Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

স্বামীজির চোখে নারীজাতি 

ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশ নারীজাতির প্রতি সুপ্রাচীনকাল থেকেই পরম শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে। বেদের যুগে এই উপমহাদেশ নারীর প্রতি যে সম্মান জ্ঞাপন করত তা ছিল পূজার যোগ্য। পরবর্তীকালে নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে নারী জাতির অবস্থার অবনতি ঘটে।
বর্তমানকালে নারী জাগরণে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন উনিশ শতকের নবজাগরণের পথ-প্রদর্শক রাজা রামমোহন রায়। সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা-বিবাহের প্রচলন করলেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর রচিত দেবীচৌধুরানী চরিত্র মানসিক দৃঢ়তায় ও সাহসিকতায় পুরুষের তৈরি গণ্ডিকে অতিক্রম করতে সাহস দেখালেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সবলা’ কবিতায় দৃঢ় ভাষায় নারীর অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানালেন ঠিক এইভাবে—
‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার
কেহ নাহি দিবে অধিকার—
হে বিধাতা
নত করি মাথা
পথপ্রান্তে কেন রব জাগি
ক্লান্ত ধৈর্য প্রত্যাশার পূরণের লাগি
দৈবাগত দিনে?’
মানবদরদী শরৎচন্দ্র তাঁর নারী চরিত্রগুলির মানসিক উন্নতিসাধনে সচেষ্ট হলেন। প্রকৃতপক্ষে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের হাত ধরেই নারী আন্দোলন তার সার্বিক রূপ পায়। শ্রীরামকৃষ্ণ অবতারের একটি বিশেষ অবদান হল নারীর মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের আত্মনির্ভর করে তোলা। তাঁর এই নারী জাগরণের সূচনা শৈশবকালে কামারপুকুর থেকেই। শাস্ত্রীয় আলোচনা, ভক্তিগীতি, যাত্রা, কবিগান সবকিছুর মাধ্যমে পল্লীর নারীজাতিকে তিনি আত্মসচেতন করে তুলেছিলেন। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তুচ্ছ করেছিলেন জাতিভেদ প্রথাকে। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়েছিলেন ধনী কামারনীকে ভিক্ষে মা’র আসনে অধিষ্ঠিত করার মধ্যে। তাঁরই পবিত্র অধ্যাত্মশক্তির ছোঁয়ায় নটী বিনোদিনীর চেতনা জাগ্রত হয়েছিল। এছাড়া নিজের স্ত্রীকে ষোড়শী পূজা করে তিনি ভারতীয় নারীত্বের অতি উচ্চ আদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
স্বামীজি তাঁর গুরুভাই স্বামী বিজ্ঞানানন্দকে একবার বলেন, ‘মাতৃশক্তিই হচ্ছে সমস্ত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। এই শক্তিরই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সে এই দেশেই হোক বা অন্য দেশেই হোক। দেখছ না শ্রীশ্রীমা সেই ঘুমন্ত শক্তিকে জাগ্রত করবার জন্য এসেছেন। এ তো সবে শুরু, সমস্ত পৃথিবীতে এই মাতৃশক্তি কালে এক বিরাট রূপ নেবে।’ ‘স্বামীজির চোখে পতিতা নারীও ছিলেন মহামায়ার অংশ স্বরূপিণী। তাঁর সমস্ত উপদেশের মূলমন্ত্র হল আত্মতত্ব বা মানুষের অন্তনির্হিত দেবত্বের উদ্বোধন। তিনি বিশ্বাস করতেন নারী ও পুরুষ দু’জনেরই এই আত্মজ্ঞান লাভ করার সমান অধিকার আছে। তিনি বলেছেন, অতএব পুরুষ যদি ব্রহ্মজ্ঞ হতে পারে তো মেয়েরা তা হতে পারবে না কেন? তাই বলছিলুম মেয়েদের মধ্যে একজনও যদি কালে ব্রহ্মজ্ঞ হন, তবে তার প্রতিভায় হাজারো মেয়ে জেগে উঠবে এবং দেশের ও সমাজের কল্যাণ হবে।’ নারী জাতির মধ্যে এই আদর্শের পূর্ণত্বের চরম বিকাশ হল মাতৃত্ব এবং সতীত্ব। স্বামী বিবেকানন্দ নারীর জায়া রূপকে অস্বীকার করেননি কিন্তু জননী রূপকেই সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে নারীর আদর্শ মাতৃত্বে—সেই অপূর্ব, স্বার্থশূন্য সর্বংসহা নিত্য ক্ষমাশীলা জননী।’ তিনি পাশ্চাত্য নারীর শক্তিরূপকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিন্তু সেই সঙ্গে পাশ্চাত্যের জীবনধারাকে উপলব্ধি করে বুঝেছিলেন ভারতের স্বাতন্ত্র্য কোথায় এবং ভারতীয় নারীর শক্তিরূপ কীভাবে জাতির পক্ষে কল্যাণজনক হয়ে উঠতে পারে।
‘হে ভারত, ভুলিও না—তোমার নারী জাতির আদর্শ সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী।’
সীতা সহিষ্ণুতার প্রতীক। সাবিত্রী সাহসিকতার প্রতীক, কারণ তিনি মৃত্যু দেবতার মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। আর দময়ন্তী মানবতার প্রতীক—তাঁর স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত দেবতাদের প্রত্যাখ্যান করে একজন মানুষকে তিনি বরণ করেছিলেন।
পাশ্চত্য দেশীয় নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা, গুণাবলী, বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, মানসিক উদারতা ইত্যাদি স্বামীজিকে মুগ্ধ করে। নিঃসম্বল, নিঃসহায় অবস্থায় যখন তিনি আমেরিকায় উপস্থিত হন তখন সেখানকার মহিলাগণ যেভাবে তাঁর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তা স্বামীজি আজীবন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। তাঁর এক ভক্ত হরিপদ মিত্রকে তিনি লেখেন, ‘এ দেশের (আমেরিকার) স্ত্রীদের মতো স্ত্রী কোথাও দেখি নাই। সৎ পুরুষ আমাদের দেশেও অনেক, কিন্তু এদেশের মেয়েদের মতো মেয়ে বড়ই কম। এদের কত দয়া! যতদিন এখানে এসেছি, এদের মেয়েরা বাড়িতে স্থান দিচ্ছে, খেতে দিচ্ছে—লেকচার দেবার বন্দোবস্ত করে, সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে যায়, কি না করে বলতে পারি না। শত শত জন্ম এদের সেবা করলেও এদের ঋণমুক্ত হব না। এদের মেয়েরা কি পবিত্র! ২৫ বৎসর ৩০ বৎসরের কমে কারুর বিবাহ হয় না। আর আকাশের পক্ষীর ন্যায় স্বাধীন। বাজার হাট, রোজগার, দোকান, কলেজ—সব কাজ করে, অথচ কি পবিত্র! যাদের পয়সা আছে, তারা দিনরাত গরিবদের উপকারে ব্যস্ত!’ এরা রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী, আমি এদের পুষ্যিপুত্তর, এরা সাক্ষাৎ জগদম্বা, বাবা! এইরকম মা জগদম্বা যদি ১০০০ আমাদের দেশে তৈরি করে মরতে পারি, তবে নিশ্চিন্ত হয়ে মরব। ভারতীয় স্ত্রী জাতির শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শকরূপে স্বামীজি ভগিনী নিবেদিতাকে ১৮৯৭ সালের ২৯ জুলাই একটি চিঠিতে লিখেছিলেন—‘ভারতের জন্য বিশেষত ভারতের নারী সমাজের জন্য পুরুষের চেয়ে নারীর একজন প্রকৃত সিংহিণীর প্রয়োজন।’ তাঁর এই আন্তরিক আহ্বান নিবেদিতার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। তাই তো স্বদেশ, স্বজন, প্রতিষ্ঠা সব বিসর্জন দিয়ে তিনি ভারতের স্ত্রী জাতির উন্নয়নকল্পে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
সমাজের মঙ্গলের জন্য নারীর ভূমিকাকে পুরুষের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন স্বামীজি। তিনি মনে করতেন নারী শক্তির সার্থক উদ্বোধনের উপরই সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নতি নির্ভরশীল। স্বামীজি বলেছেন ভারতীয় নারীর সব সমস্যার সমাধান সম্ভব শিক্ষা-নামক শব্দের সেই মন্ত্রটির সাহায্যে। আশ্রমবাসিনী নারীদের শিক্ষার কথায় তিনি বলেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের ভাবনাকে মূর্তিরূপ দিক।’ আরও বললেন, ‘কালীকে যে সব সময় একই ভঙ্গীতে থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাঁকে নতুন নতুন ভাবে আঁকার কথা ভাবতে তোমার মেয়েদের উৎসাহ দাও, সরস্বতীর একশ রূপ কল্পনা কর।’ একই সঙ্গে স্বামীজি চেয়েছিলেন নারীরা আত্ম-নির্ভরশীলা হবে। সে জন্যও প্রয়োজন শিক্ষা এবং হাতের কাজ অথবা বিভিন্নরকম শিল্পকর্ম-শিক্ষা, লক্ষ্য রাখ প্রত্যেকটি মেয়ে যেন এমন কিছু জানে যাতে দরকার হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’
ভবিষ্যৎ যুগের আদর্শ নারী কেমন হবে সেই সম্বন্ধে বিবেকানন্দের কল্পনার একটি সার্থক ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন স্বামীজির সুযোগ্যা শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা তাঁর The Master As I saw Him’ বইটিতে। আগামী যুগে নারীর মধ্যে বীরোচিত দৃঢ় সংকল্পের সহিত জননীসুলভ হৃদয়ের সমাবেশ ঘটিবে। যে বৈদিক অগ্নিহোত্রাদি পারিপার্শ্বিকি অবস্থার মধ্যে শান্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক সাবিত্রীর আবির্ভাব, উহাই আদর্শ অবস্থা, কিন্তু ভবিষ্যৎ নারীর মধ্যে মলয় সমীরের কোমলতা এবং মাধুর্যেরও বিকাশ ঘটিবে।’ শ্রীশ্রীমার নামোল্লেখ না থাকলেও এ কথা উপলব্ধি করা যায় যে শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীকে দিশারীরূপে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি তাঁর আদর্শ নারীকে সৃষ্টি করেছেন। স্বামীজি স্বামী যোগানন্দকে গভীর আবেগভরে বলেছিলেন, ‘আমাদের মা আধ্যাত্মিক শক্তির একটি বিশাল আধার, যদিও বাইরে গভীর সমুদ্রের মতো প্রশান্ত। তাঁর আবির্ভাব ভারতের ইতিহাসে এক নব যুগের সূচনা করেছে। যে আদর্শসমূহ তিনি তাঁর জীবনচর্যায় রূপায়িত করেছেন এবং অপরকে আচরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছেন তা শুধুমাত্র ভারতবর্ষের নারীর বন্ধনমুক্তির প্রচেষ্টাকেই অধ্যাত্মরসে সঞ্জীবিত করবে না, সমগ্র পৃথিবীর নারী জাতিকে তা প্রভাবিত করে তাদের হৃদয় ও মানসলোকে অনুপ্রবিষ্ট হবে।’ বর্তমান যুগে বহু অধিকার আয়ত্তে এসেছে নারীর স্বচ্ছন্দে বা সংগ্রামে, ভালোবাসায় বা বিবাদ প্রতিবাদে। তবুও শান্তি এখনও অর্জিত হয়নি। বিবেকানন্দের বাণী ও রচনার মধ্যে আছে শান্তির সুগভীর আশ্বাস—‘ভারত ও ভারতীয় ধর্মে বিশ্বাস কর, তেজস্বিনী হও, আশায় বুক বাঁধো। তোমরা সবাই অমৃতের সন্তান। নারীজাতি তথা সমস্ত মনুষ্য-সমাজের প্রতি বিবেকানন্দের আহ্বান সুন্দরের আহ্বান—পৃথিবীতে সুন্দরের বাণী এসেছে, তুমি তাতে বেসুর লাগিও না। জগতে আনন্দলক্ষ্মীর যে সিংহাসন সে যে শতদল পদ্ম, মত্তকরীর মতো তাকে দলতে যেও না। আপন পূর্ণতাকে উৎসর্গ করে দিয়ে পূর্ণতার ঐশ্বর্য লাভ কর।’
তথ্যসূত্র: স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, স্বামী শিষ্য সংবাদ, তদেব, The Master as I saw him, প্রবুদ্ধ ভারত।
অসীমকুমার দেব 
12th  January, 2019
চৈত্র সেলের একাল সেকাল

বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
  বিশদ

13th  April, 2024
বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব হারিয়েছে বাঙালির কাছেই

ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিশদ

13th  April, 2024
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর অধিকার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

06th  April, 2024
চাবুক হাতে আগুনে মেয়ে

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
  বিশদ

06th  April, 2024
বিশ্বজয়ের দৌড়ে বাঙালি কন্যে

‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! বিশদ

06th  April, 2024
ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী 

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশদ

06th  April, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ডাচ তরুণী

জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে। বিশদ

06th  April, 2024
তর্ক-বিতর্ক: বাচ্চার মোবাইল আসক্তির জন্য

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

30th  March, 2024
স্টেথো গলায় দেশের প্রথম নারী

অখ্যাত গ্রামে ততোধিক অখ্যাত জীবন থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। স্বামীর উৎসাহ আর নিজের জেদ সম্বল করে নজির গড়লেন ডাঃ আনন্দীবাই গোপালরাও জোশি। দেশের প্রথম মহিলা ডাক্তার। কাল তাঁর জন্মদিন। ফিরে দেখলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

30th  March, 2024
আফগান মেয়েদের পাশে

আফগানিস্তানের বাসিন্দা সোলা মাহফুজের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ২০০৭ সালে। তখন যদিও তালিবানের শাসন নয়। তাঁর এখনও মনে পড়ে, একদল লোক বাড়ির দরজায় এসে বাবাকে শাসিয়ে গিয়েছিল মেয়েকে স্কুলে পাঠালে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেবে নয়তো অপহরণ করবে। বিশদ

30th  March, 2024
নারী উন্নয়নে চামির লড়াই

চামি মুর্মু। বয়স ৫২। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার বাসিন্দা। গত ৩৬ বছর ধরে সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। আশপাশের প্রায় ৫০০ গ্রামে ২৮ লক্ষ গাছ লাগিয়েছেন তিনি। চলতি বছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।  বিশদ

30th  March, 2024
আও খেলো মশান হোলি...

মথুরা, শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বারাণসীর হোলিখেলার চরিত্রগত কোনও মিল নেই। কাশীতে শিব নিজেই চিতাভস্ম নিয়ে তাঁর অনুচরদের সঙ্গে হোলিখেলায় মেতে ওঠেন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

23rd  March, 2024
খেয়াল থাক শিশুর শখে

সন্তানের পছন্দ ও শখকে উদ্ভট অভ্যেস ভাবছেন? ভুল করছেন না তো কোথাও? লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

23rd  March, 2024
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের যত্নে এই প্রজন্ম উদাসীন

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। বয়স্ক মা-বাবার খেয়াল রাখে না এখনকার প্রজন্ম— এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের লেখা বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

16th  March, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখানে মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, পলিটেকনিক হয়েছে, আইআইটি হচ্ছে: মমতা

02:05:36 PM

তীব্র গরমের কথা মাথাতে রেখেই আইনজীবীদের আপাতত কালো জোব্বা পরতে হবে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

02:05:00 PM

রোজ মোদির ছবি, এদিকে মানুষের জন্য ওরা কিছু করে না: মমতা

02:04:41 PM

বিজেপিকে তিনমাস পর ভারতবর্ষ থেকে গুটিয়ে দেব: মমতা

02:04:19 PM

কে অধিকার দিয়েছে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার: মমতা

02:04:15 PM

মুর্শিদাবাদ জঙ্গিপুরের জন্য পৃথক ভাবনা আছে: মমতা

02:04:00 PM