Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অ্যাট দ্য হোয়াইট হাউস কলাম থেকেই
খবরের কেন্দ্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাড়ি
মৃণালকান্তি দাস

১৮৯৬ সাল। উইলিয়াম ‘ফ্যাটি’ প্রাইস ওয়াশিংটন ইভিনিং স্টার পত্রিকায় কাজ করার একটা সুযোগ খুঁজছিলেন। পত্রিকার সিটি এডিটর হ্যারি গডউইন প্রাইসকে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে পাঠালেন একটি সংবাদ তৈরি করার জন্য। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। হোয়াইট হাউসের কঠোর নিরাপত্তা পেরিয়ে প্রেসিডেন্টের নাগাল পাওয়া তো অসম্ভব। আর প্রেসিডেন্টের হাঁড়ির খবর জানা চাট্টিখানি কথা নয়। এর আগে প্রাইস সাউথ ক্যারোলিনার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্পাদকের কাজ করার সময় খবর তৈরি করার জন্য প্রায়ই শহরের ভিতরে চলা দু’টি ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেন, তাঁদের সাক্ষাৎকার নিতেন। প্রাইস ঠিক করলেন একই কৌশল তিনি হোয়াইট হাউসেও অবলম্বন করবেন। বিশাল ভুঁড়ি নিয়ে প্রাইস তখন হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রেসিডেন্টের দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে, নিয়মিত প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। ফলে অল্পদিনেই তিনি যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে ফেললেন এবং চাকরিটাও জুটে গেল। হোয়াইট হাউস থেকে যেসব তথ্য তিনি সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন, সেসব তথ্য সহযোগে তিনি ‘অ্যাট দ্য হোয়াইট হাউস’ শিরোনামে একটা কলাম লেখা শুরু করলেন। ব্যাস, ঘটনাটি খুব শীঘ্রই অন্য সংবাদসংস্থাগুলোর নজরে এসে গেল। আর দ্রুতই হোয়াইট হাউস হয়ে উঠল একটি নিউজ বিট।
কিন্তু একেবারে শুরু থেকেই হোয়াইট হাউসের অফিসঘর গুলোতে ঢুকতে পারেননি সাংবাদিকরা। তাঁরা মূলত হোয়াইট হাউসের ভিতরে ইতস্তত ঘোরাফেরা করে সংবাদ সংগ্রহ করতেন। রুজভেল্টের সময়, ১৯০০ সালের দিকে সাংবাদিকরা প্রথম প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশ করে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ পান। অনেকেই বলেন, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট একদিন খেয়াল করেন সাংবাদিকরা হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে বৃষ্টিতে ভিজে নিউজের সোর্স খুঁজছেন। তারপরই রুজভেল্ট সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসের ভিতর অফিস তৈরি করার অনুমতি দেন। ওই সময় সাংবাদিকদের মাত্র একটি টেবিলের সামনে বসে কাজ করতে হতো, তাদের আলাদা কোনও অফিস বা ঘর ছিল না। প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারির অফিসের বাইরে টেবিলটা বসানো ছিল। সেক্রেটারি নিয়মিত রিপোর্টারদের ব্রিফ করতেন। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের নিজস্ব সংবাদ ঘর বরাদ্দ করা হয় হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে। যা এখনও পর্যন্ত ‘হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে কাজকর্ম পরিচালনা করছে।
মূলত তিনটি কারণে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা স্থায়ীভাবে খবর সংগ্রহের কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসে যখন সাংবাদিকরা প্রথম প্রবেশ করার সুযোগ পেলেন, তখন থেকেই খবরের আশায় সবসময় সাংবাদিকদের ভিড় লেগেই থাকত সেখানে। তাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্টের খবর পরিবেশন করতেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে সাংবাদিকরা নিয়ম করে উপস্থিত থাকতেন। ফলে, হোয়াইট হাউসের কর্তারা তাঁদের চারপাশে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত হয়ে যান। ধীরে ধীরে সাংবাদিকতার দুনিয়া প্রশস্ত হয়। সংবাদের বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয়। হোয়াইট হাউস নিয়ে পাঠকদের আগ্রহ দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। তাঁদের সেই চাহিদা মেটাতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের স্থায়িত্বকরণের দিকটিও অপরিহার্য হয়ে পড়ে। মার্কিন জনগণ তাঁদের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও তার প্রয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হয়ে ওঠেন। ফলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে জনগণের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বটা সাংবাদিকদের কাঁধে এসে পড়ে।
‘হোয়াইট হাউস প্রেস কোর’ হচ্ছে প্রায় ২৫০ জন সাংবাদিকের একটি দল, যাঁদের মূল কাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর আমলাদের কর্মকাণ্ড ও নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো। এই দলে পত্রিকা, ইলেকট্রনিক, রেডিও ও টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পাশাপাশি রয়েছেন বিভিন্ন সংবাদসংস্থার নিয়োজিত ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার। এই সাংবাদিকরা হোয়াইট হাউসের ভিতরের খবর যেমন সংগ্রহ ও সরবরাহ করেন, তেমনই আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সব জায়গায় সফর করেন। আর প্রেসিডেন্টের হাঁড়ির খবর জানা ও জানানোর জন্যই গুচ্ছের পয়সা খরচ করে এসব সাংবাদিকদের নিয়োগ করে মিডিয়া হাউসগুলো। সাংবাদিকরা যে অঞ্চলে কাজ করেন বা যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন, তাকে তাঁর বিট বলা হয়। যাঁরা রাজনৈতিক খবরাখবর সরবরাহ করেন, তাঁদের বিটকে বলা হয় পলিটিক্যাল বিট। হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক প্রতিনিধিরাও পলিটিক্যাল বিট রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন, তবে বাকি সব পলিটিক্যাল রিপোর্টারের চেয়ে তাঁদের স্থান যথেষ্ট উচ্চমার্গীয়। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশের পরিচালনা কেন্দ্র ও তার পরিচালকদের পাশে থেকে কাজ করা মোটেই কোনও ছোটখাট ব্যাপার নয়। হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর প্রশাসনের খুব কাছে থাকার সুযোগ পান। হোয়াইট হাউসে কাজ করা নিয়ে একবার একজন সাংবাদিক মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমরা এমন একটা শহরে কাজ করি, যেখানে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে পারাটাই সবকিছু। হোয়াইট হাউসে কাজ করার জন্য অনেক সাংবাদিক ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির ব্যক্তিগত অফিস ছেড়ে দিয়ে ওয়েস্ট উইংয়ে একটা ভাগ করা ছোট ঘরে কাজ করতেও দ্বিধা করেন না।’
হোয়াইট হাউসের বর্তমান সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টের যতটা কাছে ঘেঁষতে পারেন, শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯০০ সালের দিকে তার চেয়েও বেশি কাছাকাছি যেতে পারতেন। ওইসময় এমনও হতো যে সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টের অফিস রুমে গিয়ে তাঁর টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতেন। এই ধরনের সাক্ষাৎকারে কোনও পরিকল্পনা বা স্ক্রিপ্ট থাকত না। ফলে অনেকসময় দেখা যেত একেবারে ভিতরের খবরও বের করে ফেলেছেন সাংবাদিকেরা। এই সাংবাদিকরাই ইতিহাসের একটি অংশ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসন ও সাংবাদিক, দু’পক্ষের সম্পর্ক বেশ করুণ। এখন আর সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্টকে কড়া প্রশ্ন করতে পারেন না। আর প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারির পক্ষ থেকেও খুব কম তথ্য পান তাঁরা। সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সরাসরি সম্পর্ক অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রিত। বর্ষীয়ান সাংবাদিক সাইমুর হার্শ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এর আগে কখনও হোয়াইট হাউস প্রেস কোরকে এত দুর্বল অবস্থায় দেখিনি। অনেক সময় মনে হয়, খবর সংগ্রহের চেয়ে সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউস ডিনারের প্রতি আগ্রহ বেশি।’
নিক্সন, বুশ, ওবামা থেকে শুরু করে হালের ট্রাম্প, প্রত্যেকেই সাংবাদিকদের তথ্য অধিকারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছেন। নিক্সন সাংবাদিকের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, কারণ তাঁরা প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বেশ কড়া নিউজ করেছিলেন। বুশ তাঁর বিশেষ ক্ষমতাবলে সাংবাদিকদের তথ্যাধিকার হরণ করেছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো চেয়ারে বসার পর রিপোর্টারদের প্রেস রুম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকরা পৃথিবীর ‘অসৎ মানুষ’ বলে বিবেচিত। ট্রাম্প প্রশাসন মিডিয়াকে অঘোষিত বিরোধী দল হিসেবে বিবেচনা করে। তবে এখনও পর্যন্ত মিডিয়াকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেওয়ার ধৃষ্টতা কোনও প্রেসিডেন্টই দেখাননি।
23rd  August, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM