বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এই শব্দ করার উদ্দেশ্য যাতে আশপাশের নারীরাও জানতে পারে যে তার ওপর নির্যাতন চলছে। সঙ্গে সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশী নারীরা তাদের সিনকিউটি সঙ্গে নিয়ে দৌড়ে চলে আসে। আক্রান্ত নারীটি মাঝখানে বসে পড়ে। আর তাকে ঘিরে এই নারীরা ঘুরতে থাকে। যেন তাকে রক্ষা করা হচ্ছে সব বিপদ থেকে।
ওরোমো সংস্কৃতির বিশেষজ্ঞ সারা ডুবে জানিয়েছেন, ‘যখন এই গাডা সিস্টেম চালু করা হয় তখন পুরুষদেরকে বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করা হতো যাতে তাঁরা জঙ্গলে পশু শিকার করতে পারে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে পারে।’
তিনি জানান, ‘মেয়েদের হাতে দেওয়া হয় সিনকিউ, যাতে তারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য লড়াই চালাতে পারে।’ এদিকে, নারীদের এই শব্দ শুনে গ্রামের মুরুব্বিরা চলে আসে একটা বিচার বসানোর জন্য। চলতে থাকে শুনানি। নারীরা অভিযোগ করেন, ‘তার গায়ে হাত দেওয়া অন্যায় হয়েছে। তার স্বামীর বিচার না করা পর্যন্ত আমরা শান্ত হব না।’
শুনানির পর গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা তাঁদের রায় শোনান। রায় অনুযায়ী সেই নারীর স্বামী সবার সামনে তার স্ত্রীর কাছে মাফ চাইবে। একই সঙ্গে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করবে, আর কখনও তার স্ত্রীকে অসম্মান করবে না। রায়ে আরও জানানো হয়, যদি সে এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তবে ভবিষ্যতে তাকে আরও কঠিন শাস্তির সামনে পড়তে হবে। বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, ‘নারীরা এসব ক্ষেত্রে কখনও মিথ্যা বলে না।’ এই সম্প্রদায়ের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ জি আললাক গুই বলেন, ‘ঈশ্বর সব সময় তাঁদের পাশে থাকেন যাঁরা মিথ্যা বলেন না।’
বিয়ের সময় মেয়ের বাবা এই সিনকিউ তৈরি করেন। আর মেয়ের মা সেটা তুলে দেন মেয়ের হাতে। গারবি তাফিসি নামের এক মহিলা বলেন, ‘এটা আমি আমার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি এবং আমি নিশ্চিত করব যাতে আমিও এটা আমার মেয়ের হাতে পৌঁছে দিতে পারি।’
তথ্যসূত্র: আদ্দিস ট্রিবিউন
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়