাসিনী গাঙ্গুলি। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের এক নির্ভীক সেনানী। তথ্যসূত্র: সুহাসিনী গাঙ্গুলি—অমলেন্দু দে, আবার আসিব ফিরে—বিমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায় 
26th  January, 2019
ভালোবাসার সেকাল একাল

একটা সময়ে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম ছিল চিঠি। এক বুক অনিশ্চয়তা নিয়ে দু’ছত্র লিখে পাঠানো। আর দুরু-দুরু বুকে উত্তরের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করা। বিশদ

09th  February, 2019
এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে সেলেবদের কার কী প্ল্যান?

সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার দিন। নতুন প্রজন্মের কাছে দিনটি এতই জনপ্রিয় যে তার বহু আগে থেকেই রাস্তায় ঘাটে হৃদয়ের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। কোথাও হার্ট শেপড বেলুন, কোথাও বা কুশনে হৃদয়ের ছোঁয়া। যাক সে কথা, নব্যযুগের ধারক ও বাহকদের ছেড়ে বরং একটু সেলেব মহলে ঢুঁ দিয়ে দেখি ভ্যালেন্টাইনস ডে-কে চির স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরা কেমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিশদ

09th  February, 2019
রূপে গুণে সরস্বতী

দেবী সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। তাঁর সাধনা করলে জ্ঞানালোকে আলোকিত মানুষ পায় জীবন পথে সঠিক লক্ষ্যবস্তুর সন্ধান। জ্ঞান আর গুণ প্রায় সমার্থক। জ্ঞান না থাকলে কোনও গুণের প্রকাশ হতে পারে না।
বিশদ

09th  February, 2019
স্বপ্ন দেখার প্রবণতা মেয়েদের বেশি

মেয়েদের স্বপ্নগুলো ইচ্ছেডানা হয়ে উড়ে বেড়ায় গোপনে মনের গভীরে। মেয়েরা স্বপ্ন দেখে সংসার করার, সুখে ঘর করার। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নারী মনে অনেক পিছনের সারিতে স্থান পায়। বিশদ

02nd  February, 2019
সম্পর্কে কিছুটা স্বার্থপর
হওয়া প্রয়োজন নারীদের

স্বার্থপর শব্দটা সব সময়ই নেতিবাচক অর্থ বহন করে। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েদের একটু-আধটু স্বার্থপর হওয়া ভালো। এমনিতেই মেয়েরা অনেক বেশি মায়াবতী এবং অন্যদের খেয়াল রাখতে পটু।
বিশদ

02nd  February, 2019
শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা থাকলে
অনেক কিছু করা যায়: অপ্সরা

 গ্ল্যামার কুইন হতে গেলে সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিটাও সমান পরিমাণে দরকার হয়। না হলে সৌন্দর্যের শিরোপা মাথায় তোলা যায় না— বললেন ২০১৮-এর মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স অপ্সরা গুহঠাকুরতা। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অপ্সরাকে প্রশ্ন-উত্তর রাউন্ডে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— ‘যদি তোমার কাছে একটা শক্তি থাকে, তবে তুমি কী করতে চাইবে? অপ্সরার উত্তর ছিল, পৃথিবীতে শান্তি আর মনুষ্যত্ব আনাব। কারণ এই মুহূর্তে এই দুটো জিনিসই পৃথিবীতে কম।’ আর অন্যান্য সব ইভেন্টের সঙ্গে এই উত্তরটাও তাকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
বিশদ

02nd  February, 2019
চোখের আলো না থাকা দমাতে পারেনি মিলি নাইটকে

বরফে স্কি করার দৃশ্য কল্পনা করুন তো। শুভ্র বরফের পাহাড় বেয়ে শোঁ শোঁ করে ছুটে চলা। একটু অসাবধান হলেই বরফের চাঁইয়ের ওপর সংঘর্ষের সম্ভাবনা। এমন পরিবেশে চোখ-কান খোলা না রেখে কি উপায় আছে? মিলি নাইট এমনই এক পরিবেশে গত বছরের (২০১৮) বিশ্ব প্যারা আলপাইন স্কিইং চ্যাম্পিয়নশিপে স্কিইং ট্র্যাকে নেমেছিলেন।
বিশদ

02nd  February, 2019
ব্রিটেনের রানির বহু পুরনো সেই ব্যাগ

 ব্রিটেনের রানি বলে কথা। থাকেন সুবিশাল প্রাসাদে। বিত্তের অভাব নেই, বিলাসবহুল জীবন। অথচ ব্যবহার করেন কেবল একটিই হ্যান্ডব্যাগ। তাও দেখতে সাদামাটা, কালো রঙের ছোট্ট একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ রানি এলিজাবেথ ব্যবহার করছেন পঞ্চাশ বছর ধরে।
বিশদ

02nd  February, 2019
ভারতীয় চা বেচে বিপুল সম্পদের মালিক ব্রুক এডি

  আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত চাকরি ছেড়ে যদি কেউ চায়ের দোকান দেন, লোকে তার দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকাবে? হয়তো পাগল ভেবে করুণার দৃষ্টিতে দেখবে। নিজের পরিবারেও হয়তো আর ঠাঁই হবে না। তবে ঠিক এই কাজটিই করেই মাত্র এগারো বছরে সাত মিলিয়ন বা সত্তর লক্ষ ডলারের মালিক হয়ে গিয়েছেন মার্কিন নারী ব্রুক এডি।
বিশদ

02nd  February, 2019
আনুষ্ঠানিক বিয়ে বনাম রেজিস্ট্রি বিয়ে

বিয়েতে রীতিনীতি ও অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কি আজও আছে? নাকি এই ব্যস্ততার যুগে সইয়ের বিয়েই যথেষ্ট? এমন প্রশ্নে নব্য প্রজন্মের মহিলারা নানান মত দিলেন। কেউ বললেন, অনুষ্ঠানে আপত্তি নেই, আপত্তি শুধু পুরুষতান্ত্রিকতায়। বিস্তারিত বিবরণে তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক।
বিশদ

19th  January, 2019
বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে বিয়ের মনপসন্দ লোকাচার

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে যা লোকপ্রথা, তাই স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বিশ্বস্ততার প্রতিশ্রুতির উৎসব। সব সমাজই বিয়ের অনুষ্ঠানকে বিশেষ মর্যাদা দেয়। পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজে বিবাহের নানা লোকপ্রথার বর্ণনায় শমীতা দাশ দাশগুপ্ত।
বিশদ

19th  January, 2019
স্বামীজির চোখে নারীজাতি 

ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশ নারীজাতির প্রতি সুপ্রাচীনকাল থেকেই পরম শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে। বেদের যুগে এই উপমহাদেশ নারীর প্রতি যে সম্মান জ্ঞাপন করত তা ছিল পূজার যোগ্য। পরবর্তীকালে নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে নারী জাতির অবস্থার অবনতি ঘটে।  বিশদ

12th  January, 2019
ইতিহাসে হরমনপ্রীত 

ইতিহাসে ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে হেরে গেলেও ভারতের পারফরমেন্স কিন্তু গ্রুপ পর্যায়ে ছিল নজরকাড়া। চার-চারটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে উঠে সেমি-ফাইনালে গিয়েছিল ভারত। ট্রফি না পেলেও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ভারত অধিনায়ক কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাট করেন। চেনান নিজের জাতকে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষে ভারত এবং দলনায়ক হরমনপ্রীত কাউরকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।  বিশদ

12th  January, 2019
নারী মূল্যায়ণে সাহিত্যিক বাণী রায় শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলী 

বিংশ শতাব্দীতে মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পেলেও বহির্জগতে তাঁদের যাতায়াত খুব একটা সুগম ছিল না। তাঁরা ‘মেয়েমানুষ’— এই তকমা তাঁদের গায়ে সাঁটা ছিল। তাঁদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের পথ প্রশস্ত ছিল না। সাহিত্যিক বাণী রায় প্রত্যক্ষতই নিজের চলার পথে সেই সীমানা ভেঙে দিতে পেরেছিলেন।  বিশদ

12th  January, 2019
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার কাশ্মীরের আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। শ্রীনগরের মাঠটিতে আর বরফ জমে নেই। তবে মাঠের অবস্থা ভালো রাখতে রিয়াল কাশ্মীরের কোচ রবার্টসন স্থানীয় টিআরসি গ্রাউন্ডে প্র্যাকটিস করাননি। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি চেয়ার প্রফেসর পদ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পদে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অধ্যাপকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অন্তত প্রথমবার বিজ্ঞাপনের পর আবেদনের সংখ্যা দেখে এমন ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কৃষকদের সুবিধার্থে রাজ্য জুড়ে ৩৬৪১টি এটিএম চালু করছে রাজ্য সমবায় দপ্তর। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই এটিএমগুলি চালু হয়ে যাবে। যে সমস্ত কৃষকের সমবায় ব্যাঙ্ক ও সমবায় সমিতিতে অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা এই এটিএমগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। এর ...

বিএনএ, আসানসোল: মন্ত্রী তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের কড়া বার্তার পরেই আসানসোলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা একসঙ্গে পথ চলতে শুরু করেছেন। শুক্রবার একাধিক অনুষ্ঠানমঞ্চে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। দেরিতে হলেও জেলায় দলের শীর্ষ নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় খুশি তৃণমূলের নিচুতলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম
১৯১৭: মার্কিন লেখক সিডনি শেলডনের জন্ম
১৯৮০: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৯০: দক্ষিণ আফ্রিকার জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  February, 2019

দিন পঞ্জিকা

 ২৮ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২২/৪৪ দিবা ৩/২১। অশ্বিনী ৩৭/২৩ রাত্রি ৯/১২। সূ উ ৬/১৫/১২, অ ৫/২৬/৪২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ১১/০/১১। অশ্বিনীনক্ষত্র অপঃ ৫/২৪/৩২, সূ উ ৬/১৬/৩৫, অ ৫/২৪/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫/৪২ মধ্যে ও ১০/৪৩/৫৭ থেকে ১২/৫৭/৩৮ এবং রাত্রি ৬/১৬/২৫ থেকে ৮/৫০/৪৪ মধ্যে ও ১১/২৫/৪ থেকে ২/৫০/৪৯ মধ্যে, বারবেলা ২/৩৭/৫৩ থেকে ৪/১/২৬ মধ্যে, কালবেলা ৭/৪০/৮ থেকে ৯/৩/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৪/২০ থেকে ১১/৫০/৪৭ মধ্যে। 
৫ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে শুভ। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: বাহন ক্রয়বিক্রয়ের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ...বিশদ

07:03:20 PM

পথ দুর্ঘটনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের কোটসুরে 

07:03:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে স্কুলে ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য 

05:32:00 PM

মেট্রো চ্যানেলে ধর্না, গ্রেপ্তার মান্নান সহ অনেকে
কলকাতার মেট্রো চ্যনেলে ধর্নায় বসতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বিরোধী দলনেতা ...বিশদ

05:21:00 PM

বেশ কিছু বাস বন্ধ হাওড়ায়, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
হাওড়া ময়দান থেকে ১০টি রুটের মোট ২৮০টি বাস চলাচল বন্ধ ...বিশদ

05:16:17 PM