Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যর্থতা নয়, অভিনন্দনই
প্রাপ্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের
মৃণালকান্তি দাস

‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে!’ বারবার কথাটা বলেছিলেন ইসরোর সভাপতি কে শিবন। গত শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত সবকিছু একেবারে নিখুঁতভাবেই চলেছিল। আশা করা হচ্ছিল কামাল দেখাবে কৃত্রিম মেধা। রাত দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে অনুসন্ধানী যান ‘প্রজ্ঞান’কে ভিতরে নিয়ে পালকের মতো ভেসে চাঁদের পিঠে নামার কথা ছিল ‘বিক্রম’-এর। ঠিক যেভাবে হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে নেমে আসে, ঠিক তেমনভাবে চাঁদে তার চার পা রাখবে ভারতের বিক্রম। এই এক ঘণ্টার মধ্যে সবথেকে উদ্বেগের সময় ছিল শেষ পনেরো মিনিট। বিক্রমের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মুহূর্ত থেকে থিতু হওয়া পর্যন্ত। তারপর একটু জিরিয়ে নেওয়ার কথা বিক্রমের। ঘণ্টা তিনেক। ভারতীয় সময় সকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০, এই এক ঘণ্টা বরাদ্দ ছিল ‘ল্যান্ডার’ বিক্রমের ভিতর থেকে রোভার ‘প্রজ্ঞান’–এর বেরিয়ে আসার জন্য। বাইরে এসে নিজের সোলার প্যানেল প্রথমে মেলে ধরবে প্রজ্ঞান। সৌরশক্তিই তাকে চালাবে। অবতরণ ক্ষেত্র থেকে ৫০০ মিটার দূর পর্যন্ত গড়গড়িয়ে যেতে পারবে সে। নমুনা সংগ্রহ করবে চাঁদের মাটি, পাথরের। খুঁজবে জলের দাগ। চাঁদের জমিতে যাচাই করে দেখবে কোনও নতুন খনিজ পদার্থ আছে কি না। গোটা দেশ ভরসা রেখেছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের উপরে। শুক্রবার মাঝরাতে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে ‘বিক্রম’ নেমে এসেছিল নিখুঁতভাবেই। কিন্তু চাঁদের মাটি থেকে আকাশে ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকার সময় ইসরো যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল বিক্রমের সঙ্গে। থমকে গিয়েছিল পর্দা!
শুরু থেকেই ছিল বিপত্তি! গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ২-এর যাত্রা থমকে গিয়েছিল শেষ মুহূর্তে। ত্রুটি সামলে এক সপ্তাহ পরেই গত ২২ জুলাই বাহুবলী রকেটের ঘাড়ে চেপে রওনা দিয়েছিল ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। তখনই ঠিক হয়েছিল যাত্রা পিছিয়ে গেলেও আগের নির্ধারিত দিনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে চন্দ্রযান ২-কে। যাত্রা পিছিয়ে গেলেও পৌঁছনোর দিন একই রাখায় প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে কোনও বিপত্তি হবে না তো! ইসরো আশ্বাস দিয়েছিল, এরজন্য গতি কিছুটা বাড়াতে হবে। পৃথিবীকে পাঁচ পাক ও চাঁদের চার পাশ পাঁচ পাক খাবে চন্দ্রযান ২। তার মাপজোকেও কিছু বদল অবশ্যই ঘটাতে হবে।
তবে কি একটু বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিল ইসরো? নাকি এই তাড়াহুড়োর পিছনে ছিল রাজনৈতিক মহলের চাপ? এত বছরের পরিশ্রম বৃথা গেল? তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন সত্যি কি শেষ হয়ে গেল? কোথায় বিক্রম? কেন সে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল রুমের কম্যান্ডের উত্তর দিল না? কোথায় গাফিলতি হল? সেই প্রশ্নই এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কাকতালীয় ঘটনা বলতে পারেন, ৭ সেপ্টেম্বর ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার দিনেই এমন একটা সাফল্য আসতে চলেছে— প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে খুবই উৎসাহিত ছিলেন দিনভর। এক ঝাঁক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই অভিযান ভারতের মেধা এবং নিষ্ঠার প্রমাণ। এই সাফল্য দেশের মানুষের উপকারে আসবে। আবার কোনও ট্যুইটে দেশবাসীকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বলেছেন। কখনও জানিয়েছেন, তাঁর বেঙ্গালুরুতে আসার কথা। সারা দেশ থেকে কুইজের মাধ্যমে বেছে নেওয়া যে ৬০ পড়ুয়া বেঙ্গালুরুতে তাঁর সঙ্গে বসে অবতরণ দেখবে, ট্যুইট করেছেন তাদের নিয়েও। সাফল্যের তালিকায় চন্দ্র বিজয়কে জুড়ে নেওয়ার পক্ষে এমন ভালো দিন আর কী হতে পারত শাসক শিবিরের কাছে! কিন্তু হল না। নামার আগে হারিয়ে গেল বিক্রম। ইতিহাসকে আর ছোঁয়া যায়নি। সাফল্যের উচ্ছ্বাসও নিমেষে ম্লান। কিন্তু ভারতবাসী সমালোচনার পথে হাঁটেনি। ইসরোর ৪৮ দিনের সফল পথ যাত্রাকেই বাহবা দিচ্ছে। কেউ কেউ স্যালুট জানিয়েছে ইসরোকে। হিরোর মর্যাদা দিয়েছে কে শিভনকে। হিরোই বটে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’।
এত কম খরচে ভারতের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচিতে রীতিমতো বিস্মিত গোটা দুনিয়া। গোটা প্রকল্পে খরচ ৯৭৮ কোটি টাকা,যা হলিউডের ছবি অ্যাভেঞ্জার্স: অ্যান্ড গেম–এর বাজেটের চেয়ে কম। বলেছিলেন রুশ মহাকাশচারী জেরিলিনেনগার। বলেছিলেন, ‘অভিযানের খরচ যত কম হবে, তত বেশিবার অভিযান করা যাবে। আর অভিযান থেকে যত বেশি আমরা শিখব, তত বেশি মানুষের জ্ঞানের জগৎ প্রসারিত হবে। তাই ইসরোর কাছে সকলের শেখা উচিত।’ ইসরো এত দিন অত্যন্ত শক্তিশালী ও সর্বাধুনিক মিসাইল বানানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করত। মিসাইল বানাত। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সেগুলির উৎক্ষেপণ করত। কাগজে ছবি বেরত। কিন্তু সেই প্রযুক্তিটা কী, দেশের নিরাপত্তার কারণেই ইসরো সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে থাকত। স্বাভাবিকভাবেই এখনও থাকে। কারণ, প্রযুক্তিটা সকলকে বলে দিলে তো শত্রু দেশও তা বানিয়ে ফেলবে! তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতেই হতো, এখনও হয়। যেহেতু সেগুলি হয় প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়নসংস্থা (ডিআরডিও) বা কেন্দ্রীয় পরমাণু শক্তি মন্ত্রকের (ডিএই) তত্ত্বাবধানে। চন্দ্রযান-২ সেই আড়ালটা ভেঙে দিয়েছে। চন্দ্রযান-২ কিন্তু ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন হিরোর জন্ম দিয়েছে।
১৯৬৯ থেকে ২০১৯। ৫০ বছর ধরে বিজ্ঞানের নানা উপহার সারা বিশ্বের সামনে হাজির করে চলেছে ইসরো। শুরুতে সর্বাধিক ৪০ কেজি ওজনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। সেখান থেকে আজ চন্দ্রযান ২ চাঁদের কক্ষপথে উড়ে গিয়েছিল ৪ হাজার কেজি ওজন নিয়ে। এই ৫০বছরের পথে অনেক চড়াই-উতরাই হয়েছে। বারবার হোঁচট খেয়েছে ইসরো। কিন্তু কখনও দমে যায়নি। বরং বারবারই নতুন করে ব্যর্থতাকে ছাপিয়ে আরও বড় আকারে সাফল্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছে ইসরো। কে না জানে, বিশ্বের সামনে ইসরো এতটাই সফল যে, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি, জাপানও তাদের স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য আজ ইসরোর উপর ভরসা করে। ভারতের চন্দ্র-অভিযান প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ আমেরিকার। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে সে দেশের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসাও। জানিয়ে দিয়েছে, ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে সৌরজগৎ অন্বেষণের কাজ করতে চায় তারা। কারণ, ইসরোর অভিযান নাসার কাছে প্রেরণা জুগিয়েছে। ট্যুইটারে ইসরোকে ট্যাগ করে নাসা লিখেছে,‘মহাকাশটা কঠিন জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে ইসরোর চন্দ্রযান-২ অভিযান প্রশংসনীয়। একে অভিনন্দন জানাই। এই প্রেরণাদায়ক অভিযানের পর ভবিষ্যতে একসঙ্গে সৌরজগতের অন্বেষণ করতে আমরা উদ্বুদ্ধ।’ আমেরিকা জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২ অভিযান ভারতের একটি বিরাট পদক্ষেপ। যা ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে রসদ জোগাবে।
আসলে ব্যর্থতার মধ্যেই রয়েছে আগামীর সাফল্যের সন্ধান। মনে করছে আসমুদ্র হিমাচল। ‘নাসা’র মতো গর্ব করার একটা সংস্থা আমার দেশেই রয়েছে। আগামী দিনে মৌল বিজ্ঞানের গবেষণায় যদি ইসরো বেশি বেশি করে হাত মেলায় দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতে, তাতে নতুন প্রজন্মের লাভ যথেষ্টই। বিজ্ঞানে সাফল্য যেমন আছে, তেমনি আছে হতাশা। আর হতাশা আছে বলেই তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হয়েও চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ধৃষ্টতা দেখাতে পেরেছে ভারত। জানা গিয়েছে, অরবিটারে থাকা ৮টা যন্ত্র এখনও ঠিকঠাক কাজ করে যাচ্ছে। আগামীদিনে আমরা যদি চাঁদে ঘাঁটি গাড়তে চাই, তা হলে জলের খোঁজ জরুরি। চাঁদে যে জল আছে, চন্দ্রযান-১ আমাদের আগেই সে খবর দিয়েছে। এখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কতটা জল আছে, মাটি থেকে কতটা নীচে, সেই জল বার করতে কতটা ঝামেলা হতে পারে— সব বলে দেবে অরবিটারে থাকা যন্ত্র। এই অরবিটারেই আছে দু’টো অত্যন্ত শক্তিশালী হাই-রেজলিউশন ক্যামেরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কখনও পা পড়েনি। ওই অঞ্চলের মানচিত্র এনে দেবে এই দু’টি ক্যামেরা। এখানেই ভারতের চন্দ্রযান ২–এর অভিযানের সাফল্য। দ্বিতীয় চন্দ্রযানের অরবিটার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তার পর্যবেক্ষণ থেকে প্রচুর মূল্যবান তথ্য মেলার সম্ভাবনা। অবশ্যই এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। সেই সাফল্য ৯৫ শতাংশ, না পুরোটাই ব্যর্থ, সে বিতর্ক থাকবেই। তা বলে এ নিয়ে বেশিদিন বসে থাকলে হতাশা আসতে বাধ্য।
বিক্রমের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি এবার তাই চন্দ্রযানের তৃতীয় অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো। চেয়ারম্যান কে শিবন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য আলাদা টিম কাজ শুরু দিয়েছে। তবে এরপরের অভিযানটি হবে জাপানের সহযোগিতায়। নিয়ম মতো সব এগলে আরও এক ল্যান্ডারকে নিয়ে ২০২৪ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই ফিরে যাবে ইসরো। শুধু চন্দ্রযান-৩ নয়,প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সৌর মিশন ‘আদিত্য এল-১’,‘শুক্রযান-১’, ‘গগনযান’, ‘মঙ্গলযান-২’ ও চাঁদে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বানানো নিয়েও। জাপানের এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সার সঙ্গে যৌথভাবে চন্দ্রযান-৩ অভিযান করবে ভারত। সেই সময় চাঁদের মাটি খুঁড়ে পৃথিবীতে এনে গবেষণা করার কথা রয়েছে। জাক্সার উপগ্রহ বিশ্লেষক যান হায়াবুসা-২ গত জুলাই মাসেই দ্বিতীয়বারের জন্য ঝুঁকিবহুল একটি উপগ্রহে গিয়ে নেমেছে। কোনও বিপদসঙ্কুল জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে নামতে তারা কতটা সফল তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ২০২৪-এর যৌথ মিশন অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে রকেট আর রোভার তৈরি ও তাকে প্রেরণের দায়িত্ব থাকবে জাপানের উপর। আর ল্যান্ডার পাঠাবে ভারত। রোভারটি চাঁদে ড্রিল করে মাটি-পাথর তুলে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। বিশ্বে এই প্রথম দুই দেশ যৌথভাবে চাঁদে মানববিহীন যান পাঠিয়ে সেখানকার মাটি নিয়ে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেছে। ২০৩০ সালে একটি মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। আর তা রয়েছে সেই চাঁদেই। এই অভিযান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা মহাকাশ বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালামের স্বপ্ন। তাঁর যুক্তি ছিল, চাঁদে ল্যাবরেটরি, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বানাতে খরচ কম পড়বে। ইসরোর হাতে অনেক কাজ। অনেক।
ইতিমধ্যে ইসরো জানিয়েছে, এক বছর কাজ করার কথা থাকলেও অরবিটারটি সাত বছর ধরে কাজ করতে পারবে। কারণ, সফল ও উন্নত উৎক্ষেপণের ফলে অরবিটারের জ্বালানি কম খরচ হয়েছে এবং কর্মক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। বিক্রমের কী অবস্থা, তা জানতে ইসরোর ভরসা ওই অরবিটার। সেটা কী কম সাফল্য? ইসরোর কয়েক হাজার বিজ্ঞানী-ইঞ্জিনিয়ার তো বটেই, এত জটিলতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রায় শিখর ছোঁয়া জীবনের ক্ষেত্রেও একটা বড় শিক্ষা। কিন্তু তারও চেয়ে মূল্যবান কথা এই যে, এই প্রজন্মের ভারতীয়রা একটা অন্ধকার অতীত পিছনে ফেলে মহাকাশ অভিযানের পথে এগিয়ে গেলেন। আর একটা সাফল্যের পিছনে থাকে অজস্র ব্যর্থতা! বিজ্ঞানের ইতিহাসই তো ইসরোর সম্বল। যে ইতিহাসে রয়েছে ১৯৭৯ সালে ভারতের প্রথম উপগ্রহ প্রেরণের ব্যর্থতা।
কালামের জেদেই ভেঙে পড়েছিল ইসরোর রোহিনী। না, তারপরেও এ পি জে আব্দুল কালামকে সে দিন ‘ফায়ার’ করেননি ইসরোর তদানীন্তন চেয়ারম্যান সতীশ ধাওয়ান! বলেননি, ‘দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কালামকে’! তার এক বছরের মধ্যেই ধরা দিয়েছিল সাফল্য। ধাওয়ানের নির্দেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেই কালাম-ই। তাঁর কথায়, ‘ওই দিন আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ পাঠ পেয়েছিলাম। ব্যর্থতা এলে তার দায় সংস্থার প্রধানের। কিন্তু,সাফল্য পেলে তা দলের সকলের। এটা কোনও পুঁথি পড়ে আমাকে শিখতে হয়নি। এটা অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত।’ ব্যর্থতার সময় গোটা দেশ যখন ক্ষিপ্ত তখন সতীশ ধাওয়ান আড়াল করে রেখেছিলেন তাঁর বিজ্ঞানীদের। সাফল্যের পর সবাই যখন ফুলের মালা নিয়ে বরণ করতে প্রস্তুত তিনি তখন সামনে এগিয়ে দিয়েছেন অভিনন্দনের আসল দাবিদারকে। বিক্রম সারাভাইয়ের হাতে জন্মের পর থেকে ইসরো এই ভাবেই চলে এসেছে। এখনও চলছে। অভিনন্দন ইসরোর বিজ্ঞানীদের। থমকে যাবেন না। আপনাদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সাফল্যের খোঁজে আগামীর ভারত।
13th  September, 2019
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

17-04-2024 - 10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

17-04-2024 - 10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:50:47 PM