Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজোর মুখে
শুভা দত্ত

পরের শনিবার মহালয়া। কিন্তু, এর মধ্যেই চারদিকে পুজো পুজো গন্ধটা যেন বেশ ঘনিয়ে উঠেছে। মনে আছে কয়েক দশক আগেও এই সময়টায় কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকের বাড়ির উঠোন থেকেই শরৎ এলেই শিউলির গন্ধ ভেসে আসত। কারণ, তখনও এই মহানগরীর অনেক বাড়িতেই উঠোন ছিল, ছিল গাছগাছালি। তার মধ্যে শিউলিও থাকত। আজ এই ২০১৯ সালের প্রোমোটারি হাইরাইজ ভরা মল কালচারের কলকাতায় বসে সে দৃশ্য অবিশ্বাস্য লাগলেও একদিন সত্যি ছিল এবং সে দিনটা এখনও খুব দূরে চলে যায়নি। শুধু তাই নয়, তখন শহর ছেড়ে একটু বেরলেই দিগন্তজোড়া মাঠের মধ্যে মধ্যে দেখা যেত কাশফুলের ঝাড় হাওয়ায় দুলছে। নীল আকাশে সাদা মেঘের দল আর তার নীচে ঢেউ খেলানো কাশের বন বুঝিয়ে দিত—মা আসছেন, আমাদের সংবৎসরের আনন্দ আসছে। আজ যেখানে ই এম বাইপাস, কোটি কোটির চোখ-ধাঁধানো ঘরবাড়ি, হোটেল, রেস্তরাঁ, সেখানে মাত্র দশক দেড়েক আগেও দিগন্তজোড়া মাঠ বা জলার ধারে তেমন কাশের বাহার মন ভোলাত—আজ সে দৃশ্য ভাবাই যায় না!
তবু, এই সময়টায় প্রকৃতিতে কী যেন একটা পরিবর্তন আজও ঘটে যায়! সত্যিই ঘটে না আমাদের আমুদে উৎসব প্রিয় বাঙালি মন ঘটিয়ে তোলে জানা নেই—তবে কিছু একটা ঘটে অবশ্যই। আর তার জেরে আমাদের নিত্যদিনের মনখারাপগুলো আমাদের অভাব অভিযোগ ক্ষোভ সব কেমন দূরে সরে যেতে থাকে, মনটা হাঁফ ছাড়ার জন্য কেমন যেন আকুলিবিকুলি শুরু করে! এবং তার পাশাপাশি কাজের চাপ থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ার ইচ্ছেটাও যেন চাগাড় দিয়ে ওঠে বাঙালি মনে। ফলে, পুজোর সেই অমূল্য দিনগুলো যত এগিয়ে আসতে থাকে ঘরে-বাইরে সর্বত্র একটা ছুটির আমেজও যেন ক্রমশ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজনের কথায় কাজে সেটা বেশ ধরাও পড়ে যায়। এবারও, এত এত বছর পর এত এত পরিবর্তনের মধ্যেও সে ছুটির ডাকে ব্যতিক্রম ঘটেনি! শুধু কি তাই, প্রকৃতিদেবীও মনে হয় আমাদের প্রতি কিছু প্রসন্ন হয়েছেন। তাই হয়তো মাঝে ক’দিন ধুমধাম করে যে বৃষ্টি নামছিল, তার দাপটও অনেকটা কমে যাচ্ছিল। এক আধ পশলা সামান্য ঝিরঝিরে কখনও কোথাও হলেও তা পুজোর আয়োজনে বা মানুষজনের কেনাকাটার আনন্দে বিশেষ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না। বরং, বিশ্বকর্মা পুজো শেষে আশ্বিন পড়তেই বৃষ্টি মেঘের ফাঁক দিয়ে শরতের ঝলমলে নীল আকাশটা উঁকি দিতে শুরু করেছে। তাতে, পুজো উদ্যোক্তাদের বুকে ঘনিয়ে ওঠা ক’দিন আগের দুশ্চিন্তা যেমন অনেকটা ফিকে হয়েছে তেমনি মানুষজনের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে। এবার দক্ষিণবঙ্গে দেরি করে এসে বর্ষা যেভাবে শুরু করেছিল তাতে মনে হচ্ছিল সে এবার পুজোটা হয়তো কাদা জলে পণ্ড করে ছাড়বে। এখন অনেকসময়েই শরতের ঝকঝকে আকাশ দেখে মানুষজনের মন থেকে সে শঙ্কাও নিশ্চয়ই অনেকটা দূর হয়ে গেছে। দোকানে বাজারে উৎসবমুখর মানুষের ঢল তার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে, প্রকৃতিদেবীর খেয়াল বলে কথা। আমাদের যা অত্যাচার তিনি সইছেন, সয়ে আসছেন বছরের পর বছর তাতে তাঁর মাথা মন কতদিন কতটা শান্ত, ঠান্ডা থাকবে তা বোধহয় খোদ বিশ্বকর্তাও বলতে পারেন না, আমরা তো সামান্য মানুষ! তাই, পুজোর দিনগুলো নিয়ে একটা হালকা চিন্তা থেকে যায় বইকি।
তবে সে চিন্তার চেয়ে তো এখন বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি—পুজোর মুখে রাজ্যে এমন হইহই রাজনীতি, এমন একটা ডামাডোল পরিস্থিতি—সাধারণের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে নাকি? পুজোর মুখে কোথায় সবদিক ঠিকঠাক থাকবে, মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুরবে ফিরবে কেনাকাটা খাওয়া-দাওয়া করবে, প্যান্ডেল আলো মাইক প্রতিমা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, তা না হাঙ্গামা পুলিস মিছিল পাল্টা মিছিল সিবিআই খোঁজাখুঁজি যানজট তর্ক-বিতর্কে উত্তাল এবং কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। ক’দিন আগে এই রাজনৈতিক চাপান-উতোরের শুরুটা হল কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিতে সিবিআই অভিযানের মধ্য দিয়ে। কলকাতার সিবিআই দিল্লি থেকে আসা স্পেশাল সিবিআই দলে দলে ভাগ হয়ে মহানগরীর আইপিএস মেস থেকে পাঁচতারা হোটেল রিসর্ট মায় তার রান্নাঘর তোলপাড় করে খোঁজা শুরু করলেন রাজীব কুমারকে! টিভিতে তার ধারবাহিক বর্ণনার রোমাঞ্চ পুজোর আনন্দ ক’দিন অনেকটাই চাপা দিয়ে দিল। সকলে রাজীব-সিবিআই এপিসোড নিয়ে পড়লেন!
তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে শুরু হল আর একপ্রস্থ রাজনৈতিক তরজা। সিপিএম, কংগ্রেস সমেত বিরেধীরা মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা কটুকাটব্য ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে আসর মাতিয়ে তুললেন। আর তারপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল-কাণ্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে যাদবপুরের একদল ছাত্রছাত্রীর প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অভিযোগ, গণ্ডগোল ঝামেলার মধ্যে বাবুল শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও রীতিমতো আহত হন, তাঁর জামাও ছিঁড়ে যায়! তাঁর সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হল ডিজাইনার অগ্নিমিত্রাও! পরে রাজ্যপাল স্বয়ং ঘটনাস্থল থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে আনেন। এই ঘটনা নিয়ে অনিবার্যভাবেই শাসক তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার অনুরোধ উপেক্ষা করে রাজ্যপালের ঘটনাস্থলে যাওয়া উচিত হয়েছে কি হয়নি তা নিয়েও বিতর্ক বেধেছে। আপাতত আমরা সে বিতর্কে
ঢুকছি না।
তবে, এটুকু বলছি, যাদবপুরের ঘটনা চূড়ান্ত অনভিপ্রেত। বাম অতিবাম কী অন্য কেউ—যাঁরাই এই কাণ্ড করে থাকুন তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বজোড়া সুনামের প্রতি সুবিচার করেননি। বাবুল সুপ্রিয় শত হলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাছাড়া, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ যশস্বী উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকেও তো অস্বস্তিতে পড়তে হল, অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। পুজোর মুখে এমন দৃশ্য কি বাংলা বা বাঙালি কারও পক্ষেই সুখকর হল?
তার চেয়ে বড় কথা, ঘটনা তো যাদবপুরেই শেষ হল না। তাই নিয়ে মিছিল, পাল্টা মিছিল, ভাঙচুর, অবস্থান বিক্ষোভ—সব চলল। চলবেও হয়তো আরও! রাজীব কুমারের কী হবে, তাঁকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবে কি না বা নাকি শেষ অব্দি রণে ভঙ্গ দিয়ে রাজীব-সন্ধানে সাময়িক বিরতি নেবেন গোয়েন্দা কর্তারা—জানা নেই। কিন্তু যাদবপুর নিয়ে যদি জল আরও ঘোলায় তবে বাঙালির পুজোর উৎসবে তার প্রভাব পড়তেই পারে। এমনিতেই আমাদের সমস্যার অন্ত নেই। পুজোর ক’টা দিন সেসব ভুলে থাকতে চান সকলেই। পুজোর ক’টা দিন মানে তো ওই চারটে দিন মাত্র নয়। বিশ্বকর্মা বিসর্জন থেকে জগদ্ধাত্রী—এই সময়টা। কিন্তু, বছরের এই সময়টুকুও যদি রাজনীতির হানাহানি বিতর্ক বিভ্রাট আর
শঙ্কা সংশয়ে ভরে থাকে তবে মানুষ হাঁফ ছাড়বে কোথায়! মুখ্যমন্ত্রী মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে যাঁরা কটাক্ষ করছেন তাঁরাও কি প্রকারান্তরে পুজোর মুখের দিনগুলোকে রাজনীতি ভারাক্রান্ত করে তোলারই ব্যবস্থা করছেন না!
এদিকে উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে একটি মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটার পর জানা যাচ্ছে মানুষটি নাকি এনআরসি’র আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন! এমন আরও কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনার পিছনে এনআরসি’র আতঙ্ক কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো কিছু এলাকায়। অথচ, এই পশ্চিমবঙ্গে আপাতত এনআরসি’র সম্ভাবনা যে নেই সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম থেকেই। দিল্লি থেকে ফিরেও বলেছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও এমন সব বেদনাদায়ক মৃত্যু কেন? পুজোর মুখে যাঁদের পরিবারে এমন প্রিয়জন হারানোর ঘটনা ঘটল তাঁদের জন্য কোনও সান্ত্বনাই কি যথেষ্ট? কিন্তু, কী আর করা? নিয়তি বলে
মেনে নেওয়া ছাড়া সাধারণ মানুষের আর কী-ই বা করার আছে?
তবে, এনআরসি নয় আসন্ন পুজোয় যাদবপুর বা রাজীব নিয়ে রাজনীতি যেন আর গোল না পাকায় রাজ্যবাসী আপাতত সেই প্রার্থনাই জানাতে চাইছে। কারণ, তথ্যভিজ্ঞ মহলের খবর, অসমে এনআরসি নিয়ে নানা বিতর্ক ওঠার পর মোদিজি অমিতজিরা নাকি এনআরসি নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন। তাছাড়া, এনআরসি করতে যে বিপুল টাকা লাগছে সে খরচ চলতি মন্দার বাজারে জোগানোও অসুবিধেজনক। তাই, অসমে মহামান্য আদালতের নির্দেশে লাগু এনআরসির যাবতীয় সমস্যা মেটানোর পর অন্য রাজ্যের কথা ভাবা হবে—এমনটাই নাকি সিদ্ধান্ত। একথা বাতাসে উড়ছে, আমজনতার দরবারেও সে বাতাস পৌঁছেছে। তা সত্ত্বেও যে এনআরসি আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না—প্রান্তিক মানুষের ঘরে মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনা কি সেটাই বলছে না? অথচ, এই আতঙ্কের অবশ্য তেমন কোনও পোক্ত ভিত্তি এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গোটাটাই তৈরি হচ্ছে গুজব ও এক ধরনের অতিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এনআরসি নিয়ে এই গুজব ও অতিরঞ্জনে লাগাম টানার উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। এবং সেসবে কান না দিতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
যাই হোক, পুজো আসছে। মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন—তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত বাঙালির উৎসব যাপন। আমাদের বিশ্বাস, সেই উৎসবের আনন্দ কোলাহলে আলোর বন্যায় জনস্রোতে ক’দিনের জন্য হলেও এনআরসি হোক কি যাদবপুর কি সারদা নারদা রাজীব কুমার—সব তলিয়ে যাবে। চিহ্নমাত্র থাকবে না। এতদিন তাই হয়েছে—এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
অতএব, মাভৈঃ।
22nd  September, 2019
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM